তোর_জন্য শেষ পর্ব

0
3921

#তোর_জন্য
#sumaiya_moni
#পার্টঃ১৮/ শেষ পর্ব

.
.
.
এনা আপুর কথা শুনে আমার মঙ্গল গ্রহে যেয়ে একা একা থাকতে ইচ্ছা করছে। এই বজ্জাতের জন্য আমার আজকে এত বেহাল অবস্থায় পরতে হইছে।
এখন আমার কি হবে!!!

এনা আপুঃ কি আর হবে!! যা হবার হয়ে গেছে(হেসে হেসে)

মোহনা আপু চিন্তাভরা মুখমণ্ডল নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু এখন নিজের চিন্তাতেই বিভোর আমি তাই তার কথা না হয় পরেই ভাবা যাবে।

এনাঃ আবার ভাবনার জগতে ডুব দিলে!! ভাবনার আম্মু(হেসে হেসে)

তার কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরার অবস্থা। এসব এনা আপু কিভাবে জানলো!!! ভাবনার আম্মু তো শুধু আদ্রিয়ানই ডাকে।
মনে হয় মি. তেলাপোকা সবকিছু বলে দিছে।
বজ্জাত বজ্জাতই থাকে কখনো ভালো হয়না।

এনাঃ আদ্রিয়ান শুধু শুধু ভাবনার আম্মু রাখেনি। সারাক্ষন ভাবনার জগতে মগ্ন থাকো।
এই মোহনা!!! তুইও আবার ভাবনার জগতে পারি জমালি!!

মোহনাঃ উহুহুম্মম্ম
আসলে ভাবনার খালামনি হবো তো তাই ভাবনার জগতে পারি জমালাম একটু।

এনাঃ তুইও শুরু করছিস আবার(চোখ রাঙিয়ে)

মোহনা ঃ তো কি করবো এখন!!
আমি জানি তোমাদের মধ্যে এমন কিছুই হয়নি এখনো(আমাকে উদ্দেশ্য করে)।
দুই-তিন দিন থেকে তুমি একঘেয়ে হয়ে থাকতে। আর গতকালকে রাতে যখন বাসায় ফিরলাম আন্টি বললেন ঘরে নাকি নতুন কোনো অতিথি আসতে পারে। প্রথমে বুঝিনি, তারপরে আন্টির ভাবসাব দেখে কিছুটা হলেও বুঝতে পারলাম। ডিটেকটিভ অফিসার তো এমনি এমনি হইনি।

আমি মোহনা আপুর কথা শুনে হা করে তাকিয়ে রইলাম। ডিটেকটিভ অফিসার!!!

মোহনা আপু আমার অবাক হওয়া দেখে হেসে আমার নাক টেনে হেসে দিলেন।

মোহনাঃ জ্বি ভাবনার আম্মু।
একটা কাজের জন্য আসছি কাজ টা শেষ এখন চলে যাবো।
প্রথম থেকেই আদ্রিয়ানের সাথে এভাবে চলাফেরা করছি সবকিছুই আদ্রিয়ানের কথায়।
ও দেখতে চাইছিলো অন্য মেয়েদের সাথে যদি তুমি দেখো তাহলে কেমন আচরন করবে।
তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওর কথা শুনতে হইছে আমার ছোট্ট বোনকে কষ্ট দিয়ে।
এখন আদ্রিয়ানকে শাস্তি দেয়ার ব্যাপার তোমার আমি তো সত্যিটা বলেই দিলাম।
কিন্তু রোহানা আন্টির কথাও ভেবো। অনেক আশা নিয়ে আছেন তিনি।
গতকালকে যে কাজের জন্য এসেছি সবকিছু গুছিয়ে যখন রাতে বাসায় ফিরলাম তখন আদ্রিয়ান, আমি, আশিক সবাই একটু ক্লান্ত ছিলাম।
কিন্তু রোহানা আন্টি কিছু না ভেবেই বলা শুরু করছে,,,
আদ্রিয়ান যেন এখন তোমায় জ্বালাতন না করে।
ঘরে নাকি নতুন অতিথি আসছে,,,তাই তোমার দিকে খেয়াল রাখতে বলছে।
দুই-তিন যাবৎ নাকি তিনি তোমাকে পর্যবেক্ষণ করে গেছেন।
মাথা ব্যাথা, কিছু খেলেই নাকি বমি দাও, তারপরে শরীর দুর্বল থাকে। নিজেকে ঘরেই বন্দী করে রাখো,, লজ্জায় নাকি কারো সামনে যাওনা এইসব🤣(হেসে হেসে কথাগুলো বললেন মোহনা আপু সাথে এনা আপু হাসছেন)

