জীবনের গল্প পর্ব-৩৩

0
513

__________জীবনের গল্প__________
লেখক: ShoheL Rana
____________পর্ব:-৩৩___________

সন্ধ্যারদিকে বৃষ্টি থামলো। বাইরে ভেজা স্যাঁতসেঁতে তাই রাজ আর বের হলো না। ছোট চাচি চালের গুঁড়ো দিয়ে পিঠা বানিয়েছে। রাজ, বীথি, মনি, বড় ফুফি ওরা গোল হয়ে বসে পিঠা খাচ্ছে। মেজো চাচির ঘর থেকে তখন চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শোনা গেল।
-কী হয়েছে?’ পিঠা খেতে খেতে অবাক হয় রাজ।
-মা ছেলে ঝগড়া করছে ওরা। প্রায় এরকম হয়। ছেলেটা হয়েছে জন্মের খারাপ।’ জবাব দেয় বড় ফুফি।
-ছেলে মানে আসাদ?
-আর কে? ছোটবেলায় তো দেখেছিস কেমন দুষ্ট ছিল। বড় হয়ে আরও বেশি খারাপ হয়ে গেছে খারাপ ছেলেদের সাথে মিশে। সিগারেট খায়, জুয়া খেলে। মাঝেমাঝে নাকি মদও খায় চাকমা পাড়ায় গিয়ে।
-আমরা আসার পর থেকে তো ওকে একটুও দেখতে পায়নি…’
-দেখবি কী করে? ও কি বাসায় থাকে? মদ খেয়ে পড়ে থাকে চাকমা পাড়ায়। শুনেছি চাকমা কোন একটা মেয়েকে নাকি পছন্দ করে। আর চাকমা পাড়ায় গিয়ে কয়েকবার মারও খেয়ে এসেছে ওদের হাতে।
-এতো বিগড়ে গেছে ও?
-মায়ের কারণেই বিগড়ে গেছে ছেলেটা। ছোটবেলা থেকে কম মার খায়নি মায়ের হাতে।’ গলাটা নিচু করে বললো বড় ফুফু। মনি তখন মাকে কিছুটা ধমকের সুরে বললো,
-হয়ছে। তোমাকে আর ওদের কথা বলতে হবে না।
-যা সত্যি তাই তো বলছি। মা আরও বেশি খারাপ। তোর মায়ের সাথেও কতো ঝগড়া করতো। তোমরা তো ওর কারণেই চলে গিয়েছিলে। এখন তোর ছোট আম্মুর সাথে ঝগড়া করে।’ পা দুইটা সামনে টেনে তক্তার উপর বসে একনাগাড়ে কথাগুলো বললো বড়ফুফি। মনি আবার বললো,
-কী শুরু করেছো মা বলো তো? রাজ তুমি মায়ের কথায় কান দিও না।’ প্রথম কথাটা জোর দিয়ে বললেও শেষের কথাটা বলার সময় কণ্ঠ নরম হয়ে এলো মনির। রাজ একবার তাকালো মনির দিকে। মনি চোখ নামিয়ে ফেললো। না, রাজ বড় ফুফির কথাগুলো তেমনভাবে নেয়নি। বড় ফুফি হয়তো কোনো রাগ থেকে মেজো আম্মুকে ছোট করতে চাইছে। এটাই স্বাভাবিক। রাজ উঠে দাঁড়ালো।
-কোথায় যাচ্ছিস পিঠা না খেয়ে?’ পা দুইটা গুটিয়ে, ওড়নাটা গলা থেকে মাথায় দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলো ফুফি।
-কী হয়েছে দেখি ওখানে…’
-আচ্ছা যা।’
রাজ বের হয়ে মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটের আলোতে ইটের উপর পা ফেলে ফেলে মেজো চাচির ঘরে এলো।
-কী হয়েছে এখানে?’ ঘরে ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞেস করলো রাজ।
-কী আর হবে? আমার হয়েছে পোড়াকপাল। তোর ভাইটাকে একটু বোঝা। আজ দুইদিন পর ঘরে ফিরেছে। মুখ থেকে কেমন মদের গন্ধ বের হচ্ছে দেখ।
-কী রে, আসাদ চিনতে পারছিস আমাকে?’ আসাদের কাঁধ চাপড়ালো রাজ। রাজের দিকে মুখ তুলে তাকালো আসাদ। হয়তো চিনতে পারেনি। চিনবেই বা কী করে? ওরা যখন চলে গিয়েছিল, আসাদ তখন ছোট ছিল। চেহারা কি মনে রাখা যায়?
