তৃষ্ণা
পর্ব ১৯
মিশু মনি
.
যত সময় যেতে লাগলো ততই নিজের প্রতি ধিক্কার জন্মাতে লাগলো। এই পৃথিবীতে মাহিব ছাড়া তো অংশীর আর কেউ নেই। সন্তানের জন্য রাগ করে মাহিবকে ছেড়ে চলে আসা কি ঠিক হলো? মাহিবের ঘরের এক কোণে পড়ে থাকাতেও অংশীর শান্তি। কি দরকার ছিলো চলে আসার?
পরক্ষণেই মনে হলো মাহিব তো বদ লোক। বলেছে সে পাঁচ বছর পরও বিয়ে করবে কিনা তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। যদি মাহিবকে পাঁচ বছর পরও না পায়, তবে কিসের অপেক্ষা? কিসের কষ্ট? সামান্য রক্ষিতা হয়ে থাকার চেয়ে একা বাঁচাই কি শ্রেয় নয়? একসাথে দু ধরণের ভাবনা এসে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জাপটে ধরলো অংশীকে। মাহিবের প্রতি ঘৃণায়, অভিমানে, ওকে ছেড়ে চলে আসাটা সহজ হয়েছে। কিন্তু এখন ওকে ছাড়া বাঁচাটা কি চলে আসার মতই সহজ হবে? কি করে বাঁচবে অংশী?
ভাবনা গুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। একদিকে বারবার পাগল মন মাহিবের দিকে ছুটে যাচ্ছে, অন্যদিকে একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজের সিদ্ধান্তকেই সঠিক মনে হচ্ছে। মাহিব তো এক অর্থে ত্যাগ করেই ফেলেছে অংশীকে। সে শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কের জন্য সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে চায়। সেটা কিছুতেই হতে দেয়া যায় না।
গলাকাটা পশুরা যেভাবে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করে, সেভাবেই ছটফট করতে লাগলো অংশী। মৃত্যুও হবে না, বেঁচে থাকাও হবে না। ভালোবাসা পাবে না, শুধু মাহিবের দেহ দিয়ে অংশী কি করবে? আবার পরক্ষণে মনে হয়, অন্তত একবার মাহিবকে দেখতে তো পারবে। দোটানা মন দুদিক থেকে যন্ত্রণার যাঁতাকলে পিঁষে ফেলছে অংশীকে। এ যন্ত্রণা সহ্য করবার মত নয়। অনেক্ষণ কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো অংশী।
ঘুম ভাংলে প্রতিবারের মতই সবকিছু স্বাভাবিক মনে হতে লাগলো। মনে হচ্ছিলো মাহিব এখনো অংশীর সাথেই আছে। কি যে বেদনা বয়ে চলেছে ভেতরে ভেতরে। চাপা আর্তনাদগুলো থেকে থেকে সজোরে বেরিয়ে আসতে চায়। নিজেকে নিঃস্ব, অসহায় লাগে। থাকতে না পেরে বাইরে এসে পাগলের মত এদিক সেদিক ছুটতে লাগলো অংশী। মাহিব একদিন কথার ছলে ওর নাম্বারটা অংশীকে মুখস্থ করিয়েছিলো। কারো ফোন চেয়ে নিয়ে একটাবার মাহিবকে কল দিতে পারতো যদি!
মাহিবের ফোন নাম্বারটা মনে মনে জপতে লাগলো অংশী। বাড়িওয়ালা চাচীর কাছে তার ফোনটা চেয়ে নিলো। মাহিবের নাম্বার ফোনে তোলার সময় হাত কাঁপছিলো অংশীর। অবশেষে ভয়ে ভয়ে কল দিয়েই ফেললো।
ওপাশ থেকে মাহিবের কণ্ঠ শোনা গেলো। অংশী চোখ বন্ধ করে মাহিবের কণ্ঠস্বর টাকে অনুভব করছে আর অশ্রুপাত করছে। মাহিব বললো, ‘হ্যালো, কথা বলছেন না কেন?’
অংশী চোখ মুছে ঢোক গিললো। কি বলবে বুঝতে পারছিলো না। কথাগুলো যেন গলায় এসে আটকে গেছে। মাহিব বললো, ‘অংশী?’
নিজের নাম মাহিবের মুখে শুনে অংশীর ডুকরে কান্না এলো। ওর কান্নার শব্দ শুনে মাহিব বললো, ‘তুমি কাঁদছো কেন? কান্না থামাও। পাগলী, এভাবে কাঁদলে কি করে হবে?’
