গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_১০
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
রিহা পিছনে তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে সেই লম্বা রিহার তো ঘাড় ব্যাথা করছে সবাই হা করে তাকিয়ে আছে
রিহা : জী কিছু বলবেন ?
রোহান : তোমার সাথে একটু কথা ছিল (ছেলেটা)
রিহা : জী বলেন
রোহান: একটু বাইরে আসবে
রিহা : কেনো এখানে বললে কি প্রবলেম ?
রোহান : একটু চলো
রিহা : যে কথা এখানে বলতে পারবেন না সেটা বাইরে গেলে পারবেন তেমন কথা সুনার আমার কোনো দরকার নেই
রোহান : বাহ খুব তেজ দেখছি
রিহা : সেটা বলতে পারবো না তবে মানুষ বুঝে কথা বলি এখন আপনি আসতে পারেন ।
রোহান কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চলে গেলো।
রুহি : কে রে ?
রিহা : তুই যেখানে আমিও সেখানে
নেহা : আরে এরে চিনলি না এ তো 3rd year এ পড়ে ভার্সিটিতে তেমন আসে না তাই কেউ চেনে না
রিহা : সে যাই হোক এখন আমি বাসায় যাবো খুব ঘুম পাচ্ছে
রুশ : কেনো রাতে কি দুলাভাই ঘুমাতে দেইনি (দুষ্টুমি করে)
রিহা : চুপ থাক কাল ওই খাটাস টা আমায় পড়িয়েছে (নেকা কান্না করে)
রুহি : ইসস আমায় যদি কেউ পড়াতো তোর মত আমি ও স্যার এর কাছে ভালো হতাম (গালে হাত দিয়ে)
রুমা : ওই চুপ থাক
রিহা : জানিস না ছোটো বেলায় পড়ে গিয়েছিল
রুহি ভেংচি কাটে
রুশ : তবে যাই বলিস আমাদের কিন্ত এখন থেকে পড়তে হবে অটপাস এর আশা ছেরে দে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা কি হবে
রিহা : ঠিক বলেছিস এখন থেকে পড়তে হবে বিয়ের পাল্লায় পরে তো সব শেষ এখন থেকে শুরু করবো
(আমিও ভাবি শুরু করবো কিন্ত করাই হয়না । বই আমাকে চায় না এতে আমার কি দোষ)
রোহান ওর গ্রুপের কাছে গিয়ে দাড়ায়
অনিক : কিহলো ?
রোহান : মেয়েটা আসলো না
আবির : একটা মেয়েকে আনতে পারলি নি ছি রোহান : আরে ওই মেয়ের যা তেজ
আয়াস : নাম কি ?
রোহান : রিহা
আয়াস : wow মিস sweet
i am comming
কথাটা বলে আয়াস একটা বাকা হাসি দেয়।
অনিক : কি করবি তুই ?
আয়াস : দেখতে পারবি এই আয়াস খান এর কাছ থেকে কোনো মেয়ে বাঁচতে পারছে
আবির : lets see
(আয়াস হলো এই বড়ো লোক বাবার একমাত্র ছেলে। ভার্সিটির সবার ক্রাশ বয়। মেয়েরা আয়াস বলতে পাগল । দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সুন্দর বডি (এর বেশি আমি বর্ণনা দিতে পারবো এক.আলসেমি লাগে । দুই. আমি ছেলেদের। বেপারে বেশি কিছু জানিনা ) মা নেই কিন্ত বাবা আছে। বাবা ছেলেকে সব সুখ দিয়ে মানুষ করছে । গল্পে আসি )
রিহা সবার সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে
রিহা : উফফ আজ অনেক কিছু কিনতে হবে রেহান আসার আগে
এসব ভাবতে ভাবতে রিহা যাচ্ছে তখনই কিছু একটার সাথে বেঁধে পড়ে যেতে নিলে কেউ একজন পিছন থেকে হাত ধরায় আর পড়ে না ।
রিহা নিজেকে সামলে পিছনে তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে
আয়াস : কেমন আছো ?
