#চেরি_ব্লসমের_সাথে_এক_সন্ধ্যা
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ২৭
____________
জোহানকে দেখে মিতুলের ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরে এলো। চোখ বন্ধ করে জোরে একটা শ্বাস নিলো ও। এখনই ভয়ে ওর জান চলে যাচ্ছিল। আর একটুর জন্য বেঁচে গেছে। কোনো হিংস্র প্রাণী, বা কোনো অন্য মানুষ ছিল না। জোহান…জোহান ছিল এটা। মিতুলের বুক চিরে আবারও স্বস্তির নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো।
জোহান মিতুলের উপর মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট ধরে রেখেছে।
“তোমার মতো এত ভীতু মেয়ে জীবনে দেখিনি আমি।”
জোহানের উস্কানিমূলক কথায় মিতুল চোখ তুলে তাকালো। ওর দু চোখে সদ্য আতঙ্ক কেটে যাওয়ার ছাপ। জোহান মিতুলের মুখটা দেখছে। ক্লান্ত একটি মুখ। ঘেমে একাকার।
জোহান এগিয়ে এসে মিতুলের দিকে এক হাত বাড়িয়ে দিলো। মিতুল একবার জোহানের বাড়িয়ে দেওয়া হাত, এবং একবার জোহানের মুখ দেখলো।
“কী? আমার হাত ধরে উঠতে সমস্যা আছে?”
“আই উইল কিল ইউ!” ক্রোধ ঝরে পড়লো মিতুলের কণ্ঠে।
“কী? মারবে? মারবে আমাকে? মনে হচ্ছে না আমাকে মারার অবস্থায় আছো তুমি। দুর্বল দেখাচ্ছে তোমায়।”
মিতুলের মুখে এবার রাগ ফুঁটে উঠলো। একটি ক্লান্ত মুখে রাগের প্রতিফলন কেমন হয় সেটা আগে জানা ছিল না জোহানের। আজকে দেখলো।
মিতুল জোহানের হাত ধরে উঠলো না। ওর মোবাইল ওর পাশে পড়ে গিয়েছিল। মোবাইলটা কুঁড়িয়ে নিজে নিজেই উঠে দাঁড়ালো।
“যে জোরে চিৎকার করেছো, সে চিৎকার যদি বাড়ির লোক অথবা আমার প্রতিবেশীদের কানে যায়, তাহলে তো আমি বিপদে পড়বো। ভাববে আমি এই জঙ্গলের ভিতর মার্ডার করে বেড়াই। তারপর পুলিশ আসবে, জিজ্ঞাসাবাদ করবে…বলতে পারো কত ঝামেলা হবে?”
“তুমি নিজের ঝামেলার কথা ভাবছো? এদিকে যে আমার জানটাই চলে যাচ্ছিল তোমার জন্য, সেটা? সেটার কী করবে? পুলিশ না আসলেও আমি পুলিশ ডাকবো। তোমার নামে অ্যাটেম্পট টু মার্ডার কেস করবো আমি।” ধীরে ধীরে মিতুলের কণ্ঠ তেজি হয়ে উঠলো।
“এজন্যই বলে মানুষের ভালো করতে নেই। তুমি ভয় পাবে বলে তোমাকে সাহায্য করতে এলাম। আর উল্টো তুমি আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেবে? অবশ্য এটা পারবে না তুমি। আমাকে পুলিশে দিলে তুমি নিজেই দুঃখ পাবে। কাঁদবে তুমি।”
মিতুল শ্লেষপূর্ণ কণ্ঠে বললো,
“কাঁদবো? আমি? তোমাকে পুলিশে দিলে কেন, তুমি মরে গেলেও আমার দুঃখ হবে না।”
বলে মিতুল হাঁটতে শুরু করলো।
জোহান পিছন পিছন আসতে আসতে বললো,
“কিন্তু তুমি মরে গেলে আমার ভীষণ দুঃখ হবে। তুমি তো আমাকে ঝগড়াটে বানিয়ে দিয়েছো। এখন ঝগড়া করার জন্য তোমাকে দরকার আমার সবসময়। তুমি মরে গেলে আমি ঝগড়া করবো কার সাথে? আমার যে সে ভেবে এখনই দুঃখ লাগছে।”
মিতুল পায়ের চলন অব্যাহত রেখে বললো,
“কেন? আমাকে কেন দরকার তোমার? ওই মেয়েটা আছে না, যাকে আজকে খুব করে জড়িয়ে ধরেছিলে? ওর সাথে ঝগড়া করো গিয়ে।”
“কখন আমি জড়িয়ে ধরলাম? ধরলো তো ও।”
“কী ভাবো? আমার চোখ নেই? তুমিও ধরেছো মেয়েটাকে। নিজ চোখে দেখেছি।”
“তো ওকে জড়িয়ে ধরেছি বলে কি তোমার হিংসা হচ্ছে? তুমি কি চাও তোমাকেও জড়িয়ে ধরি আমি?”
