#চলো_ভিজি_বৃষ্টিতে
#Tanjima_Islam
১১
.
.
.
.
.
আরহামকে ডেকে এনেছে কেয়া, সবাই খেতে বসেছে।
ডিনারে খাসির বিরিয়ানি, সরষে ইলিশ, বাগদাচিংড়ী ভুনা বেগুন ভাজি আর গাজরের হালুয়া।
কেয়া সার্ভ করছে, রিয়ার প্লেটে এমন ভাবে ঢালছে যেন, পারলে পুরো বাটিটাই ঢেলে দেয়।
রিয়া বাধা দিয়ে বলল, ” আর দিয়েন না, এবার শিওর আমার পেট ফেটে যাবে!
আরশি মন খারাপ করে বলল, ” কেন!? রান্না ভালো হয়নি!?
রিয়া হেসে বলল, ” না না আপু! রান্না অনেক টেস্টি হয়েছে!! আর রান্না গুলাও সব আমার ফেভারিট, বাট আমি আসলে নিজের বাসা ছাড়া অন্য কোথাও গিয়ে খেতে পারিনা।
আরশি ভ্রু নাচিয়ে বলল,” এখন থেকে অভ্যেস করে নাও, নাহলে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কি না খেয়ে থাকবে নাকি!?
শ্বশুরবাড়ির কথা শুনে ভিষম খেলো আরহাম, রিয়াও বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে।
আরশি তাড়াতাড়ি ভাইকে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিল।
আরহাম ঢকঢক করে পানি খেয়ে উঠে বলল,” আমার খাওয়া হয়ে গেছে।
বলেই দ্রুত পায়ে উপরে চলে গেল সে, আরশি মুচকি হেসে মনেমনে বলল, ” আমার যা বোঝার তা বুঝে গেছি ভাইয়া!
রিয়াও আর খেতে পারছেনা, কোনোরকমে খেয়ে বলল,” আমারও খাওয়া হয়ে গেছে, উঠছি আপু। ওদিকে অফিসের কাজও আছে!
আরশি হাসি চেপে বলল, ” হুম হুম! অফিসের কাজ ইম্পর্ট্যান্ট, যাও সমস্যা নেই।
রিয়া সেখানে আর একমুহূর্ত দেরি না করে একরকম ছুটে উপরে চলে গেল।
আরশি কেয়ার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে বলল, ” কি বুঝলে কেয়া!?
কেয়া খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,” এতোদিনে স্যারের বিয়ে খেতে পারবো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রিয়া উপরে উঠে আরহামের রুমের দরজায় নক করল।
আরহাম ভেতর থেকে বলল,” কাম ইন।
রিয়া দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দরজা ভেজিয়ে দিল।
আরহাম সোফায় বসে ল্যাপটপে মনোযোগ দিয়ে কিছু দেখছে।
রিয়া বেডের পাশে দাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, ” অফিসের কাজ করছেন!?
আরহাম একবার রিয়ার দিকে তাকিয়ে ল্যাপটপ অফ করে উঠে দাড়ালো।
শার্টের হাতা ঠিক করতে করতে রিয়ার সামনে গিয়ে বলল,”আমি সব চেক করে নিয়েছি। চলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি।
রিয়া অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আরহামের দিকে।
আরহামকে যতবারই দেখে ততবারই ক্রাশ খায় সে! একটা মানুষ এতটা সুন্দর হয় কিভাবে!!? মনে হয় যেন আরহামের মধ্যে ইম্পার্ফেকশন নামের কিছুই নেই!!!
রিয়াকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আরহাম ভ্রু উঁচিয়ে বলল, ” কি দেখছো এভাবে!?
রিয়া সম্বিত ফিরে বলল,”না, মানে! আমি!!
আরহাম বাকা হেসে বলল, ” মেবি তুমি বাসায় যেতে চাচ্ছোনা। চাও তো এখানে থাকতে পারো!
আরহামের কথা শুনে ভ্রু কুচকে তাকালো রিয়া। আরহাম একটু থেমে আবার বলল, ” বাই দ্যা ওয়ে, আমি কিন্ত নিজের বেডে ছাড়া ঘুমাতে পারিনা। সো, থাকতে হলে আমার সাথে বেড শেয়ার
আরহামকে আর কিছু বলতে না দিয়ে রিয়া হালকা চেচিয়ে উঠল, ” স্টপ ইট!
আরহাম চুপ হয়ে গেল, কিন্ত তার মুখ থেকে শয়তানি হাসিটা যাচ্ছেনা।
রিয়া দাতে দাত চেপে বলল, ” কিসব বলছেন আপনি!??
