গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_২৮

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_২৮
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

রেহান : এখন তুমি রেস্ট করো আমি খাবার আনছি কেমন (রিহার গালে হাত দিয়ে )
রিহা : আচ্ছা

রেহান বের হতে গেলে রুশ আসে
রেহান : ওর কাছে বসো আমি আসছি
রুশ : জী

রেহান চলে যেতেই রুশ রিহার পাশে বসে

রুশ : এখন কেমন লাগছে রে?
রিহা : ঠিক আছি তোকে একটা কথা বলার ছিল
রুশ : আমি ও তোকে বলতে চাইছি
রিহা : ওকে তুই বল
রুশ : তুই বল
রিহা : ওকে আমি সেই সময় পা পিছলে পড়ে যাইনি আমাকে ধাক্কা মারছিল
রুশ : কে সেটা কি জানিস ?
রিহা : হুম অন্তরা আপু আমি যখন পিক তুলছিলাম তখন ক্যামেরায় আমি অন্তরা আপুকে দেখছি আমি পিছন ফিরে তাকানোর আগেই ধাক্কা মারে
রুশ : আমার ও সন্দেহ হচ্ছিল আর যখন আমি তোকে দেখি তুই ডুবে যাচ্ছিস তখন অন্তরা হাসছিল
রিহা : কিন্ত অন্তরা আপু এমন কেনো করবে আগে কখনো তো আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করে নি আমাকে নিজের বোন এর মত দেখতে
রুশ : আরে জানিস না ছিনেমায় তো হয় দেখিস না হিরোর জন্য লড়াই
রিহা : চুপ থাক আমার তো টা মনে হয় না
রুশ : তাহলে দেখতে হবে কি কারণ তোকে ও বলছি রেহান ভাইয়া কে ওতো সহজে হারাতে দিস না বুঝলি রেহান ভাইয়ার মত মানুষ হয় না আজ কাছে আছে বলে দাম দিচ্ছিস না কিন্ত যেদিন থাকবে না
রিহা : হইছে অনেক বড়ো দের মত কথা শিখেছিস এখন চুপ যা
রুশ : ভালো কথা বললে গায়ে লাগে না

রেহান : কিসের কথা গায়ে লাগে না হুম ?

রিহা আর রুশ তাকিয়ে দেখে রেহান দরজায় খাবার হাতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে

রুশ : আরে ভাইয়া তেমন কিছু না আমার বোন কে বলছি সাবধানে থাকতে
রেহান : তাই বুঝি
রিহা : তাই নই তো কি আমরা কি মিথ্যে বলি
রেহান : আমি কখন বললাম ?
রিহা : হইছে অনেক বলছেন এখন খেতে দিন খুদা লাগছে
রুশ : আচ্ছা তুই খা আমি পরে আসবো
রেহান : কেনো বসো নাকি আমার বন্ধু কে একা রাখতে ইচ্ছা করছে না
রুশ : আপনি ও না

রুশ হাসতে হাসতে বেরিয়ে যায়

রিহা : অনেক হইছে এখন খাইয়ে দিন
রেহান : কেনো পানি খেয়ে পেট ভরে নি
রিহা: 😒
রেহান : দিচ্ছি

রেহান রিহাকে খাইয়ে দিচ্ছে তখন অন্তরা আসে

অন্তরা : রিহা এখন কেমন লাগছে ?
রিহা : মিরিনি এখন ও (দাতে দাত চেপে)
রেহান : রিহা কি ধরনের কথা
অন্তরা : আরে বাদ দাও বাচ্চা মানুষ
রিহা : হুম আপু হটাৎ আসলে যে
অন্তরা : তোমাকে দেখতে যা ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে না কি বলবো
রিহা : শুধুই কি আমাকে দেখতে (আড় চোখে)
অন্তরা : না মানে
রিহা : আসল কথা বলে ফেলুন কেনো করছেন ?
অন্তরা : কি ?(অবাক হয়ে)
রিহা : আরে আসছেন কিসের জন্য তাই বলছি এতো কষ্ট করার দরকার আছে আমাকে ডাকলেই আসতাম
অন্তরা : না মানে রেহান আমরা ছাদে আড্ডা দিচ্ছি তুমি কি আসবে

রেহান বলার আগেই বলে
রিহা : হা আপু আমরা আসছি
অন্তরা : আরে তুমি তো অসুস্থ তোমাকে
রিহা : আমার তেমন কিছু হইনি ঠিক আছি
রেহান : অন্তরা তুমি যাও আমি আসছি
অন্তরা : আচ্ছা

অন্তরা দরজার কাছে গিয়ে রেহান দের দিকে তাকালো রেহান রিহার মুখে খারাব ধরে রিহা মুখে না ধরে রেহান কে জড়িয়ে ধরে। অন্তরা কিছু না বলে চলে যায়।

রিহা একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে যখন বুঝতে পারে ও কি করছে তখন রেহান কে ছেরে মাথা নিচু করে বসে থাকে । রেহান তো অবাক

রেহান : আমি কি ঘুমিয়ে আছি ?
রিহা : কেনো বলুন তো
রেহান : না তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরলে এটা কি আমি স্বপ্ন দেখছি
রিহা : কেনো ধরতে পারি না। নাকি অন্য কারোর ধরার কথা হুম কোথাও কি আফেয়ার করছেন নাকি সত্যি বলবেন
রেহান : করলে ও কি তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না তাহলে আমি যার সাথে করি

কথা টা শেষ করার আগেই রিহা রেহান এর কলার ধরে বলে

রিহা : এক গুসি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেবো বুঝছেন আমার ক্যারাটে কি ভুলে গেছেন
রেহান : বাপরে স্বামী কে মারলে কিন্ত আল্লাহ পাপ দেবে
রিহা : আল্লাহ ও বুঝবে এখন চলুন ছাদে গিয়ে দেখি কি নাটক দেখায়
রেহান: নাটক ?
রিহা : ওটা আপনি বুঝবেন না
রেহান : ওকে তুমি বুঝলে হচ্ছে

রেহান রিহাকে নিয়ে উপরে যায় । সবাই মিলে ট্রুথ আর dare খেলছে

সবার পালা শেষ অন্তরার পালা আসলে অন্তরা ট্রুথ নেয়। রিহা বলে

রিহা : আচ্ছা আপু আপনি এমন কিছু কি লুকিয়েছে যা কেউ জানে না আর সেটা কি?

