তোর অপেক্ষায় পর্ব-১২

0
3038

#তোর_অপেক্ষায়
#সামান্তা_সিমি
#পর্ব_১২

চিকন মাটির রাস্তার দুপাশে ধানী জমির ক্ষেত।বিকেলের পড়ন্ত রোদ ছুঁয়ে দিচ্ছে সবুজ ফসলের ডগা।আবেলা বাতাস স্নিগ্ধ হয়ে আছড়ে পড়ছে শরীরে।মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে নাম না জানা পাখিদের মেলা।বহুদিন পর এমন স্বর্গীয় পরিবেশের সাক্ষী হয়েছি।আমরা চারজন চিকন রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছি রেলগাড়ির মত।আপুরা সবাই গল্প করতে করতে এগিয়ে চলছে।কিন্তু আমি চুপ করে এই প্রকৃতিকে অনুভব করতে চাইছি।একমাত্র নানু বাড়িতে আসলেই এত সৌন্দর্য উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়।
চারজন এবার আলপথ পেরিয়ে উঠে এলাম বড় রাস্তায় যেটা দুদিকে ভাগ হয়ে গেছে।আমরা ডানদিকের রাস্তাটা নিলাম।শেষ কবে এখানে এসেছি মনে নেই তবে রাস্তাঘাট অস্পষ্টভাবে মনে আছে।রাস্তায় হাঁটতে থাকা পথিকরা ঘাড় ঘুরিয়ে আমাদের দেখছে।গ্রামে নতুন মুখ দেখে তারা কৌতূহলী হচ্ছে বোধ হয়।আর আমাদের পোশাকআশাকের ধরনই বলে দিচ্ছে আমরা এই গ্রামের মানুষ নই।
কিছুদূর হেঁটে সামনে যেতেই দেখতে পেলাম রাস্তার পাশে বিরাট বড় মাঠ।থোকা থোকা সবুজ ঘাসে তা ছেয়ে আছে।সেখানে ছেলেপুলেরা হৈচৈ করে ক্রিকেট খেলছে।আমি মুগ্ধ হয়ে চারপাশ দেখতে লাগলাম।হঠাৎ জেরিন আপু বলে উঠল,

‘ এই এটা দুর্জয় ভাইয়া না?ওই যে ব্যাটিং করছে!আরে ইমন ভাইয়াও তো। ‘

আপুর কথায় আমরা সবাই দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মত মাঠের দিকে ভালেভাবে নজর দিতেই ভাইয়াদের দেখতে পেলাম।দুর্জয় ভাইয়ার গেট আপ দেখে আমার হুঁশ উড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। উনার গায়ে পাতলা কালো কলারবিহীন টি-শার্ট, পরনের প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত মুড়ে রেখেছেন।পায়ে কেনো জুতা নেই।গলায় একটা লাল গামছা দূর থেকেও ঝিলিক মারছে।হাতে ব্যাট।ব্যাট ধরার স্টাইল দেখে রীতিমতো ক্রাশ খাবার জোগাড়।তাঁর দৃষ্টি সামনের দিকে যেখানে থেকে অপর ছেলেটি বল নিয়ে দৌড়ে আসছে।এতদিন পর্যন্ত উনাকে স্যুট বুট পড়া অবস্থাতেই দেখেছি। এই রূপ আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন।এই মুহূর্তে উনাকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে শহরের ছেলে।কি সুন্দর গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের সাথে হৈচৈ করে ক্রিকেট খেলছেন।ইমন ভাইয়ারও একই রূপ।তবে ভাইয়াকে দেখে অবাক হওয়ার মত কিছু নেই।কারণ সে মাঝেমধ্যেই ছুটির দিনে পাড়ার ছেলেদের সাথে সব ধরনের খেলাতেই যোগ দেয়।

জেরিন আপু মহাব্যস্ত হয়ে বলল,
‘ চলো সবাই মাঠে গিয়ে খেলা দেখি।হাজার হোক দুর্জয় ভাইয়া খেলছে।আই কান্ট মিস ইট।’

‘ কি বলছিস!ওখানে গেলে কখন জানি বল এসে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে চলে যাবে টেরও পাবি না।তারচেয়ে ভালো রাস্তার কিনারায় দাঁড়িয়েই খেলা দেখি।’