আরহাম রিয়াকে রিল্যাক্স করার ভান করে বলল,” রিল্যাক্স রিয়া! রিল্যাক্স!! তোমার দাত ভেঙে যাবে তো!!!
রিয়া রেগেমেগে আরও কিছু বলতে গেলে আরহাম আঙুল দিয়ে রিয়ার ঠোঁট চেপে বলল, ” রেগে গেলেও তোমাকে দারুন লাগে!
আরহামের স্পর্শ পেয়ে শান্ত হয়ে গেল রিয়া, আরহাম ধীরে ধীরে রিয়ার দিকে ঝুকে আলতো করে চুমু খেল রিয়ার গালে!
অজানা শিহরণ বয়ে গেল রিয়ার ভেতর, মুহুর্তেই চোখ বুজল সে।
আরহাম তাকিয়ে দেখল, রিয়া লজ্জায় আরক্তিম হয়ে গেছে!
স্মিত হেসে রিয়ার হাত ধরে বেরিয়ে গেল রুম থেকে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রিয়ার বাসায় ঢুকে কলিংবেল বাজালো আরহাম।
মিসেস ইরা ঘড়িতে তাকিয়ে দেখল, ” রাত আটটা বাজতে তিন মিনিট বাকি!
দরজা খুলে আরহাম আর রিয়াকে পাশাপাশি দেখে মনে হল যেন সদ্যবিবাহিত দম্পতি এরা!!!
মিসেস ইরা, হেসে বলল, ” ভেতরে এসো!
রিয়া আরহামের হাত ছেড়ে দ্রুত পায়ে বাসার ভেতরে চলে গেল।
আরহাম মাথা চুলকে বলল, ” আজ না! অন্য একদিন আসবো।
মিসেস ইরা হেসে বলল, ” ঠিকাছে, মনে করে এসো কিন্ত!
আরহাম চলে যেতেই দরজা লক করে নিজের রুমে চলে গেল মিসেস ইরা।
মেয়ের হাবভাব খুব একটা সুবিধার লাগছেনা তার।
আরহামের দিকে ওর তাকানো! কথাবার্তা!! দেখে মনে হচ্ছে, রিয়া আরহামের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছে!!
কিন্ত এটা হতে দেওয়া যাবেনা, আরহাম হয়তো রিয়াকে নিয়ে এসব কিছুই ভাবেনা।
তারচেয়ে বড়কথা রিয়া এনগেজড! এখনই রিয়াকে না বোঝাতে পারলে, ফাইয়াযকে কি জবাব দেবে সে!!?
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আফসানা নিউজফিড স্ক্রল করতে করতে খেয়াল করল, সুমু কারো সাথে চ্যাট করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে!
আফসানা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল, ” সুমু তুই না খুব খারাপ হয়ে গেছিস!
সুমু ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল, ” মানে!? আমি আবার কি করলাম!?
আফসা গাল ফুলিয়ে বলল, ” তুই আর এখন আমার সাথে কিচ্ছু শেয়ার করিস না!
সুমু বোঝার চেষ্টা করছে, আফসা আসলে কি নিয়ে কথা বলছে!
সুমুর ভাবনার মধ্যেই আফসা খপ করে সুমুর ফোন কেড়ে নিয়ে দিল ছুট! সুমু তাড়াতাড়ি উঠে ছুটল আফসার পিছুপিছু।
আফসা ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা লক করে টেক্সট পড়তে লাগল।
এদিকে সুমু দরজা ধাক্কাধাক্কি করছে আর বলছে,” আফসা দরজা খোল! আমি তোকে সব বলছি!!
আফসা শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, ” আহাহাহা! এখন আসছে সব বলতে!! এতোদিন বলিস নি কেন!!?
সুমু ধৈর্য্য হারিয়ে বলল, ” ওরে প্রোপোজই করেছে গত সপ্তাহে, এর মধ্যে এতো কিছু হয়েছে যে বলারই টাইম পাইনি!
আফসা চোখ বড়বড় করে বলল, ” এক সপ্তাহ! প্রোপোজও করা হয়ে গেছে!! আর তুই আমাকে কিচ্ছু বলিস নি!!!
সুমু করুন স্বরে বলল, ” এখন তো জেনে গেছিস! এবার ফোনটা দে!!
আফসা মুখ ভেংচি কেটে বলল, ” নো ওয়ে! এর শাস্তি তো তোকে পেতেই হবে!!
