গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৭
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
রেহান ব্লু শার্ট ব্ল্যাক জিন্স হাতে ঘড়ি চুল গুলো সেট করা রিহা তো ফিদা
রিহা : ক্রাশ খাইলাম (আনমনে)
রেহান : কি বললে
রিহার ঘোর কাটল। চুল মুছতে মুছতে বললো
রিহা : না কিছু না সরেন আমাকে দেখতে দেন ওতো সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছেন এমন ভাবে পাট নিচ্ছেন মনে হচ্ছে মেয়ে দেখতে যাচ্ছেন
রেহান : যাচ্ছি তো (দুষ্টুমি করে)
রিহা : কি
রেহান : হা কেনো তোমার কোনো সমস্যা ?
রিহা : যেখানে যান আমার কেনো সমস্যা হবে আপনার মত গ্যাংস্টার
আর কিছু বলতে রেহান রিহার হাত ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে। রিহা চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে । রেহান রিহার চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে বলে
রেহান : এতো কথা কেনো বলো মুখ ব্যাথা হয়না সারাদিন বক বক করো কেনো ?
রিহা : আমি যখন বকবক করি তাহলে যে চুপচাপ তাকে নিয়ে আসেন আমায় ডি
রেহান : যেই পযন্ত বলেছ ওই পযন্ত থেমে যাও আর কিছু বলতে হবে না একটু কি আমাকে বুঝা যায়না আমার চোখের দিকে তাকাও সেখানে কি তোমার জন্য কিছু দেখতে পাও না নাকি দেখে ও দেখতে চাও না কোনটা ? কেউ নিজে থেকে খারাপ হতে চায় না বুঝছো সময় মানুষকে অনেক পরিবর্তন করে দেয় আর আমি যা করি শুধু নিজের ভালোবাসার জন্য । আর আমি আমার ভালোবাসার জন্য সব করতে পারি সব
রিহা এতক্ষণ রেহান এর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিল । রেহান রিহার মুখ ধরে রিহার কপালের সাথে কপাল লাগিয়ে দাড়িয়ে থাকে কারোর মুখে কোনো কথা নেই একে অপরের নিশ্বাস আছরে পড়ছে । অনেকক্ষণ পর রিহা বলে
রিহা : এসব কি ছাড়া যায়না ?
রেহান মুচকি হেসে রিহার কপালে ভালোবাসা দিয়ে বলে
রেহান : আমি যদি এসব ছেরে দি তাহলে তুমি কি একা বাসায় ফিরতে পারবে
রিহা : এসব কেনো করেন কি লাভ ?
রেহান : বললাম না আমার সব কিছু আমার ভালোবাসার জন্য
সব কথা রিহার মাথার উপর দিয়ে গেলো তাই আর কথা বাড়ালো না
রিহা : আমার খুদা লাগছে রান্না কি করতে হবে ?
রেহান : না আমি খাবার এনে রাখছি
রিহা আর কিছু না বলে চুল ঠিক করতে লাগলো।
রেহান : আমার সব কিছু যে তোমার জন্য সেটা যেদিন বুঝবে সেদিন এই প্রশ্ন করবে না তুমি ত সব জেনে ও কিছু যানো না (মনেমনে)
রিহা : কিহলো কি ভাবছেন চলুন আজ তো আবার ভার্সিটিতে যেতে হবে
রেহান : হাম
রেহান আর রিহা খাওয়া শেষ করে বের হয়। রিহা গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে আর রেহান ড্রাইভিং সিটে বসে আছে
রেহান : কিহলো বসো ?
রিহা : আমি আপনার সাথে যাবো নাকি ?
রেহান : হা তাই কি হইছে ?