তাদের কথা শুনে আমি এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে পরিভ্রমণ করছি।
আমিতো ওই তেলাপোকার জন্য মেজাজ খারাপ করে কারো সামনে যেতাম না। কি না কি বলে দেই নিজেরই হুশ থাকবেনা। তাই একঘেয়ে হয়ে থেকেছি।
মাথা ব্যাথা তো যে কারোই থাকতে পারে, আর আমার এমনিতেই একটা খারাপ অভ্যাস আছে কোনোকিছু ইচ্ছার বিরুদ্ধে খেলেই বমি দেই।
তাহলে শরীর তো দুর্বল থাকবেই।😳

মোহনাঃ এগুলো তো তুমি জানো আর আমরা জানি।
রোহানা আন্টি বুঝবে বলো!!
সে তো সকাল থেকেই নতুন অতিথির জন্য বাড়ি মাথায় তুলে রেখেছে।
এখন সে যদি জানতে পারে তার সবকিছুই মিথ্যা তাহলে তার মনের অবস্থাটা কি হতে পারে একবার ভাবছো??
আর মাসুদ আংকেল!!!
তার সম্পর্কে কিছু জানো!!
সে এমন একজন মানুষ যে সবকিছু হারিয়েও সবার সাথে হাসিমুখে থাকে।
সে এমন একজন মানুষ দিনভর চেষ্টা করে গেছেন তোমার বাবা আর মাসুদ আংকেলের কলিজার বন্ধুর খুনির বিচারের জন্য।
হোক না তার ভাই, তবুও একবারের জন্য পিছুপা হননি যখন তার ভাই তার হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়েছিলো। নিজ হাতে নিজের ভাইকে পুলিশের কাছে তুলে দেন তিনি।
এখন সবকিছু হারিয়ে যখন নতুনভাবে কোনো আশার আলো দেখতে পেল তখন তাকে আর কে পায়! সকাল থেকেই রোহানা আন্টির মতোই পাগলামো করে যাচ্ছেন। নতুন অতিথি আসবে তিনি খেলা করবেন।
এখন যদি কোনোভাবে জানতে পারে সবকিছুই মিথ্যা শুনছে তখন মনের অবস্থা কি হবে!!!
!
আর তুমি আমায় খারাপও ভাবতে পারো। বিশ্বাস করো আমি সেরকম মেয়ে নই।
!
অনেককিছু বলে ফেললাম বোন। ভুল হলে মাফ করে দিও। আমি শুধু সত্যিটিই তুলে ধরছি। যা এখনো সংশোধন করা যাবে,,,সবকিছুই তোমার হাতে। আদ্রিয়ান এমন ছেলে না , যে তোমাকে কোনো ব্যাপারে জোর করবে।
আমরা ওর ভালো বন্ধু, আর এই কথাটি নিশ্চয়ই জানা আছে বন্ধুদের থেকে বন্ধুর কথা কেউ বেশি জানেনা।
!
আমি একটু পরেই চলে যাবো মা অসুস্থ হয়ে পরছে তার জন্য।
তাই সবকিছু আজকেই বলে দিলাম। নয়তো সামনে ভুল কিছু হতে পারে😊।
!
নিজের খেয়াল রাখতে বলছিনা। শুধু আদ্রিয়ানের ভাবনার ও ভাবনার আম্মুর খেয়াল রেখো।
*
*
এতক্ষন মোহনা আপুর কথাগুলো শুনছিলাম। সত্যিই তো সবকিছু অনেক গভীরে চলে যেতে পারে একটা ভুল বোঝার জন্য।
কিন্তু বাবার খুনি!!! এটা কে হতে পারে।
মাসুদ আংকেলের ভাই আছে! কই কখনো তো শুনিনি।
আর তিনি কেনই বা খুন করবে সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে।
!
মোহনা আপু ও এনা আপু চলে গেলেন।
একটু পরেই আদ্রিয়ান রুমে আসলো।তিনি রুমে এসে চোরের মত তাকালেন আমার দিকে। আমার অবস্থা বুঝতে পারছেন হয়তো।
সবকিছু এই বজ্জাতের জন্য হইছে এখন।
কি দরকার ছিলো মোহনা আপুর সাথে বুদ্ধি পাকানোর!! তাহলে আমি ভুল বুঝতাম না আর মন খারাপও থাকতোনা। তাহলে তো দিব্যি ভালোই থাকতাম। তাহলে তো আন্টি ভাবতো আমি ভালো আছি।
আর এই মি. তেলাপোকা কি করলো!! সবকিছু বেহেশতে দিলো আমার।
এমনকি যেটুকু বাকি ছিলো সকালে ষোলো কলা পূর্ণ করছে।
জোরে জোরে বলার কি এমন দরকার ছিলো!! ভাবনার আম্মু তারপরে নিজে ভাবনার আব্বু হচ্ছে।
আন্টি তো সবকিছুই শুনছে তাই তিনি সত্যিই ভাবছেন কেউ আসছে।
কেউ কিভাবে আসবে! ধুর ভাল্লাগেনা কিছু।
এখন ইচ্ছা করছে এর মাথাটা খেয়ে ফেলতে পারি তাহলে যদি একটু শান্তি পাই।
!
আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে দেখি সে করুনভাবে তাকিয়ে আছেন।
এটা সত্যি সত্যিই একটা আস্ত তেলাপোকা। শুধু শুধু মানুষ হয়রানি করাবে।
তার জন্য আজকে আমার এই বেহাল অবস্থা। এখন কি করবো!! 😭