অংশী কান্নাভেজা গলায় বললো, ‘আমি আপনেরে ছাড়া থাকতে পারুম না। আমারে নিয়া যান। আমি এইহানে মইরা যামু।’
– ‘খুব তো ভাব দেখিয়ে চলে গেলে। এখন থাকতে পারছো না কেন?’
– ‘আপনি ছাড়া আমার আর কেউ নাই। আমারে এমনে পথে ফালাইয়া দিয়েন না। দোহাই লাগে..’
– ‘কেঁদো না অংশী। আমি আছি তো। কোথায় আছো বলো? আমি নিয়ে আসবো তোমাকে।’
– ‘আপনে যে কইলেন আমারে বিয়া করবেন না? বিয়া না করলে আমি ক্যামনে থাকমু?’
– ‘বাবু, বিয়েটা শুধু হবে না কিন্তু আমরা স্বামী স্ত্রী’র মতই থাকবো।’
অংশীর আরো কান্না পেয়ে গেলো। অনেক্ষণ কথা বলতে পারলো না। মাহিব বললো, ‘কি হলো তোমার? কান্না থামাও নয়তো কথা বলবো না।’
– ‘ছাইড়া গিয়া আবার কানতে মানা করেন ক্যান? কাইল তো আপনের উপর রাগ কইরা চইলা আইছি। একটাবার পথ আটকাই ধরলেন না কেন?’
– ‘আমার সাথে থাকতে হলে বাচ্চাটা তোমাকে নষ্ট করতেই হবে। এছাড়া কোনো পথ নেই। আমি তোমার দায়িত্ব নিতে পারবো কিন্তু কোনো বাচ্চার দায়িত্ব নিতে পারবো না।’
অংশী কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো, ‘তাইলে কন যখন বিয়া করবেন, আমারেই করবেন। তাইলে আমি আপনার সব কথা শুনমু। কিন্তু আপনে তো আমারে বিয়া করতে চাইতাছেন না।’
মাহিব বললো, ‘অংশী অনেস্টলি একটা কথা বলি। শোনো, তোমার প্রতি আমার আগের মত ফিলিংস কাজ করছে না। তুমি যেদিন ফোন দিয়ে বলেছো তুমি প্রেগন্যান্ট। সেদিন থেকেই আমি কেন যেন তোমাকে আর ভালোবাসতে পারছি না। আমি তোমাকে মিথ্যে বলতে পারতাম। তোমাকে চিকিৎসার কথা বলে বাচ্চা নষ্ট করতে পারতাম। আমি করিনি, কারণ আমি তোমাকে ঠকাতে চাই না। তুমি চলে গিয়ে ভালোই করেছো, আমাদের দুজনের পথ দুদিকে। আমরা একসাথে থাকতে পারতাম না।’
অংশী নিরবে অশ্রুপাত করতে লাগলো। কিইবা বলার আছে ওর। মাহিবকে বোঝানোর সাধ্য তো ওর নেই। গলায় জোর এনে শুধু বলার চেষ্টা করলো, ‘আমি যদি আমারে আপনের যোগ্য কইরা তুলবার পারি?’
মাহিবের উত্তর এলো, ‘তবে বিবেচনা করে দেখবো। কিন্তু তোমাকেই যে বিয়ে করবো এরকম কোনো গ্যারান্টি আমি দিতে পারছি না।’
– ‘তাইলে আমি কি করুম আপনে কন? আমার বাড়ি ফিরা যাওয়ার রাস্তা নাই। এই দুনিয়ায় আমার কেউ নাই। আমি মানুষটা ক্যামনে বাঁইচা থাকুম?’
– ‘আমি এজন্যই তোমাকে একটা আশ্রয় দিতে চেয়েছিলাম।’
এবার গতকালের মতই রাগ হলো অংশীর। রেগে বললো, ‘একেক সময়ে একেক কথা আপনে কইতাছেন। আমার জীবনটা ক্যান নষ্ট কইরা দিলেন? আমার আগের জীবন আমারে ফিরাইয়া দেন।’
মাহিব বললো, ‘অংশী আমার কাজ আছে, আমি রাখি। তোমার একান্তই যদি আমাকে ছাড়া থাকতে কষ্ট হয় তবে বাচ্চা নষ্ট করে আমরা লিভিংয়ে থাকতে পারি। তবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবো না। আর যদি এতে তোমার মন সায় না দেয়, তবে চাও তো আমি তোমার যত টাকা লাগে দিতে পারি। থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারি।’
অংশী নিজে থেকেই কল কেটে দিলো। কিসব লিভিংয়ের কথা বলে। বিয়ে না করেই একসাথে থাকবে অথচ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না। কি অদ্ভুত নিয়ম তৈরি করেছে সে। বিয়ে যখন করবেই না তখন একসাথে থাকার প্রশ্ন আসছে কেন? এ কারণেই তিলে তিলে সম্পর্কটাকে বিশ্বস্ততার পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। একেবারে তো ত্যাগ করলেই পারে। তা করবে না, দিনের পর দিন শুধু নিজের চাহিদা মিটিয়ে যাবে। কত খারাপ একটা লোক!
