তবু মনে রেখো পর্ব-১০

0
5820

তবু মনে রেখো
১০ম পর্ব

সোফায় বসে ইফতির তীক্ষ্ণ দৃষ্টি শুধু নিহাল আর শিমুলের দিকে, যেন চোখ দিয়ে আগুণ বের হচ্ছে তার। সেই আগুণে ভষ্ম করে দিবে নিহালকে। অথৈর এতো ভালো খাতির নিহালের সাথে এতেও তার মেজাজ খারাপ হচ্ছে। ‘মামা’ ‘মামা’ করে পাগল করে দিচ্ছে, কই তাকে তো এতো আদর করে ‘বাবা’ ডাকে না সে। মোট কথা ইফতির ইচ্ছে করছে এখনই নিহালকে বের করে দিতে। কিন্তু পারছে না, কারন তার বাবা-মা সামনে আছেন আর তারা নিহালকে আদর আপ্পায়নে লেগে পড়েছেন। আর নিহাল ও সেই দেড় ঘন্টা যাবৎ আঠার মতো বসে আছে তো আছেই। কই ভেবেছিলো মেয়ে আর বউ কে নিয়ে একটু ঘুরে আসবে হলো কই, বজ্জাত লোকটা এসে প্লানে পানি ঢেলে দিয়েছে।
– বাবা তুমি তো কিছু খাচ্ছো না?
– আন্টি খাচ্ছি তো। এমনেও শিমুলফুলের হাতের পিয়াজু আমি তো এক প্লেট একাই শেষ করতে পারি।

নিহালের মুখে শিমুলফুল শুনে যেনো আরো মেজাজ খারাপ লাগছে ইফতির। মাথা ধরার বাহানায় নিজের রুমে চলে গেলো। সব কিছু ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে করছে, একজন নারী যেমন অন্য নারীর মনের গহীনে ঢুকতে পারে। একজন পুরুষ ও ঢুকতে পারে। নিহালের চাহনি, কথাবার্তা জানান দিচ্ছে সে শিমুলকে চায়। আচ্ছা শিমুলের চোখে এটা পড়ে নি! নাকি শিমুল ও তাকে.. না না তা কি করে হবে। এটাই হওয়ার ছিলো তবে কেনো তাকে বিয়ে করলো ও। ইফতি পুরো ঘেটে ঘ হয়ে রয়েছে, হাত দিয়ে মাথা চেপে বসে রইলো খাটের উপর৷
– আপনার কি খুব খারাপ লাগছে?

মুখ তুলে শিমুলের দিকে তাকিয়েই এক মিনিট দেরি না করে তাকে জড়িয়ে ধরলো ইফতি, যেনো ছেড়ে দিলেই পালিয়ে যাবে। শিমুলকে এই প্রথম স্বজ্ঞানে জড়িয়ে ধরেছে ইফতি। মুহুর্তে যেন জমে গেলো সে, শরীরে রক্ত যেন ছলকে উঠেছে। ভালোবাসার মানুষটির পরশ বুঝি এমন। না জানি কত প্রজাপতি উড়ছে শিমুলের পেটে। বেশকিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো ইফতিকে,
– আপনি ঠিক আছেন তো ইফতি? ইফতি? শুনছেন?

শিমুলের কথায় ইফতির হুশ ফিরে, মুহূর্তেই শিমুলকে নিজের থেকে দূর করে দেয় সে। শিমুল ভেবেছিলো বোধহয় ভালোবেসে তাকে কাছে ডেকে নিয়েছে ইফতি। ভুল ছিলো সে, যদি তাই হতো তবে এভাবে সরিয়ে দিতো না সে।
– হুম, ঠিক আছি। তোমার বন্ধু চলে গেছে?
– হুম, ও চলে গেছে। আপনার কি খারাপ লাগছে?
– বললাম তো ঠিক আছি।

ইফতি খানিকটা জোরেই কথাটা বলে উঠলো, শিমুলের কাছে ব্যাপারটা খুব অপমানজনক লেগেছে। সে তো ইচ্ছে করে ইফতির কাছে আসে নি। কিছু না বলেই সে রুম থেকে বের হয়ে যায়। এখন ইফতির সামনে থাকা বড্ড বেশি বিরক্তিকর লাগছে শিমুলের কাছে। ইফতি শিমুলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। সেদিন রাতে তাদের মাঝে তেমন কোনো কথা হয় নি।

