গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_২৬
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
রিহা নিজেকে ঠিক করে উঠে দাড়ায়। অন্তরার দাদী বেশি ভালো দেখতে পায় না বলে এই বার ওরা বেচে গেলো । রেহান অন্তরার দাদীর কাছে যায়
রেহান : কেমন আছো আমার বিউটি কুইন
দাদী : রাখ তোর কুইন এসে তো আমার সাথে একবার ও দেখা করলি না বুঝি বুঝি এখন তো আমায় আর ভালো লাগবে না তাই না নতুন ছুরি আসছে তো
রিহা : বুড়ির ঢং দেখলে গা জ্বলে (মনে মনে)
রেহান : কি যে বলো তোমাকে কখনো ভুলতে পারি তুমি তো আমার কুইন
দাদী : থাক জানি কত বার ডাকতে পাঠিয়েছি নিশ্চয় তুমি আসতে দিতে চাওনি তাই না (রিহার দিকে তাকিয়ে)
রিহা : মন চাচ্ছে গরম তেলে চুবিয়ে আনি আমি ডেকে দিলাম আর আমায় দোষ দেয় আমার কি স্টার জলসার নাইকা মনে হয় যে চুপ করে থাকবো (মনে মনে) কেনো আসতে দিতে চাবো না আমার স্বামী কি পালিয়ে যাচ্ছে সে তো আমার থাকছে ক্লান্ত ছিল তো তার উপর এতো ড্রামা তাই না উঠে ঘুমিয়ে ছিল (মেকি হাসি দিয়ে)
দাদী তো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে
দাদী : দেখছিস তোর বউ এখন থেকে আমার স্বামী বলছে আর কি কথা বাবা গো এর থেকে আমাদের অন্তরা ভালো তোর কি চোখ ছিল না
রেহান তো অবাক আজকে প্রথম রিহা স্বামী বললো। রিহা আবার বলে
রিহা : অন্তরা আপু তার মতো আমি আমার মত । আমার সাথে অন্য কাউকে তুলনা করা আমি পছন্দ করিনা আর আল্লাহ যদি সবাই কে এক বানাবে তাহলে এক জন বানাতো সবাই যার যার পার্সোনালিটি নিয়ে চলে
দাদী : দেখ তোর বউ এর কথা (রেহান কে ধককা দিয়ে)
রেহান এর হুস ফিরলো। নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে
রেহান : ওর এই সব কিছুর জন্য ওকে আমি এতো ভালোবাসি
রিহা মুচকি হাসি দেয়।
দাদী : খাটি জিনিস চিনতে মানুষ এর টাইম লাগে তোর যেনো সেই টাইম অনেক দেরি করে না আসে
রেহান : উফফ দাদু তুমি এসব বাদ দাও তো যার দুনিয়াতে আসার আগে থেকে তাকে চিনি যার ছেলে বেলা সব আমায় ঘিরে তাকে কি নতুন করে চেনা লাগে এখন তুমি চলো এক সাথে গল্প করবো
দাদী : হুম চল
রেহান একটু এগিয়ে গিয়ে রিহাকে ইশারা করে নিচে আসতে। রিহা মুচকি হেসে নিচে যায়
নিচে সবাই বসে আছে রেহান এর ডান পাশে দাদী আর বাম পাশে অন্তরা অন্য পাশে রাইসা খান । রুসা আর অনি আর মাইশা চৌধুরী এক সাথে বসে আছে। রিহা গিয়ে মাইশা চৌধুরির কাছে বসে।
মাইশা চৌধুরী : রিহা বস আমি নাস্তা নিয়ে আসছি
রিহা : ওকে
মাইশা চৌধুরী যেতেই
রিহা : কি ব্যাপার হাত ধরে খুব তো চলছে হুম
রিহার কথা শুনে রুশ হাত ছড়ানোর চেষ্টা করে কিন্ত অনি ছারে না
রিহা : থাক বীথা চেষ্টা করে লাভ নেই
অনি : আরে ভাবি