সুহানা আপুর কথায় পাত্তা দিল না জেরিন আপু।একপ্রকার টানতে টানতে নিয়ে গেল সবাইকে।অহনা আপুরও বেশ আগ্রহ।নিজের ভাইকে এমন উৎফুল্ল হয়ে ঘুরে বেড়াতে সে নাকি খুব কমই দেখেছে।
আমরা চারজন মাঠের কোণায় একটা খেজুর গাছের পাশে দাঁড়িয়ে রইলাম।ছেলেদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বোঝা যাচ্ছে খেলা টানটান পর্যায়ে।ভাইয়ারা এখনো আমাদের খেয়াল করেনি।
আমি শুধু অবাক হয়ে দেখতে লাগলাম ভাইয়ারা কিরকম ব্যাট হাতে দৌড়ে দৌড়ে রান নিচ্ছেন।এখানে উপস্থিত ছেলেদের মধ্যে উনারা দুজনই বয়সে অন্যদের থেকে বড় বাকিদের দেখলেই বোঝা যায় ওরা সব স্কুল পড়ুয়া।দুর্জয় ভাইয়া একটু একটু পর পর গলার গামছায় মুখ মুছে নিচ্ছেন।ভীষণ হাসি পেয়ে গেল আমার।ঘাম মোছার জন্যই তাহলে গলায় গামছা ঝুলিয়ে রেখেছেন।পারেনও বটে উনি।

প্রায় দশমিনিট হতে চলল আমরা উৎসাহ নিয়ে খেলা দেখছি।ততক্ষণে ভাইয়ারা বেশ কয়েকটা চার-ছক্কা মেরে দিয়েছেন।হঠাৎই দেখলাম লাল স্কচটেপে প্যাঁচানো বলটা দুর্জয় ভাইয়ার ব্যাটের চরম আঘাত খেয়ে আকাশপথে তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে।আমরা কি করব বুঝতে না পেরে নিজেদের জায়গাতেই দাঁড়িয়ে রইলাম।অথচ এটা জানি যে এই বল এসে যদি কারো মাথায় লাগে তাহলে নির্ঘাত কুপোকাত হয়ে যাবে।
এদিকে উড়ন্ত বল অনুসরণ করতে গিয়ে মাঠের সবাই আমাদের দেখে নিয়েছে এবং কয়েকজন জোরে জোরে চিৎকার করে বলছে,

‘ ক্যাচ! ক্যাচ! ক্যাচ!’

আমার পাশে জেরিন আপু দাঁড়িয়ে ছিল।সে এবার দুপা এগিয়ে উদ্যত হলো বলকে ধরার জন্য। কিন্তু তাঁর হাতের ধাক্কা লেগে আমি হুমড়ি খেয়ে পড়লাম মাটিতে।আপু বল ধরায় ব্যর্থ হওয়ায় সেই বল খেজুর গাছের সাথে লেগে একদম লাফ দিয়ে এসে পড়ল আমার কপালে।ঘটনা এত দ্রুত ঘটল যে আমি কয়েক সেকেন্ডর জন্য বুঝতেই পারলাম না আসলে কাহিনীটা কি!তবে টের পাচ্ছি মাথার একপাশে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। নিজের অজান্তেই হাত চলে গেল মাথায়।
ততক্ষণে ছেলেগুলো সব দৌড়ে আসলো আমার কাছে।আপুরা আমাকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে কিন্তু মাথাটা কেমন যেন ঝিমঝিম করে উঠছে।ভিড়ের ফাঁক দিয়ে দেখতে পেলাম দুর্জয় ভাইয়া ব্যাট ছুড়ে ফেলে দৌড়ে আসছেন।উনার পেছনে ইমন ভাইয়া।এবার কপালের ব্যথা বেমালুম ভুলে গেলাম।ব্যথার বদলে এক বস্তা লজ্জায় আক্রান্ত হলাম আমি।ইশ্! এতগুলো মানুষের সামনে আমি এইভাবে পড়ে গেলাম।আমার সাথেই যে কেনো এমন হয়!নিশ্চয়ই ওরা মনে মনে আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে।
দুর্জয় ভাইয়া এসে ছেলেগুলোকে সরিয়ে আমার সামনে হাঁটু মুড়ে বসে জিজ্ঞেস করলেন,

‘ কোথায় লেগেছে?’

