গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৪২

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৪২
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

রিহা মুখ না ধুয়ে রেহান রেহান বলে ডাকতে ডাকতে নিচে যায়

মাইশা চৌধুরী : কি রে এই ভাবে ডাকছিস কেনো রেহান তো বাসায় নেই
রিহা : কখন বের হলো?
মাইশা চৌধুরী : অনেক সকালে কেনো কি

রিহা মেসেজ দেখায় । মাইশা চৌধুরী দেখে হাসছে

মেসেজ
এই যে ম্যাডাম তাড়াতাড়ি উঠে খেয়ে ওষুধ খাবে আমি এসে যেনো অন্য কিছু না শুনি তাহলে কপালে দুঃখ আছে

আর আমি মেয়ে দেখতে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হবে তোমার তো মুক্তি চাই। লক্ষ্মী মেয়ের মত থাকবে

রিহা : তুমি হাসছো তোমার ছেলে বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছে আর তুমি
মাইশা চৌধুরী : আমি বাবা কিছু জানিনা তোরা নিজেদের বেপার ঠিক কর
রিহা : মামনি
মাইশা চৌধুরী : কোনো কথা না আয় খেয়ে নে

রিহা যাচ্ছে না দেখে মাইশা চৌধুরী জোড় করে খাইয়ে দেয়।

রিহা গোসল করে সোফায় বসে নক কামড়াচ্ছে । অপেক্ষা করছে রেহান এর জন্য শেষে না পেরে ফোন দেয় কিন্ত রেহান ধরলে তো

রিহা : উফফ এত তেজ কই থেকে আসে কে জানে কত বার সরি বললাম কানে যায় না ঘরে বউ রেখে আবার বিয়ে করতে যাচ্ছে করাচ্ছি বিয়ে

রিহা এসব বকতে বকতে গাড়ি নিয়ে বের হলো। রেহান এর ফোনের লোকেশন ট্রাক করে গন্তব্যে পৌঁছলো ।

রিহা : বাহ মেয়ে দেখতে এত বড়ো রেস্টুরেন্টে আমায় তো কখনো আনলো না

রিহা ফুঁসতে ফুঁসতে ভিতরে গিয়ে দেখে পুরাই ফাঁকা একটা কর্নারের সিটে রেহান আর একটা ফর্সা মেয়ে বসে আছে ।

রিহা ওদের কাছে গিয়ে মেয়েটার চুল ধরে

রিহা : ঐই সাকচুন্নি আমার জামাই পালি দেশে কি ছেলের অভাব পড়ছে একে তো অন্তরা পেত্নী ছিল এখন আবার তুই ওই তোর কোন নর্দমার পানি থেকে তুলে আনছে যেখান থেকে আছিস ওখানে চলে যা নাহলে ওর একদিন কি আমার একদিন

রেহান মনে মনে খুব হাসছে কিন্ত প্রকাশ করছে নে । রেহান রিহার কাছ থেকে মেয়েটাকে ছড়িয়ে নেয়

রেহান : কি প্রবলেম কি তোমার এখানে এসে ঝামেলা কেনো করছ(ধমক দিয়ে)
রিহা : আমার কোনো সমস্যা নেই সমস্যা আপনার এখানে এই সাদা পেত্নীর সাথে কি করছেন
রেহান : মেসেজ কি দেখো নি
মেয়েটি : রেহান বেবি এই মেয়েটা কে আমার চুল ধরলো কেনো
রেহান : nothing just ignore her
রিহা : আমি কে আমি তোর বৌমা হই

রেহান +মেয়েটা: 😱
মেয়েটা : বৌমা মানে
রিহা : কেনো রেহান যদি তোর বেবি হয় আমি ওর বউ মানে তোর বৌমা আসসালামুয়ালাইকুম শাশুড়ি আম্মা
রেহান : এই কি বলছো এসব
রিহা: চুপ একটা কথা না এত দিন না আমার ঠাং ভাঙতে চাইতেন এখন আমি আপনার ঠাং ভাঙবো
মেয়েটি : রেহান ও তোমার বউ
রেহান : চাঁদ জান এক্স ওয়াইফ
রিহা: চাঁদ হবি তুই তোর বাড়িতে এখানে রেহান এর চাঁদ শুধু আমি যা ভাগ
রেহান : রিহা (জোরে)
রিহা: কি রিহা রিহা করছেন আমি জানি আমার নাম রিহা
চাঁদ : i থিঙ্ক মেয়েটা পাবনা থেকে পালিয়ে আসছে

রেহান : হা হা হা
রিহা: তুই মনে হয় আমার পাশের সিটে ছিলি তাই জানলি আর আপনার সামনে ও আমাকে পাগল বললো আপনি কিছু বলবেন না
রেহান : এখানে থেকে লাভ নেই চল আমরা অন্য কোথাও বসি
চাঁদ : সেটাই বেটার এসব পাগল ছাগল কে কেনো যে ঢুকতে দিছে

রিহা রাগে ফুঁসছে । রেহান বের হতে গেলেই রিহা রেহান এর কলার ধরে নিজের কাছে আনে

রিহা : আপনি কোথাও যাবেন না আমার সাথে বাসায় যাবেন
রেহান : কলার ছাড়ো তুমি জানো না তুমি কার কলার হাত দিচ্ছ
রিহা : খুব ভালো করে জানি এটা আমার বরের কলার আমি যা খুশি করতে পারি