আদ্রিয়ান ঃ আদ্রিয়ান কনফিউজড হাসবে নাকি কাঁদবে বুঝতে পারছেনা।
নতুন অতিথি আসবে!! এসব ভেবেই হাসি পাচ্ছে ওর।যেখানে কোনো সম্পর্কই গড়ে উঠেনি তেমনভাবে
কিন্তু যদি সত্যি কথাটা ওর মা জানতে পারে তখন!!!
কথাটা ভেবেই আদ্রিয়ানের ভিতরটা অস্থিরতায় ভরে উঠছে।
আদ্রিয়ান চুপচাপ যেয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়লো। এখন দুষ্টুমি করলে যে ওর ঘরবাড়ি ছেড়ে হিমালয়ে যেতে হবে তা বেশ বুঝতে পারছে।
*
তার এমন শান্তভাবে থাকা আমার মোটেই ভালোলাগছে না। এমনিতেই চিন্তায় মরে যাওয়ার অবস্থা এখন যদি তাকে এভাবে ভদ্র ভাবে দেখি তাহলে ভয় কাজ করে।
ভূতে ধরলো কিনা।
কারন, যে মানুষটি সারাক্ষন লেগে থাকবে সে এখন এত চুপচাপ এটা মানা যায়না।
আমি যেয়েই ল্যাপটপ টা রেখে দিলাম। তিনি জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকালেন।
আমি কিছু না বলে দড়জার উদ্দেশ্যে গেলাম কারন, এখন নিচে যেয়ে টিভি দেখবো।

তখনই আদ্রিয়ান আমার হাত ধরে টান দিলো আমি সাথে সাথে বলে উঠলাম,,,,,
আমি অসুস্থ এভাবে কেউ কারো হাত ধরে!!! যদি কিছু হয়ে যেত!!

আমার কথা শুনে আদ্রিয়ান হোহো করে হেসে দিলো।
বুঝলাম না এখানে হাসির কি আছে। আমি তার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম। তিনি এখনো হেসে যাচ্ছে,,,,।
পরক্ষণেই তার হাসির কারন বুঝতে পারলাম। হায় আল্লাহ!! আমি রোহানা আন্টির কথা ভাবতে ভাবতে সেগুলোকেই ঠিক মনে রাখলাম!!

আদ্রিয়ান ঃ সরি সরি ভুলে গেছিলাম যে আমার বউ অসুস্থ (হেসে)
ও বউ!
ভাবনা কবে আসছে!!(চোখ টিপ দিয়ে)

আমি চোখ বড়বড় করে তাকালাম এই বজ্জাতটি কি বলছে এসব।

আদ্রিয়ান ঃ বউউউউউ!!
কিছু বলছোনা কেন! বলো না ভাবনা কবে আসছে!