আমি কোনো উত্তর না দিয়ে দম বন্ধ করে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।উনার গাল এবং কপাল বেয়ে ঘামের রেখা ঝড়ছে।সামনের চুলগুলো ভেজা ভেজা।কালো টি-শার্টের হাতা গলিয়ে ফর্সা বলিষ্ঠ দুটো হাত বেরিয়ে আছে।এমন রূপ দেখে আমি যেন কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেলাম।কপালের ব্যথা ভুলে চোখ পিটপিট করে তাকাতে লাগলাম উনার দিকে।
জেরিন আপুর হাসির শব্দে হুঁশ ফিরল আমার।আপু হাসতে হাসতে বলছেন,
‘ তুমি যে কিভাবে পড়ে গেলে পূর্ণী! একটু সাবধানে থাকবে তো নাকি।তোমার জন্য এখন ওদের খেলায় ডিস্টার্ব হলো।’

এমন কথা শুনে মাথা নিচু করে ফেললাম আমি।তখনই দুর্জয় ভাইয়া প্রচন্ড এক ধমক দিয়ে বলে উঠলেন,
‘ স্টপ লাফিং! এখানে কোনো সার্কাস হচ্ছে যে এভাবে হাসার প্রয়োজন পড়ছে?আর ওকে সাবধানে থাকার কথা বলছো তোমার কারণেই তো ওর ধাক্কা লেগেছে।সো নেক্সট টাইম চলাফেরা করার সময় নিজেই কেয়ারফুল থাকবে আশা করি। ‘

উনার ধমক শুনে এখানে উপস্থিত সবাই ভয় পেয়ে গেল।জেরিন আপু একদম চুপ মেরে গেলেন।অহনা আপু আস্তে করে বলল,

‘ রেগে যাচ্ছিস কেনো ভাই?জেরিন তো ইচ্ছে করে ধাক্কা দেয়নি।শান্ত হ।’

দুর্জয় ভাইয়া শান্ত হলেন কিনা বুঝা গেল না।এবার আমার দিকে ফিরে বললেন,

‘ কোথায় ব্যথা পেয়েছিস?মাথায়?’

আমি হ্যাঁ বোধক ইশারা দিতে উনি আমার কপালের উপরের চুলগুলো সরিয়ে চেক করতে লাগলেন।উনার স্পর্শ পেয়ে আমি তো কখন জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাই সেই প্রমাদ গুনছিলাম।টের পেলাম আমি হালকা হালকা কাঁপছি।উনি কোথাও আঘাতের চিহ্ন না পেয়ে চুলগুলো কানের পেছনে গুঁজে দিয়ে বললেন,

‘ উঠ্। কোনোদিকে না তাকিয়ে সোজা বাড়িতে গিয়ে ব্যথার জায়গায় বরফ লাগাবি।হেঁটে যেতে পারবি?পায়ে চোট লাগেনি তো?’

আমি মাথা নেড়ে সুহানা আপুর সাহায্যে উঠে বসলাম।
আমি যদি বলতাম পায়ে ব্যথা পেয়েছি তাহলে উনি কি করতেন?এই কাঁচা রাস্তায় তো রিকশা ভ্যান কিছুরই দেখা মিলে না।আমাকে কি সবাই চ্যাংদোলা করে বাড়ি নিয়ে যেত?দৃশ্যটা কল্পনা করেই শিউরে উঠলাম।ভাগ্যিস পায়ে কোনো ব্যথা লাগেনি।
দুর্জয় ভাইয়ার অর্ডার মত চারজন আবার ফিরতি পথ ধরলাম।পেছনে না তাকিয়েও শুনতে পেলাম উনি ক্লান্ত গলায় সকলকে বলছেন,

‘ ব্রো আজকের মত এখানেই শেষ।কাল আবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।গুডবায়।’

পেছনে পায়ের পদধ্বনি শুনে বুঝতে পারলাম ভাইয়ারাও বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। একটু খারাপ লাগল আমার।শুধু শুধু উনাদের উত্তেজনায় ভরা খেলার আনন্দটা মাটি হয়ে গেল আমার জন্য।ধুর আমিও যে কি।কিন্তু আমার তো কোনো দোষ নেই।হতচ্ছাড়া ওই বলটাই যত নষ্টের গোড়া।তবে বলেরই বা কি দোষ।ব্যাটিং তো করেছে দুর্জয় ভাইয়া তাহলে সব দোষ উনার।কে বলেছে এমন ত্যাছড়াভাবে বল মারতে?হাহ্ নিজের কারণেই নিজেদের খেলা মাটি থেকে কাদা হয়ে গেল।

.