রেহান রিহার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে । রিহার চোখে এই প্রথম ভালোবাসা +হারিয়ে ফেলার ভয় দেখছে । রেহান নিজেকে ছাড়িয়ে চাঁদ কে নিয়ে বের হলো

রিহা ওখানেই দাড়িয়ে আছে । একটু পর রিহা ও গাড়ি নিয়ে বের হলো ।

এদিকে

আয়াস : তোর কথা ঠিক হলো কিন্ত রিহা এই জায়গার কথা জানলো কি করে ?
রেহান : লোকেশন চেক করে
চাঁদ : মেয়েটা যা রাগী বাবা আমার চুল মনে হয় শেষ করে দিত
আয়াস : হা হা তোমার ননদ দেখতে হবে না বোন টা কার

(জি হা আয়াস এর গার্লফ্রেন্ড চাঁদ। বিদেশ থেকে ফিরছে)

রেহান : রিহা কে একটু শিক্ষা দিয়ে নি তারপর তোদের বিয়ে বড়ো করে হবে

চাঁদ আয়াস দুইজনেই লজ্জা পেলো । রেহান জোরে হেসে দিল

রিহা বাসায় এসে দেখে রেহান এখনও আসে নি । রিহা ঘরে গিয়ে বসে আছে

একটু পর রেহান শিস বাজাতে বাজাতে আসলো।

রিহা : শেষ ?

রেহান ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে ।

রিহা: তামাশা শেষ নাকি আরো বাকি আছে (রেগে)
রেহান : সামনের সপ্তাহে আমার বিয়ে আচ্ছা বললো ত হানিমুনে কোথায় যাওয়া যায়
রিহা: আমায় to কখনো নিয়ে গেলেন না কত বার বলছি আর ওই পেত্নী কে নিয়ে যাবেন আমি বেঁচে থাকতে হবে না
রেহান : দেখা যাবে

রিহা কিছু বলার আগেই রেহান ওয়াশরুমে যায় ।

রিহা নিচে যায় ।

খাবার টেবিলে রেহান এর পাশে এসে রিহা বসে । রেহান আর চোখে তাকাতেই রিহা চুমু
দেখায়

আয়াস কেশে উঠে । রিহা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে । রেহান মুচকি হাসে

খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই যে যার রুমে যায় আর রেহান রিহাকে দেখিয়ে দেখিয়ে চাঁদের সাথে ভিডিও কল এ কথা বলছে

রাতে

রেহান ঘরে আসতেই রিহা মুচকি একটা হাসি দেয় । রেহান কিছু বুঝলেন না

রিহা রেহান এর কাছে এসে ওর হাত নিজের হাতের মধ্যে নেয়।

রিহা: এই চাঁদ চাঁদ খেলা কবে বন্ধ করবেন শুনি
রেহান : কিসের খেলা চাঁদকে আমি বিয়ে করছি
রিহা: হু আমি বেঁচে থাকতে ভুলে যান এখন একটু ভালোবাসা দেন ত
রেহান : সর ঘুমাতে যাব
রিহা: কোথায়?
রেহান : আয়াসের রুমে
রিহা: ওকে

রেহান : কি ব্যাপার কিছু বললো না কেনো ?(মনে মনে)

রেহান সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে যেতে গেলে হতে টান অনুভব করে তাকিয়ে দেখে ওর আর রিহার হাত হ্যান্ডকাপ দিয়ে আটকানো

রিহা: কিহলো জান (মুচকি হেসে)
রেহান : what is this ?
রিহা: কানা হলেন কবে
যাই হোক এখন আমি ঘুমাবো আপনার ঘুম না আসলে থাকেন

রিহা যেতে গেলে রেহান কে ও যেতে হয় । রেহান শুলে রিহা রেহান এর বুকে মাথা রাখে

রিহা: চাঁদ চাঁদ খেলা বন্ধ করেন নাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে এখন মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেন

রিহা চোখ বুজতেই রেহান মুচকি হাসে । রেহান এর এখন খুব হাসি পাচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে পারছে না

পরের দিন বিকালে রেহান ঘরে এসে দেখে রিহা নেই সারা বাড়ি খুঁজে কিন্ত পায় না

রেহান নিচে গিয়ে ওর আম্মু কে জিজ্ঞেস করে ওর আম্মু বলে রিহা একটু বেরিয়েছে হটাত রেহান এর ফোন মেসেজ আসে

আমি ঢাকায় আছি আপনি যদি আমাকে ভালোবাসেন তাহলে আসবেন নাহলে আমি এখানে যেই ছেলে পাবো তাকে ধরে কাজী অফিসে যাবো এখন best your choice

রেহান গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো ।

এদিকে

রিহা ,রুমা, রুহি আরো ওর বান্ধবী মিলে একটা ছেলে কে মারছে

রিহা: অনেক হইছে ওকে এবার আমার হাতে দে আজ ওর শেষ দিন

কথাটা বলে রিহা হকিস্টিক দিয়ে হাতে বারি মারে

চলবে

(কাল গল্পটা শেষ হয়ে যাবে )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here