সাত দিন কেটে গেছে, শিমুল এবং ইফতির বিয়ের এক মাস পার হয়ে গেছে। এই বিগত সাত দিন ইফতি যেন অনেকটা পাল্টে গেছে। ঠিক আগের মতো, শিমুলকে এড়িয়ে চলে। যেন শিমুলের প্রতি তার কোনোই ফিলিংস নেই। শিমুলের সাথে চেচামেচি করে, সব কাজে শিমুলের ক্ষুদ ধরে, যেন শিমুলের উপর সে বিরক্ত। শিমুল ও বেশি ঘাটায় নি, চুপচাপ অথৈর দেখভালে মন দেয়। অহেতুক স্বপ্ন দেখে কি লাভ যখন সেটা বাস্তবে পরিণত হবে না।

সন্ধ্যা ৭ টা, শিমুল এখনো বাসায় ফিরে নি। যদিও এই সাত দিন ইফতি একবারও শিমুল কে হসপিটাল থেকে আনতে যায় নি। কিন্তু বাসায় এসেই সখিনাকে জিজ্ঞেস করবে শিমুল কি ফিরেছে কিনা। আজ লেট হচ্ছে বিধায় খানিকটা টেনশন হচ্ছিলো ইফতির। ভেবেছিলো ফোন করবে, তারপর কি মনে করে আর ফোন করে নি সে। শেষমেশ বসে না থেকে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে। মাঝরাস্তায় এক ফুচকার দোকানে চোখ যেতেই ইফতির মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলো না। গাড়ি থেকে নেমে গটগট করে হেটে গেলো ফুচকার দোকানের সামনে। নিজের সামনে আচমকা ইফতিকে দেখে অনেকটা ভেবাচেকা খেয়ে গেছে শিমুল। আজ ওর বেতন পেয়েছে, প্রতি বেতনের দিন শিমুল আর নিহাল ফুচকা পার্টি করে। আজ ও তার ব্যাতিক্রম হয় নি। ইফতির চোখ,মুখ শক্ত; নাক লাল হয়ে আছে। ওর মুখ দেখেই শিমুলের অন্তআত্না শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ইফতি এক মিনিট লেট না করে হিরহির করে টানতে টানতে গাড়িতে তুললো শিমুলকে। নিহালের সামনে এতোকিছু হচ্ছিলো ও চুপচাপ সহ্য করতে না পেরে ইফতিকে বলে উঠলো,
– আপনি যা করছেন, তা কিন্তু ঠিক নয়।
– আমি আমার বউ এর সাথে কি করবো না করবো আপনার থেকে শুনতে যাবো না।
– ইফতি আমার মনে হয় এবার আমাদের একটু খোলামেলা কথা বলা দরকার।
– ঠিক আছে।

শিমুলকে গাড়িতে বসিয়ে দরজা আটকে দিলো ইফতি। তারপর নিহাল আর ইফতি এক সাইডে দাঁড়ালো কথা বলার জন্য। এদিকে শিমুলের টেনশনে মাথা জট লাগার জোগাড়। কি এমঅন জরুরি কথা!! ইফতি ভনিতা না করেই বলে উঠলো,
– বলুন কি কথা?
– আপনার সমস্যা কি? শিমুলের সাথে এভাবে আচরণ কেনো করছেন?
– মানে কি বুঝাতে চাইছেন?
– মানে এইটাই, যদি শিমুলকে তার যোগ্য সম্মান না দিতে পারেন তবে অহেতুক ওকে এই কমপ্রোমাইজের রিলেশনে আঁটকে রাখবেন না। এমন অনেকেই আছে যাদের শিমুলকে মাথায় করে রাখার মানষিকতা এবং যোগ্যতা আছে। আই গেস ইউ ক্যান আন্ডারস্ট্যান্ড হোয়াট আই এম টকিং এবাউট।
– একটা কথা মনে রাখবেন মিস্টার নিহাল আমি শিমুলকে কখনোই নিজের থেকে দূর করবো না। কথাটা যেন মাথায় থাকে।
– সে তো সময় বলে দিবে। একটা কথা জানেন তো। অবহেলা খুব খারাপ জিনিস, এমন না হয় যে আপনার অবহেলাই ওকে আপনার থেকে দূর করে দেয়। যাক গে রাত হয়েছে, আমার মনে হয় আপনার বাসায় যাওয়া উচিত।

