গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_২২
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
ছেলেগুলো মেয়েতার দিকে এগিয়ে আসতে গেলে তখনই কিছু কাল পোশাক পড়া লোক এসে ছেলেগুলোকে ঘিরে ধরে । ছেলেগুলো তো হতভম্ব হয়ে গেছে তখনই একটা গাড়ি আসলো সেই গাড়ি থেকে আমাদের হিরো রেহান আর অনি বের হলো
জন : স্যার আমরা ওদের ধরেছি এখন কি ওদের মেরে ফেলবো
রেহান : না এতো সহজে না সব কইটা কে আমাদের গুডানে নিয়ে আসো
জন : জী স্যার
লোকগুলো ছেলেগুলো নিয়ে গেলো রেহান আর অনি মেয়ে ট্যার কাছে যায়
রেহান : ধন্যবাদ আমাদের সাহায্য করার জন্য
নীলা : এটা কোনো ব্যাপার না তুই ওদের মত অমানুষ দের শাস্তি দিতে চাইছিস তোর জন্য এই টুকু করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করবো
অনি : আচ্ছা এখন চল তোকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি
নীলা : আচ্ছা ঠিক আছে কিন্ত ওই লোকগুলোকে কি করবি
রেহান : ওদের এখন জামাই আদর করা হবে যেই ভাবে ওরা অসহায় মেয়েদের সাথে করে তুই না থাকলে আজকে যে কি ভাবে ওদের ধরতে পারতাম
নীলা : ওটা কোনো ব্যাপার না আর আমি তোদের অনেক পুরনো ফ্রেন্ড এই টুকু তো করতে পারি
অনি : সরিরে তোকে ব্যাবহার করেছি তোর জন্য ওদের ধরতে পারছি নাহলে এই জঙ্গলে ওদের ধরা মুশকিল
নীলা : বাদ দে তো তোদের কি খবর সেটা বল শুনলাম রেহান নাকি বিয়ে করছে
বিয়ের কথাতে রেহান এর রিহার কথা মনে পড়ে । রেহান তাড়াতাড়ি ফোন দেয় দুইবার রিং হতেই রিহা ধরে
রেহান :হেলো
রিহা : জী
রেহান : ঠিক মত পৌঁছে গেছো ? কোনো সমস্যা হইনি তো
রিহা : হুম মাত্র আসলাম আপনি ঠিক আছেন?
রেহান : হুম আমি ঠিক আছি আর শুন
বাকি কথা বলার আগেই রিহার কল কেটে যায় । রেহান বার বারর ফোন দিচ্ছে কিন্ত ফোন বন্ধ
অনি : কিহলো ?
রেহান : রিহার সাথে কথা বলতে বলতে কেটে গেলো ফোন দিচ্ছি কিন্ত বন্ধ
অনি : নেট প্রবলেম জানিস তো গ্রাম এলাকা
রেহান : আমার ভালো লাগছে না
নীলা : বাবা বউ এর প্রতি কি দরদ
টা বউ গেছে কই ?
রেহান: আম্মুর সাথে খালা আম্মুর বাড়ি (মন খারাপ করে)
অনি : চিন্তা করিস না
রেহান কিছু না বলে গাড়িতে উঠলো অনি আর নীলা কথা না বাড়িয়ে গাড়িতে উঠলো । রেহান এর তো রিহাকে ছাড়া ভালো লাগছে না
এদিকে
রিহারা পৌঁছে রাইসা খান সাথে অনেক কথা বলে ফ্রেশ হতে যায় ।
মাইশা চৌধুরী কিছুটা রাইসা খান মতো দেখতে
সবাই ফ্রেশ হচ্ছে রিহা ফেস হয়ে ফোন নিয়ে দাড়িয়ে আছে এখানে নেট খুব স্লো
রুশ : কীরে দাড়িয়ে কি ভাবছিস ?