-আরে আমি তোর রাজ ভাইয়া। চল, আমার সাথে চল।
-কোথায়?’ আলতো স্বরে জিজ্ঞেস করে আসাদ।
-ছোট আম্মু পিঠা বানায়ছে। খাবি চল…’ হাত ধরে বের করে আনলো রাজ আসাদকে। তারপর বললো,
-যা, টিউবওয়েলে গিয়ে আগে ফ্রেশ হয়ে আয়।’
বাধ্য ছেলের মতো আসাদ টিউবওয়েলে গেল। টিউবওয়েল চেপে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আবার রাজের পাশে এসে দাঁড়ালো। রাজ ওকে নিয়ে ছোট আম্মুর ঘরে এলো। ওখানে সবাই আছে। বড় ফুফি আসাদের দিকে একটা তক্তা এগিয়ে দিয়ে বললো,
-বস এখানে… রেশমা আরও কিছু পিঠা দাও প্লেটে।’
ছোট আম্মু আরও কিছু পিঠা এনে রাখলো প্লেটে। আসাদ একটা পিঠা নিয়ে চুপচাপ খেতে লাগলো। বীথির মন কিছুটা ভালো হয়েছে তখন। আসাদকে কোনো কথা না বলতে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
-এই আসাদ, চিনতে পারছিস আমাকে?’
-বীথি আপু?’ হাসার চেষ্টা করলো আসাদ।
-কীভাবে চিনলি?
-রাজ ভাইয়া আসছে, তাই আন্দাজ করলাম।
-বাহ্, তোর তো আন্দাজ তো ভালোই। তা কীসে পড়িস?
-ওর আর পড়ালেখা? ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়ে আর পড়েনি। কোন চাকমা মেয়েটা তার মাথা খারাপ করে দিছে কে জানে?’ বলে উঠলো মনি। মনির কথা শুনে আসাদ খাওয়া থামিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকালো ওর দিকে। মনি দুহাত সামনে বাড়িয়ে আত্মরক্ষার ভঙ্গিতে বললো,
-ঠিক আছে, ঠিক আছে, তুই খা।’
আসাদ আবার চুপচাপ খেতে লাগলো।
পরদিন সকাল নয়টায় খাবার খেয়ে বের হলো রাজ। আকাশে মেঘ নেই, সূর্যের দেখা মিলেছে আজ। রাজকে রাস্তার দিকে যেতে দেখে মেজো চাচি জিজ্ঞেস করলো,
-কোথায় যাচ্ছিস রাজ?
-ঐতো ওদিকে যাচ্ছি…
-রিপাকে একটু নিয়ে যা সাথে। ওকে ওর স্কুলে ঢুকিয়ে দিস…’ বলেই মেজো চাচি তার মেয়ের উদ্দেশ্যে ডাক দিলো,
-এই রিপা, হয়েছে তোর? ব্যাগ নিয়ে বের হ তাড়াতাড়ি। তোর রাজ ভাইয়া তোকে স্কুলে পৌঁছে দেবে।’
কিছুক্ষণ পর মেজো চাচির মেয়েটা বের হয়ে এলো। রাজ তার একটা হাত ধরে হাঁটতে লাগলো,
-কোন ক্লাসে পড়িস রে তুই?’ জিজ্ঞেস করে রাজ।
-ক্লাস থ্রিতে।’
-স্কুলে পড়া পারিস তো? নাকি…
-পারি…’
-আইসক্রিম খাবি?’
