#চুপকথা-(৭+৮)
Zannatul Eva
পেছনে ফিরে আমি চমকে উঠলাম। তিয়াশের হাতে চা আর বনরুটি। কাঁধে গিটার ঝুলানো। পরনে ব্ল্যাক টি-শার্ট। বাম হাতে চেইন ঘড়ি। তিয়াশের কপালের উপরে একটা কাঁটা দাগ দেখা যাচ্ছে। হয়তো কখনো কোনোভাবে ব্যথা পেয়েছিলো। ওকে কখনও এতো খেয়াল করে চেয়ে দেখিনি। হঠাৎ করে ওর সব কিছু কেন জানি নজরে চলে এলো। কিন্তু আমি তাড়াতাড়ি ওর দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে প্রশ্ন ছুড়লাম, এসব কী!
তিয়াশ বলল, দুধ চায়ে বনরুটি ভিজিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে আপনার তাই না?
হ্যাঁ কিন্তু এসব পাগলামির মানে কী!
আমি কখনও খাই নি। তাই ভাবলাম একটু টেস্ট করে দেখি। একা একা কেন খাবো! দু’জন একসাথে খাই গল্প করতে করতে। নিন বসে পড়ুন।
এখানে!
হ্যাঁ। বসুন না।
আকাশে থালার মতো চাঁদ। জ্যোৎস্নার আলোতে চারপাশটা জ্বলজ্বল করছে। বালুর মধ্যে পা ছড়িয়ে বসে চায়ের কাপ হাতে গল্প করবো বলে কত স্বপ্ন দেখেছি। সবটাই হচ্ছে শুধু মানুষটা আলাদা।
তিয়াশ বলল, উমম টেস্টি। এইজন্যই আপনার এতো ফেভারিট।
আমি বললাম, আপনার কোনটা পছন্দ?
আমি তো নিজেও জানিনা আমার কোনটা পছন্দ। আমি গ্রিন টি খাই অলওয়েজ। চিনি ছাড়া স্বাদবিহীন চা। আমার বাবার নির্দেশ সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তিনি যেটা খেতে বলেন সেটাই খাই।
আমি একটু অবাক হলাম। এ যুগের ছেলে আর সে কিনা নিজের পছন্দের খাবারের নাম বলতে পারছে না! সবটা নাকি বাবা ঠিক করে দেয়! অদ্ভুত।
আমি কিছু বলার আগেই তিয়াশ গিটারে গান ধরলো____
“তোমার নামের রোদ্দুরে
আমি ডুবেছি সমুদ্দুররে
জানিনা যাব কদ্দুরে এখনো
আমার পোড়া কপালে আর
আমার সন্ধ্যে সকালে
তুমি কেন এলে
জানিনা এখনও
সন্ধ্যি আটে মন পালাবার
বন্দি আছে কাছে সে তোমার
যদি সত্যি জানতে চাও তোমাকে চাই তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও তোমাকেই চাই………..”
আপনি তো বেশ ভালোই গান গাইতে পারেন। মনে হচ্ছে প্রফেশনাল সিঙ্গারের গান শুনলাম।
তিয়াশ হেসে বলল, বাড়িয়ে বলবেন না প্লিজ। আমি এতোটাও ভালো গাই না। নিজের খুশির জন্য গাই জাস্ট। আর বাসায় কখনও গিটার বাজানো হয় না। এই গিটারটা মা আমাকে কিনে দিয়েছিলো। জানেন আমার মা একসময় অনেক ভালো গান করতো।
তাই? তার মানে তো আপনি আপনার মায়ের গুনটাই পেয়েছেন। ধরে রাখুন। একসময় কাজে লাগবে।
তিয়াশ হেসে দিয়ে বলল, সেরকম কোনো চান্স নেই। আর আমার গান নিয়ে কিছু করার ইচ্ছেও নেই। মন খারাপ থাকলে বা অনেক বেশি খুশি থাকলে জাস্ট একটু আধটু গাওয়া হয়। বাবা এসব একদম পছন্দ করেন না।
ওর কথায় যা বুঝলাম, ওর বাবা নিশ্চয়ই খুব স্ট্রিক্ট। হতেই পারে। পৃথিবীর সব বাবারা তো আর এক হয় না।
তিয়াশ বলল, আচ্ছা আপনি কী সত্যিই সিঙ্গেল?
ভ্রু কুঁচকে বললাম, কেন সিঙ্গেল হতে পারি না!