বাড়ি এসে মাথায় ব্যথা পাওয়ার কথাটা সবাই নিঃশব্দে চেপে গেলাম।কারণ সবাই জানে মা যদি এই খবর জানতে পারে তো তুলকালাম কান্ড বাঁধিয়ে দেবে।ভাগ্যিস আঘাত তেমন জোরালো ছিল না।নাহলে জায়গাটা সাথে সাথে আলুর মত ফুলে উঠত।তখন মায়ের থেকে লুকানো বেশ মুশকিল হতো।
বাড়িতে ঢোকার আগে দুর্জয় ভাইয়া শাসিয়ে বলে দিয়েছেন তাড়াতাড়ি যেন ব্যথার জায়গায় ঠান্ডা কিছু লাগিয়ে নিই নাহলে উনি নিজেই ঘুষি মেরে মাথার অপর পাশ ফুলিয়ে দেবেন।এমন হুমকি শুনে মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল আমার।তাই রিস্ক না নিয়ে উনার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হলো।

রুমে ঢুকতে যাব এমন সময় জেরিন আপু আমাকে টেনে নিয়ে গেলেন একপাশে।হালকা অন্ধকারে দেখতে পেলাম আপুর মুখ গম্ভীর। নিচে উঠোনের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন,
‘ পূর্ণী তুমি কি ভাবছো যে আমি তোমাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে ফেলেছি?’

‘ ছি আপু এসব কি বলছো!আমি এমন কেনো ভাবতে যাব।আমি তো নিজের চোখেই দেখলাম ঘটনাটা তোমার অজান্তেই ঘটেছে।’

‘ তখন দুর্জয় ভাইয়ার কথায় মনে হলো সে ভাবছে আমি ইচ্ছাকৃত সব করেছি।কিন্তু এটা সত্যি নয়।’

‘ হ্যাঁ আপু আমারও ভালো লাগেনি উনার এভাবে ধমক দিয়ে কথা বলাটা।সাধে কি আর উনাকে বদমেজাজি বলি?কিন্তু তুমি কষ্ট পেয়ো না আপু।জানোই তো উনি কেমন স্বভাবের।’

আমার কথায় আপু মলিন হেসে আমার গাল ছুঁয়ে চলে গেলেন।এখন সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ছে দুর্জয় ভাইয়ার উপর।কেনো এমন করেন উনি?উনার কথায় যে কেউ হার্ট হতে পারে তা কি একবারও ভেবে দেখেন?
কি মিষ্টি দেখতে জেরিন আপু!কত্ত ভালো ব্যবহার করে সকলের সাথে।আপুর সাথে কোনোরূপ খারাপ ব্যবহার কখনোই বরদাস্ত করব না আমি।
.

কিছুক্ষণের মধ্যেই চারদিকে সন্ধ্যার আঁধার ঘন আসলো।সবাই হাতমুখ ধুয়ে হুড়মুড় করে নেমে আসলো নিচতলায়।এতক্ষণে লক্ষ্য করলাম সমস্ত আকাশ জুড়ে থালার মত এক চাঁদ উঠেছে।চাঁদের নরম আলো ছড়িয়ে পড়েছে বাড়ির আঙ্গিনায়।উঠোন জুড়ে জোছনা ঝকঝক করছে।বাড়ির পাশের ঝোঁপ থেকে একতালে ঝিঁঝি পোকারা ডেকে চলেছে।এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে কি ঘরে বসে থাকা যায়?
আমি বারান্দার উঁচু জায়গাটা বেছে নিলাম বসার জন্য। আমার দুপাশে আপুরাও স্থান দখল করল।ইমন ভাইয়া ঘর থেকে মোড়া নিয়ে এসে আমাদের মুখোমুখি হয়ে বসল।ভাইয়ার পাশেই মিস্টার দুর্জয় চেয়ারে বসে আছেন বাম হাঁটুর উপর ডান পা তুলে।আকাশের দিকে তাকিয়ে আপনমনে কি যেন ভেবে চলেছেন।উনার ফর্সা গায়ের রঙ চাঁদের আলোয় আরো উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর দুহাত টানা দিয়ে চেয়ারে আয়েশ করে হেলান দিচ্ছেন। এই মুহূর্তে অদ্ভুত সুন্দর দেখাচ্ছে উনাকে।কিন্তু হঠাৎ হুঁশ হতেই নড়েচড়ে বসলাম।আমি কেনো উনাকে এমন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি?আজ কি হলো আমার?হ্যাঁ মানছি উনি দেখতে শুনতে ভালো।একটু নয় অনেকটাই ভালো তবুও কি আমার এমন লুকিয়ে চুরিয়ে দেখা উচিত?
উচিত অনুচিত কিনা জানি না তবে মন বলে যে একটু দেখাতে ক্ষতি কি?

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here