কথাগুলো বলে নিহাল ওই জায়গা থেকে প্রস্থান করলো। ইফতি ও না দাঁড়িয়ে গাড়িতে উঠে পড়লো। সারারাস্তা শিমুল এতো জিজ্ঞেস করার পরও কিছুই বলে নি ইফতি। শিমুল ও হাল ছেড়ে দিলো, এখন কেউ যদি মুখে তালা মেরে বসে থাকে সে চাইলেও কিছুই করতে পারবে না। বাসায় পৌঁছে ইফতি ফ্রেশ হয়ে স্টাডিতে গিয়ে বসলো। নিহালের কথার ইঙ্গিত না বুঝার মতো মানুষ সে নয়। সত্যি কি ও শিমুলকে অবহেলা করে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এছাড়া কোনো উপায় ও নেই সে যে এই নারীর প্রেমে পড়ে গেছে। হ্যা ইফতি শিমুলের প্রেমে পড়েছে, শুধু তাই নয় তার ভাবনার অতুল গহীনে তার বসবাস। তার চিন্তা চেতনায় নারীটি মিশে আছে। তার হাসি, তার মুখশ্রী এবং কি তার চুলের মিষ্টি গন্ধে নিজেকে উজার করে দিতে চায় ইফতি। কিন্তু সে পারছে না, পাছে বকুলের সাথে অন্যায় হবে না তো। এসব দ্বিধাদন্দে সাতটা দিন শিমুল থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছে। আজ সে দিশাহারা, কার কাছে গেলে তার এতো প্রশ্নের এতো দ্বিধার অবসান হবে!! হঠাৎ একটা ফোনে তার ঘোর কাটলো, ফোনটি অন্য কারোর নয় ফোনটি তার এক মাত্র বন্ধু রবিনের। এই ছেলেটা তার দুঃসময়, সুসময় সর্বদা তার সাথে ছিলো। ইফতির সকল সমস্যার সমাধান যেন ছেলেটার কাছে আছে। আজ তার প্রয়োজনীয়তা ইফতির কাছে অনেক। কোনো মতে ফোনটা রিসিভ করতেই অপরপাশ থেকে বলে উঠলো,
– কি রে দোস্ত, ভুলে গেসিস নাকি?
– নারে, কেমন আছিস তুই?
– এইতো চলে, তুই কেমন আছিস সেটা বল।
– ভালো নারে, একদম ভালো নেই।
– কেনো কি হয়েছে?

ইফতি ভনীতা না করেই তার সমস্ত কথাগুলো যেগুলো নিজের মধ্যেই চেপে রেখেছিলো সেগুলো ব্যক্ত করা শুরু করলো। সব কথাগুলো শুনে রবিনের একটাই উত্তর ছিলো,
– তুই তোর পাস্ট নিয়ে থাকতে চাস নাকি প্রেজেন্ট। দেখ ইফতি আমি তোর লাইফ লিড করছি না, তোর লাইফ তুই লিড করছিস আর এর ডিসিশন ও তোর ই নিতে হবে। তোর যদি মনে হয় বকুলকে নিয়ে সারাজীবন পড়ে থাকবি দেন জাস্ট লিভ শিমুল। ওর লাইফে ওর ও হ্যাপি হওয়ার অধিকার আছে, আর নিহাল ওকে অনেক হ্যাপি রাখবে।
– আমি ওকে ছাড়তে পারবো না, আমার ওকে ছাড়া এক মূহুর্ত চলবে না।
– তোর প্রশ্নের উত্তর তুই নিজেই দিয়ে দিয়েছিস। আই গেস আমার আর কোনো হেল্প তোর লাগবে না। তুই শিমুলকে ভালোবাসিস, মেয়েটা অথৈকে ভালোবাসে, ওর টেক কেয়ার করে। ওর সাথে তোর আর অথৈর ফিউচার জড়িত। তোর অবহেলা ওকে তোর কাছ থেকে দূর করে দিচ্ছে। আর অবহেলা কার জন্য করছিস! বকুলের জন্য? বকুল কি কোনোদিন এটা মেনে নিতো যে তুই এভাবে নিজের মধ্যে অনুভূতি গুলো চেপে রেখে নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস? না ও মেনে নিতো না। ইভেন তুই হ্যাপি হলে ও হ্যাপি থাকবে ও যেখানেই থাকুক না কেনো। তাও টাইম নে ভেবে দেখ।
– হুম, থ্যাংক্স রে।
– ইটস ওকে, রাখছি। পরে কথা হবে

