#চন্দ্ররঙা_প্রেম
#পর্বঃ২৪
#আর্শিয়া_সেহের
সূর্যের তীক্ষ্ণ রশ্মি সরাসরি এসে পড়েছে রুমেলের মুখে। রুমেল ভ্রু কুঁচকে মাথা ঘুরিয়ে নিলো। সূর্যের প্রখর তাপে শরীর পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। রুমেল বিরক্তিতে চোখ মেলে তাকালো।
চোখ খুলতেই ভেসে উঠলো মেঘার মায়াবী মুখটা। ফ্লোরে বসে খাটে দুই হাত ভাঁজ করে তার উপর মাথা রেখে ঘুমুচ্ছে সে। চোখমুখ শুকিয়ে গেছে। গালি পানি শুকিয়ে হালকা দাগ হয়ে আছে।
রুমেলের চোখে মেঘার দুই হাতের ক্ষতগুলোও দৃশ্যমান হলো। কালচে হয়ে গেছে ক্ষতস্থানগুলো।
নিমিষেই রুমেলের বুকের মধ্যে ব্যাথাদের আনাগোনা শুরু হলো। ধীরে ধীরে চোখে ভেসে উঠলো গতরাতের সবকিছু। আপনাআপনিই চোখে পানি চলে এলো। স্বপ্নের রাতে দুঃস্বপ্নের মতো কিছু ঘটে যাওয়াটা সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত।
রুমেল বিছানা ছেড়ে উঠে জানালার পর্দা টেনে দিলো। ধীর পায়ে মেঘার পাশে বসে হাতের ক্ষতগুলোতে আলতো করে চুমু খেলো। ফার্স্ট এইড বক্স থেকে মলম বের করে মেঘার হাতে আর পিঠে পরম যত্নে লাগিয়ে দিলো। মেঘা ঘুমের মধ্যেই হালকা নড়েচড়ে উঠলো।
রুমেল মলম রেখে ঘড়ির দিকে তাকালো। সবে সাতটা বাজে। মেয়েটাকে এখনই ডাকা যাবে না। এভাবে ঘুমালে হাত পায়ে ব্যাথা হবে ভেবে রুমেল খুব সাবধানে মেঘাকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিলো। আস্তে করে বিছানায় শুইয়ে দিলো। মেঘাও আদুরে বাচ্চার মতো হালকা নড়েচড়ে রুমেলের বুকের মধ্যে মাথা গুঁজে শুয়ে পড়লো। রুমেল মুচকি হেঁসে মেঘার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে শুরু করলো।
একবার সুস্থ হলে এই মেয়ের শরীরে একটা টোকাও লাগতে দিবে না সে। মেয়েটা নিঃস্বার্থে ভালোবেসেছে তাকে। এই মেয়েকে জেনেবুঝে কষ্ট দিলে সৃষ্টিকর্তাও তাকে ক্ষমা করবে না।
…
সাড়ে নয়টার দিকে ঘুম ভাঙলো মেঘার। ঘুম ভেঙে নিজেকে রুমেলের বুকের মধ্যে আবিষ্কার করে কিছুটা অবাক হলো সে।
এক বালিশেই মেঘার পাশে ঘুমিয়ে পড়েছে রুমেল। মেঘার যতদূর মনে আছে সে বিছানায় ঘুমায়নি। তাহলে কি রুমেল তাকে বিছানায় এনেছে? কথাটা ভেবেই মুচকি হাসলো মেঘা। রাতের সমস্ত কষ্ট-বেদনা এক নিমিষেই হাওয়ায় উড়ে গেলো তার।
মেঘা খুব সাবধানে রুমেলের পাশ থেকে উঠে এলো। হাতে মলম লাগানো দেখে মৃদু হাসলো। মলমের উপর নিজেই একবার আলতো স্পর্শ করলো। পেছনে ফিরে রুমেলের দিকে একবার তাকিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
গোসল শেষে বেরিয়ে দেখলো রুমেল এখনো ঘুমিয়ে আছে। মেঘা চুল মুছতে মুছতে রুমেলের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। শরীরে হালকা ধাক্কা দিয়ে বললো,
-“এই উঠুন। অনেক বেলা হয়েছে উঠুন।”
রুমেল মেঘার ডাককে পাত্তা না দিয়ে পাশ ফিরে ঘুমালো আবার। মেঘা ফোঁস করে দম ফেলে তোয়ালে সাইডে রেখে দুই হাতে ধাক্কাতে শুরু করলো রুমেলকে। রুমেল মেঘার দিকে ফিরে পিটপিট করে চোখ মেললো। একনজর তাকিয়ে ঝট করে চোখ বন্ধ করে ফেললো। বিরবির করে বললো,
-“আল্লাহ বাঁচাও, আল্লাহ বাঁচাও।”
মেঘা কোমরে হাত রেখে রাগী দৃষ্টিতে চেয়ে আছে রুমেলের দিকে। রুমেল এক চোখ মেলে মেঘার দিকে তাকালো। মেঘার রাগী চেহারা দেখে হেঁসে ফেললো। মেঘার হাত ধরে টেনে নিজের বুকের মধ্যে নিয়ে এলো। কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো,
-“সকাল সকাল আমাকে পরীতে ধরতে এসেছে ভেবে ভয় পেয়েছিলাম, বউ।”
‘বউ’ শব্দটা মেঘার মস্তিষ্কে গিয়ে বিধলো। তাকে বাহুবন্ধনে জড়িয়ে রাখা মানুষটার বউ সে। আহ! কি সুখের অনুভুতি। মেঘা প্রশান্তির হাঁসি হাঁসলো। সৃষ্টিকর্তার কাছে এই মূহূর্তে খুব করে নিজের স্বামীর সুস্থতা কামনা করলো।
..
