#চলো_ভিজি_বৃষ্টিতে
#Tanjima_Islam
১২
.
.
.
.
.
অফিস শেষে বেরিয়ে আরহামের গাড়িতে উঠে বসল রিয়া,আরহাম ড্রাইভ করছে।
শহর থেকে একটু দূরে একটা রিসোর্টে এসে দাড়ালো গাড়িটা।
এখানের লোকেশনই দিয়েছিলো ফাইয়ায।
ঘড়ির কাটায় বিকেল পাচঁটা পয়ত্রিশ বাজে। রিয়া গাড়ি থেকে নেমে এদিক ওদিক তাকালো, রিসোর্টের সুইমিংপুলের চারপাশে কয়েকটা নারকেল গাছ দাঁড়িয়ে আছে।
একটা নারকেল গাছের নিচে সিম্পল ডেকোরেশন করা!
রিয়া আরহামকে বলল,” আমি ওখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আপনি যাবেন।
আরহাম মাথা নাড়িয়ে সায় দিল, রিয়া দ্রুত পায়ে সেই নারকেল গাছটার দিকে এগিয়ে গেল।
.
.
.
.
.
একটা টেবিলের দুইপাশে দুইটা চেয়ার পাতা, লাভ শেপের দুটো প্লেটে বিফ স্টেক আর দুই গ্লাস লেমন জ্যুস।
ফাইয়ায ওয়েটারের সাথে কিছু নিয়ে কথা বলছিলো।
রিয়াকে আসতে দেখে এগিয়ে গেল, পেছন থেকে রিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলল, ” কেমন আছো মিসেস!?
আরহাম গাড়িতে বসেই দূর থেকে তাকিয়ে ছিলো।
হটাৎ ফাইয়ায রিয়াকে জড়িয়ে ধরায় মেজাজ খারাপ হয়ে গেল তার।
রেগেমেগে গাড়ি থেকে নেমে গেল আরহাম।
হটাৎ করে কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠল রিয়া, ভিষণ অস্বস্তি বোধ করছে সে।
নিজেকে ফাইয়াযের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, ” ভালো, তুমি কেমন আছো!?
ফাইয়ায রিয়ার হাত ধরে চেয়ারে বসিয়ে বলল, ” বউকে ছাড়া বর যেমন থাকে তেমন।
রিয়া লেমন জ্যুস হাতে নিয়ে বলল, ” আমাদের এখনও বিয়ে হয়নি ফাইয়ায!
ফাইয়ায স্মিত হেসে চেয়ারে বসে বলল, ” হয়নি, তবে হতে কতক্ষণ!? বাই দ্যা ওয়ে, আম্মু কিন্ত আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে শপিং শপিং করে। তোমার আম্মু আর আমার আম্মু মিলে ঠিক করেছে, আমাকে নিয়ে তোমার আব্বু আম্মু শপিং এ যাবে আর তোমাকে নিয়ে আমার আম্মু শপিংয়ে যাবে।
রিয়া কিভাবে কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা, সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বলল, ” ফাইয়ায তোমার সাথে আমার জরুরি কিছু কথা আছে।
ফাইয়ায খেতে খেতে বলল, ” হুম বলো।
রিয়া জোরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,” আমার পক্ষে এ বিয়ে করা পসিবল না। আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি, আর তাকেই বিয়ে করবো।
একনাগাড়ে বলে থামলো রিয়া, ফাইয়ায সব শুনে থ হয়ে গেছে।
এসব কি বলছে রিয়া! অন্য কাউকে ভালোবাসে মানে!!? না, এ হতে পারেনা।
হয়তো রিয়া আমার সাথে মজা করছে!!!
ফাইয়ায জোর করে হেসে বলল, ” প্লিজ রিয়া! আমি এখন এসব ফাজলামি করার মুডে নেই। কদিন পর আমরা বিয়ে করতে চলেছি আর তুমি এখনও বাচ্চামো করছো!!!
রিয়া আর কিছু বলার আগেই আরহাম এসে বলল, ” রিয়া ঠিকই বলছে।
প্রায় সাথেসাথেই ফাইয়ায আর রিয়া তাকালো আরহামের দিকে।
আরহাম বেশ মুড নিয়ে বলল, ” আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি, রিয়া এতদিন ফ্যামিলিতে আমাদের ব্যাপারটা জানাতে পারেনি কারণ, তোমার সাথে এনগেজড ছিলো। তাই ও ঠিক করল, আগে তোমাকে জানাবে তারপর ফ্যামিলিতে।
আরহামের কথা শেষ হতে দেরি, ফাইয়ায চেচিয়ে উঠল, ” হোয়াট দ্যা হেল ইজ দিস!?