মিতুলের পা থেমে গেল। ফুলো নাক নিয়ে পিছন ফিরে বললো,
“মুখ সামলে কথা বলো জোহান! নয়তো কথা বলা শিখিয়ে দেবো।”
বলে চলার গতি আগের থেকে আরও বাড়িয়ে দিলো।
জোহান পিছনে হাঁটতে হাঁটতে বললো,
“হেই তুলতুল, আমি তো সুন্দর করে কথা বলতে পারি। কোনো কথা বলতে তো আমার সমস্যা হয় না। এরপরেও আমাকে কথা বলা শিখিয়ে দিতে হবে তোমার? ওহ বুঝেছি, তুমি আরও অনেক অনেক কথা শুনতে চাও আমার কাছে, তাই না? আচ্ছা বলো, কী কথা শুনতে চাও তুমি?”
মিতুলের ভীষণ রাগ লাগছে জোহানের এসব কথা শুনে। মিতুল ঠিক করলো ও আর মুখই খুলবে না। জোহান পিছনে বসে কথা বলতে বলতে শেষ হয়ে গেলেও ও মুখ খুলবে না।
___________
ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই মিতুলের মন খুব ভালো হয়ে গেল। মিতুলের মন এত ভালো হয়ে যাওয়ার একটা বিশেষ কারণ আছে। আর এই বিশেষ কারণের সবটুকু জুড়েই কার্ল। একটু আগে কার্ল ফোন দিয়ে জানিয়েছে বিকেলে ওর সাথে একটা কফি শপে দেখা করবে। কার্ল এর আগে কখনো ওকে এভাবে দেখা করার জন্য ডাকেনি। এই প্রথম ডাকলো। আর এই জন্যই ও এত এক্সাইটেট। কেন ডাকলো কার্ল?
মিতুল ঠিক করেছে আজকে কার্লকে শাড়ি পরে দেখাবে। সেই কবে এডমন্টন মল থেকে শাড়ি কিনেছিল কার্লকে পরে দেখাবে বলে। কিন্তু দেখানোই হয়ে ওঠেনি। আজকেই শাড়ি পরে দেখাবে। এটাই যেন একদম শাড়ি পরার সঠিক সময়। মিতুল মনে মনে হেসে উঠলো।
মিতুল দুপুর থেকেই সাজসজ্জা শুরু করে দিয়েছে। শাড়ি পরতে একটু ঝামেলা হয়েছে। তবে শেষমেশ ঠিকঠাক পরে উঠতে পারলো। ভাগ্যিস ছোট মামনি একদিন শাড়ি পরানো শিখিয়েছিল। নয়তো শাড়ি পরতে পরতেই আজকের দিন কাভার হয়ে যেত। তারপরেও বোধ হয় শাড়ি পরা ঠিক ঠাক ভাবে হতো না। মিতুল মনে মনে ধন্যবাদ জানালো ছোট মামনিকে।
আজকে সব থেকে বেশি সময় নিয়েছে মেকআপ করায়। গত কালকে যত না যত্ন করে সেজেছিল, তার দ্বিগুন যত্ন করে সেজেছে আজকে। আজকে কাজলও পরেছে চোখে। কানাডা আসার পর আজকের আগে কখনো কাজল পরেনি। আজকে পরলো। কাজল পরতে ওর ভালো লাগে না তেমন। কিন্তু খুব শখ করে আজ কাজল পরেছে চোখে। হাতেও পরেছে চুড়ি। সম্পূর্ণ রেডি হওয়ার পর আরও একবার আয়নায় নিজেকে খুঁটিয়ে দেখলো মিতুল। নিজের প্রশংসা নিজে না করে পারলো না। খুব সুন্দরই দেখাচ্ছে। মিতুল লজ্জা মেখে হাসলো।
সত্যিই যে খুব সুন্দর লাগছে তার প্রমাণ রুম থেকে বের হয়েই পেল। প্রথমেই দেখা হলো জায়িনের সাথে। অহংকারী জায়িনের মুখে নিজের প্রশংসা শুনে সত্যিই ভারী অবাক হয়েছে মিতুল। তবুও নিজের বিস্ময়াভাবকে বুঝতে না দিয়ে, ধন্যবাদ জানিয়ে জায়িনকে অতিক্রম করে এলো।
এরপর দেখা হলো ক্যামিলার সাথে। ক্যামিলা অধিক প্রশংসা করলো। যেন সুন্দর লাগার কথাটা একটু বাড়িয়েই বললো। তাতে মিতুলের বেশ লজ্জা লাগলো। মিতুল ক্যামিলাকেও জায়িনের মতো ধন্যবাদ জানিয়ে, অতিক্রম করে এলো।
এরপর একেবারে ঘর ছেড়ে বেরোনোর মুখে দেখা হয়ে গেল জোহানের সাথে। মিতুলের অগাধ বিশ্বাস জোহান আজ প্রশংসা করতে বাধ্য। মিতুল বেশ ভাব নিয়ে দাঁড়ালো জোহানের সামনে।
জোহান মিতুলকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিলো একবার। মিতুলের চোখে মুখে খুশি খুশি ভাব। মিতুল যে বেশ ফুর্তিতে আছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। জোহান গাম্ভীর্য মুখে বললো,
“এটা কী পরেছো?”