রিহা : আর বলিস না উনি ফোন করছিলেন কথা বলতে বলতে কেটে গেছে
রুশ : নেট প্রবলেম এখন ওসব বাদ দে চল বাইরে একটু ঘুরে আসি বাড়িটা কিন্ত খুব সুন্দর ।
রিহা : হা পুরানো জামানার
অন্তরা : আমার দাদু বানিয়েছিল এটা অনেক আগের মানুষ ত তাই কিন্ত খুব সৌখিন ছিল তাই তো সব গুছানো (দরজায় দাড়িয়ে)
রিহা : অন্তরা আপু আসো
অন্তরা : সরি তোমাদের তেমন টাইম দিতে পারিনি অনেক দিন পর তো সেই জন্য
রিহা : আরে কোনো বেপার না
অন্তরা : চলো খেতে চলো
রিহা +রুশ : হুম
৩জন খাবার টেবিলে গিয়েছে। অন্তরা আব্বু একটু শহরে গেছে অনেক দিন পর দেশে আসছে তাই সব প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে
রাইসা খান : আরে তোমরা এসে বসো তোমাদের সাথে তো তেমন কথা হইনি কেমন আছো ?
রুশ +রিহা : জী ভালো
মাইশা চৌধুরী : এ হলো রিহা আমার ছেলের বউ আর ও রুসা অনির্বাণ এর বউ ।
রাইসা : ওহ তাহলে এ আমাদের রেহান এর বউ দেখতে তো খুব সুন্দর
অন্তরা দাদী বলে
দাদী : আমি তো বলেছিলাম অন্তরার সাথে বিয়েটা দিতে
রিহা এতে অবাক হলো কারণ অন্তরা রেহান এর বোন । নিজের না হলে ও বোন তো
রাইসা: আহ্ মা ছার তো রক্তের সম্পর্কের চেয়ে কারোর কাছে অন্য সম্পর্ক বড়ো (মাইসার দিকে তাকিয়ে)
মাইশা চৌধুরী : রেহান রিহাকে খুব ভালো বাসে আর ছোটো বেলা
বলতে গিয়ে থেমে গেলো । রিহা অন্তরা আর রুস শুধু শুনছে বড়োদের মধ্যে কি বা বলবে
রুশ রিহার কানে বলে
রুশ : দেখ একদম স্টার জলসার কুটনি বুড়িদের মত একে শ্রী ময়ীর নাটকে ওই বুড়ির মত লাগছে
রিহা : চুপ যা সবাই আছে
রুশ : আছে তাতে আমার কি আমার চকোলেট ছিড়া
রিহা : তোরে ঘরে গিয়ে চকোলেট দিমুনে এখন চুপ যা
রুশ : ওকে
দাদী: তো মেয়ে কি দেখিয়ে রেহান এর মাথা খেলে ?
রিহা কিছু বলতে যাবে তার আগে রুশ বলে
রুশ : আপনার তিনি কে সেই ভাবে করছেন সেই ভাবে আর আমাদের রেহান ভাইয়ার চোখ আছে তাই সে সব বুঝতে পেরে ঠিক মানুষকে বেচে নিচ্ছে
রাইসা: আহ্ মা ওভাবে কেউ কথা বলে
দাদী : আমি বাপু বুড়ি মানুষ যা বুঝছি তাই বলছি
রিহা : দাদী একটু নিজের যত্ন নেন বয়স তো কম হলো না দিন কাল যা খারাপ কখন আল্লাহ প্রিয় হয়ে যান কে জানে
রিহার কথায় সবাই মিটমিট করে হাসছে
দাদী : রূপের সাথে তো চুপা ও আছে
রিহা : সবই আপনাদের দান
মাইশা চৌধুরী : রিহা আর কথা না বাড়িয়ে খেয়ে নে আমাদের কাল বাসায় যেতে হবে
অন্তরা : কিন্ত খালা মনি কাল কেনো তোমাদের তো থাকার কথা
মাইশা চৌধুরী : পরিবেশ তো তেমন দেখছি না রাইসা : মার কথা তুই ধরে বসে আছিস
মাইশা চৌধুরী কিছু বলতে যাওয়ার আগেই অন্তরা বলে
অন্তরা : খালা মনি তুমরা থাকবে সেটাই জানি কাল রেহান আসবে প্লিজ তোমরা থাকবে প্লিজ প্লিজ
মাইশা চৌধুরী আর কিছু না বলে রিহা আর রুশ কে নিয়ে ঘরে গেলো ।
রিহা : মামনি তুমি রাগ করো না প্লিজ আমরা ও ত কম জাইনা জানো তো
মাইশা চৌধুরী : রেহান কে এখানে আসতে বল ওকে তোর কাছে না রাখলে আমি শান্তি পাচ্ছি না
কথাটা বলে মাইশা চৌধুরী বেরিয়ে গেলো । রুশ বসে বকে গেম খেলছে আর রিহা আয়নায় দেখছে
রিহা : আচ্ছা সত্যি কি অন্তরা আপুর সাথে উনার বিয়ে ঠিক হইছিলো ?
