তুমি_অন্য_কারো_সঙ্গে_বেঁধো_ঘর (৪০)

#তুমি_অন্য_কারো_সঙ্গে_বেঁধো_ঘর (৪০)

ঈদের দুদিন আগেই রাতে নবনীরা গ্রামে চলে গেলো। সকাল বেলায় প্রচন্ড কুয়াশায় এক হাত সামনের মানুষ ও দেখা যাচ্ছে না।একটা হলুদ রঙের চাদর পরে নিলো নবনী, তারপর ভাইবোন সবাই মিলে বের হলো হাঁটতে। নবনীর ভীষণ ভালো লাগছে।কতো বছর পর সে গ্রামের শীতকাল উপভোগ করছে।
ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে নবনী শিশির বিন্দু পা ছুঁয়ে যাচ্ছে নবনীর।
খেজুরের গাছ থেকে রসের হাড়ি নামাচ্ছে গাছ কাটার লোকেরা ,নবনী ঠিক করলো বাড়িতে গিয়ে বাবাকে বলবে রস নেওয়ার জন্য।

অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর সবাই বাড়ি ফিরলো।ভেতরে যেতেই রসের ঘ্রাণ ভেসে এলো। সবাই ছুটে এলো রাবেয়া বেগমের কাছে।চুলার পাশে পাটি বিছিয়ে খেতে বসলো সবাই রসের পায়েস।

সবাই মিলে গল্প গুজবে মেতে উঠেছে সেই সময় কাল বৈশাখী ঝড়ের মতো বাড়িতে এলো সুলেমান মেম্বার।

হাশেম আলী তখন ঘরের বারান্দায় চৌকিতে বসে খাচ্ছেন আর ছেলে মেয়েদের দেখছেন।সুলেমান মেম্বার উঠোনের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে ডাক দিলো,”হাশেম আলী বাড়িতে আছো না-কি? শহর থাইকা ফিরলা শুনলাম গতকাইল।”

উঠোনের উপর মূর্তিমান অভিশাপকে দেখে রাবেয়া বেগম নবনীর হাত চেপে ধরে বললেন,”বড় কইরা ঘোমটা দিয়া ঘরে চইলা যা তুই।এই লোকের মাথার ঠিক নাই,কখন কি কইরা বসে।”

নবনীর আজ ক্রোধ জন্মেছে ভীষণ। এই লোকটার ভয়েই তো তাদেরকে নিজের ভিটে ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
মায়ের কথা অবাধ্য করে নবনী বাবার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।

সুলেমান মেম্বার একগাল হেসে বললো, “নবনী না এইটা!
অনেকদিন পর দেখলাম।পোলার বউ করতে চাইছিলাম,পালাইয়া গেলা মাইয়া নিয়া।এখন আমার থাইকা সুদের উপর নেওয়া ৭০ হাজার টাকা ফেরত দাও,নাইলে ভিটেমাটি ছাইড়া যাও।”

হাশেম আলী হতভম্ব হয়ে গেলেন সুলেমান মেম্বারের কথা শুনে। বিনা মেঘে বজ্রপাত হলো সকলের মাথায়।

হাশেম আলী হতবাক হয়ে বললেন,”কি কন মেম্বার সাব?আমি তো কোনো দিন আপনের থাইকা এক টাকাও ধার আনি নাই।”

সুলেমান মেম্বার আবারও হাসলেন।হেসে বললেন,”জানতাম আমি,তুমি যে ভুইলা যাইবা জানতাম তো আমি আগেই।এই-যে দেখো স্ট্যাম্প। এইখানে সই দিয়া তুমি টাকা নিছো।”

নবনী এগিয়ে গিয়ে বললো, “আমাকে দিন স্ট্যাম্প,আমি পড়ে দেখি।”