রিহা : মানে ?(অবাক হয়ে)
আয়াস : দেখে চলতে পারো না এক্ষুনি তো পরে যেতে
রিহা : আমি আসলে
আয়াস : তুমি আসলে কি হা ইচ্ছা করে পরতে চাও যাতে কেউ হিরো মত এসে ধরে ফেলে(বিরক্তি নিয়ে)
রিহা : আপনি কি পাগল স্টুপিড একটা ।
রিহা চলে যেতে গেলে আয়াস রিহার হাত ধরে কাছে টেনে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে তারপর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়
রিহা তো অবাক এর পর অবাক মাথার থেকে হাত সরিয়ে ঝটকা মেরে ফেলে বলে
রিহা : আপনর সাহস কি করে হয় আমার গায়ে হাত দেওয়ার কে আপনি হুম নিজেকে কি ভাবেন যা খুশি করবেন আর আমি চুপ করে থাকবো নট আট অল আপনার মত ছেলেদের খুব ভালো করে
আর কিছু বলতে পারলো না আয়াস রিহার মুখে চকোলেট ভরে দেয় যার জন্য রিহা কথা বলতে পারছে না
আয়াস : বেশি রাগ শরীরের জন্য ভালো না ম্যাডাম নিজের একটু খেয়াল রাখেন আপনার কিছু হলে তো কেউ একজন মরে যাবে এখন আসি
আয়াস চলে গেলো রিহা ওর যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । চেনা নেই জানা নেই যদি কেউ এমন করে তো অবাক হবার কথা রিহা নিজেকে সামনে মুখ থেকে চকোলেট বের করে ফেলে দেয়।
রিহা : অসহ্য লোক একটা
রিহা রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে যায়।
আয়াস আড়াল থেকে বেরিয়ে রিহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলে ।
অনিক : কীরে ঠিক আছিস ?
আয়াস : হুম ওর দিকে নজর রাখ আর এখন দেখ কোথায় গেলো
রোহান : মানে কি ?
আয়াস : যা বলছি তাই কর
অনিক আর রোহান বেরিয়ে যায় রিহার পিছন পিছন।
রিহা যাচ্ছে তখন হটাৎ ওর একটা কথা মনে পড়লো । রিহা তাড়াতাড়ি গাড়ি থামিয়ে একটা দুকানে যায়। কিছু কিনে আবার ফিরে আসে ।
রিহা : আমার কত দিনের ইচ্ছা আজ পূরণ হবে ভাবতেই খুশি লাগছে থাক বেশি খুশি হব না নাহলে লোক আমায় পাগল ভাববে
রিহা খুশি মনে আবার চালাতে লাগলো কিছুক্ষণের মহে বাসায় চলে আসলো।
এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পরলো
রিহা : উফফ বাইরে যা রোদ দুই দিনেই কালো হয়ে যাবো
বলতে বলতে রেহান এর ফোন। রিহা ফোন হাতে নিয়ে দেখে রেহান ফোন করছে আজ একবার ও রেহান ফোন করেনি ।
রিহা : হেলো
রেহান : বাসায় আসছো ?
রিহা : হুম
রেহান : আচ্ছা তুমি খেয়ে নাও আজ একটু কাজের চাপ তাই খোজ নিতে পারিনি একটু পর চলে আসবো
রিহা : এতো তাড়াতাড়ি (সুয়া থেকে উঠে)
রেহান : কি
রিহা : না কিছু না আমি পরে কথা বলছি
রিহা রেহান কে কিছু বলতে না দিয়ে ফোন কেটে দেয়
রিহা : আমার কাজ তো এখন ও শেষ হয়নি এক্ষুনি করতে হবে
রিহা তাড়াতাড়ি উঠে ওয়াসরুমে যায় অনেকক্ষণ পর বেরিয়ে আসে। মুখে রাজ্য জয় করার হাসি
রিহা : আব তেরা কে হোগা রেহান বাবা
উফফ কি খুশি লাগছে যাই আমি খেয়ে নি।
রিহা খাওয়া শেষ করে একটা বই নিয়ে পড়তে থাকে ।
কিছুক্ষণ পর রেহান আসে রিহা পড়ায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য দেখতে পায়নি।
রেহান : বাহ আজ ম্যাডাম কে না বলতেই পড়তে বসল (ঘড়ি খুলতে খুলতে)
রেহান এর কথায় রিহা মত তুলে তাকায়
রিহা : আপনি এসে গেছেন (খুশিতে)
রেহান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে
রিহা : কিহলো অভাবে কি দেখছেন ?