ফাইয়াযের চিৎকারে কেপে উঠল রিয়া, আরহামের মধ্যে কোনও ভাবান্তর ঘটল না। ফাইয়ায উঠে দাড়ালো, দু’হাত দিয়ে টেবিলের ক্লথ চেপে ধরে বলল, ” রিয়া সত্যি করে বলো! আমি তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই।
রিয়া কাপা কাপা গলায় বলল, ” উনি যা বলছেন, সত্যি বলছেন।
ফাইয়ায ধৈর্য্য হারিয়ে টেবিলের ওপরের সবকিছু একটান দিয়ে ছুড়ে মারল সুইমিংপুলে!
রিয়া ভয়ে চোখ বুজে ফেলল, চোখের কোন বেয়ে দুফোঁটা নোনা জল গড়িয়ে পড়ল তার! মনেমনে ভাবছে, ” এ কি করলাম আমি!? আমি তো ফাইয়াযকে কষ্ট দিতে চাইনি, আমিতো দুজনের ভালোর জন্যই!!
ফাইয়ায উঠে চলে যেতে গিয়ে আরহামের দিকে তাকিয়ে বলল, ” সেদিনই তোকে দেখে ডাউট হয়েছিলো, কোম্পানির বস কেন তার এমপ্লয়ির বাসায়!
বলেই গটগট করে সেখান থেকে চলে গেল ফাইয়ায।
আরহাম একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে রিয়ার সামনে চেয়ারে গিয়ে বসল।
রিয়া নিস্তব্ধ হয়ে গেছে, টলমল চোখে সুইমিংপুলের নীল পানিতে তাকিয়ে আছে সে। আরহাম ভেবে পাচ্ছেনা রিয়া নিজেই ফাইয়াযকে ছেড়ে আবার নিজেই কেন কাদছে! সত্যিই “নারী” মানে রহস্যময়ী, এরা ভাবে এক করে আরেক!!
রিয়া চোখের জল মুছে বলল, ” ফাইয়ায আমার খুব ভাল বন্ধু, বিপদে আপদে সবসময় আমার পাশে থেকেছে। ভেবেছিলাম আমরা সারাজীবন এভাবেই বেস্টফ্রেন্ড হয়ে থাকবো। কিন্ত!
একটু থেমে আবার বলল, “আমি সত্যিই ওকে এভাবে কষ্ট দিতে চাইনি! ওকে কি করে বোঝাবো, আমি ওকে ভালবাসি। বাট লাইফ পার্টনার হিসেবে না, খুব ভাল বন্ধু হিসেবে।
আরহাম বুঝতে পারছে ফাইয়াযের জন্য রিয়ার খারাপ লাগছে।
খারাপ লাগাটাও স্বাভাবিক, বেস্টফ্রেন্ডকে কে হারাতে চায়! তাও আবার এভাবে!!?
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বাসায় ফিরে সোজা নিজের রুমে চলে গেল ফাইয়ায।
দরজা লক করে টেনে টেনে শার্টের বোতাম খুলে শার্টটা ছুড়ে মারল বেডে।
ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ার ছেড়ে তার নিচে দাড়ালো।
সে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেনা, রিয়া তাকে ভালবাসেনা।
সেই ছোট থেকেই রিয়াকে ভালো লাগে তার। সময়ের সাথে সাথে তার সেই ভাললাগাটা কখন যে ভালবাসায় পরিণত হয়েছে জানেনা সে।
রিয়াকে প্রোপোজ না করে মাকে দিয়ে ডিরেক্ট রিয়ার ফ্যামিলিতে প্রোপোজাল দিয়েছিলো ফাইয়ায।
দুই পরিবারের সম্মতিতে এনগেজমেন্ট করে দূরদেশে পাড়ি দিয়েছিলো।
কানাডায় স্টাডি করতে গিয়ে বহু সুন্দরী মেয়েদের প্রোপোজাল পেয়েছিলো সে।
কিন্ত তাদের দিকে ফিরেও তাকায়নি ফাইয়ায, তাকাবেই বা কেন!
সে তো তার বাগদত্তা, তার ছোটবেলার ভালবাসা, রিয়াকে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো!
কিন্ত রিয়া! সে কিভাবে পারলো এমন করতে!!? নাহ! এরমধ্যে নিশ্চয়ই কোনো গন্ডগোল আছে!! রিয়াকে সে ভাল করে চেনে, রিয়া খুব সহজ সরল স্বভাবের মেয়ে।
আরহাম হয়তো সেই সুযোগটাই নিয়েছে! রিচ ফ্যামিলির ছেলে আরহাম, এতো বড় বিজনেসম্যান, এদের কাছে বিজনেসই সবকিছু। এরা আবার প্রেম ভালবাসা বোঝে নাকি!!
