জান্নাহ্ “পর্বঃ১৬

0
3991

#জান্নাহ্
#পর্বঃ১৬
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি

বিক্ষিপ্তচিত্তে বসে আছে সারহান।তার সামনে রাখা ধোঁয়া উড়ানো কফির উষ্ণ হাওয়া মিলিয়ে গেছে প্রকৃতির বাতাসে।জানালায় টাঙানো সফেদ রঙের পর্দা স্থির হয়ে আছে।তাতে কোনো হেলদোল নেই।সুনসান নিরবতা।এসির ভোঁতা শব্দে আরও চটে যায় সারহানের মস্তিষ্ক।টেবিলে রাখা পেপার ওয়েটটার দিকে তীক্ষ্ম ও স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে।ইচ্ছে করছে এইটা মেরেই সামনে থাকা সম্মানীয় ব্যক্তির মাথাটা ফাটিয়ে দেই।কিন্তু তা সম্ভব হলেও আপাতত নিজের বেখেয়ালি,ইউজলেস ইচ্ছেকে অবদমন করলো সারহান।সরু ভ্রু জোড়া কুঁচকে চোয়াল শক্ত করে বললো–

“আর কতক্ষন ওয়েট করবো?
ও আদৌ আসবে!

সামনে থাকা ব্যক্তিটি চমৎকার হাসলেন।তার মোটা ভ্রু জোড়া নাচিয়ে তৎক্ষণাৎ গভীর অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন।মেজাজ বিঘড়ে যায় সারহানের।ঠোঁট গুঁজ করে বললো–

“চললাম আমি।টাইম ইজ ভ্যালুএবল রেদার দ্যান মানি।”

সারহান দুম করে উঠে দাঁড়াতেই দরজা স্লাইড করে ঢুকলো একজন শ্যামবর্ণে সুদর্শন পুরুষ।সাদা শার্টের সাথে কালো রঙের প্যান্ট।গলায় ঝুলছে কালো রঙের টাই।কনুই পর্যন্ত ফোল্ড করা হাতার বাম হাতে সিলভার রঙের হাতঘড়ি।ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের উপরিভাগে দুই ভ্রুয়ের সন্ধিস্থলে একটা তারকা চিহ্ন যা ইহতিশামের জন্মগত।এই চিহ্নের জন্যই তাকে তার আশেপাশের মানুষ অনেক স্পেশাল মনে করে।শ্যামবর্ণের হলেও তার বাচনভঙ্গি,দূরদর্শিতায় সে অন্যন্য।নিজের কাজের সাথে শরীরের যত্ন নেওয়াও একটা শখ বলা চলে ইহতিশামের।উচ্চ গ্রীবা,তীক্ষ্ম নাক,পুরু ওষ্ঠাধরে এক অদ্ভুত মোহনীয় পুরুষ।
দরজায় দাঁড়িয়েই নির্মল গলায় বললো–

“ম্যায় আই কাম ইন?

সরফরাজ প্রসন্ন হাসলেন।হাসি হাসি চোখে ইহতিশামকে ভেতরে আসার অনুমতি দিলেন।ইহতিশাম ভেতরে এসে চেয়ার টেনে বসলো।অরুনলোচন আঁখি নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে সারহান।ব্যাপারটা বুঝতে পেরেও সেদিকে কোনোরকম ভ্রুক্ষেপ করলো না ইহতিশাম।সরফরাজের সাথে উষ্ণ ভাবের আদান-প্রদান করে সারহানের দিকে তাকালো।হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় ঝলমলে হেসে কোমল গলায় প্রশ্ন করলো–

“কেমন আছিস?