না মানে এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে এতো সুন্দরী মেয়ে হয়েও সিঙ্গেল তাই একটু অবাক হলাম।
আমি সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বললাম, কে বলল আপনাকে আমি সুন্দরী!! মেয়েদের কুড়ি পেরোলেই সে বুড়ি হয়ে যায়।
এটা একটা বাজে কথা। বয়স দিয়ে সৌন্দর্যের বিচার করা যায় না। হতে পারে বয়সের সাথে সাথে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়, চকচকে চামড়া কুঁচকে যায়। কিন্তু মন! মনের সৌন্দর্য কী কখনও কমে? যার মন সুন্দর সেই প্রকৃত সুন্দর।
কারো মন পড়া এতো সহজ নয় মি. তিয়াশ আহমেদ। উপর থেকে কাউকে দেখে বোঝা যায় না সে কেমন। একসাথে বহুবছর থেকেও মানুষ চিনতে পারলাম না আর আপনি কয়দিনেই আমাকে চিনে ফেললেন?
তিয়াশ অবাক হয়ে বলল, একসাথে বহু বছর থেকে কাকে চিনতে পারেন নি?
আমি কথা ঘুরিয়ে বললাম, আজকের চাঁদটা খুব সুন্দর তাই না?
তিয়াশ হয়তো বুঝতে পেয়েছে এ বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাইছি না আমি। তাই ও আর কিছু জানতে চাইলো না।
তিয়াশ বলল, আমি ভেবেছি এখান থেকে একবার হিমছড়ি যাবো। কক্সবাজার এসে হিমছড়ির পথে পাড়ি জমাতে না পারলে ঘুরে বেড়ানোর আসল মজাটাই মিস হয়ে যাবে।
খুব সুন্দর নাকি হিমছড়ি?
যাবেন?
আমি মোটেও যাব বলি নি। জিজ্ঞেস করেছি। কতদূর এখান থেকে?
কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্র। ওখানকার সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে নির্জন আর খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার হচ্ছে কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথটি খুবই রোমাঞ্চকর। একপাশে বিস্তৃর্ণ সমুদ্রের বালুকাবেলা আর আরেক পাশে সবুজ পাহাড়ের সাড়ি। মাঝে পিচ ঢালা মেরিন ড্রাইভ। আর পাহাড়ের উপর উঠলে বিশাল সমুদ্রের নীল দিগন্তে হারিয়ে যাবেন একদম।
আপনার কথা শুনে এখনি যেতে ইচ্ছে করছে কিন্তু ভয়ও করছে।
ভয় কেন?
কিছু বলার আগেই আমি মাথায় আঘাত অনুভব করলাম। সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে গেলাম। যখন চোখ খুললাম তখন নিজেকে অচেনা এক জায়গায় আবিষ্কার করলাম।
________________
৮.
তিয়াশ.
চোখ মেলে তাকাতেই দেখলাম আমরা অন্য একটা জায়গায়। কোথায় জানিনা। একটা বন্ধ ঘরে আমাদের আটকে রাখা হয়েছে। আমার আর কুহুর দুজনেরই হাত-পা বাঁধা। কুহুর চুল গুলো মুখের উপর এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। ওর বোধহয় এখনও জ্ঞান ফেরেনি। সাদা শাড়িতে ওকে একদম ফুটন্ত সাদা নয়নতারা ফুলের মতো লাগছে। মৃদুমন্দ বাতাসে কুহুর চুল গুলো মুখের উপর থেকে সরে গেল। মুখটা এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সেই হাত ভর্তি চুড়ি, কপালে স্টোনের টিপ, কানে ঝুমকো একদম বাঙালিআনা যাকে বলে। ওর লম্বা চুল গুলো মাটিতে লেপ্টে আছে। মেয়েরা এতো লম্বা চুল সামলায় কী করে! ছেলেদের যদি এমন বড় চুল হতো তাহলে চুলের ওজনে হাঁটাচলাই করতে পারতো না মনে হয়। অবশ্য তখন আর তাকে ছেলে বলা যেতো না সে মেয়েই হয়ে যেতো। অবশ্য মেয়েদেরকে ছোটছোট চুলেও খারাপ লাগে না। অন্তত অদ্ভুত দেখায় না। ছেলেরা চুল লম্বা রাখলে যতটা বাজে দেখায় আর কী। এই জন্যই মেয়েদেরকে তরল পদার্থ বলা হয়। যেই পাত্রে রাখবে সেই পাত্রের আকারই ধারন করবে। তবে আমার কাছে মনে হয় নারীর অর্ধেক সৌন্দর্য থাকে তার চুলে। কুহুর কোমরের কাছ দিয়ে শাড়িটা সরে আছে। ভুলবশত চোখ পড়তেই আমি নিজের চোখ সরিয়ে নিলাম। জ্ঞান ফেরার অপেক্ষা না করে ওকে কয়েকবার নাম ধরে ডাকলাম। কুহু শুনছেন? তিয়াশ বলছি। ও কোনো সাড়া দিলো না। আশেপাশে এমন কাউকে দেখতেও পাচ্ছি না যার কাছ থেকে সাহায্য চাইতে পারি। অবশ্য এমন জায়গায় আমাদের আনা হয় নি যেখানে সাহায্য করার জন্য কেউ থাকবে।
কিছুক্ষণ পর কুহুর জ্ঞান ফিরে এলো। চোখ খুলে আমাকে দেখে অনেকটা ভূত দেখার মতো অবস্থা হলো। হাতের বাঁধন দেখে জোরে চেঁচিয়ে বলল, আপনি আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছেন! আমার হাত বেঁধেছেন কেন?