মেঘা আর রুমেলের বিয়ের চারদিন কেটে গেছে। তাদের বিয়ের পরদিনই মেহেদী-সিন্থিয়া, তিহান,শান্ত,শাফিয়া আক্তার-ইমতিয়াজ মাহমুদ চলে গিয়েছিলেন। প্রান্ত-শিরীন, শান-রুমঝুম আর মাহেরা আক্তার থেকে গিয়েছিলেন। আজ তারাও চলে যাবেন।
রুমেলের অবস্থা কিছুটা ভালো এখন। ভায়োলেন্ট হলেও হুঁশ থাকে তার। মেঘা ইনজেকশন দিতে আসলে চোখ মুখ খিচে পড়ে থাকে সে। চেষ্টা করে মেঘাকে কষ্ট না দেওয়ার। তবুও মাঝে মাঝে দু-একটা আঘাত করে ফেলে যেটা মেঘা সবার থেকে লুকিয়ে যায়। সবাই ভীষণ খুশি তাদের দু’জনকে এভাবে মানিয়ে নিতে দেখে।
প্রান্ত-শিরীনের প্রেম চোখে চোখেই সীমাবদ্ধ। গতকাল রাতে প্রান্ত শিরীনকে ছাদে ডেকেছিলো। খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছে শিরীনকে সব। শিরীন যেন ঠিকমতো পড়াশোনা করে, তার কথা চিন্তা করে পরীক্ষায় খারাপ না করে, তার চাকরি হলে শিরীনকে বিয়ে করবে সবকিছুই বলেছে। শিরীন হাঁসি মুখে সবকিছু মেনে নিয়েছে। ছাদ থেকে নামার আগে একবার প্রান্তর দিকে তাকিয়ে বলেছিলো,
-“আমি কি তোমাকে একবার জড়িয়ে ধরতে পারি, প্রান্ত ভাইয়া?”
প্রান্ত আমতাআমতা করলো। তারও ইচ্ছে করছে কিন্তু ..
প্রান্তর উত্তর না পেয়ে শিরীনও অপেক্ষা করলো না । এগিয়ে এসে আলগোছে জড়িয়ে ধরলো প্রান্তকে। প্রান্ত ধরলো না। স্বপ্নকুমারীর প্রথম স্পর্শে জমে গিয়েছিলো সে।
কিছুক্ষণ পর শিরীন নিজ থেকেই প্রান্তকে ছেড়ে দিলো। ক্ষীণ কন্ঠে বললো,
-“আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো। নিজের পড়ালেখাতেও মন দিবো। তোমাকে খুব ভালোবাসি আমি।”
শিরীন গটগট শব্দ করে চলে এলো ছাদ থেকে। প্রান্ত সেদিকে তাকিয়ে অস্পষ্ট ভাবে বললো,
-“আমিও তোমায় ভীষণ ভালোবাসি শিরীন।”
.
রুমঝুম চলে যাবে শুনে সকাল থেকেই মুখ ভার করে বসে আছে রুশান। এই কয়েকদিনে বোনের সাথে কত্তো খুনসুটি করেছে সে। আজ বোনটা চলে যাবে সুদূর চট্টগ্রাম। ভেবেই রুশানের খারাপ লাগছে।
মেঘা ব্রেকফাস্ট তৈরি করে ডাইনিং টেবিলে রাখতে এসে চোখ পড়লো রুশানের দিকে। এগিয়ে এসে রুশানের পাশে বসলো মেঘা। আদুরে গলায় বললো,
-“আমার ছোট্ট ভাইটার কি মন খারাপ?”