রিপা চুপ করে থাকে। রাজ মন্টুর দোকানে ঢুকে বললো,
-কীরে মন্টু, কী খবর? কখন খুলেছিস দোকান?
-অনেকক্ষণ আগে।’ হেসে জবাব দেয় মন্টু।
-রিপাকে একটা আইসক্রিম দে…’
মন্টু একটা আইসক্রিম বের করে দিলো। রিপা আইসক্রিমটা নিয়ে খেতে শুরু করলো। রাজ আইসক্রিমের দাম দিয়ে বেরিয়ে এলো দোকান থেকে। স্কুলের কাছাকাছি আসতেই রাজের ফোন বেজে উঠলো। চাঁদনি ফোন করেছে। স্ক্রিনের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে রাজ রিপাকে বললো,
-রিপা তুই স্কুলে ঢুকে যা কেমন?’
-আচ্ছা।’ রিপা স্কুলে ঢুকে গেল। চাঁদনির ফোনটা কেটে গেছে। রাজ ফোন ব্যাক করলো ওকে। রিং হওয়ার সাথে সাথেই ফোন রিসিভ করলো চাঁদনি।
-হ্যালো…’ চাঁদনির আলতো কণ্ঠস্বর শোনা গেল।
-হুমম…’ অস্ফুটে শব্দ করলো রাজ।
-কেমন আছো?
-হুমম… ভালো। আমি তো ভাবলাম আমাদের বুঝি আর কথা হবে না।
-আমার প্রতি কি এতটুকু বিশ্বাস ছিল না তোমার?
-হুমম, ছিল। ছিল বলেই তো তোমার ফোনের অপেক্ষা করতাম।
-আসলে ব্যাপারটা নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল ভাইয়ার সাথে। এখন ভাইয়াও রাজি।
-রাজি মানে?’ হাসি ফুটে উঠলো রাজের ঠোঁটে।
-মানে এখন আর আমাদের কোনো বাধা নেই।
-সত্যি?
-হুমম… জানো, ভাবী তার জবটা ছেড়ে দিয়েছে।
-কেন?
-ঐদিন তোমার কথাগুলো ভাবীকে অনেক ভাবিয়েছে। তারপর জবটা ছেড়ে দেয়।
-আমার কথায় কষ্ট পেয়ে?
-আরে না। ভাবীর ভুলটা বুঝতে পেরেছে। ভাবী এখন আমার মাথায় তেল মাখিয়ে দেয়, মায়ের মাথায় তেল মাখিয়ে দেয়, চুল আঁচড়ে দেয়। আমিও ভাবীর চুল আঁচড়ে দিই। জানো, মুহূর্তগুলো কতো মধুর মনে হয়?
-হুমম, জানি।
-কাল আমি আর ভাবী ঘুরতে যাবো।
-কোথায়?
-তোমাদের গ্রামে।
-মানে?
-হুমম, ভাবী আর আমি আসবো তোমাদের গ্রামে ঘুরতে।
-আমি গ্রামে এসেছি তুমি কেমনে জানো?
-তুমিই তো টেক্সট করে বলেছিলে আমার নাম্বারে। আমি টেক্সটটা গতকাল পায়।
-সত্যি সত্যি আসবে আমাদের গ্রামে?
-হুমম..
-চিনবা তো?
-গুগল ম্যাপ আছে না?
-আচ্ছা এসো… আমি সবাইকে বলে রাখবো।
-আচ্ছা…’ চাঁদনির হাসি শোনা গেল।

বিকেলের দিকে নদীর ধারে ঘুরতে এলো রাজ। এই সময়টাতে প্রতিদিন আবুল চাচা মাছ ধরতে আসে। আবুল চাচা জালটাকে পেঁচিয়ে ধরে ছুড়ে মারছিলো নদীতে। রাজকে দেখে বললো,
-রাজ বাবাজি, তুমি হঠাৎ এইহানে?
