তোর_নামের_রোদ্দুর পর্বঃ১৪

#তোর_নামের_রোদ্দুর
পর্বঃ১৪

লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা

-সকাল সকাল আমার মুখোদর্শন করেছেন মিস্টার!দিনটা ভালো যাবে।

ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলেই এমন একটা কথায় বিরক্তটাই আগে হয়েছেন শুদ্ধ তা আমি জানি।আমার আজ আগে ঘুম ভেঙেছিলো।একদম বরাবর শুয়ে ছিলাম ইচ্ছে করেই।দেখেছি।প্রানভরে দেখেছি আজ তাকে আমি।সকালের প্রথম প্রহরের আলোয় ঘামে সিক্ত সে মুখ।ওনার চোখ খুলতেই যেনো আমাকে চোখে পরে এভাবেই শুয়ে ছিলাম পাশে।হলোও তাই।শুদ্ধ কপাল কুচকে উঠে বসলেন।গায়ের এ্যাশ রঙের গেন্জিটা ভিজে উঠেছে ঘামে।জ্বর ছেড়েছে।

-গুড মর্নিং বললে কি কোনো অংশ খোয়া যায়?

শুদ্ধ কিছু না বলে তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেলেন।একটা জোরে শ্বাস ফেলে রুমের বাইরে বেরোলাম।খুব বেশি একটা বেলা হয়নি।তবুও বাসার সবাই প্রচুর ব্যস্ত।ইশান ভাইয়া,সিফাত ভাইয়া,সীমা ভাবি,যীনাত আপু সবাই এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে।চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখলাম পুরো বাসাটাই সাজানো শেষ প্রায়।দেয়ালে,সিড়ির হাতলে,পিলারগুলোতে ফুল দিয়ে সাজানো।এতো তাড়াতাড়ি সবটা হওয়া হয়তো আজাদ ম্যানশনেই সম্ভব।মাহি ছুটে এসে দুটো ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে বললো,

-এইযে তোমাদের ড্রেস ইনসিয়া ভাবি।এবার সবটা কিন্তু তোমার উপর ডিপেন্ড করছে।

অবাক হয়ে বললাম,

-তারমানে এদিকের সব গোছানো শেষ?

-হুম।

-এতো তাড়াতাড়ি এসব…

-আরেহ্,বাগানে তো দেখোই নি।সেজোমামা অনেক লোক লাগিয়েছে।সবাই সকাল সকাল উঠেই সবটা করে ফেলেছে।বাগানে তো…

-মাহি,কই তুই?

-ভাবী,আমি যাই।সীমা ভাবির শাড়ি চুজ করে দিতে বলেছে।আমার ড্রেসটাও চুজ করা হয়নি এখনো।বাই দ্যা ওয়ে,শুদ্ধ
ভাইয়ার চয়েজ আছে বলতে হবে।(চোখ মেরে)

আমি লাজুকভাবে হাসলাম।আমার কাধে হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে কিছু বলতেই যাচ্ছিলো,যীনাত আপু আবার ডাক লাগালো ওকে।মাহি আসছি বলে ছুটে চলে গেলো।সেজোমা এগিয়ে এসে বললো,

-কেমন আছিস তুই এখন?

-আমার কিছু হয়নি আম্মু।ফিট আছি একদম।

-আর শুদ্ধ?

জ্বর হয়েছিলো বললে টেনশন করবে।এখনতো ভালোই আছেন উনি।তাই বললাম,

-একটু ঠান্ডা যা লেগেছিলো।ওষুধ খেয়েছিলেন উনি।এখন ঠিক আছেন।

সেজোমা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো।এরমধ্যে শুদ্ধ নিচে নেমে সোজা ডাইনিংয়ে বসে গেলেন।সবাই তাদের সবকাজ ফেলে ব্রেকফাস্ট করছিলো।সেজোকাকু বললেন,

-শেহনাজ মন্জিলের সবাই আসছে।আজকের দিনটায় কোনো সিন ক্রিয়েট করো না প্লিজ শুদ্ধ।

শুদ্ধ একদম না শোনার মতো করে চুপচাপ খেতে লাগলেন।তারপর আর কোনো কথাই হয়নি ওখানে।শুদ্ধ বাদে ছেলেরা সবাই বাগানে চলে গেছে।ওখানেই নাকি সবটা সাজানো হয়েছে।তবে আমি যাইনি এখনো।মাহির রুমে যীনাত আপুদের সাথে টুকটাক কথা বললাম।মুলত ওদের ড্রেস দেখাচ্ছিলো আমাকে।পার্লার থেকে মেয়েরা আসলেই সাজ শুরু করবে নাকি।ওখানে বেশ কিছুটা সময় কাটানোর পর মনে পরলো শুদ্ধর ওষুধ দেওয়া হয়নি এখনো।তাড়াতাড়ি উঠে এসে রুমে ঢুকলাম।এসে দেখি উনি বারান্দার দিক হয়ে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন।না ডেকে দাড়িয়ে রইলাম তাই।

-তা বলে এটা পাঠাতে বলি নি তোমাকে!