রুশ : আমি তো কখনো শুনিনি
রিহা : অন্তরা আপু কি আমার থেকে সুন্দর
রুশ : কি আবোল তাবোল বলছিস
রিহা : কিছু না সর তো ঘুমাবো
রুশ : এখন ঘুমাতে হবে না চল একটু বাইরে ঘুরে আসি
রিহা : চিনিনা জানিনা কোথায় যাবো
রুশ : চল তো
রুশ রিহার হাত ধরে বাইরে নিয়ে যায় ওদের দেখে অন্তরা এগিয়ে আসে।
অন্তরা : কিহলো তোমরা কোথাও যাচ্ছ ?
রুশ : হুম একটু বাইরে দেখতে
অন্তরা : ওহ আচ্ছা চলো আমি নিয়ে যাচ্ছি
দুইজন খুশি মনে অন্তরার সাথে যেতে লাগলো।
এদিকে
মাইশা চৌধুরী আর রাইসা খান এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে
রাইসা : তোর সমস্যা কি আমি বুঝছি না ?
মাইশা : তোর সেই বুদ্ধি নেই যে কিছু বুঝবি
অন্তরা আম্মু : তুই কি বলতে চাস একটু বল ত
মাইশা : আমি চাই রেহান এর আমানত আমি রেহান এর কাছে ফিরিয়ে দিতে রিহাকে যদি আর কোনো রকম ভাবে অপমান করা হয় তাহলে আমি কালই চলে যাবো আমি ভাবিনি এতবছর পর ও তুই একই থাকবি
কথাটা বলে মাইশা চৌধুরী বেরিয়ে আসে ।
রিহা অন্তরা রুশ গ্রামের পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে রিহার কাছে পরিবেশ খুব ভালো লাগছে । কিন্ত সব কিছুর মাঝে রেহান কে খুব মিস করছে রিহা ফোন হাতে নিয়ে দেখে এখন একটু নেট পাচ্ছে রিহা ফোন দেয়
দুইদিন বার দেবার পর রেহান ফোন ধরে।
রিহা : হেলো
রেহান : হুম ফোন বন্ধ ছিল কেনো ?
রিহা : নেট প্রবলেম
রেহান : আচ্ছা এখন কি করছো ?
রিহা : গ্রামের পথে হাঁটছি অন্তরা আপু আর রুশ এর সাথে
রেহান : সব সময় রুশ এর সাথে থেকো অন্য কোথাও যাবে না বুঝছো
রিহা : আপনি আসবেন কবে তাড়াতাড়ি আসুন না
রেহান : হুম আসবো কাজ শেষ হলেই আসবো রিহা : সেটা কবে শেষ হবে ?
রেহান কিছু বলার আগেই রেহান এর পাশ থেকে চিৎকার আসে ।
রিহা : কি হলো আপনার ঠিক আছেন ত
কথাটা শেষ করার আগেই কল কেটে যায়
চলবে
(সরি আজ এত ছোট করে দেবার জন্য আমার হাতে খুব ব্যাথা কিছুটা ফুলে গেছে কনুই এর উপরে ব্যাথার জন্য জ্বর আসছে আবোল তাবোল লিখে দিচ্ছি কাল ভালো করে লিখে দেবো কেউ কিছু মনে করবেন না )