রিহা : জী ভাইয়া আমি কিছু বলছি না চালিয়ে যান
এর মাঝে মাইশা চৌধুরী কফি আর পকোড়া নিয়ে আসে।
রিহা : মামনি আমি একটু ছাদে যাবো এখানে বোরিং লাগছে
রুশ : আমি আসছি
রিহা : না আমি একটু একা থাকতে চাই
মাইশা চৌধুরী : আচ্ছা নাস্তা নিয়ে যা
রিহা কফির মগ আর পকোড়া নিয়ে উপরে যায়। ছাদে হেটে হেটে গান শুনছে আর কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে ।
ছাদে বিকেল বেলায় একা একা গান শুনা just wow সাথে যদি কফি থাকে পুরাই জমে যায় । গল্পের বই হলে আরো ভালো হয় ।
রিহার মন কেনো যেনো ভালো না । সেটা রিহা নিজে ও জানে না । ছাদে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত হেটে হেঁটে গান শুনছে । হটাৎ পাশের ছাদে চোখ যায় । একটা ছেলে রিহার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । রিহার অসস্তি হচ্ছে । রিহা পাত্তা না দিয়ে নিজের মত চলছে হটাৎ ছেলেটা ডাক দেয়
ছেলেটা : হাই আমি রাইহান আর তুমি?
রিহা : ……
ছেলেটা : কিহলো ?
……
ছেলেটা : ওহ বুঝছি তুমি কথা বলতে পারো না ওহ সো সেড
রিহা : জী না আমি কথা বলতে পারি কিন্ত আপনাকে কেনো বলবো
রাইহান : কেনো বলতে সমস্যা কি আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি না
রিহা আর কিছু না বলে নিচে যায় ।
ছেলেটা ওখানেই দাড়িয়ে মুচকি হেসে বলে
রাইহান : বাহ মুখের সাথে তো কথার মিল নেই দেখে কত কিউট আর কথা নিমের থেকে তেত
(তুই কি কথা খাইছিস জী বুঝলি তেতো নাকি মিষ্টি আজব মানুষ সব । বেশি করলে নিমের জুস খাইয়ে দেবো পেটের সাথে মাথা ও পরিষ্কার হয়ে যাবে)
রিহা নিচে এসে দেখে এখন ও ওদের কথা হচ্ছে তবে অন্তরার দাদী এখন আর নেই মনে হয় ঘরে গেছে । রিহার দাড়িয়ে আছে দেখে মাইশা চৌধুরী বসতে বলে । রিহা রেহান এর পাশে বসে ফোন টিপতে থাকে। রেহান আর অন্তরা তো গল্প করেই যাচ্ছে
কথার ফাঁকে রেহান রিহার হাত ধরে রাখে রিহা রেহান এর দিকে তাকাতেই রেহান চোখ মারে রিহা তো রাগে ফোঁসফোঁস করছে
রিহা : লুচ্চা বিডা কেমনে বউ এর সামনে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলছে এসব লোক দের ধরে পানিতে ডুবাতে হবে আবার আমার হাত ধরে রাখছে মনে হচ্ছে হাত ভেঙ্গে দিবে কি শক্ত রে বাবা (মনে মনে)
রিহা মুচড়া মুচরি করে লাভ না পেয়ে রেহান এর কানে কানে বলে
রিহা : হাত কি ছাড়বেন নাকি কামোর দেবো হুম (ফিসফিসিয়ে)
রেহান কোনো পাত্তা দেয় না ।
রেহান : অন্তরা আমার জন্য একটু কফি আনতে পারবে
অন্তরা : এভাবে বলার কি আছে আনছি
অন্তর উঠে যেতেই রেহান রিহার দিকে ফিরে
রেহান : এবার বলো কি বলছিলে ?
রিহা : আমার হাত ধরে রাখছেন কেনো ছাড়ুন
রেহান : আমার বউ এর হাত আমি ধরেছি তোমার কি?