….

-না।সময় লাগবে।তুমি বরং…

পিছন ফিরে আমাকে দেখে শুদ্ধ থেমে গেলেন।ফোনে বললেন,

-আ’ল কল ইউ লেটার।

ফোন কেটে শুদ্ধ বিছানায় বসে তার ল্যাপটপে ব্যস্ত হয়ে পরলেন।যা ব্যস!আমাকে দেখে কল ইউ লেটার?কে ছিলো ওপাশে?ধুরু!এভাবেই তো বাঙালী নারী স্বামীসন্দেহে জড়ায়।আমারটা তো আমারই।নিজেকে বুঝিয়ে ধীর পায়ে ওষুধের বক্স থেকে ওষুধ বের করে সামনে গিয়ে দাড়ালাম।মাথা না তুলেই বললেন,

-কি চাই?

-আপনাকে।একদম কাল রাতের মতো করে।

কথাটা বলেই জিভ কাটলাম।আগের রাতের ঘটনাটা এখনো মন মস্তিষ্কে ঘুরছে।তাই মুখেও বলে ফেলেছি।শুদ্ধ মাথা তুলে রিয়্যাক্ট দেওয়ার আগেই ওষুধ এগিয়ে দিলাম।সেটাও তার রাগার জন্য যথেষ্ট ছিলো।ওষুধটা দেখতেই উনি রাগী চোখে তাকালেন আমার দিকে।গরগর করে বললাম,

-দেখুন,কালরাতে প্রচুর জ্বর হয়েছিলো আপনার।আর আপনি তার জন্য আমাকে দায়ী করেছেন।সো কারো অসুস্থ্যতার দায়ভার যেনো না নিতে হয় আমাকে সেজন্য এই ওষুধ আপনাকে খেতেই হবে।

-হোয়াট?তোকে কখন দায়ী করলাম আমি?

-করেছেন।বলেছেন বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর হয়নি আপনার।আর এটাও বলেছেন আমার নামের রোদ্দুর না কি আপনাকে জ্বালিয়েছে এজন্য আপনার তাপমাত্রা বেড়েছে।আর তো আর…

-হয়েছে।থাম।

-না থামবো না।আপনি আমাকে দায়ী করতে পারলেন?কি করে পারলেন বলুন তো?আমি তো বলিনি ওভাবে ভিজতে।বৃষ্টিতে তো নিজে ভিজেছেন।আবার রুমালটাও দিয়েছিলাম,নেননি।আমি কি….

উনি দুহাতে কান চেপে ধরে বললেন,

-উফ্!একটু কম কথা বল সিয়া!রহম কর!

-ও,এবার আমি বেশি কথা বলি?ডাক্তারী পরবো।এখন থেকেই যদি আপনার অসুস্থ্যতার দোষ নিয়ে ঘুরি,ভবিষ্যৎ কি আমার?এভাবে চলতে থাকলে পেশেন্টের আগে ডক্টরই জ্ঞান হারিয়ে বসে থাকবে।গিল্টি ফিল নিয়ে আর যাই হোক অন্তত…

কথা শেষ করতে না দিয়ে উনি আমার হাত থেকে ওষুধ কেড়ে নিয়ে ওটা মুখে পুরে দিলেন।পাশের গ্লাসে রাখা পানি ঢকঢক করে শেষ করলেন।ঘটনার আকস্মিকতায় থম মেরে দাড়িয়ে ছিলাম আমি বেশ কিছুক্ষন।শুদ্ধ ঠাস করে দু হাত এক করে বললেন,

-খেয়ে নিয়েছি ওষুধ?আর হবে না গিল্টি ফিল?এবার খুশি?সর এখন থেকে।

ঠোট টিপে হেসে সে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম।মাহির রুমে ওরা সবাই সাজছে।পার্লার থেকে তিনজন মেয়ে এসেছে।শুদ্ধর দেওয়া লেহেঙ্গায় সাজালাম নিজেকে।লেহেঙ্গাটা জর্জেটের,পুরোপুরি গোলাপী না,নিচের বর্ডারটায় কালোর সুন্দর একটা কম্বিনেশন।কোমড় অবদি ফতুয়াটা।পিঠের দিকটা একটু দেখা যেতো তবে অনেকগুলো পমপম থাকায় ঢেকে গেছে।