রুশান আনমনেই বললো,
-“হু।”
-“কেন মন খারাপ?”
-“আজ আপু চলে যাবে ভাবি। ও চলে গেলে আমি একা হয়ে যাবো।”
-“হ্যাঁ তোমার তো ওই একটাই আপু। আমি তো তোমার কেউ না। আপু চলে গেলে তোমার কি আর কেউ থাকবে? তুমি তো একা হবাই।”
মেঘা কথাগুলো বলতে বলতে ডাইনিং টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলো।
রুশান মেঘার পিছু পিছু দৌড়ে এলো। প্যানপ্যান করে বললো,
-“ভাবি রাগ করতেছো কেন? ও ভাবি । রাগ করে না ভাবি । তুমিও আমার আপু তো। আমি তো এমনিতেই বলেছি।”
মেঘা আড়চোখে তাকিয়ে বললো,
-“আমি কারো আপু নই। যাও তুমি।”
-“ভাবি সরিইই। সরি তো। আর বলবো না। রাগ করো না প্লিজ প্লিজ।”
-“কি রে, মেঘা আবার তোর উপর রাগ করলো ক্যান রুশান?”
রুমঝুম সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে বললো।
রুশান উত্তর দেওয়ার আগেই মেঘা বললো,
-“ওর একমাত্র আপু চলে যাবে। ও একা হয়ে যাবে। বেচারা দুঃখ বিলাস শুরু করেছে এখন থেকেই।”
রুশান মাথা নিচু করে শুনছে শুধু। সে বেশ বুঝতে পারছে মেঘা তার কথায় রাগ করেছে।
রুমঝুম রুশানের পাশে এসে দাঁড়ালো। রুশানের মাথায় গাট্টা মেরে বললো,
-“তুই আমার জন্য দুঃখ বিলাসও করিস। হাউ ফানি।”
রুশান ভেঙচি কেটে বললো,
-“তোমার জন্য দুঃখ বিলাস করতে বয়েই গেছে আমার। ভাগো তুমি।”
রুশানের কথার ধরনে রুমঝুম খিলখিল করে হেঁসে উঠলো। মেঘাও আর না হেঁসে পারলো না। রুশান মুগ্ধ চোখে দুই রমনীর হাঁসি দেখছে। প্রাণবন্ত হাঁসি জোরা দেখে তার ঠোঁটেও মৃদু হাঁসি ফুটলো।
…
বেলা এগারোটা নাগাদ শান সহ বাকিরা রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন। রুমেল আরো কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর মেঘা তাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে।
মাহেরা খাতুন মেঘাকে জড়িয়ে ধরে বেশ কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করলেন। সংসার জীবন সম্পর্কে বিভিন্ন উপদেশ দিলেন। মেঘাও লক্ষী মেয়ের মতো সবটা মাথায় ঢুকিয়ে নিলো।
রুমঝুম রুমেলকে জড়িয়ে ধরে অনেক কাঁদলো। এতো দিন পর ভাইকে পেয়েও তার কাছে থাকতে পারলো না। বিয়ের পর মেয়েদের জীবনটা বোধহয় এমনই হয়। সংসারের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে ইচ্ছেমতো আর থাকা হয় না কোথায়। রুমেলকে ছেড়ে রুশানকে জড়িয়ে ধরলো রুমঝুম। রুশানের কপালে চুমু দিয়ে বললো,
-“লক্ষী ভাই ,আমার। দুষ্টুমি করবি না। বাবার,ভাইয়ার ,মেঘার খেয়াল রাখবি। তুই আমার ব্রেভ ভাই।”
রুশান টলমলে চোখেই মুচকি হাসলো। টুপ করে তার চোখ বেঁয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।
রুমঝুম কান্না ভেজা মুখেই বাচ্চাদের মতো শব্দ করে হাসলো। রুশানের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“তুই আমার জন্য কাঁদছিস? হি হি হি..
তুই তো আমাকে সহ্য করতে পারিস না তাহলে কাঁদছিস কেন?”