রেহান : না মানে তুমি খুশি আমি আসাতে?(অবাক হয়ে)
রিহা : না হওয়ার কি আছে এত বাড়িতে আমি একা থাকতে পারি
রেহান : ওহ তাই বল (মুচকি হেসে)
রিহা : হুম এখন আপনি গোসল করে আসুন
রেহান : যাবো আগে একটু শুয়ে নি
বিছানায় উবর হয়ে শুয়ে
রিহা : আরে এই ঘামা শরীরে শুয়ে থাকলে আরো কষ্ট হবে যান (রেহান কে ধাক্কা দিতে দিতে)
রেহান : উফফ রিহা
রিহা : আগে যান আমি কফি আনছি
রেহান আর কোনো উপায় না পেয়ে বাথরুমে যায় । রিহা খুশিতে নিচে যায় ।
একটু পর এসে দেখে রেহান চুল মুসছে
রিহা : আপনার কফি
রেহান : ওখানে রাখো
রিহা বিছানায় বসে আছে একটু পর রেহান গা চুলকাচ্ছে ।
রেহান : কিহলো আমার গা চুলকাচ্ছে কেনো এইমাত্র ত গোসল করলাম
রিহা : কাজ হয়েছে (মনে মনে)
এই আপনি এভাবে ব্যাঙের মতো লাফাছেন কেনো
রেহান : আমার শরীর
রেহান আর কিছু না বলে গোসল করতে যায় । রিহা ত হাসতে হাসতে শেষ
রিহা : ঠিক হইছে । যাই তো একটু দেখি
রিহা দরজার পাশে দাড়াতে রেহান বেরিয়ে আসে
রেহান : এসব তোমার কাজ তাই না (ভ্রু কুচকে)
রিহা : কোন সব (না জানার ভান করে)
রেহান : বুঝতে পারছো না তাই না তাহলে এটা কি (একটা প্যাকেট ধরে)
রিহা : এই রে চুলকানি পাউডারের প্যাকেট তো ওখানেই রেখে আসছি এখন কি বলবো(মনেমনে)
রেহান : কি বলবে ভেবে পাচ্ছ না তাই তো
রিহা : আসলে
রেহান : আমি যখন শাস্তি পাইছি তুমি কেনো বাদ যাবে
রিহা : মানে
রেহান : বুঝাচ্ছি
কথাটা বলে রেহান রিহাকে কোলে তুলে ওয়াশোরুমে যায়। রিহা ছুটাছুটি করতে থাকে
রিহা : এই কি করছেন নামান
রেহান নামিয়ে দেয়। রিহা বের হতে গেলে রেহান হাত ধরে টেনে এনে শাওয়ার অন করে দেয়
রিহা : পাগল হলেন নাকি কি করছেন ?
রেহান : হাসস (রিহার ঠোঁটে হাত দিয়ে)
রিহা রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে আর রেহান রিহার দিকে। দুইজন যেনো হারিয়ে গেছে কোনো দুর অজানায়
অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে রিহার ঠোঁট কাপছে রেহান আস্তে আস্তে ঠোঁটের দিকে এগুতে গেলে হটাৎ রেহান এর ফোন বেজে উঠে রিহার হুস ফিরে রিহা রেহানকে ছেরে তাড়াতাড়ি চলে আসে।
একুটপর রেহান ও বেরিয়ে দেখে রিহা ড্রেস পাল্টে বসে আছে । রেহান কিছু না বলে ড্রেস চেঞ্জ করে ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়ে রিহা রেহান এর দিকে তাকাতে পারছে না । রিহা ও বই নিয়ে বসে
প্রায় সন্ধ্যার দিকে
রিহা : আজ কি রান্না করবেন ?
রেহান : তুমি বলো (ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে)
রিহা : আমার বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছা করছে
রেহান : ওকে তাহলে সেটা বানাবো
(নিজে রান্না করার এই এক মজা যা খুশি নিজের ইচ্ছা মত রান্না করা যায় হি হি )
রেহান আর রীহ্ মিলে রান্না করতে লাগে । রান্নার মাঝে রেহান এর ফোন এসে রেহান একটু বাইরে যায় । রিহার রান্না প্রায় শেষ
রিহা রেহান কে ডাকতে উপরে গিয়ে দেখে নেই কি মনে করে বারান্দায় যায়
রিহা তো অবাক কারণ নিচে সেই ছেলেটা দাড়িয়ে আছে মানে আয়াস।
আয়াস রিহার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে চলে যায় ।
রিহা : এই ছেলেটা এখানে কেনো ?
রেহান : কোন ছেলেটা ?
রিহা পিছনে তাকিয়ে দেখে রেহান দাড়িয়ে আছে
চলবে