“শাড়ি।” খুশি খুশি মনে উত্তর দিলো মিতুল।
“এটা যে শাড়ি সেটা জানি আমি। তুমি এটা কেন পরেছো? জানো কেমন লাগছে তোমাকে দেখতে? জোকারের মতো লাগছে। মনে হচ্ছে আমার সামনে একটা জোকার দাঁড়িয়ে আছে। এক্ষুণি শাড়ি চেঞ্জ করে ফেলো গিয়ে।”
জোহানের কথা শুনে ভীষণ রকমের শক খেলো মিতুল। জোকারের মতো লাগছে মানে? জোহান আজকেও প্রশংসার বদলে অপমান করলো? এত ঘাড় ত্যাড়া এই জোহান? যেখানে ওর অহংকারী ভাই পর্যন্ত প্রশংসা করলো, সেখানে এই বদমাইশটা কিছুতেই স্বীকার করলো না যে ওকে সুন্দর লাগছে! এতটা খারাপ জোহান!
“জোকারের মতো লাগছে আমাকে? জোকার বললে তুমি আমায়? আমার আজকে মেজাজ খারাপ করার কোনো ইচ্ছা নেই। যদিও মেজাজ ইতোমধ্যে খারাপ করে দিয়েছো অনেকটা। আমি সেটাকে আর গুরুতর খারাপ করতে চাইছি না। তাই তোমার কথার উপযুক্ত জবাবটা আমি দিলাম না। কিছু বললাম না তোমাকে। কারণ, আমি খুবই ভালো মুড ধরে রাখতে চাইছি এখন। বুঝেছো?”
বলে হাসি খুশি মুখ নিয়ে জোহানকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল মিতুল।
জোহান ভাবছে এত সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছে মিতুল? কার্ল জোনাস? নিশ্চয়ই কার্লের কাছেই যাবে। নয়তো নাক ফুলো তুলতুলের মুখ এত খুশি প্রবণ লাগতো না!
মিতুল কার্লের দেওয়া ঠিকানায় চলে এসেছে।
কফি শপের ভিতর ঢুকতেই কার্লকে নজরে পড়লো। ব্ল্যাক শার্ট কার্লের গায়ে। বেশ সুন্দর লাগছে কার্লকে।
মিতুল এগিয়ে এলেই কার্ল বললো,
“গুড আফটারনুন রাবা!”
মিতুলও হাসি মুখে বললো,
“গুড আফটারনুন।”
কার্ল এতক্ষণ মিতুলের ড্রেসের দিকে নজর দেয়নি। শাড়ি পরা দেখে বললো,
“ওয়াও! ইউ লুকিং ভেরি ভেরি বিউটিফুল ইন দ্য বেঙ্গলি ড্রেস।”
মিতুল লজ্জা পেল। কার্লের মুখে প্রশংসা শুনে নিজের শাড়ি পরা স্বার্থক মনে হলো ওর। মিতুল লজ্জা মাখা মুখে বললো,
“থ্যাঙ্কস কার্ল!”
মিতুল কার্লের সামনের চেয়ার টেনে বসলো। কার্ল এর মাঝে অবাক কাণ্ড করলো। মোবাইল বের করে হুট করে কয়েকটা ছবি তুলে ফেললো মিতুলের।
মিতুল পড়লো এবার আরও বেশি লজ্জায়। মিতুলের চিন্তা হচ্ছে, লজ্জায় না আবার গাল দুটোতে লাল আভা ফুঁটে ওঠে।
কার্ল একজন স্টাফকে ডেকে দুই কাপ ব্ল্যাক কফি অর্ডার করলো। তারপর মিতুলের উদ্দেশ্যে বললো,
“শারি কি আমাকে দেখাবে বলে পরেছো?”