রুশান শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো রুমঝুমকে। শব্দ করে কেঁদে উঠলো। বললো,
-“আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আপু। আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি তুমি।”
রুশানের কথায় রুমঝুমও হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।
শান রেজাউল সাহেবের সাথে কথা বলছিলো। দুই ভাইবোনের কান্নার শব্দে এগিয়ে এলো সেদিকে । বুঝিয়ে শুনিয়ে ঠান্ডা করলো দু’জনকে। প্রান্ত আর শিরীন সব ব্যাগপত্র গুছিয়ে গাড়িতে তুলে ফেলেছে। সবার থেকে বিদায় নিয়ে দু’জন গাড়িতে বসে পড়েছে।
রুমঝুম রুশানকে ছেড়ে মেঘার কাছে গেলো। এই মেয়েটা তার জীবনে আশির্বাদ। একে একে তাকে, তার পরিবারকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে। এমন মেয়ের দেখা সহজে পাওয়া যায় না।
মেঘা রুমঝুমের হাত ধরে কেঁদে ফেললো। সবচেয়ে বেশি একা তো সেই হয়ে যাচ্ছে। অসুস্থ স্বামী, অচেনা শহর, নতুন পরিবেশ। সবকিছু কিভাবে সামলাবে সে?
রুমঝুম মেঘার চোখের পানি মুছে দিলো। কান্না মাখা কন্ঠে বললো,
-“এই পরিবারের তিনজন পুরুষের দায়িত্ব তোকে দিয়ে গেলাম মেঘা। আমার বাবাকে দেখে রাখিস। লোকটা অনেক কষ্ট পেয়েছে কিন্তু কষ্ট গুলো প্রকাশ করার মানুষ পায়নি। আমার ছোট ভাইটাকে সামলে রাখিস। ও অনেক ভালো। সবাইকে মনপ্রাণ উজাড় করে ভালোবাসতে জানে ছেলেটা। নিজের ভাইয়ের মতো করে ওর খেয়াল রাখিস।
আর ভাইয়ার ব্যাপারে কিছু বলবো না। তাকে তুই তোর মতো করে গুছিয়ে নে।”
মেঘা কিছু বললো না। রুমঝুম গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো। শান গাড়িতে বসে পড়েছে। রুমঝুম রেজাউল সাহেবের কাছে গিয়ে বললো,
-“ভালো থেকো, বাবা। মেঘা অনেক ভালো মেয়ে। ওর দিকে খেয়াল রেখো । আর নিজেরও যত্ন নিয়ো।”
রেজাউল সাহেব চোখ মুছলেন। গাড়িতে বসা শানের দিকে একনজর তাকিয়ে বললো,
-” ওই ছেলেটাকে কখনো কষ্ট দিয়ো না,মা। তোমার জন্য অগাধ ভালোবাসা দেখেছি ওর চোখে। আমার জন্মদুঃখী মেয়েটার জন্য একবুক ভালোবাসা নিয়ে হাজির হয়েছে ছেলেটা। ওর ভালোবাসার সম্মান করো। তোমার কাছে বাবা হিসেবে এটুকুই চাই।”
রুশান পেছন থেকে এসে বললো,
-“জানো আপু,যে রাতে তুমি পালালে? সেই রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে চেয়েছিলাম ,’তোমার জীবনটা যেনো চন্দ্র রঙে রেঙে যায়। আমার চাওয়া পূরন হয়েছিলো আপু। পরের রাতেই তোমার জীবনে আগমন ঘটেছিলো চন্দ্রকুমারের। সে তার চন্দ্রকন্যাকে ভীষণ যত্নে আগলে রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমি সবসময় চাইবো চন্দ্রকুমার তার চন্দ্রকন্যাকে নিয়ে সুখময় একজীবন কাটাক।”
রুমঝুম মুচকি হেঁসে গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো। গাড়িতে উঠে বসার পর শান গাড়ির ভেতর থেকে সবার দিকে তাকিয়ে হাত নেড়ে বিদায় জানালো। রুমেল এগিয়ে এসে বললো,
-“সাবধানে যাও সবাই। পৌঁছে কল করো।”
শান হেঁসে গাড়ি স্টার্ট দিলো। গাড়ি যতক্ষণ দেখা গেলো ততক্ষণ সবাই চেয়ে রইলো সেদিকে। একসময় গাড়িটি তাদের দৃষ্টি সীমা অতিক্রম করলো। কেউ জানেনা আর কবে তাদের দেখা হবে। আদৌ দেখা হবে কি না।
মানবজীবন বড়ই অদ্ভুত। কখন কার সাথে কি ঘটে কেউ বলতে পারে না।
চলবে…..
( ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)