সুলেমান মেম্বার ভ্রু কুঁচকে বললেন, “তোমার মাইয়া তো দেখি একেবারে লায়েক হইয়া গেছে।আমার সামনে খাড়াইয়া কথা কয় চোখে চোখ রাইখা।”

সাব্বির এগিয়ে এসে নবনীর পাশে দাঁড়ালো। সুলমান মেম্বারের উপর সাব্বিরের ভীষণ ক্ষোভ। এই লোক তার আপাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছে,জোর করে তার গাঁজাখোর ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছে বলেই তাদের গ্রাম ছেড়ে যেতে হয়েছে।
নবনী কঠোর স্বরে বললো, “কথা না বাড়িয়ে স্ট্যাম্পটা আমার হাতে দেন।”

নবনী হাত বাড়ালো নেওয়ার জন্য স্ট্যাম্প পেপার,সুলেমান মেম্বার চকচকে চোখে নবনীর হাতের দিকে তাকালেন।ফর্সা সুগঠিত হাতখানায় দু গাছা সোনার চুড়ি।অনামিকা আঙ্গুলে একটা ডায়মন্ডের রিং।
গাঢ় লাল মেহেদির রঙ এ ভীষণ আকর্ষণীয় লাগছে।

জিহ্বা দিয়ে নিজের ঠোঁট লেহন করে সুলেমান মেম্বার চকচকে চোখে নবনীর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো,এক সুযোগে নবনীর হাতখানা ছুঁয়ে দেখার একটা সুপ্ত বাসনা মনে।
নবনীর হাত অব্দি পৌছানোর আগেই সাব্বির ছোঁ মেরে নিয়ে নিলো পেপার। তারপর বোনের হাতে তুলে দিলো।

রক্তচক্ষু নিয়ে সুলেমান মেম্বার তাকালো সাব্বিরের দিকে,তারপর পান খাওয়া লাল দাঁত বের করে হেসে বললো, “খুব চালাক হইছো দেখি,আমার সামনে থেকে শিকার কাইড়া নিতে আইজ পর্যন্ত কোনো বাপের বেটা পারে নাই।তুমি সেই দিনের পোলা সেই স্পর্ধা দেখাইলা।আগের বার তোমার বাপে রাইতের অন্ধকারে চোরের মতো পালাইয়া গেছে মাইয়া নিয়া।আমার শিকার মিস হইয়া গেছে তখন।
আমি কিন্তু হিসেব না মিলাইয়া ছাড়ি না।গেরামে আইছো যখন হিসাব মিলাইয়া দিমু।”

নবনী সাব্বিরের হাতে পেপার দিয়ে বললো, “এটা আমার বাবার স্বাক্ষর নয়।এই পেপার নকল।”

সুলেমান মেম্বার একগাল হাসলেন আবারও। তারপর বললেন,”সুলেমান মেম্বারের কাগজ কোনো দিন মিছা হয় না। ঈদের দিন পর্যন্ত সময় দিলাম।তোমার বাড়ির দলিল আমার কাছে আছে।সময় মতো সুদসমেত পুরো টাকা দিবা নয়তো ভিটেমাটি বুঝাইয়া দিবা।শুনলাম মাইয়ারে ঢাকায় নিয়া বিয়া দিছো বড় ঘরে। তোমার বিবাহিতা মাইয়া কেমনে আবিয়াইত্তা পয়সাওয়ালা পোলারে ফাঁসাইলো এইটা কেউ না বুঝলেও আমি সুলেমান মেম্বার ঠিকই বুঝছি,হিসাবে তো আর আমি কাঁচা না।রূপ,যৌবন তো আর কম নাই তোমার মাইয়ার।তয় এসব নিয়া আমি কিছু কমু না।আমার টাকা অথবা জমি বুঝাইয়া দিবা আর তাও না হইলে তোমার মাইয়া নবনীরে আমার পোলা….”