সারহান উত্তর করলো না।জ্বলন্ত চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো।তার মাথার দুই পাশের শিরা ফুলে উঠেছে।তা দেখে মৃদু হাসলো ইহতিশাম।শান্ত গলায় পুনরায় বললো–

“ট্র্যাফিক ছিলো।আমি কী করবো বল?নিয়ম মানতে তো তুই ই শিখিয়েছিস আমাকে।”

সারহান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো।কোনো কথা বললো না।ইহতিশাম কিঞ্চিৎ অধর প্রসারিত করে বললো–

“বললি না কেমন আছিস?

সারহান তপ্ত গলায় বললো–

“কেন ডেকেছিস?

চোখে হাসলো ইহতিশাম।ইহতিশাম সম্পূর্ণ সারহানের বিপরীত চরিত্রের মানুষ।কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তাদের মিল ছিলো যা এখন আকাশ আর পাতালের মতো।ইহতিশাম কানে নিলো না সারহানের ক্ষীপ্ত কথা।নরম গলায় বললো–

“তোকে দেখতে ইচ্ছে হলো তাই।আমি বললে তো আসতি না।”

সারহান নাকের পাটা ফুলিয়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললো।গনগনে গলায় বললো–

“তোর আর আমার মাঝে এমন কিছুই নেই যে তুই বললেই আমাকে আসতে হবে।”

চেয়ারটাকে জোর করে সরিয়ে উঠে দাঁড়ায় সারহান।সরফরাজ চকিত হয় সারহানের ব্যবহারে।এর আগেও অনেক কেসে তারা দুইজন একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে।সবসময়ই অস্বাভাবিক ব্যবহার সারহানের।ইহতিশাম যতই সবটা সফ্টলি হ্যান্ডেল করতে চায় সারহান তাদের সম্পর্কটা আরো জটিল করে ফেলে।দরজার কাছে গিয়ে থমকে যায় সারহান।তার চলে যাওয়ার অতর্কিত ঘটনায় উঠে দাঁড়ায় ইহতিশাম।দুই হাত পকেটে গুঁজে দৃঢ় হয়ে দাঁড়ায় সারহান।চোখ দুটো স্বাভাবিক রেখে তীর্যক গলায় বললো–

“নারকেল জিঞ্জিরার নারকেল তেল দেওয়া বন্ধ কর চুলে।এই গন্ধে ট্রাঞ্জেন্ডার তো দূরে থাক শীমেলও জুটবে না তোর।”

অনেকটা আক্রোশ নিয়ে থাই স্লাইড করে বের হয় সারহান।সারহানের উদ্ভট কথায় হতভম্ব সরফরাজ স্মিত গলায় বললো–

“এইসব কী বললো সারহান?

ইহতিশাম বিগলিত হাসলো।সরস গলায় বললো—

“মানুষের শরীরে দুইশ ছয়টি হাঁড়।সারহানের ঘাড়ের একটা হাঁড় বাঁকা যা ওর মা হাজার চেষ্টা করেও সোজা করতে পারেনি।”

এই কথায় হাসতে ইচ্ছে হলো সরফরাজের।কিন্তু সে হাসলো না।তার মনে পড়লো সামিরার কথা।সরফরাজের একমাত্র মেয়ে।যার খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য ইহতিশাম কে আনা হয়েছে।ইহতিশাম ফোঁস করে এক দম ছাড়লো।স্বগতোক্তি করে বললো–

“হয়তো আমার ওই একটা ভুলে সারহান আজ এতোটা বিপর্যস্ত !

ইহতিশাম দাঁড়ানো থেকে বসলো।নরম চোখে সরফরাজের দিকে তাকালো।তিনি একটা ফাইল এগিয়ে দিলেন ইহতিশামের দিকে।ইহতিশাম শীতল গলায় বললো–

“ওয়েল।সামিরার মোবাইল আর এফ বি অ্যাকাউন্ট?