রিহার কথায় অন্তরা কিছুক্ষণ রিহার দিকে তাকিয়ে বলে

অন্তরা : না আমি এমন কিছু লুকাইনি
রিহা : সত্যি তো?
অন্তরা : এখানে মিথ্যে বলার কি আছে
রুশ : সেটা আপনার মন আর আপনি জানেন
আনিকা : হইছে এবার দেখি কার পালা আসে

খেলার পর এবার রেহান এর পালা আসে
রেহান : আমি কি নেবো?
রুশ : আমি বলছি আপনি dare নেবেন
রেহান : খাইছে রেহান তুই তো শেষ (বির বির করে)
রিহা : ওতো কথা না বলে যান

রেহান এর পাশে রিহা ছিল তাই রেহান এর কথা কেউ না শুনলে রিহা শুনে ।রেহান একটা নিশ্বাস ছেড়ে বললো

রেহান : কি করতে হবে ?
রুশ : বেশি কিছু না just আপনার বউ কে প্রোপজ করতে হবে হিরো স্টাইল এ আর একটা কিস করতে হবে

রুশ এর কথায় রেহান আর রিহা একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে ।

অন্তরা : এটা কি ধরনের dare
রুশ: ভাইয়ার যদি প্রবলেম না হয় তাহলে আপনি কেনো বলছেন
অন্তরা : আমি

অন্তরা কে বলতে না দিয়ে রেহান বলে

রেহান : আচ্ছা ঠিক আছে

রেহান উঠে ছাদ থেকে একটা ফুল ছিড়ে রিহার সামনে দাঁড়ায় । রিহা যে উঠিয়ে বলে

রেহান : তোমাতে পরিপূর্ণ আমি,তোমাতে সীমাবদ্ধ ,
মাছ যেমন পানি ছাড়া ছটপট করে তেমনি তুমি হিন আমি অসমাপ্ত ,বাঁচতে ঠিকই পারবো তবে সেটা জীবন্ত লাশ হয়ে , অনেক অপেক্ষা করেছি আর পারছি না ক্লান্ত খুব আমার এই মন তোমার তোমার ভালোবাসার জন্য ছটপট করছে দেবে কি সুজক ধরবে কি হাত বাঁধবে কি তোমার মায়ার বাঁধনে । একটা বার শুধু হাত টা ধরে দেখো আমার সব ভালোবাসা তোমায় উজাড় করে দেবো একটা বার বিশ্বাস করে দেখো ঠকতে দেবো না

রেহান ছলছল চোখে রিহার দিকে তাকিয়ে আছে রিহা চুপ করে দাড়িয়ে আছে । রেহান মাথা নামিয়ে নেয় ভাবছে রিহা হইতো ফিরিয়ে দেবে কিন্ত রিহা অবাক করে রেহান এর হাত থেকে ফুল নেয়। এটা দেখে রেহান খুশি হয়ে উঠে দাড়ায়

পাস থেকে রুশ বলে
রুশ : ভাইয়া কিস

রেহান রিহার দিকে তাকিয়ে আছে হইতো রিহার চোখ পড়তে পারছে । রেহান রিহার কপালে আলতো করে একটা ভালোবাসার ছোয়া দেয়

রেহান : এখন অল্পে ছেরে দিলাম যেদিন আমার ভালোবাসার কাছে তুমি হারবে সেদিন আমার সব ভালোবাসা দেবো (রিহার কানে ফিসফিস করে)

রুশ ছিটি বাজায়। অন্তরার সব ফ্রেন্ডরা হাত তালি দেয়।

রাতে সবাই খাবার টেবিলে বসে খাচ্ছে । রিহা আর রেহান পাশাপাশি রেহান রিহাকে মাছ বেচে দিচ্ছে।

রিহা আড়চোখে বার বার অন্তরা কে দেখছে ।অন্তরা ও রিহাকে দেখছে

দুইজনের মধ্যে চোখে চোখে কথা হচ্ছে কিন্ত একজনের দৃষ্টি যে ওদের দিকে সেটা ওরা কেউ খেঁয়াল করেনি । তিনজন নিজেদের মতো করে ভাবছে

খেলা তো সবে শুরু হইছে দেকা যাক এই খেলায় কে বাজিমাত করে। লাস্ট মোমেন্ট এ ও খেলা ঘুরে যেতে পারে। সব নির্ভর করছে খেলোয়াড়ের উপর।

খাওয়া দাওয়া শেষে যে যার রুমে চলে যায়।

চলবে

(রেগুলার গল্প দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না রোজা থেকে খুব কষ্ট হয় লিখতে। অনেকে বলবেন আরো লেখিকা গল্প দেয় কেমনে তাদের বেশির ভাগ রোজা থাকে না সেইজন্য আর এটা ইবাদতের মাস স্টোরি পরে পড়া যাবে কিন্ত এই সময় আর আসবে না আশা করি বুঝছেন

হ্যাপী রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here