পার্লারের আপুগুলো হালকা গয়নায় সাজালো আমাকে।অর্নামেন্ট বলতে গলায় আটকানো একটা গয়না,নাকে একটু বেশিই বড় নথ,বা হাত ভর্তি চুড়ি আর মাথায় টায়রা।চুলগুলো উপরে খোপা করে তার চারপাশে লাল গোলাপ লাগিয়েছে,সামনের কয়েকগোছা চুল কার্ল করে ছেড়ে দেওয়া।আয়নায় নিজেকে দেখে অবাক হলাম।বিয়ের দিনও কি এমন দেখাচ্ছিলো আমাকে?সেদিন তো আরো বেশি গয়না,টকটকে লাল লেহেঙ্গায় আরো বেশি যত্মে সাজিয়েছিলো আমাকে।কিন্তু কই আমার তো নিজেকে এতোটুকো সুন্দর মনে হয়নি সেদিন।তাহলে আজ কেনো নিজেকে চিনতে পারছি না?তবে কি সেটা কাল শুদ্ধর স্পর্শ পাওয়ার পর?

-তোকে দেখে আজ শুদ্ধ পাগল হয়ে যাবে ইনসু!

লজ্জা করছিলো,তবুও নিজেকে সামলে বললাম,

-তোমার ভাই এমনিতেও পাগল যীনাত আপু।

-ইনসিয়া ভাবী,কাল রাতটা কেমন ছিলো?

-ম্ মানে?

-আরে আরে,তোতলাচ্ছো কেনো?কাল তো তোমাদের দুজনেরই জ্বর ছিলো,তাইনা?নাকি অন্য কোনো কারনে এভাবে লাল নীল গোলাপি হচ্ছো?

কানে দুল পরছিলো মাহি।সীমা ভাবি ওর মাথায় চাটি মেরে আমাকে বললো,

-এই মেয়েটা বেশি কথা বলে।ইনসিয়া,তুমি যাও।শুদ্ধকে বলো। দেখো গিয়ে ওর সুটটা পরাতে পারো কি না।

গুটিগুটি পায়ে রুমে গিয়ে নিচদিক তাকিয়ে থেকেই গলা ঝাড়লাম।শুদ্ধ তখনো তার ল্যাপটপ নিয়েই বসে ছিলেন।তবে মাথা তুলে তার চোখের দিকে তাকাইনি আমি।পারবো না তাকাতে।কেমন যেনো অদ্ভুত লাগছে।শ্বাস ধীরে ধীরে দ্রুততর হতে লাগলো।দুহাতের আঙুলে তালুদুটো খামচে ধরে আছি।কিছুটা সময় পর সামনে ওনার উপস্থিতি টের পেলাম।প্রশস্ত বুকের দিকে তাকালাম একনজর।সাদা গেন্জি।ওনাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পাশের ওয়ারড্রোবের উপরে রাখা তায়্যিবের জলরঙ লাগানো তুলি দুটো দুহাতে নিয়ে ওয়ালপেইন্ট করার মতো করেই তার বুকে ঘষতে লাগলাম।উনি হাত উচিয়ে বললেন,

-হোয়াট দ্যা…

তুলিদুটো রেখে কিছুটা পিছিয়ে রঙের বক্সটায় গোলানো সবখানি রঙ ছুড়ে মারলাম তার গায়ে।

-ওভাবে তাকিয়ে দেখলেন কেনো আমাকে?তার শাস্তি!

ওনার রাগী আওয়াজ পেলাম,

-তুই দেখেছিস কিভাবে দেখেছি তোকে?মাথা তুলে তাকাতে পারছিস না,এসেছিস শুদ্ধকে শাস্তি দিতে!

-অব্ যাই হোক।যেভাবেই হোক,দেখে নিয়েছেন তো আমাকে?এবার আমাকে দেখার সুযোগ দিন।চেন্জ করে আসুন।এভাবে সাতরঙা হয়ে থাকবেন নাকি?

ডানহাতের দু আঙুলে গেন্জিটার গলার নিচে উচিয়ে ধরে ঝাড়লেন উনি।তারপর কাবার্ডের দিকে এগোলেন।নিচদিক তাকিয়েও সবটা টের পাচ্ছি আমি।ফাকা কাবার্ড দেখে আবারো এগোলেন আমার দিকে।রাগী গলায় বললেন,

-জামাকাপড় কই আমার?

-আজকে ওয়াশ ডে।সব ওয়াশিংমেশিনে।

-হোয়াট?