সুলেমান মেম্বার কথা শেষ করতে পারলেন না।তার আগেই সাব্বির হামলে পড়লো তার উপর। দুই গালে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলে দিলো।বুকের উপর উঠে বসে নাকেমুখে ঘুসি মা/রতে লাগলো আর বললো, “শুয়ো/রের বাচ্চা,আমার আপাকে নিয়ে আর একটা বাজে কথা বের করবি তোর এই নোংরা মুখ দিয়া।তো এইখানেই তোরে আমি পুঁতে ফেলমু।তোরে খু/ন করে দরকার হইলে আমি জেলের ভাত খামু।আমার আপার চরিত্রে যে দাগ দিতে চাইবো আমি তারে শেষ করে দিমু।”

নবনী, হাশেম আলী মিলে টেনে সাব্বিরকে সরিয়ে দিলো সুলেমান মেম্বারের উপর থেকে।
সুলেমান মেম্বারের নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে।উঠে দাঁড়িয়ে গায়ের ধুলোবালি ঝেড়ে নিলেন তিনি।তারপর থু করে একদলা থুতু ফেলে বললেন,”হাশেম আলী, হিসাব না মিলাইয়া আমি কিন্তু তোমারে গেরাম থাইকা যাইতে দিমু না।”

সুলেমান মেম্বার চলে যাওয়ার পর নবনী ভাইয়ের দিকে ভেজা চোখে তাকালো।তারপর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো, “এতো মাথা গরম কেনো করলি ভাই?”

সাব্বির কেঁদে ফেললো। হাউমাউ করে কেঁদে বললো,”আপা,তোকে নিয়ে বাজে কথা বললো কেনো ওই লোক।আমার সহ্য হয় না আপা।আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়।”

একটা সুন্দর সকালে শুরু হলো যেই উৎফুল্লতা দিয়ে তা শেষ হলো এক রাশ চিন্তা নিয়ে।

নবনী সাব্বিরকে সারাদিন বাড়ি থেকে বের হতে দিলো না।পাশের বাড়ির রহিমুদ্দির সাথে ভাগে কুরবানি দিলেন হাশেম আলী। তাই গরু কিনতে যাবার চিন্তা নেই।গরু কেনা হয়ে গেছে। সবাই বাড়ীতেই আছে।কেউ বের হচ্ছে না বাড়ি থেকে।বাড়ির পরিবেশ কেমন গুমোট মেরে আছে।
সন্ধ্যার দিকে সাব্বিরের বয়সী কয়েকজন ছেলে এলো সাব্বিরকে ডাকতে।হাশেম আলী ছেলেকে বের হতে দিলেন না।সাব্বির ও বের হলো না।
রাত দশটার দিকে সুলেমান মেম্বারের ছেলে সুমন, সাথে আরো কয়েকজন সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে এলো।
রাবেয়া ঘরের পিছনের দরজা খুলে তিন মেয়েকে বের করে দিলেন।
সাব্বির এগিয়ে গেলো দরজা খুলতে,হাশেম আলী বাঁধা দিলেন।সাব্বির বাবার বাঁধা অগ্রাহ্য করে এগিয়ে গেলো দরজা খুলতে।
বাহিরে বের হতেই দেখলো ৭-৮ জন দাঁড়িয়ে আছে। সবার হাতে লাঠিসোঁটা। চাঁদের আলোয় ঝলক মারছে দুই খানা চকচকে চা/কু।

সাব্বির এগিয়ে গেলো ওদের দিকে।মুহুর্তেই দুই তিন এগিয়ে এসে সাব্বিরের হাত পা বেঁধে ফেললো। আড়াল থেকে নবনী দেখে চিৎকার করে এগিয়ে এলো।একটা হুড়োহুড়ি পড়ে গেলো মুহুর্তেই।

সুমন এগিয়ে গিয়ে নবনীর হাত চেপে ধরে বললো, “পাখি এতোদিনে আমার হাতে মুঠোয় আইছে রে।”