আমিঃ আপনার মাথা গেছে!!
ভাবনা কই থেকে আসবে!!
সবার সাথে আপনিও পাগল হইছেন তাইতো!!

আদ্রিয়ান ঃ একটু পাগল হলে প্রব্লেম কি!!

আমিঃ কেন হবেন!!

আদ্রিয়ান ঃ #তোর_জন্য হবো।
তোকে ভালোবাসার কারনে না হয় একটু পাগলামোই করবো।
তোর ভালোবাসার চাদরে না হয় নিজেকে একটু জরাবো।
তোর হাসি-কান্নার কারন হবো।
তোর ভালোবাসার কাঙাল হতে চাই।
তোর ভালোবাসায় মাতাল হতে চাই।
সবকিছু শুধু #তোর_জন্যই।
দিবিতো একটু ভালোবাসা!!
আমিঃ উহু
তিনি আমার কপালের সাথে তার কপাল মিশিয়ে লাগালেন।
তাকে বাঁধা দেয়ার শক্তি হয়তো নেই আমার।
*
*
মাসুদ আংকেলের ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। শুধু একটা কথাই জিজ্ঞেস করছিলাম কেন আমাকে এতিম বানালো!!
কি দোষ করছিলো আমার মা-বাবা!!!
তিনি নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন হয়তো আমার প্রশ্নের উত্তর তার কাছে ছিলোনা।
মানুষ ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয় হয়তো সেও হইছে এখন। এখন নিজের করা পাপের শাস্তি নিজেই পাচ্ছে।
নিজের ভুলগুলো কড়া নাড়ছে।
এমন পাপ কাজ করার সময় মানুষের হিতাহিত বোধ থাকেনা। তখন তারা একটা নেশায় আসক্ত হয় যা মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনায় থাকে।
মাসুদ আংকেলের থেকে তার সব প্রিয়কিছু কেড়ে নেয়াটাই তার ভাই মামুন আংকেলের কাজ ছিলো। তাই সবকিছু আস্তে আস্তে কেড়ে নেয়ার পরে আমার মা-বাবাকে নিয়ে গেলো।
কারন, মাসুদ আংকেলের সবথেকে ভালো বন্ধুত্ব ছিলো মা-বাবার সাথে।
কিন্তু এই প্রতিশোধের নেশায় আমার বাল্যকালও কেড়ে নিলো।
রাহিমা আন্টি রিয়াকে নিয়ে মুম্বাইয়ে চলে গেছেন।
শুধু যাবার আগে আমার কাছে এসে ক্ষমা চাইছেন।
ক্ষমা করা মহৎগুন। তাই আমিও ক্ষমা করে দিলাম।
*
*
*
৫ বছর পরে

মিশমিঃ মাম্মাম মাম্মাম। তোমাল ছব গলম কাপল দাও আমি থান্দা কলে দিচ্চি।

আমি রুম গুছাচ্ছিলাম তখনই আমার ও আদ্রিয়ানের একমাত্র ভালোবাসার প্রতীক আমাদের সবার কলিজার টুকরো আসলো।
একমাত্র কলিজার টুকরোর নাম আদিবা মাহমুদ মিশমি।
একবারে ওর বাবার কপি মানে দুষ্টের শিরোমণি। যেমন বাপ তেমনি তার মেয়ে। দুটোর কারনে মাথাটা সারাক্ষন ভনভন করে মাছির মত।
আমার ভাবনা আমার সামনে আছে,,, তাই ভাবনার জগতে এখন আর বেশি যাইনা। তার সাথে কথা বলেই সময় কাটাতে হয়। নয়তো সারা বাড়িতে আমার বিচার নিয়ে ঘুরবে।
একবার একঘেয়ে হয়ে যে ভুল করছি এখন আর করতে চাইছিনা।
মিশমিঃ মাম্মাম্মম্মম্মম্মম
(আমার শাড়ির আঁচল ধরে টান দেয়ায় হুশ ফিরলো)
আমিঃ হ্যাঁ মাম্মাম বলো।

মিশমিঃ তুমি বলতোনা গলম নাগে। আল গলম কাপলে পললে তী বেথি গলম নাগে।
তাই কাপল দাও আমি থান্দা কলে দিবো।