-একসময় প্রতিদিন এখানে এসে সময় কাটাতাম। আমার প্রিয় জায়গা এটা, জানো না?
-হুমম… জানি তো।
-কেমন পড়ছে মাছ?
-এইতো, পড়ছে ভালাই। তা গ্রামে কি বেশ কয়েকদিন থাইকবা? নাকি চইলা যাইবা?
-ইচ্ছে তো হয়, আবার আগের মতো জীবন কাটাতে। সবাইকে নিয়ে আবার যদি আমাদের পরিবারটা গড়ে উঠতো, কতো ভালো হতো তাই না চাচা?
-হুমম… একটা ভালা পরিবার আছিল তোমাগোটা। কী যে হইয়া গেল।’ আফসোস করলো আবুল চাচা। জাল টানতে লাগলো ধীরে ধীরে।
-তা চাচা তোমার পরিবারের কী খবর?
-আছে…’ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো আবুল চাচা। তারপর আবার বললো,
-আল্লাহর রহমতে ভালাই আছে। বড় মাইয়া চাইরটার বিয়া দিছি। ছোডটারও বিয়ার সম্বন্ধ আইতাছে। ভালা কোনো ঘর পাইলেই দিয়া দিমু।’ জালে বেশকিছু মাছ পড়ছে আবুল চাচার। মাছগুলো বালতিতে একটা একটা করে ভরতে লাগলো চাচা।
-ভালোই তো। তারপর সংসারের ঝামেলা অনেকটা কমবে।
-হুমম…’ কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে আবুল চাচা বললো,
-তয় মন্টুরে নিয়ে চিন্তায় আছি।
-কেন? মন্টুর কী হয়েছে?
-ঐ আগের মতোই আছে। মাঝেমইধ্যে রাতের বেলায় কই যেন চইল্লা যায়।
-ওর মায়ের কি আর কোনো খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল?
-নাহ্, মাইয়াডার আর কোনো খোঁজ পাওন যায়নাই। হয়তো মন্টুর লাহান আরও বাচ্চা পয়দা কইরা গেছে অন্য কোথায় যাইয়া। মানুষগুলারে বিশ্বাস নাই, বুঝলা বাবাজি? মানুষগুলারে বিশ্বাস নাই। পাগলদের উপরও কুকাম করতে ছাড় দেয় না।
-হুমম চাচা, ঠিক।’
কিছুক্ষণ নীরব রইলো দুজন। আবুল চাচা মাছগুলো সব বালতিতে ভরে, আবারও জাল পেঁচিয়ে ধরলো। জালটা নদীতে ছুড়ে মেরে বললো,
-তয় মাইয়াডা মইরাও যাইতে পারে। পাগলদের মরণ তো জানোই বাবাজি। পথে ঘাটে, রাস্তায় মরণ হয় তাগোর। তয় আমারও উপকার হয়ছে। পাগলিডার জন্যই আমি মন্টুরে পাইছি। আমার ছেলের অভাবডা পূরণ হয়ছে। পাগলিডা যেহানে থাকুক, ভালা থাকুক।’
আবুল চাচার দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো এবার রাজ।
.
.
রাতের আকাশটাও পরিষ্কার আজ। আকাশে কোনো মেঘ নেই। চাঁদটা নির্লিপ্ত আলো ছড়াচ্ছে উজ্জ্বলভাবে। রাজ এবং মনি উঠোনের লম্বা বেঞ্চটাতে বসে আছে মাঝখানে দূরত্ব রেখে। ওরা নড়লে সামনে ওদের ছায়া দুটোও নড়ে। হাতদুটো কোলের উপর নিয়ে নিচের দিকে চেয়ে আছে মনি, আর রাজ চেয়ে আছে সড়কের উপর। ব্যস্ত সড়কটাও ঘুমিয়ে পড়েছে রাতের নীরবতায়। রাজ এবং মনিও নীরব হয়ে আছে। হঠাৎ নীরবতা ভেঙে রাজ বললো,
-আরেকটা বিয়ে করছো না কেন?’