সরফরাজ মোলায়েম গলায় বললেন–

“মোবাইলটা পাওয়া যায়নি।আর বাকি সব এই ফাইলেই আছে।আমি চাই যত দ্রুত সম্ভব তুমি খুনি কে আমার সামনে নিয়ে আসবে।আমি তাকে একটা প্রশ্নই করবো কেন সে আমার মেয়েকে এতো নিষ্ঠুর মৃত্যু দিলো?

সরফরাজের গলা জড়িয়ে আসে।নিজের একমাত্র মেয়েকে নিজের চোখের সামনে ওইভাবে দেখার চেয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা সুখময়।
,
,
,
টেবিলের উপর দুই হাতের ভাঁজের উপর মাথাটা কাত করে দিয়ে জান্নাহ্ এর দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে আছে রাফাত।তার চোখ দুটো অদ্ভুদভাবে খেলছে।বোরখা পরা থাকলেও মুখটা আজ খোলা জান্নাহ্ এর।

দুপুরের এই সময়টা লাইব্রেরি অফ থাকে।লাইব্রেরিয়ান আঙ্কেল লাঞ্চ করতে যায়।আর এই সময়টাই রাফাত কাটায় তার রেড চেরির সাথে।তাদের থেকে চার পাঁচ বেঞ্চ পেছনে বসে আছে ইশাক।চোখের সামনে বই থাকলেও তার কান উৎকর্ণ হয়ে আছে রাফাত আর জান্নাহ্ এর কথোপকথনে।মাথার উপরেই ফ্যান।সেই বাতাসেই উড়ছে জান্নাহ্ এর কাটা কাটা সামনের ছোট চুল।লাইব্রেরির উত্তর পাশের জানালা দিয়ে ঈষৎ হলুদ রোদ আসছে।তাতে ঝলমল করছে সেখানকার ফ্লোর।
আড়চোখে রাফাতের দিকে তাকিয়ে মৃদু গলায় জান্নাহ্ বললো–

“এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন?

রাফাতের মধ্যে কোনো ভাবাবেশ হলো না।সে চেয়ে রইলো।জান্নাহ্ সামনে থাকা বই থেকে চোখ সরিয়ে ভ্রু কুঁচকে রাফাতের দিকে তাকায়।রাফাত রহস্য হাসে।মাথাটা উঠিয়ে দুই হাতের উপর চিবুক রেখে সহজ গলায় বললো–

“অনেক বড় হয়ে গেছো তুমি।”

জান্নাহ্ স্মিত হাসলো।সরস গলায় বললো–

“সাড়ে তিনবছর।অনেকটা সময় রাফাত।”

রাফাত গম্ভীরভাবে মাথা দোলায়।আলতো হেসে বললো–

“অনেক সুন্দরও হয়েছো তুমি।এই তোমার নাকটা এতো চিকন হলো কী করে!আগে তো মোটা ছিলো।”

জান্নাহ্ হাসির ছলে ঘোর আপত্তি করে বললো–

“মোটেও না।”

রাফাত সোজা হয়। চেয়ারে ঠেস দিয়ে বসে।বিরসমুখে বললো–

“শুনেছি বিয়ের পর নাকি মেয়েদের রূপ খেলে উঠে।তোমাকে দেখে বিশ্বাস হলো।অবশ্য বয়সন্ধিকালের পর মেয়েরা এমনিতে সুন্দর হয়ে যায়।”

কপট রাগি চোখে তাকায় জান্নাহ্।গা দুলিয়ে হেসে উঠে রাফাত।জান্নাহ্ সরস গলায় প্রশ্ন ছুঁড়ে–

“আঙ্কেল,আন্টি কেমন আছে?

রাফাত সোজা বললো–

“ভালো।”

“রোশনি আপু?

“ভালো।”

“পুঁচকোটা কতোবড় হয়েছে এখন?নিশ্চয়ই হাঁটতে পারে?

রাফাত আমুদে গলায় বললো–

“শুধু হাঁটতে না দৌঁড়াতেও পারে।”

সরস হাসে জান্নাহ্।আচমকা রাফাত থম মেরে যায়।কৌতুহলপ্রদ হয়ে বললো–

“তোমার পরিবারে কে কে আছে?