বুঝলেও হয়তো মেয়েদের মন আর শরীর নিয়ে খেলাটাই বোঝে!
আল্লাহ জানে কিভাবে শয়তানটা রিয়াকে নিজের প্রেমের জালে জড়িয়েছে!
হয়তো একসময় ছেড়ে দেবে! নাহ, আমি তা হতে দেবোনা!!
রিয়াকে কিছুতেই ঐ আরহামের জালে ফাসতে দেবোনা!!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রিয়ার বাসার সামনে এসে দাড়ালো আরহামের গাড়ি।
রিয়া গাড়ি থেকে নামতে গেলে আরহাম বলল, ” আমার মনে হয় তোমার ফাইয়াযের সাথে কথা বলা উচিৎ। তুমি বুঝিয়ে বললে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে। হটাৎ করে সবকিছু শুনে হয়তো মেনে নিতে পারেনি। ওর সবকিছু বুঝতে, মানতে একটু টাইম তো লাগবে।
রিয়া স্মিত হেসে বলল, ” ওর সাথে কথা বলে কোনো লাভ হবেনা। ফাইয়ায খুব জেদি, একরোখা টাইপের। ও যা ভাববে সেটাই ওর কাছে সঠিক, আর যা চাইবে সেটাই ওর লাগবে। তা যেভাবেই হোক না কেন! বাই দ্যা ওয়ে, থ্যাংকস ফর এভরিথিং!!
প্রতিত্তোরে আরহাম স্মিত হাসল, রিয়া গাড়ি থেকে নেমে সোজা বাসায় চলে গেছে।
আরহাম গাড়ি ঘুরিয়ে নিজের বাসার দিকে চলল।
ফাইয়াযের ব্যাপারটা ঠিক ভাল ঠেকছেনা তার, তখন ফাইয়াযের রিয়াকশন দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো ঠিক কতটা শকড হয়েছে এসব শুনে!
আমার কথা না শুনে, রিয়ার মুখ থেকে জানতে চাচ্ছিলো!!
বোঝাই যাচ্ছে রিয়ার ব্যাপারে ফাইয়ায বেশ সিরিয়াস!!!
মনে হচ্ছে না এতো ইজিলি রিয়াকে ছেড়ে যাবে!
.
.
.
.
.
বাসায় ঢুকে দেখল ড্রয়িং রুমে সোফায় বসে টিভি দেখছে আরশি।
দেখছে বললে ভুল হবে কারণ, টিভির দিকে না আরশি একমনে তাকিয়ে আছে হাতে রাখা টিভির রিমোটের দিকে!
আরহাম বোনকে ডাকল,” আপু!
ভাইয়ের ডাক পেয়ে চমকে উঠল আরশি, জোর করে হেসে বলল, ” তুই এসে গেছিস! যা ফ্রেশ হয়ে আয়, আমি কেয়াকে ডিনার রেডি করতে বলছি।
আরহাম বাধা দিয়ে বলল, ” আমার খিদে নেই, তুই খেয়ে নে।
বলে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল, আরহাম চলে গেলে ফোন হাতে নিয়ে মেসেজ অপশনে ঢুকে দেখল আয়ান লোকেশন আর টাইম টেক্সট করেছে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কেয়াকে ডেকে বলল, ” আজ আমারও খিদে নেই, তুমি খেয়ে নিও।
বলে আরশিও রুমে চলে গেল।
.
.
.
.
.
নিকষ কালো মেঘে ছেয়ে গেছে আকাশ, মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে।
রিয়া দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে।
ফাইয়াযের জন্য খুব খারাপ লাগছে তার, আবার আরহামের বলা কথা গুলো ভাবতেই মনে অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে!
তখন আরহাম বলেছিলো,” আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি!
রিয়া মুচকি হেসে বলল, ” তুমি আমায় ভালবাসো কি জানিনা, তবে আমি তোমায় ভালোবাসি আরহাম।
মায়ের ডাকে ভাবনায় ছেদ পড়ল রিয়ার, মিসেস ইরা মেয়েকে রুমে না পেয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দেখে বলল, ” কিরে! আবার কি কানে এয়ারফোন ঢুকিয়ে বসে আছিস!! সেই কখন থেকে ডাকছি কোনো সাড়াশব্দ নেই তোর।
রিয়া উঠে মাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ” কি বলবে বলো!