কয়েক মুহূর্ত পর জবাব দিলো মনি,
-একবারেই সাধ মিটে গেছে। দ্বিতীয়বার আর বিয়ে করার ইচ্ছে নেই।
-নিজের জীবনটা এভাবে শেষ করে দিবে?
-বিয়ে না করলে বুঝি জীবন নষ্ট হয়ে যাবে?
-ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করো একবার?
-ভবিষ্যৎ? আমি সেলাইয়ের কাজ জানি। ভবিষ্যতে ঠিকই চলতে পারবো।’
কিছুক্ষণ চুপ রইলো দুজন। তারপর মনি আবার বললো,
-তাছাড়া এদেশে খুব কম সংখ্যক লোক বিধবাদের বিয়ে করতে চাই। আর আমিও চাই না দ্বিতীয়বার কাউকে স্বামী মানতে।
-প্রথম স্বামীকে বুঝি খুব ভালোবাসতে?
-বাসতাম তো?
-সত্যি কি ভালোবাসতে পেরেছিলে?
-পারবো না কেন? হু..মম পেরেছি।’ গলাটা কেঁপে উঠলো মনির।
-পেরেছো? তাহলে কণ্ঠ এমন শোনাচ্ছে কেন? গলা কাঁপছে কেন তোমার?
-কই? আমি ঠিক আছি।’ স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলো মনি।
-বিয়ের আগে মনের অজান্তে যাকে ভালোবেসেছিলে, তাকে কি কখনও ভুলতে পারবে?’
চমকে উঠে তাকায় মনি রাজের দিকে। তারপর নিজেকে সামলিয়ে বললো,
-আমার ঘুম পাচ্ছে। ঘুমাতে যাচ্ছি আমি।’ বলেই বেঞ্চ থেকে নেমে দুইপা এগোলো। রাজ পেছন থেকে ডাক দিলো,
-মনি…’
দাঁড়িয়ে পড়লো মনি। এখনও রাজের মুখে নিজের নাম শুনলে ওর পা দুইটা যেন থমকে যায়। রাজের দিকে ঘুরলো সে। রাজ বললো,
-আমিও প্রেম করি একটা মেয়ের সাথে।
-তাই? নাম কী? দেখতে কেমন?’
-নাম চাঁদনি। দেখতেও নামের মতো।
-বেড়াতে নিয়ে এসো একদিন।
-কাল আসবে, ওর ভাবীকে একসাথে নিয়ে।’
-ওহ্। আসলে ভালোই। রাত হয়েছে, ঘুমোতে যাও, এখানে আর বসে থেকো না।’ আলতো কণ্ঠে কথাটা বলে ঘুমোতে চলে এলো সে। ওর মা আর ও পাশাপাশি ঘুমায় এক বিছানায়। মা আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে। সেও শুয়ে পড়লো মায়ের পাশে। কেন জানি খুব কান্না পাচ্ছে তার। কিছুতেই আটকে রাখতে পাচ্ছে না। তখন রাজ যতো সহজে তার প্রেমের কথা স্বীকার করেছিল, ততো সহজে নিতে পারেনি মনি ব্যাপারটা। খুব কষ্ট হচ্ছে তার। তবে কি সে এখনও রাজকে ভালোবাসে? রাজকে চাই? না, না, এটা সম্ভব না। বিধবাদের রঙিন স্বপ্ন দেখা পাপ। বালিশের সাথে মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে উঠলো মনি, যাতে নিজের কান্নার শব্দে মায়ের ঘুম ভেঙে না যায়।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here