কার্লের কথায় মিতুল এবার মরে যায় যায় অবস্থা। ইশ, কার্ল এমন একটা প্রশ্ন করতে পারলো কী করে? মিতুলের গাল এবার সত্যিই লজ্জায় লাল হলো। লজ্জায় আর কিছু বলতেই পারলো না ও।
কার্লই আবার বললো,
“শারি কি ব্যাংলাডেশ থেকে নিয়ে এসেছো? না কি এখান থেকে কিনেছো?”
মিতুল এবার কথা বললো,
“এখান থেকেই কিনেছি। ওয়েস্ট এডমন্টন মল থেকে।”
“ওয়েস্ট এডমন্টন মল থেকে শপিং করে ফেলেছো ইতোমধ্যে? কার সাথে গিয়েছিলে? জোহ্যানের সাথে?”
“না না ওর সাথে যাইনি। ওর বড়ো ভাইয়ের সাথে গিয়েছি। তার নাম জায়িন আহমেদ!”
“জাইইইন?”
মিতুল মাথা নাড়িয়ে বললো,
“ইয়াহ।”
“সেও নিশ্চয়ই জোহ্যানের মতো ইন্টারেস্টিং পারসন?”
মিতুল জায়িনের সম্পর্কে কিছু বলবে বলে মুখ খুলেছিল, এর মাঝেই পিছন থেকে একটি মেয়েলি কণ্ঠ মৃদু সুরে ডেকে উঠলো কার্লকে।
“কার্ল!”
মেয়েটির কণ্ঠ থামিয়ে দিলো মিতুলকে। মিতুল শব্দ অনুসরণ করে পিছন ফিরে চাইলো।
দরজা থেকে এক পা সামনে দাঁড়ানো একটি মেয়ে। পরনে শর্টস এবং ব্লু শার্ট। মাথা ভর্তি কোঁকড়ানো রেড হেয়ার। মুখে প্রশস্ত হাসি। মিতুলের চোখ ফ্রেমে এতক্ষণ শুধু মেয়েটিই ছিল, এবার কার্লও যোগ হলো। কার্ল মেয়েটির কাছে যাচ্ছে। মেয়েটিকে এগিয়ে আনতে গেল না কি?
কার্ল মেয়েটির কাছে যেতেই মিতুল বিস্ময়ে অভিভূত হলো। মিতুল দেখলো ওর চোখের সামনে কার্ল হাসি মুখে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরেছে নিজের বুকে। মিতুলের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। মুখ ছেয়ে গেল গাঢ় কালো অন্ধকারে।
কার্ল এবং মেয়েটি একে অপরকে ছেড়ে দিলো। এরপর মেয়েটি চুমু খেলো কার্লের ঠোঁটে।
মিতুলের মনে হলো ওর হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে! কী দেখছে ও? জেগে জেগে কোনো দুঃস্বপ্ন?
কার্ল মেয়েটির হাত ধরে মিতুলের কাছে নিয়ে এলো।
মিতুল বিস্ময়াবিষ্ট চোখে তাকিয়ে দেখছে কার্ল এবং মেয়েটিকে। কার্ল আনন্দঘনিত কণ্ঠে বললো,
“রাবা, আমি তোমাকে বলেছিলাম না, আমার খুবই স্পেশাল একজন মানুষের সাথে মিট করাবো তোমায়? ইট’স শি!”
মেয়েটি মিতুলের দিকে হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলো,
“হ্যালো রাবা! আই অ্যাম অলিভার ব্যাটসন। তোমার সাথে দেখা করে আনন্দিত আমি।”
মিতুলের হাত পা অবশ লাগছে। মেয়েটি ওকে আগে থেকে চেনে? মিতুল খুব কষ্টে এক হাত উঠিয়ে হ্যান্ডশেক করলো। মুখে জোরপূর্বক হাসি আনার চেষ্টা করে বললো,
“আমিও আনন্দিত।”
কার্ল বললো,
“থার্ড মিটে তোমাকে বলেছিলাম একটা বিশেষ কারণ আছে যার জন্য আমি টরোন্টো থেকে এডমন্টনে এসেছি। বিশেষ কারণটা কী, সেটা সেদিন বলিনি। বলেছিলাম পরে একদিন বলবো। আমার সেই বিশেষ কারণটা হলো এই অলিভার। শি ইজ মাই লাভ, মাই ফিউচার ওয়াইফ। উই’আর গেটিং ম্যারিজ সুন।”
কার্লের কথা মিতুলের হৃদপিণ্ডে এসে আঘাত করলো! রক্তাক্ত হয়ে গেছে ওর হৃদপিণ্ড। বুকে রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে! ফিউচার ওয়াইফ? ম্যারেজ? লাভ?
(চলবে)