রাবেয়া বেগম আর হাশেম আলী এগিয়ে গেলেন ছেলে মেয়েদের দিকে,ওদের বাঁচাতে।
তার আগেই একটা অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে গেলো।

১০-১২ জন পুলিশ চারদিক থেকে ঘিরে ফেললো সবাইকে।হতভম্ব হয়ে গেলো সবাই মুহূর্তে।

মেঘ এগিয়ে এসে নবনীকে ছাড়িয়ে নিলো তার পর সাব্বিরকে ছাড়িয়ে নিলো ওদের হাত থেকে। ওসি কামরুল মেঘের সাথে হাত মিলিয়ে বললো,”ধন্যবাদ স্যার। আমরা অনেক দিন ধরেই এই র‍্যাকেটটা ধরতে চাচ্ছি।কিন্তু কোনোভাবেই পারছি না একসাথে সবগুলোকে ধরতে।আজ আপনার জন্য সম্ভব হলো। এই এলাকার যুব সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে এই মাদক দ্রব্য। ”

নবনী হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো মেঘের দিকে। সবাই চলে যাবার পর মেঘ ঘরে এলো। তখনও সবার চোখেমুখে বিস্ময়। কেউ কিছু বুঝতে পারছে না সাব্বির ছাড়া।

হাশেম আলী জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কই থাইকা আসলা বাবা?”

সাব্বির মাথা নিচু করে বললো, “আমি সকালে কল দিয়ে ভাইয়াকে সব জানিয়েছি।ভাইয়া আমাকে বলেছিলো চিন্তা না করতে।ভাইয়া দেখবে ব্যাপারটা। ”

মেঘ নবনীর দিকে তাকিয়ে বললো, “আমি কথা দিয়েছিলাম নবনীকে,ওকে আমি প্রোটেক্ট করবো।আপনারা আমার পরিবারের সদস্য। আমার বাবা মা যেমন, আপনারা ও তেমন আমার কাছে। আপনাদের বিপদে সবার আগে যদি ছুটে আসতে না পারি তবে কমিটমেন্ট রক্ষা করবো কিভাবে বাবা?
সাব্বির আমাকে কল করার পর আমি বাবাকে দিয়ে আপনাদের এই আসনের এমপি কে কল দেওয়াই।বাকি কাজ এমপি সাহেব নিজেই করে দিয়েছেন। সুমন আর সুলেমান মেম্বারের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে নিয়েছি আমি।তাই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে দেখলাম ওরা যা করবার আজকেই করনে।মেম্বার দেরি করবে না প্রতিশোধ নিতে। ”

গুমোট ভাব কেটে গিয়ে সবাই আনন্দিত হয়ে পড়লো কিছু সময় পর।সবাই মিলে হৈচৈ, গান,গল্পে আসর জমে গেলো।
রাবেয়া বেগম হৃষ্টচিত্তে খাবারের আয়োজন করলেন।প্রথম বার জামাই বাড়িতে এসেছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভাত,দেশি মুরগি,হাসের মাংস,পাতলা ডাল,ডিম ভাজা হয়ে গেলো। সবাই চুলার পাশে বসে আগুন পোহাতে পোহাতে গল্প করলো।হাশেম আলী নিজেও যোগ দিলেন সবার সাথে।
মেঘ কৌতুক শুনিয়ে সবাইকে হাসাতে লাগলো। সবার মধ্যে থেকে নবনী ভয়ে কাঁপতে লাগলো এই ভেবে যে আজ রাতে মেঘ নিশ্চয় নবনীর সাথে ঘুমাবে।
মেঘের সাথে এক বিছানায় ঘুমাবে এটা ভাবতে গেলেই নবনীর গাল লাল হয়ে যায়,নিশ্বাস ভারী হয়ে আসে।

রান্না হতে হতে রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেলো। বারান্দায় পাটি পেতে সবাই যখন খেতে বসলো,মেঘ সবার সাথে একটা সেলফি নিয়ে মাসুমা বেগমের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিলো।