সুমু দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বলল,” আচ্ছা দিস, এখন ফোন টা দে।
ফোনের দিকে তাকিয়ে আফসা বলল,” পেয়েছি! এখন তোর শাস্তি হচ্ছে ফোন না পাওয়া!!
সুমু রেগেমেগে বলল, ” ঠিকাছে! থাক তুই ওয়াশরুমে!!
বলেই বাইরে থেকে ওয়াশরুমের দরজা লক করে দিল।
আফসা তাড়াতাড়ি দরজার ভেতরের লক খুলে ধাক্কাতে লাগল।
সুমু একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বেডে হেলান দিয়ে বসেছে।
আফসা কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা, সারারাত ওয়াশরুমে থাকবে ভাবতেই কান্না পাচ্ছে তার। হটাৎ কিছু একটা ভেবে বলল, ” ঠিকাছে খুলিস না দরজা, আমি ওয়াশরুমেই থাকবো। সাথে তোর ফোনটাও থাকবে। এই! তোর ফোন মেবি গোসল করতে চাচ্ছে!! কতদিন গোসল করাস না এটাকে!!!
কথাটা শোনা মাত্রই লাফ দিয়ে নিয়ে নেমল সুমু! আফসা তার ফোনের গোসল দিতে যাচ্ছে!! মনেমনে অশ্রাব্য গালি দিচ্ছে, আর বলছে, “ওরে শাকচুন্নি, তুই নিজে ডেইলি গোসল করিস কি ঠিক নেই! আমার ফোনের গোসল করাচ্ছিস!!
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে দরজা খুলে দিল সুমু। দরজা খোলার শব্দে আফসা ফোন নিয়ে হেলেদুলে বেরিয়ে এল ওয়াশরুম থেকে।
ফোন টা সুমুকে দিয়ে বেডে গিয়ে বসল।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ঘড়িতে রাত তিনটা বাইশ বাজে, বেডে শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে রিয়া।
কেন জানি আজ ঘুম আসছেনা তার। বারবার মনে পড়ছে, আরহামের তার কোমরে শাড়ি গুজে দেওয়া! গালে আলতো করে চুমু খাওয়া!!
রিয়া বুঝে গেছে এখন আর ঘুম আসবেনা তার। বেড থেকে নেমে ব্যালকনিতে গিয়ে দোলনায় বসল সে।
না চাইতেও আরহামের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছে রিয়া।
মনেমনে বলল, ” জানিনা আরহামের মনে ঠিক কি চলছে! কিন্ত আমি আরহামকে ভালোবেসে ফেলেছি, অনেক আগেই!! এতে আমার কিছু করার নেই, আরহাম এমন ভাবে আমাকে তার প্রতি অ্যাট্রাক্ট করে ফেলেছে যে আমি ওকে ভালো না বেসে থাকতে পারছিনা!
.
.
.
.
.
সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাংলো রিয়ার, চোখ মেলে তাকিয়ে দেখল, সে দোলনায় বসে আছে! তারমানে রাতে এখানেই ঘুমিয়েছে সে!!
মিসেস ইরা তাড়া লাগিয়ে বলল, ” এখনও বসে আছিস! কয়টা বাজে খেয়াল আছে!!? আর এখানে বসে আছিস কেন!? রাতে কি এখানেই ঘুমিয়েছিলি নাকি!!?
রিয়া কোনো উত্তর না দিয়ে চোখ ডলতে ডলতে রুমে গেল।
মিসেস ইরা অবাক হয়ে বলল, ” আশ্চর্য! মেয়েটার হয়েছে কি!! ব্যালকনিতে ঘুমিয়ে ছিলো কেন!!?
.
.
.
.
.
আরহাম রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখল আরশি ডাইনিং এ বসে আছে।
আরহাম অপজিটের চেয়ারে বসে বলল, ” গুড মর্নিং আপু!
আরশি স্মিত হেসে বলল, ” গুড মর্নিং! রাতে ঘুম কেমন হল তোর!?
আরহাম ভ্রু কুচকে বলল, ” হুম ভালই, কেন!?
আরশি খেতে খেতে বলল, ” না কিছু না, রিয়াকে খুব সুন্দর লাগছিলো কাল।
আরহাম আনমনে বলে উঠল, ” ও এমনিতেই অনেক সুন্দর!
আরহাম কথাটা আস্তে বললেও আরশি বেশ স্পষ্ট শুনতে পেয়েছে।
তবুও না শোনার ভান ধরে বলল, ” কি!?