মিসেস ইরা ভ্রু উঁচিয়ে বলল, ” বাব্বাহ! এতো ঢং মনে আসছে যে!!
রিয়া গাল ফুলিয়ে বলল, ” এভাবে বলছো কেন!? অফিসে জয়েন করার পর থেকে কতদিন তোমার সাথে বসে গল্প করিনা, আড্ডা দেইনা। জানো তোমার সাথে আমার কত কথা আছে!
মিসেস ইরা মেয়ের গাল টিপে বলল,” হুম হুম, আড্ডা দেবো, গল্পও করবো। আমারও কত কথা বাকি তোর সাথে!
রিয়া এক গাল হেসে মাকে জড়িয়ে ধরল, মিসেস ইরা বলল,” আচ্ছা এবার চল, ডিনার রেডি। তোর আব্বু ওয়েট করছে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ঘড়িতে দুপুর বারোটা বাজে, আফসা হুড়মুড়িয়ে ঢুকল বুটিক হাউজে।
আজ কলেজে একটা ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাস ছিলো। ক্লাস করে আসতে গিয়ে বেশ দেরি হয়ে গেছে।
আফসাকে দেখে ম্যানেজার মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে বলল,” ক’টা বাজে আফসানা!
আফসা মিনমিন করে বলল, ” বাবারোটা।
ম্যানেজার ধমকে উঠল,” তুমি বললে এগারোটার মধ্যে চলে আসবে! আর এখন বারোটা বাজে!! সময়-জ্ঞান বলে কিছু আছে তোমার মধ্যে!!? তোমাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি, নেক্সট টাইম এমন হলে তোমার আর এখানে আসার দরকার নেই!
বলে হনহন করে চলে গেল ম্যানেজার, আফসার ভিষণ খারাপ লাগছে।
গ্রামে যাবে না বলে কতরকম ধানাইপানাই করে শহরে থেকে গেল।
চাকরি করবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে!
কিন্ত এখন মনে হচ্ছে বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামে চলে গেলেই ভালো হতো।
সারাদিন এতো কষ্ট করেও প্রায়ইদিন ম্যানেজারের কাছে ঝাড়ি খেতে হয়!!
নাহ, এখানে আর থাকবে না সে। গ্রামের বাড়ি চলে যাবে, এক্সামের আগে এসে এক্সাম দিয়ে যাবে।
আফসার ভাবনায় ছেদ পড়ল এক পুরুষ কন্ঠ পেয়ে!
তাকিয়ে দেখল সেইদিনের সেই ডাক্তার শোভন!!
কিন্ত এখানে আবার কি করতে এসেছে!!!?
আফসা স্মিত হেসে বলল, ” জ্বি বলুন, কি লাগবে!
শোভন মাথা চুলকে বলল, ” না, কিছু কিনতে আসিনি। আসলে!
আফসা ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল, ” তাহলে!?
শোভন কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা, সেদিন হসপিটাল থেকে আফসা চলে যাওয়ার পর ভেবেছিলো আর হয়তো তাদের দেখা হবেনা!
কিন্ত মায়ের সাথে এই বুটিক হাউজে এসে আফসাকে দেখে, মনেমনে এতটাই এক্সাইটেড হয়ে গেছিলো যে ঠিকমতো কথাই বলতে পারেনি সে।
আজ খুব সাহস নিয়ে এখানে এসেছে আফসার সাথে কথা বলতে।
কিন্ত আফসার সামনে আসতেই সব সাহস পানি হয়ে গেছে তার!
আফসা আবার ডাকলো,” এক্সকিউজ মি! মি. শোভন!
শোভন প্রায় সাথেসাথেই বলে উঠল, ” হ্যাঁ বলুন আফসানা!
শোভনের মুখে নিজের নাম শুনে বেশ অবাক হয়ে গেল আফসা।
ভ্রু নাচিয়ে বলল, ” বাব্বাহ! আমার নামও মনে আছে দেখছি! তাহলে নিশ্চয়ই চিনতেও পেরেছেন!! আমি তো আরও ভাবছিলাম, আপনি হয়তো আমাকে চিনতেই পারেননি!!!
শোভন কিছুক্ষণ বলদের মতো তাকিয়ে থেকে বলল,” আপনার সাথে আবার দেখা হবে ভাবিনি! তাই সেদিন আপনাকে দেখে আমি…
থেমে গিয়ে অন্যদিকে তাকালো শোভন চোখমুখ কুচকে মনেমনে বলল, ” দূর! কি যা তা বলছি!!
আফসা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে শোভনের দিকে।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ নার্ভাস ফিল করছে শোভন, কিন্ত কেন!?
.
.
.
.
.
(চলবে)