রবিনের সাথে কথা বলে খুব হালকা লাগছে নিজেকে, যেনো একটা বোঝ নেমে গেছে। রুমে ঢুকতেই চোখ আটকে যায় ইফতির। শিমুল একটা সবুজ সুতি শাড়ি পড়ে আছে, ওর গায়ের রঙের সাথে যেন শাড়িটা মিশে আছে। চুল খোপা করা, খিলখিল করে হাসছে অথৈর সাথে। ইফতির কাছে যেন মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব সুখ যেন আল্লাহ তার ঝুলিতে দিয়ে দিয়েছে। এতো ভরা সংসার থাকতে তার এতো কিসের কষ্ট, এমন একটা মেয়ে আল্লাহ তাকে দিয়েছে যার গলুমলু মুখ দেখলে সকল ক্লান্তির অবসান হয় আর এমন একজন বউ যার হাসি তার তৃষ্ণার্ত হৃদয়কে শান্ত করে। মুচকি হাসি দিয়ে তাদের সাথে যোগ দিলো ইফতি। সে তার বর্তমানে বাঁচতে চায়, সেও সুখী হতে চায়। কিন্তু আসলেই কি শিমুল আর ইফতির জীবনে সকল সমস্যার অবসান ঘটেছে! তারাও আর পাঁচটা দম্পতির মতো সুখের দেখা পাবে!

পরদিন বিকেল ৫টা, আজ ইফতি শিমুলকে নিজে নিতে এসেছে। সকালেও সেই শিমুলকে পৌঁছে দিয়েছে। একটু তাড়াতাড়ি এসেছে যেন শিমুলকে এক মূহুর্ত অপেক্ষা না করতে হয়। আজ নিজে শিমুলের শাড়ি সিলেক্ট করে দিয়েছিলো। ইফতির প্লান আছে শিমুলকে নিয়ে ঘুরতে যাবে, আজ শিমুলের যা ভালো লাগে সব করবে। হসপিটালের করিডোরে শিমুলের অপেক্ষায় আছে, শিমুলের ডিউটি এখনো শেষ হয় নি বলে শিমুলকে ফোন দেয় নি। ওকে সারপ্রাইজ করার প্লান রয়েছে।
– মিস্টার ইফতি রহমান?

পেছনে ফিরতেই একজন মধ্যবয়স্ক নারী তার সামনে, প্রথমে চিনতে অসুবিধা হলেও ইফতির মনে পড়ে গেলো তিনি আর কেউ নন ডা. ইশরাত মাহমুদ।
– ডা. ইশরাত, কেমন আছেন?
– আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি কেমন আছেন?
– এইতো আলহামদুলিল্লাহ।
– শিমুলের কাছে বকুলের নিউজটা পেয়ে খুব খারাপ লেগেছিলো। আই এম সরি ফর ইউর লস। আসলে তখন আমার ও এমন একটা কাজে বাহিরে যেতে হয় যে কেসটা আমার হাতে ছিলো না।
– ইটস ওকে।
– অবশ্য আমি শিমুলকে বলেছিলাম বকুলের রিপোর্ট দেখে যে, এই অপারেশনটার সিক্সটি ফোরটি চান্স আছে। অপারেশন করালেও যে বকুল সুস্থ হবে তার গ্যারান্টি ছিলো না। কিন্তু আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি নি, বকুল এতো উইক ছিলো যে ও ক্যামো হ্যান্ডেল করার পজিশনে ছিলো না। আমি শিমুলকে মানাও করেছিলাম। ধীরে ধীরে ক্যামো দিলে হয়তো বকুল এতো দ্রুত আপনাদের ছেড়ে চলে যেতো না।
– জ্বী?? আমি বুঝতে পারছি না, ক্যামোর ব্যাপারটি!
– বকুলের রিপোর্ট দেখে আমি বলেছিলাম ওর স্টেজ লাস্ট স্টেজ। ক্যামো দিলেও যে খুব কাজ হবে তা নয়। আর এক মাসে এতোগুলো ক্যামো ওর শরীর নিতে পারবে না। বাট শিমুল যেন জিদ করে বসেছিলো। হয়তো ওর ডিসিশনটা ভুল ছিলো। আমি বলবো না বকুলকে বাঁচানোর ওয়ে ছিলো, তবে বকুলের কাছে এতো ও কম সময় ছিলো না।

ডা. ইশরাতের কথাগুলো যেন ইফতির পা থেকে মাটি সরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। শিমুল ডিউটি করে এসে ইফতির গাড়ি আজও পেলো না, ভেবেছিলো আজ হয়তো ইফতি আসবে তাকে নিতে। ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলো সে। বাসায় যেয়ে নিজের রুমে ঢুকতেই আৎকে উঠলো শিমুল। অন্ধকার রুমের এক কোনায় ইফতি দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে গা শিরশির করে ওঠাটা স্বাভাবিক।
– আমার বকুলকে ইচ্ছে করে কেন মেরে ফেলেছো তুমি।

কথাটা শুনেই শিমুল যেন আকাশ থেকে পড়লো, এসব কি বলছে ইফতি। না জানি কি চলছে তার মনে, ইফতির কঠোর চেহারা শিমুলকে বিষ্ময়ের সর্বোচ্চ শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।

চলবে

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here