আমি অবাক হয়ে বললাম, আমি…….!
কুহু বলল, আমি তো আপনার সাথেই সমুদ্র পাড়ে বসে চা খাচ্ছিলাম। আপনি আমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছেন? বলুন!
কাম ডাউন, কাম ডাউন। আগে আমাকে ভালো করে একবার দেখে তো নিন। তারপর না হয় যত খুশি চেঁচাবেন। দেখুন।
আমারও হাত বাঁধা দেখে কুহু অবাক হয়ে গেল। দাঁত দিয়ে জিভ কেঁটে বলল, সরি সরি কিন্তু আমরা এখানে এলাম কী করে!
আমরা আসিনি। আমাদের নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা কিডন্যাপ হয়েছি।
কুহু জোরে চিৎকার দিয়ে বলল, কী! কী বলছেন এসব! আমাদের কেউ কেন কিডন্যাপ করবে?
ইতোমধ্যেই কেউ একজন ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে বলল, আমি। আমি ধরে এনেছি তোমাদের এখানে।
কুহু ভয়ে ভয়ে বলল, কিন্তু কেন? কী করেছি আমরা?
তোমাদের জিম্মি করে তোমাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা আদায় করবো। ভালোয় ভালোয় তোমাদের বাসার নাম্বার গুলো বলো দেখি।
কুহু বলল, বাসায় এসব কথা বলা যাবে না। মা, বড় আপা জানতে পারলে টেনশনে মরে যাবে। আর আমার চাকরিটাও চলে যাবে। প্লিজ আমাদের ছেড়ে দিন।
কুহু তো নিজের কথা গুলো হুরহুর করে বলে ফেলল। কিন্তু আমি কী বলবো! আমি তো বাবাকে না জানিয়ে ট্যুরে চলে এসেছি। জানিনা মা বাবাকে কী বলেছে। এসব শুনলে তো তুলকালাম কান্ড বেঁধে যাবে। আর এখান থেকে ছাড়া পাবোই বা কী করে!!
কুহু আবারও লোকটাকে বলল, দেখুন আঙ্কেল আপনাদের টাকা চাই তো? আচ্ছা ঠিক আছে। আগে আমাদের আপনি সহিসালামতে বাসায় পৌঁছে দিন। তারপর আমরা আপনাদের সব টাকা মিটিয়ে দিবো।
লোকটা হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে একটা হুক্কার দিয়ে রাগি স্বরে বলল, আমি আঙ্কেল! আমাকে কোনদিক থেকে আঙ্কেল মনে হয়! পাঁজি মেয়ে। তোমাকে আরও দশদিন এখানে আটকে রাখবো।
কুহু জিভে দাঁত কেঁটে বলল, সরি সরি ভুল হয়ে গেছে কিডন্যাপার দাদু। প্লিজ আমাদের ছেড়ে দিন। আমার চাকরিটা চলে গেলে খুব সমস্যায় পড়ে যাবো আমি। প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা করুন।
চুপ একদম চুপ। এই ছোকরা তোর বাড়ির নাম্বার বল। ছুড়িটাকে আমি পরে দেখে নিচ্ছি।
আমি কিছু বলার আগেই পকেটের ভেতর থেকে আমার ফোন বেজে উঠলো। লোকটা আমার পকেট থেকে ফোনটা বের করে কল রিসিভ করলো। একটু দূরে গিয়ে কী সব কথা বলে আবার আমাদের কাছে এলো। বলল, রাতটা পার হোক তারপর তোমাদের ব্যবস্থা করছি। আমার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া এতো সোজা না। আগে টাকা পাবো তারপর ছাড়বো।
কুহু বলল, দেখুন আমার মা, বড় আপা আমাকে ফোনে না পেয়ে খুব চিন্তা করবে। আর হোটেলে আমাদের বন্ধুরাও আমাদের খুঁজে না পেয়ে খুব ভয় পেয়ে যাবে। প্লিজ আমাদের যেতে দিন।
লোকটা অট্টহাসি দিয়ে বলল, চুপচাপ বসে থাকবে। এই ছোড়ার সাথে মিলে কোনো ছলচাতুরী করলে খবর আছে।
একথা বলেই লোকটা চলে গেল। আমার হাত বাঁধা। চাইলেও কিছু করতে পারছি না। কিন্তু কুহুকে এতো কাছে পেয়ে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, সারাজীবন যদি এভাবেই কেটে যেত। কিন্তু এখানে বেশিক্ষণ থাকলে আরও বড় কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। যেভাবেই হোক এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করতে হবে।