আরহাম মাথা নাড়িয়ে বলল, ” কিছুনা।
আরশি খেয়াল করল আরহাম লজ্জা পাচ্ছে! তাই আর বেশি ঘাটলো না।
আরহাম অফিসে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে গেছে। আরশি একটা উপন্যাসের বই নিয়ে বাগানের দোলনায় গিয়ে বসল।
হটাৎ ফোনের রিংটোন পেয়ে ফোন হাতে নিয়ে দেখল, আননোন নম্বর থেকে কল এসেছে! বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন নম্বর থেকে কল আসে তার কাছে।
কিন্ত রিসিভ করলে কেউ কথা বলেনা।
আজও নিশ্চয়ই বলবেনা, আরশি কল কেটে দিল।
সাইলেন্ট করে ফোন উলটে রাখতে গিয়ে দেখল, সেই নম্বর থেকে টেক্সট এসেছে!
টেক্সটে ট্যাপ করে দেখল লেখা আছে, ” খুবই ইম্পর্ট্যান্ট কথা আছে, প্লিজ কলটা রিসিভ করুন।
আরশি এবার বেশ চিন্তায় পড়ে গেল, কে এই ব্যক্তি!
আরশির ভাবনায় ছেদ পড়ল ফোনের রিংটোন পেয়ে। সেই নম্বর থেকে আবার কল এসেছে!
কল রিসিভ করতেই খুব পরিচিত কন্ঠঃ পেয়ে চমকে উঠল আরশি।
ওপাশ থেকে বলছে,” কেমন আছো আরু!?
আরশির হাতপা অসাড় হয়ে আসছে, কাপা কাপা গলায় বলল, ” আআয়ান! তুতুমি!!
আয়ান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,” চিনতে পেরেছো তাহলে!
আরশির গলা দিয়ে আর কথা বের হচ্ছেনা, মনে হচ্ছে দম আটকে যাচ্ছে তার।
আয়ান আবার বলল, ” আমার সাথে একটাবার দেখা করতে পারবে আরু!? জাস্ট একটাবার।
আরশির দুচোখ জলে ভরে উঠল, কল কেটে দিয়ে টেক্সট দিল,” টাইম আর লোকেশন টেক্সট করে দিও।
টেক্সট সেন্ড করেই অঝোরে কাদতে লাগল আরশি।
আজ কত গুলো মাস পর আয়ানের কন্ঠঃ শুনেছে সে! বুকের ভেতরটা এখনও কেমন যেন করছে!!
আরশি কেদেই চলেছে, চোখের জল মোছার চেষ্টা করলো না।
আজকের কান্নাতে সে যেন অজানা সুখ খুজে পাচ্ছে!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আরহামের রুমের দরজায় নক করল রিয়া, আরহাম থাই গ্লাস ভেদ করে তাকিয়ে আছে দূরে কোথাও।
দরজায় নক করার শব্দে বলল,” কাম ইন।
রিয়া ভেতরে ঢুকতেই আরহাম পেছন ফিরে তাকালো, রিয়া মুচকি হেসে বলল, ” স্যার আমি সব ফাইল চেক করে চিত্রা ম্যামকে দিয়েছি।
আরহাম মাথা নাড়িয়ে বলল, ” গুড! তো, নিশ্চয়ই শুধু এটা বলার জন্য আসোনি!
রিয়া হেসে বলল, ” হুম, আজ অফিস শেষে ফাইয়াযের সাথে দেখা করতে যাবো। আপনি কি ফ্রি থাকবেন!?
আরহাম এক পা দু পা করে রিয়ার সামনে গিয়ে দাড়ালো।
রিয়ার সামনে আসা চুল গুলো ওল্টাতে ওল্টাতে বলল, ” তোমার জন্য আমি অলটাইম ফ্রি।
আরহামের স্পর্শ পেয়ে রিয়ার কাপাকাপি শুরু হয়ে যাচ্ছে, আলতো করে আরহামের হাত সরিয়ে বলল, ” তাহলে অফিস শেষে দেখা হচ্ছে।
আরহাম স্মিত হেসে বলল, ” হুম শিওর!
রিয়া আর একমুহূর্ত সেখানে না দাঁড়িয়ে বেরিয়ে এলো।
আরহামের রুমের বাইরে এসে বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগল রিয়া।
মনেমনে বলছে,” উফফ! এসব কি হচ্ছে আমার সাথে!! আরহাম কাছে এলেই হার্ট এতো জোরে জোরে বিট করে যেন, এখনই ওটা বেরিয়ে আসবে!!!
.
.
.
.
.
(চলবে)