রিহা : লোক দেখলে কি বলবে আমি যাবো না
রেহান : মানে কি লোক দেখলে কি বলবে আমি তোমার স্বামী
রিহা : সেটাই তো দুঃখের বিষয়
রেহান : রিহা আমার কিন্ত মাথা গরম হচ্ছে
রিহা : তো আমি কি পানি দেবো
রেহান : উফফ আল্লাহ একে তো
রিহা তুমি যদি এখন গাড়িতে না উঠ আমার যদি আসতে হয় তাহলে কপালে অনেক দুঃখ আছে
রিহা : সে তো এমনিতেই আছে আপনার সাথে গেলে
রেহান : কেনো তোমার কি বোয়ফ্রেন্ড আছে যে দেখলে প্রবলেম (দাতে দাত চেপে)
রিহা : আমার বয়ফ্রেন্ড কই থেকে আসবো আমি তো বলছি সবাই কি ভাববে
রেহান জোরে জোরে নিশ্বাস নিয়ে রাগ টাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে । আর রিহা তাড়াতাড়ি গাড়িতে বসে
রেহান : দেখো রিহা আমার গ্যাংস্টার হওয়ার কথা তুমি ছাড়া কেউ জানে না সো don’t worry just relax আর আমি এমন খারাপ কাজ করি না যে তোমার মানসম্মান যাবে
রিহা : জানা আছে (ভেংচি কেটে)
রেহান: তোমার বকবক কিছুক্ষণ বন্ধ রাখলে আমার যেতে সুবিধা হয়
রিহা মুখ ভেংচি়ে কাটে। রেহান মুচকি হেসে গাড়ি স্টার্ট দেয় রিহা জানলার দিকে তাকিয়ে আছে । রেহান একটু পর পর রিহার দিকে তাকাচ্ছে । হটাৎ রেহান রিহা হাত ধরে রিহা চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছ রেহান গাড়ি চালাচ্ছে
রিহা : এটা কি হলো ?
রেহান : কি হলো (না বুঝার ভান করে)
রিহা : হাত ধরলেন কেনো ?
রেহান : কার হাত?
রিহা : দেখুন একদম নাটক করবেন না আমার হাত ধরলেন কেনো ছাড়ুন
রেহান : আমি আমার বউ এর হাত ধরেছি তাতে তোমার কি (ভাব দেখিয়ে)
রিহা : বউ বউ করবেন না একদম
রেহান : তো কি বলবো জানু
রিহা : এই একদম উল্টা পাল্টা নামে ডাকবেন না
রেহান : আমার বউ আমি যা খুশি ডাকবো তুমি বলার কে কবুল পড়ে বিয়ে করেছি এতো তাড়াতাড়ি মিথ্যে হয়ে যাবে
রিহা : ঢং
রিহার আবার জানলার দিকে নজর দেয় রেহান রিহার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গাড়ি চালাতে থাকে ।
কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা চলে আসে রিহা গাড়ি থেকে নেমে চলে আসতে গেলে রেহান পিছন ডাকে
রেহান: দাড়াও আমি কি যেতে বলছি
রিহা : আপনি বলবেন আর আমাকে শুনতে হবে এমন কোনো কথা নেই
রেহান : তুমি না
রেহান গাড়ি থেকে নেমে রিহার হাত ধরে
রিহা : কি হলো হাত ধরলেন কেনো ?
রেহান : আমিও যাবো
রিহা : কেনো ?
রেহান : তোমার প্রিন্সিপাল এর সাথে দেখা করতে
রিহা : কিসের জন্য ?
রেহান : দরকার আছে
রিহা আর কিছু বলল না রেহান রিহার হাত ধরে ভিতরে গেলো । রিহা আর রেহান কে দেখে সবার চোখ কপালে । এখন প্রায় ক্লাস টাইম তাই বেশি মানুষ নেই কিন্ত যারা আছে তাদের চোখ বের হয়ে আসার মত কারণ রেহান ঢাকার নাম করা বিজনেসমান আর সব মেয়েদের ক্রাশ বললেও চলে
রেহান রিহাকে দাড়াতে বলে প্রিন্সিপাল এর রুমে যায়। রিহা দাড়িয়ে আছে তখনই ওর ফ্রেন্ডরা আসে
রুমা : কীরে বিয়ে করে চলে আসলি দুলাভাই কে দেখলাম কোথায় গেলো
রুহি : তুই এটা ঠিক করলি আমার ক্রাশ
রুশ : এই চুপ থাক তো ওতো বেশি কথা বলিস কেনো ?
রিহা : এই তোরা থাম তো ভালো লাগছে না চুপ কর
রুমা : কেনো জিজু কিছু দেছে নাকি
রিহা : কি দেবে
রুশ: এই চুপ তুই বল ভাইয়া কোথায়
রিহা : আমি কি করে জানবো
ওদের কথার মাঝে রেহান আসলো
সবাই : হাই দুলাভাই
রেহান : হেলো কেমন আছো সবাই?
সবাই : জী ভালো আপনি ?