কুহু মাথায় প্রচন্ড চোট পেয়েছে। ভয়ে মুখটা একদম শুকিয়ে গেছে। ও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, কী দিয়েছে আঘাত করেছে বলুন তো? এতো ব্যথা করছে। একবার চোখ মেলে তাকানোর সাথে সাথেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম আবার। সবটা কেমন ঘোলাটে লাগছিলো। তারপর যখন হুশ হলো তখন দেখলাম আপনি আমার সামনে। হুট করে ভয় পেয়ে আপনাকে ভুল বুঝেছিলাম। সরি।
ইট’স ওকে। ইট’স টোটালি ওকে। আপনার জায়গায় অন্য কোনো মেয়ে থাকলেও হয়তো প্রথমে এটাই ভাবতো। যেহেতু আপনি আমার সাথে ছিলেন। আচ্ছা আপনার ফোনটা?
ফোন হোটেলে রেখে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। তন্নী, সানিদের কী অবস্থা কে জানে। আমাদের খুঁজে না পেয়ে কী করছে কে জানে। কী করবো বলুন তো এখন? লোকটাকে বেশ সুবিধের মনে হলো না।
আমি হেসে বললাম, খুব বেশি চালাকও মনে হলো না।
আপনি হাসছেন?
কাঁদলে কি কোনো সমাধান হবে? ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে। দাঁড়াও একটু ভাতবে দাও। আগে জানতে হবে আমরা ঠিক কোথায় আছি। বন্ধ ঘরের ভেতরে কিছুই তো বুঝতে পারছি না।
আপনি ভাবুন। আমার প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে। চোখ দুটো বুজে আসছে। মাথাটা যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে।
একথা বলেই কুহু বাশের খুঁটিটার সাথে মাথাটা এলিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
সারারাত কাটলো কুহুর ঘুমন্ত মুখের দিকে চেয়ে থেকে আর কিভাবে এখান থেকে পালাবো তা ভাবতে ভাবতে।
________________
সকাল হতেই লোকটা খাবার হাতে করে ঘরের ভেতরে এলো। আমাদের হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে বলল, ঝটপট খেয়ে নিতে।
রাতে কিছু খাওয়া হয় নি। মাথায় আঘাত পেয়ে আমাদের দুজনেরই শরীর অনেকটা র্দুবল লাগছে। আমরা দুজনেই খাবার খেতে শুরু করলাম। খাওয়ার এক পর্যায় অন্য আরেকটা লোক এসে বলল, ওস্তাদ সামনে তো পুলিশের গাড়ি দেইখা আইলাম। শালার ব্যাটারা মনে হয় পুলিশ নিয়া আইছে। কী করমু এহন?
লোকটা ভয়ে ভয়ে বলল, পুলিশ আসা পর্যন্ত কী অপেক্ষা করবো নাকি গর্দভ।
ঐ দেখেন ওস্তাদ পুলিশের গাড়ির আওয়াজ।
আরে গর্দভ পালা এখান থেকে। তাড়াতাড়ি চল।
শিকার দুইটার কী হইবো!
গর্দভের বাচ্চা জেলে না গেলে এমন আরও অনেক ম করতে পারবো। এখন চল তাড়াতাড়ি।
কিডন্যাপাররা পালিয়ে যাওয়ার পর আমরা ঘরের ভেতর থেকে বেরোলাম। আমরা একটা পাহাড়ের উপরে আছি। চারপাশে চোখ বুলিয়েই বুঝে গেলাম আমরা এখন হিমছড়িতে আছি।
কুহু পাহাড়ি প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে দু হাত মেলে দাঁড়িয়ে বড় করে নিশ্বাস নিচ্ছে। ওকে দেখে মনে হচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দর্য ওর সমস্ত ভয়কে গ্রাস করে নিয়েছে। আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কুহুর প্রকৃতি বিলাস দেখতে থাকলাম।
চলবে…….