অংশী একটা ভাঙা দেয়ালে হেলান দিয়ে কেঁদে যেতে লাগলো। একটা মানুষ এতটাও খারাপ হতে পারে! শুধুমাত্র নিজের আনন্দের জন্য একটা মেয়েকে ব্যবহার করতেও কুণ্ঠিতবোধ করলো না।
এমন সময় চাচী ডেকে বললো, ‘তোমার কল আইছে।’
অংশী ছুটে এসে ফোন ধরলো। মাহিব বললো, ‘আচ্ছা তুমি কোথায় আছো বলোতো? আমি আসছি তোমাকে নিতে।’
অংশী কোনোকিছু না ভেবে ফোনটা চাচীকে দিয়ে বললো, ‘এ জায়গার ঠিকানাটা বইলা দেন না চাচী।’
মাহিব ঠিকানা জেনেই কল কেটে দিলো। অংশী চোখ মুছে বসে রইলো। মাহিবের মনটা যেন নরম হয়ে যায় সেই প্রার্থনা করতে লাগলো। দূর থেকে মহিলারা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো অংশীর দিকে।
অংশী ওর ঘরের সামনে এসে বসল কিছুক্ষণের জন্য। অনেক মহিলা উৎসুক চোখে অংশীকে দেখছিলো। দু একজন পরিচিত হওয়ার জন্য এগিয়ে এলে অংশী কোনো কথা বলে নি। ওরা ‘দেমাগী’ বলে চলে যায়। অংশী গালে হাত দিয়ে অদ্ভুত শহরের লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।
ঘন্টা খানেক পরেই মাহিবকে দেখে স্থির হয়ে বসে থাকা অংশী উঠে দাঁড়ালো। এই নোংরা বস্তিতে অংশীকে থাকতে দেখে মাহিব হতবাক। নিজের কৃতকর্মের জন্য কিছুটা খারাপ লাগলো। মনে হলো কাজটা ঠিক হয় নি। অংশী ধীরপায়ে মাহিবের দিকে এগিয়ে আসছে। যত কাছে আসছে ততই সবচেয়ে আপন মানুষটাকে ওর আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করছে। এই মানুষটাকে ছাড়া ওর চলবে না, কোনোভাবেই না।
মাহিব অংশীর কাছে এসে ওর মুখটা ধরলো। করুণ গলায় বললো, ‘সরি। আমার কাল তোমাকে এভাবে ফেলা দেয়াটা অন্যায় হয়ে গেছে। ভালোবাসা না থাকুক, একটা দায়িত্ববোধ তো থেকেই যায়।’
‘ভালোবাসা না থাকুক’ কথাটা শুনে অংশীর বুক জ্বলে গেলো। মাহিব ওর হাত ধরে নিয়ে গাড়িতে তুলে নিলো অংশীকে। তারপর একটা নিশ্বাস ফেলে গাড়ি চালাতে আরম্ভ করলো।
অংশী চুপচাপ। মাহিবকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছেটাকে অনেক কষ্টে দমিয়ে রেখেছে ও। মাহিব বললো, ‘তুমি এখানে এলে কি করে?’
অংশী চুপ করে রইলো। মাহিব আবার জিজ্ঞেস করলো, ‘বলছো না যে? কে এনেছে এখানে? এই বস্তি কত খারাপ জায়গা তুমি জানো?’
– ‘আপনের চাইতে খারাপ দেহি নাই তো।’
মাহিব গাড়িতে ব্রেক কষে অংশীর দিকে তাকালো, ‘কি বললা?’
– ‘নামাই দিবেন? দেন না। আর কি কি করবার বাকি আছে কইরা ফেলান। আমারে মেন্টাল বানাইয়া জামাকাপড় খুইলা নিয়া রাস্তায় ছাইড়া দেন। সবাই আপনের মত আমারে নিয়া টানা হেঁচড়া করুক।’
কথাটা কলিজায় গিয়ে লাগলো মাহিবের। অংশীর বাহু চেপে ধরে মাহিব বললো, ‘চুপ করো। বড্ড বেশি বলছো। তোমার এমন তেজ আছে আমার জানা ছিলো না।’
– ‘এইটার নাম কষ্ট। সারাটা রাইত ক্যামনে কাটাইছি আপনে জানেন না। যদি জানতেন, রাইতেই ছুইটা আইতেন আমার কাছে।’
– ‘আচ্ছা, তুমি কি চাইছো বলোতো?’