রেহান : তোমার ফ্রেন্ড যেমন রাখছে (রিহার দিকে তাকিয়ে)
হ্যা রিহা তোমার স্যার এর সাথে আমার কথা শেষ ক্লাস শেষে আমার কল করবে আমি নিতে আসবো আর নাহলে গাড়ি পাঠিয়ে দেবো এদিক সেদিক কোথাও যাবে না কেমন
রিহা রেহান এর কাছে গিয়ে কানে কানে বলে
রিহা : আপনাকে ওতো অধিকার দেখাতে হবে না বুঝছেন
রেহান : আমার অধিকার আছে ফাউ কষ্ট করে দেখাতে হবে না
কথাটা বলে রেহান টুপ করে রিহার গালে চুমু খায় রিহা রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ বুঝতে পারছে কি না রেহান এর দিকে তাকালেই রেহান চোখ মারে ।
রেহান সবার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে যায় রিহা আর ওর ফ্রেন্ডরা ক্লাস করতে যায়।
ক্লাসে রিহার মন বসছে না তাই সে রুসার কাধে মাথা দিয়ে রাখছে । রুমা আর নেহা খাচ্ছে রুহি পাশের ছেলেটার সাথে প্রেম করছে রিহা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না
রিহা : ধুর ভালো লাগে না এতো বকবক কেনো করে এরে কেউ পাস টায়া দিয়ে চুপ করা (পাঁচ টাকা)
রুশ: ওই বইয়ের দিকে তাকা
রিহা : তাকিয়ে কি হবে অনে কি আমার জামাই আছে
রুশ : বিয়ে হতে পারলো ন আর জামাই জামাই (চোখ মেরে)
রিহা : চুপ থাক
রুশ : ওকে
একটু পর
রিহা : দোস্ত
রুশ : কো
রিহা : খুদা লাগছে
রুশ : আমার ব্যাগে চিপস আছে খা
রিহা : ওকে
একটুপর
রিহা : দোস্ত স্যার কি পরাছে?
রুশ : ইংলিশ
রিহা : ওহ
একটুপর
রিহা : ওই শুন
রুশ : আবার কি হলো
রিহা : স্যার কি পড়াচ্ছে
রুশ : তোরে না কইলাম ইংলিশ
রিহা : সেটা ঠিক আছে কিন্ত কোন জায়গায়
রুশ : আমিও জানিনা হুদাই বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাক
রিহা : ওকে
একটু পর
রিহা : ওই শুন
রুশ : এবার কিন্ত কান্দা দিমু
রিহা : ভালো লাগছে না তো
রুশ : wait কর
রুশ কাকে যেনো ফোন দিল
রুশ : নে ধর
রিহা : কে ?
রুশ : কথা বল আর আমায় মুক্তি দে
রিহা কানে ধরতেই ওপাশ থেকে হেলো বলে রিহা সাথে সাথেই কেটে দেয়
রিহা : ওই তুই ওরে কেনো ফোন দিচ্ছিস ?
রুশ : কেনো তোর তো জামাই এর কথা মনে পড়ছিল
রিহা :😒
রুশ 😏
রুহি : রুমা রো তোরা কি নিয়ে কথা বলছিস ?
রুশ : কিছু না তুই খেয়ে যা
এভাবে ক্লাস শেষ করে সবাই বাইরে বসে আছে ।
রুহি : রিহা তোর তো বিয়ে হয়ে গেলো
রিহা : হা তোর ও কি করতে মন চাচ্ছে ?
রুহি : এই জন্য তোকে আমি এতো ভালোবাসি বলার আগে সব বুঝে যাস
রুমা : married বানান করতো সেটা তো পারবি না আবার আয়ছে বিয়ে করতে
রুহি : এই তুই সব সময় এমন করবি নাতো
রুমা : যা ভাগ
রুশ : এই তোরা থাম আমার খুদা লাগছে চল খেয়ে আসি
রুহি : তাহলে আজ ট্রিট রিহা দেবে
রিহা : কেনো আমি কেনো দিতে যাবো ?
রুহি : তুই বিয়ে করছিস ট্রিট দিবি না
রিহা : সেদিন যে বিয়েতে এতো কিছু খেলি তাও আবার ট্রিট চাই আমি পারবো না তোদের মত রক্ষসীদের খাওয়াতে
রুহি : কি বললি তুই
রুশ : এই তোরা থাম আজ আমি খাওয়াবো এবার চল
রুমা : তুই কি খুশিতে খাওয়াবি?
রুশ : রিহার বিয়ের খুশিতে
রিহা : হইছে চল
সবাই মিলে ফুসকার দুকানে গিয়ে ফুসকা খেতে লাগলো। রিহা সবার সাথে মজা করে খাচ্ছে তখনই ওর ফোন একটা কল আসে রিহা কল ধরে
রিহা : কিসের জন্য ফোন দিছো তুমি ? তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই তুমি আমাকে cheat করেছ আর কখনো আমাকে ফোন দিবে না আমি আমার জামাই এর সাথে খুব খুশি আছি i hate u
চলবে