জান্নাহ্ অনেক আগ্রহ নিয়ে বললো–

“বাবা,আম্মা,শুভ্রা আপু,সেরাজ ভাইয়া আর তাদের ছেলে জাবিন,মেয়ে তিতি।”

বিরস হাসলো রাফাত।হতাশ গলায় বললো–

“সব তো একই।শুধু আমার জায়গায় অন্যকে বসালে।”

জান্নাহ্ থম মেরে যায়।কিছুক্ষন দুইজন কোনো কথা বললো না।জানালা দিয়ে কাকের ডাক শোনা যাচ্ছে।স্কুলের পাশে থাকা কৃষ্ণচূড়ার গাছ থেকে একটা অজানা পাখির আওয়াজও শোনা যাচ্ছে।মৌনতা ভেঙে জান্নাহ্ বললো–

“তোমার গার্লফ্রেন্ডের কী খবর?

রাফাত হাসলো।রসালো গলায় বললো–

“বিয়ে হয়েছে।টু মানথ প্রেগন্যান্ট।”

খিলখিল করে হেসে উঠে জান্নাহ্।ফিচেল গলায় বললো–

“ছ্যাকা খেলে আবার!ট্রু ছ্যাকা খোর তুমি।”

রাফাত নিরাশ গলায় বললো–

“সেইটার শুরু তো তুমিই করলে।”

ছোট্ট দম ফেললো জান্নাহ্।জান্নাহ্ যতই চাইছে রাফাতকে মোটিভেট করার ততই সে আরো ভেঙে পড়ছে।রাফাতের ক্লাসমেট অনিতা রাফাতকে পছন্দ করতো।কিন্তু এতো সিদ্ধ করার পরও যখন ডাল গললো না তাই একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ির গলায় মালাটা পড়িয়েই দিলো অনিতা।
রাফাত একটা ছোট্ট জার এগিয়ে দেয় জান্নাহ্ এর দিকে।ছোট্ট জারে লাল লাল চেরি।আপ্লুত হয় জান্নাহ।তা খুলেই একটা মুখে দেয়।উৎসুক গলায় প্রশ্ন করলো–

“তুমি এনেছো?

“উঁহু।আমার এক বন্ধুকে দিয়ে স্পেন থেকে আনিয়েছি।”

বন্ধুর কথা বলতেই ইশাকের দিকে তাকায় জান্নাহ্।জান্নাহ্ এর চোখের আগত প্রশ্ন পড়ে ফেললো রাফাত।স্বাভাবিক কন্ঠে বললো–

“ইশাক আমার সাথেই পড়তো।ওর বাড়ি কুমিল্লা।জাপান গিয়েই আমাদের পরিচয়।রক্তের সম্পর্কবিহীন আত্নার সম্পর্ক।”

জান্নাহ্ ফিচেল হেসে বললো–

“এই জন্যই তোমার মতো পাগলের পাল্লায় পড়ে সব ছেড়ে ছুড়ে এখানে এসে পড়েছে।”

জান্নাহ্ এর কথার পেছনেই বলে উঠে রাফাত—

“”পাগল তো তুমি আমায় করলে।এখনো কিছুই বললে না আমাকে।বিয়ে কেন করলে তুমি?

জান্নাহ্ ছোট্ট দম নিয়ে বললো—

“যা হওয়ার হয়ে গেছে রাফাত।আমার ভাগ্যে যা ছিলো তাই হয়েছে।”

“ভাগ্যকে দোষ দিয়ে নিজের অপরাধ ঢাকতে চাইছো?