অংশী চুপ করে রইলো। মাহিব অংশীর চোখের দিকে চেয়ে আছে। অংশী মাহিবের দিকে তাকিয়ে আবার মাথা নামিয়ে বললো, ‘আমারে বিয়া করেন। বিয়া কইরা আমারে যেইহানে খুশি রাইখা দেন সমস্যা নাই। আমি আপনার লগে আজীবন থাকবার চাই।’
মাহিব মাথা ঝাঁকালো। তারপর আবার গাড়ি ছেড়ে দিলো। অংশীকে নিয়ে এলো নিজের কর্মস্থলে। চেম্বারে বসিয়ে রাখলো বিকেল পর্যন্ত। অংশী চেয়ারে বসে হা করে মাহিবের দিকেই চেয়ে রইলো। যা হয় হবে, মাহিব সামনে বসে আছে এটাই বা কম কিসে?
বিকেল হলে সব কাজ শেষ করে মাহিব মাথায় দুহাত দিয়ে নিচু হয়ে ভাবছে অংশীকে নিয়ে কি করবে। ক্ষণিক সময় পর মাথা তুলে বললো, ‘বিয়ে তোমাকে করতেই হবে?’
অংশী ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইলো মাহিবের দিকে। মাহিব বললো, ‘নাহ এখন কোনোভাবেই বিয়ে করা সম্ভব না। বিয়ে না করলে কি তুমি আমার সাথে থাকবে না?’
অংশী স্থির চোখে বললো, ‘আমারে মাইরা ফেলান না। মইরা গ্যালেই তো সব সমস্যা মিইটা যায়।’
– ‘আচ্ছা তুমি এক কাজ করো। আমার বাসায় গিয়ে আপাতত থাকো। কি করা যায় সে সিদ্ধান্ত পরে হবে। কিন্তু তোমার আর ওই বস্তিতে যাওয়ার দরকার নাই।’
কিছুটা আশার সঞ্চার হলো অংশীর মনে। মাহিব ভালো করে ভাবুক। হয়তো নিজের ভুলটা বুঝতে পারবে সে। সেই আশায় চেয়ে রইলো অংশী।
মাহিব ফোন দিয়ে প্রীতমকে ওর চেম্বারে আসতে বললো। অংশীকে এক পলক দেখেই চমকে উঠলো প্রীতম। চোখেমুখে বিস্ময়! কিছু একটা গোলমাল তো হয়েছেই, সেটা অংশীর চেহারায় স্পষ্ট। ঘটে যাওয়া অজানা কোনো বিপদের আশংকায় শংকিত হয়ে উঠলো প্রীতমের মুখ।
মাহিব বললো, ‘ওকে আমার ধানমণ্ডির বাসায় রেখে আয় তো। যাওয়ার আগে রেস্টুরেন্টে ভালো করে খাবার খাইয়ে দিবি।’
– ‘কিন্তু ও এখানে কেন?’
– ‘একটা কাজে এসেছে। দুদিন পর ওর বাবা আসবে ওকে নিতে। এ কয়েকদিন আমার ওই বাসায় থাকবে ও।’
– ‘বাসায় নিয়ে যাও। ধানমণ্ডির বাসায় একা একা রাখবে কেন ওকে?’
– ‘বাসায় নিয়ে গেলে সমস্যা আছে।’
– ‘কি সমস্যা?’
মাহিব প্রীতমের দিকে এমনভাবে তাকালো যে আর কিছু জানতে চাওয়ার সাহস হলো না প্রীতমের। ও অংশীকে বললো, ‘আসো।’
অংশীর যেতে ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু শরীর এতটাই খারাপ লাগছে যে একটু শুয়ে থাকতে না পারলে নয়। ও ধীরপায়ে উঠে প্রীতমের পিছুপিছু চলে এলো।
গাড়ি চালাতে আরম্ভ করে দিয়েই প্রীতম অবাক হয়ে জানতে চাইলো, ‘অংশী, সত্যি করে বলো তো তুমি এখানে কেন এসেছো?’
অংশী চুপ করে রইলো। প্রীতম আবার জানতে চাইলো, ‘সমস্যাটা কি? আমার তো মনেহচ্ছে একটা গোলমাল নিশ্চিত হয়েছে। তুমি কোনো ভুল করোনি তো?’
চলবে..