খাওয়ার পর রাবেয়া বেগম নবনীর খাটে একটা নতুন চাদর বিছিয়ে দিলেন।নতুন বালিশের কভার,পাশ বালিশ দিয়ে চলে গেলেন।

নবনী ভীষণ বিব্রত বোধ করতে লাগলো। নবনীকে কাছে পেলে মেঘ নিশ্চয় দুষ্টুমি করতে চাইবে।চারপাশ থেকে সবাই মেঘের কথা শুনতে পাবে,হাসি শুনতে পাবে।
সকাল হলে সবার সামনে যাবে কিভাবে নবনী তখন?

আগেই এসব ভেবে নবনী লাল হয়ে গেলো।

মেঘ নবনীর রুমে ঢুকতে গিয়ে দেখলো রাবেয়া বেগম বারান্দার চৌকিতে বিছানা করছেন।মেঘ রাবেয়া বেগমের হাত থেকে চাদর কেঁড়ে নিয়ে বললেন,”আমি সাব্বিরের সাথে ঘুমাবো আম্মা।আপনারা আপনাদের রুমে ঘুমাবেন।বাহিরে ঘুমানো উচিত হবে না এই সময়। ”

হাশেম আলী আপত্তি করে বললেন,”অসুবিধা নেই, আমরা তো প্রায় সময় এখানেই ঘুমাই।তুমি শুয়ে পড়ো।”

মেঘ গম্ভীর হয়ে বললো, “প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ছে বাবা।বাহিরে ঘুমানো ঠিক হবে না এই মুহূর্তে। তাছাড়া পরিস্থিতিতে তো মোটেও উচিত হবে না। ”

নবনী যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো।বোনদের সাথে নিয়ে শুয়ে পড়লো। বুকের ভেতর কেমন দ্রিমদ্রিম করছে নবনীর মেঘ তার এতো কাছে। পাশের রুমেই মেঘ শুয়ে আছে সাব্বিরের সাথে। হাজার চেষ্টা করে ও নবনী ঘুমাতে পারলো না।

রাত তিনটের দিকে মেঘ মেসেজ দিলো নবনীকে ওয়াশরুমে যাবে।নবনী চাদর গায়ে দিয়ে বের হয়ে সাব্বিরের রুমের সামনে গিয়ে গলা খাঁকারি দিলো।

হুডি গায়ে দিয়ে মেঘ বের হয়ে এলো। ঘরের বাহির হয়ে উঠানের বাথরুমের দিকে যেতে নিতেই মেঘ নবনীকে টান দিয়ে বুকের কাছে নিয়ে এলো।ফিসফিস করে বললো, “বিবিজান,বাথরুমে তো যেতে চাই নি,আমার বউকে কাছে পেতে চেয়েছি।এখনো যে আমার চুমু খাওয়া বাকি। দিলে না তো সেদিন ও।”
এই বলে নবনীকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে নিজের দুই ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো নবনীর দুই ঠোঁটে। পরম আবেশে নবনীকে জড়িয়ে নিলো।অবাধ্য দুই হাত ছুটে গেলো নবনীর দেহের বাঁকে।
লজ্জায় দুই চোখ বন্ধ করে নবনী মেঘকে আরো ঝাপটে ধরলো। এই মানুষটাকে জড়িয়ে ধরতে,এর বুকের সাথে মিশে যেতে কোনো ভয় নেই।এ একান্তই নবনীর মানুষ। নবনীর একেবারে ব্যক্তিগত মানুষ।

এক টুকরো মেঘ এসে সেই মুহুর্তে চাঁদকে ঢেকে দিলো।এই পরম ভালোবাসার সাক্ষী হলো নীল আকাশ,উত্তরের হাওয়া, আর এক আকাশ তারা।

চলবে…..

রাজিয়া রহমান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here