রিহা : বউ বউ তো করছেন বউ হলে কি আমার সাথে কথা না বলে অন্য কারোর সাথে বলতে পারতেন
রেহান : ওহ মেডাম এর জেলাস হচ্ছে
রিহা : হা হচ্ছে তো
রেহান: তো (কথাটা বলে রেহান রিহার গালে চুমু খায়)
রিহা স্তব্ধ ।
রিহা : এটা কি করলেন হা
রেহান : কেনো যানো না বউ কে ভালোবাসলাম চাইলে তুমি ও বাসতে পারো (গাল এগিয়ে দিয়ে)
রিহা রেহান এর গালে চিমটি কেটে বলে
রিহা : আমার দরকার নেই
রেহান : ভালো তো বাসতে হবেই আমি কি ভাবছি যানো এবার বেবি প্ল্যানিং করে ফেলবো
রিহা : চুপ করেন কি সব বলছেন লজ্জা সরম সব কি শেষ
রেহান : বউ এর কাছে কিসের লজ্জা চিন্তা করো না তোমার লজ্জা ও ভাঙ্গিয়ে ছাড়বো
রিহার তো এবার মাটি ফাঁক করে ঢুকে যেতে ইচ্ছা করছে । এখন আর রিহার আগের মত রেহান এর কথায় খারাপ লাগে না বরং ভালো লাগে।
ওদের কথার মাঝে অন্তরা আসে
অন্তরা : এই নাও তোমার কফি
রেহান : আমি তো ব্ল্যাক কফি খাই
অন্তরা : অপস সরি ভুলে গেছি আজ না হয় আমার জন্য খাও
রিহা : এখন আর কফি খেতে হবে না একটু পর খাওয়ার জন্য ডাকবে রাত তো কম হলো না যান মুখে পানি দিয়ে আসেন
রেহান : হুম
রেহান উঠে ঘরে যায় রিহা রুশা দের ঘরে যায়
রুশ : কি রে তুই এখন ?
রিহা : হুম একটা কথা ছিল
রুশ : হা বল
রিহা ,: আমার কেনো যেনো অন্তরা আপুদের পরিবার কে ঠিক লাগছে না
রুশ : তুই কি সন্দেহ করছিস ?
রিহা : না আসলে
অনি : ওরা ছোটো বেলা থেকে বড়ো হইছে সেই জন্য ওমন
অনি ওয়াশোরুম থেকে আসার সময় ওদের কথা শুনে ফেলে
রিহা : না মানে
অনি : আমি বুঝছি সন্দেহ করা সাভাবিক কিন্ত ওদের মধ্যে কিছু নেই
রুশ : ও ঠিক বলছে তুই মনে হয় অন্তরা আপুর দাদুর কথায় এসব ভাবছিস তাই না বাদ দে তো আগের মানুষ তো তাই এমন
রিহা ও ভাবে সত্যি সে বেশি বেশি ভাবছে এসব কিছু সব ওর মনের ভুল
রিহা এসব ভাবতে ভাবতে নিজের ঘরে দিকে যাচ্ছিলো তখনই কারোর সাথে ধাক্কা খায় রিহা পরে যায় সামনে তাকিয়ে দেখে
রিহা : আপনি দেখে চলতে পারেন না চোখ কই থাকে(রেগে)
চলবে
(জানি গল্পটা কেমন হয়ে যাচ্ছে আসলে আমি নিজে ও গুছিয়ে লিখতে পারছি না। গল্প লিখতে গেলে মাথা ঠান্ডা করে লিখতে হয় কিন্ত আমার মাথায় অনেক চাপ এই কইদিন ফ্রমফ্ল্যাপ করার জন্য অনেক চাপে ছিলাম কোচিং তো আছেই । আমি আগেই বলছি নিয়মিত গল্প দেওয়া সম্ভব না তাও দিচ্ছি কিন্ত গুছিয়ে লিখতে পারছি না মাথায় চাপ থাকলে গল্প লিখা যায় না আগামী তে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ কাল থেকে ভালো হবে)