আমিঃ বাকি গুলো কোথায়! এই মাত্র তো নিলে
তোমার বাবাইয়ের শার্ট ঠান্ডা করো তার ভয়ংকর গরম দেখা যায়।

মিশমিঃ কলছি তো বাবাইয়েলতা

আমিঃ কিভাবে😳!
তখনই আদ্রিয়ান রুমে এসে মুখটা গম্ভীর করে বললো।
আমার শার্ট সুইসাইড করছে। তুমি দায়ী তার জন্য🥺।

তখনই মিশমি বলে উঠলো,
উফফ বাবাই তুমি আবালো ভুল গেথো,,,।
আমিতো ফ্লিজে লাখতি থান্দা কলতে।

মেয়ের কথা শুনে আমি আদ্রিয়ানের দিকে তাকালাম , সে করুন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
দুই বাবা-মেয়ের কথা শুনে হাসবো নাকি কান্না করবো বুঝতে পারছিনা।
একটা তেলাপোকা অন্য একটা ছাড়পোকা। দুটোই সমানে জ্বালাচ্ছে।
কিন্তু মেয়ের কথাগুলো শুনে আর না হেসে পারলাম না। শার্ট ফ্রিজে রেখে আসছে ঠান্ডা করার জন্য🤣।
আমার হাসি দেখে আদ্রিয়ান করুনভাবে তাকালো আর বললো,,,।
~এখন অফিসে যাবো কিভাবে!!

আমিঃ কেন!! আপনার না অনেক গরম লাগছে। গরমে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন যার জন্য আমাদের কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছেন না।
তাই তো আমাদের ভাবনা সবকিছু ঠিক করে দিলো(হেসে)
আদ্রিয়ান ঃ খুব হাসি পাচ্ছে তাইনা!!
আজকে তো আর অফিসে যাচ্ছিনা বউ।
আমাদের ভাবনাটা সত্যিই খুব ভালো
তোমার কাছে আসার সুযোগ করে দেয় আমাকে(চোখ টিপ দিয়ে)

আমি তার কথা শুনে চোখ বড়বড় করে তাকালাম। তিনি হেসে যাচ্ছেন।
~আমার অনেক কাজ পরে আছে। তাই দূরে থাকবেন।

আদ্রিয়ান পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো আমায়,,,।
তারপর বললেন,,,,
আজকে আর কোনো কাজ হচ্ছেনা।
চলোনা কোনো অজানা গন্তব্যে হারিয়ে যাই। যেখানে তুমি আমি আর ভাবনা ছাড়া অন্য কেউ থাকবেনা।
যেখানে স্মৃতি হয়ে শুধু আমাদের ভালোবাসার মুহুর্ত গুলো থাকবে।

পড়ন্ত বিকেলে তার হাতে হাত রেখে হাঁটছি। আমি এক হাত ও মিশমি এক হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছি নদীর পাশ ধরে।
নদীর শীতল ঠান্ডা মাতাল হওয়া বাতাসে ভালোবাসার নতুন নতুন রূপের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি গান ধরলেন, আমি বরাবরের মতো মুগ্ধভাবে শুনছি,,,,

বলবো তোকে আজ, বলবো কিছু কথা,,,,
চলবো অচেনা পথ, ভেঙে সব নীরবতা,,,।
এই মনের যত আশা,পেলে তোর ভালোবাসা,,,
মন ছুঁয়ে যায় শুন্যতায়,,,,,,,,।
ওওও বলবো তোকে আজ,,,,,,।
বলবো কিছু কথা,,,,,,।
চলবো অচেনা পথ, ভেঙে সব নীরবতা।

💓💓সমাপ্ত 💓💓

( গল্পটি বড় করতে চেয়েছিলাম কিন্তু খলনায়িকা নিয়ে কিছু লিখতে পারিনা বেশি। তাহলে সিরিয়ালের মত মনে হয়। তাই ছোট করেই শেষ করে দিলাম।
গল্পটি কেমন হইছে জানিনা কিন্তু প্রথম থেকে যারা পাশে ছিলেন তাদেরকে কি বলবো বুঝতে পারছিনা☺।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন পরিবারের সবার প্রতি খেয়াল রাখবেন।
💓ধন্যবাদ 💓)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here