জান্নাহ্ অপরাধি চোখে তাকায়।রাফাতের নিষ্প্রভ চোখ জোড়া ব্যথাতুর।কিন্তু জান্নাহ্ এর কিছুই করার নেই।তার পক্ষে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।লাইব্রেরিতে শুধু বইয়ের সমাগম সেই সাথে প্রাণহীন কাঠের টেবিল চেয়ার।নিঃশ্বাসের আওয়াজও যেনো কাঁপিয়ে দেয় একে অন্যকে।রাফাত আর জান্নাহ্ কেউ কথা বললো না।তাদের চোখ জোড়া বলে যাচ্ছে কথা প্রগাঢ়ভাবে একে অন্যের সাথে।নিস্তব্ধতায় ছন্দ তুললো রাফাত,বললো–

“তোমার হ্যাজবেন্ড কী করে?

“জার্নালিস্ট।”

“কোন পেপারের?

“জানি না।”

রাফাত কপট বিস্ময় প্রকাশ করে বললো–

“হাসালে।হ্যাজবেন্ড কোন পেপারের সাংবাদিক জানো না!

জান্নাহ্ কাঠখোট্টা গলায় বললো–

“প্রয়োজনবোধ করিনি।”

“সত্যিই কী আঙ্কেল আন্টি একে অপরকে…।”

ধক করে উঠে জান্নাহ্ এর বুক।নিজের বাবা মায়ের মৃত্যুকে সে ভুলতে চায়।ভুলতে চায় সে ভয়ংকর রাতের কথা।ভুলতে চায় সেই অবিশ্বাস্য সত্য।ভুলতে চায় তার ভয়ংকর অতীত।যা আজও তাকে রাতে ঘুমাতে দেয় না।নিজেকে যথাসম্ভব অটোল রেখে শক্ত গলায় জান্নাহ্ বললো–

“মাম্মা অ্যাডিক্ট ছিলো।”

ফোঁস করে দম ফেললো রাফাত।গাঢ় গলায় বললো–

“আমি আগেই বলেছিলাম আন্টিকে ট্রিটমেন্ট করাতে।বাট আঙ্কেল..।”

একটা শক্ত ঢোক গিলে উঠে দাঁড়ায় জান্নাহ্।ব্যস্ত গলায় বললো–

“আমার কোচিং আছে।যেতে হবে।”

উঠে দাঁড়ায় রাফাত।নির্মল গলায় বললো–

“আচ্ছা যাও।”

কয়েক কদম গিয়ে ফিরে আসে জান্নাহ্।রাফাতের চোখে চোখ রেখে বললো–

“তিলকে দেখেছো?

রাফাত ভ্রু ক্রুটি করে গম্ভীর গলায় বললো–

“কোন তিল?

“আমার বান্ধবী তিল।”

“কেন?কী হয়েছে?

“ও তোমাকে পছন্দ করে।অনেক ভালো মেয়ে।”

ঝরা হাসে রাফাত।উপহাস করে বললো–

“মৃত নদীতে জোয়ার আসে না জান্নাহ্।”

রাফাতের কথায় প্রত্যুক্তি করে জান্নাহ্–

“মৃত নদী যদি খরস্রোতা নদীর সংস্পর্শে আসে তাহলে সে প্রাণ ফিরে পায়।”

“অনেক বড় হয়ে গেছো তুমি।জটিল জটিল কথা বলতে শিখেছো।আফটার অল আমার ছোট্ট রেড চেরি এখন কারো বিবাহিত স্ত্রী।কিন্তু তাই বলে অন্যের দেওয়া প্রাণের আমার দরকার হবে না।তুমি ফিরবে আমার রেড চেরি হয়ে?

“তা সম্ভব নয় রাফাত।”

দুর্বোধ্য হাসলো রাফাত।বললো–

“তোমার হ্যাজবেন্ডের নাম টা বললে না রেড চেরি।আজকাল জিঙ্গেস না করলে কোনো কিছুই বলো না।পর হয়ে গেলে।”

জান্নাহ্ ভারি গলায় বললো–

“সারহান।সারহান জেইদি।”

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here