এগিয়ে গিয়ে সোফায় রাখা ব্যাগটা হাতে নিলাম।ব্যাগটা ওনার হাতে ঠুসে দিয়ে বললাম,

-জ্বী।ভাবলাম অনেক তো শুয়ে বসে দিন কাটালাম শশুড়বাড়ি,আজ না হয় কাজ করি।সব জামা ধুয়ে দিয়েছি আপনার।আর আজ এটা পরবেন আপনি।নইলে আশা করি বাসাভর্তি লোকের সামনে এই রঙিন গেন্জি দেখিয়ে বৌভাতের রিসেপশনকে হোলিউৎসব বানিয়ে দেবেন না।

কথাটা বলেই পা বাড়াচ্ছিলাম বেরিয়ে আসবো বলে।রুমে থাকা বিপজ্জনক।কিন্তু শুদ্ধ হাত ধরে ফেললেন আমার।চমকে উঠলাম।একটানে নিজের একদম কাছে টেনে নিলেন উনি আমাকে।চুড়িগুলোর সাথে মনের ভেতরটাও ঝংকার দিয়ে উঠলো।শুদ্ধ তার দিকে ঘুরিয়ে পিঠ স্পর্শ করলেন আমার।শিউরে উঠলাম।চোখ বড়বড় করে এতোক্ষনে তাকালাম ওনার দিকে।শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন উনি।

একটানে জামার ফিতায় পিঠে ছড়িয়ে থাকা পমপম সবগুলো ছিড়ে ফেলেছেন উনি।হাত আপনাআপনি পিছনে চলে গেলো আমার।হাদার মতো বললাম,

-এটা কেনো করলেন?

-এসব পছন্দ না আমার।

-আপনিই তো দেখে কিনেছেন।

-ছবিতে এটা ছিলো না।

পিঠটার যেটুকো খালি হয়েছে তাতে অস্বস্তি লাগছে আমার।ওড়না টেনেটুনে ঠিক করতে লাগলাম।শুদ্ধ এবার তার দুহাত আমার চুলে লাগালেন।অসহায়ভাবে বললাম,

-এটা কিছু করিয়েন না।প্লিজ!

প্রতিউত্তরে বাকা হেসে খোপায় গুজে রাখা সবগুলো ফুল টেনে খুলে ফেলতে লাগলেন উনি।একসময় টান মেরে চুলগুলোও খুলে দিলেন।হা করে উপরে তার মুখের দিক তাকিয়ে হতবুদ্ধির মতো দাড়িয়েই রইলাম।ওনার কাজ শেষে হাত ঝাড়া মেরে ছেড়ে দিয়ে ধমকে বললেন,

-চল যা!দুরে থাক!

কাছে কি আমি এসেছিলাম?নিজেই তো…বহুরুপী একটা!সেসব ভুলে সামনে পরে থাকা চুলগুলোর দিকে তাকালাম।ওগুলো ধরে আফসোসের স্বরে বললাম,

-এ্যাঁআআআ!আপনাকে সাজাতে আসলাম বলে আমার সাজ নষ্ট করে দিলেন?এতো সুন্দর একটা স্টাইলে চুলে বেধে দিয়েছিলো আপুগুলো।তিনজন ধরে।টাকাও নিয়েছে এতোগুলা এর জন্য।আর আপনি সেটা খুলে দিলেন?এবার…

-বাচাল।কথা ছাড়া অন্য কিছুতে যদি এতোটুকো জ্ঞান থাকতো তোর।আর এই অনলাইনের প্রোডাক্ট!আমারো বোঝা উচিত ছিলো।শোন সিয়া,এই চুল বাধলে আজ তোকেই বেধে রাখবো।বলে দিলাম!খবরদার চুল বাধবি না তুই!

ত্যাড়ামো করার ইচ্ছা হলো।বললাম,

-বাগানে গরম।খোলা চুলে গরম বেশি লাগবে।চুল বাধবো আমি।

-না।বাধবি না!

-বলেছি বাধবো।

-আমি বলেছি বাধবি না তুই!

কথাটা বলতে বলতে উনি এগোচ্ছিলেন আমার দিকে।পেছোতে পেছোতে কখন রুমের বাইরে চলে এসেছি জানিই না।দুম করে দরজা লাগিয়ে দিলেন উনি।কি হলো কিছু বুঝে না উঠে কিছুক্ষন ওভাবেই দাড়িয়ে ছিলাম।হুশ ফিরতেই দরজা ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে বললাম,

-চুল বাধবো না।সত্যি বলছি।আপনি রাগ করবেন না প্লিজ!দরজা খুলুন!

উনি দরজা খোলেন নি।মন খারাপ করে ওখানেই দাড়িয়ে ছিলাম।তায়্যিব কোথা থেকে দৌড়ে এসে বললো,

-ইনসু মাম্মাম,নানুমনিরা এসেছে।ইরু মাম্মামও এসেছে।তোমাকে ডাকছে সবাই।

বাসার সবাই এসেছে শুনে মনটা ভরে উঠলো।এ কয়দিনে মনে হচ্ছিলো কতোদিন দেখি না ওদের।অভিমানে কথাও বলি নি কারো সাথে।একপলক বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে তায়্যিবের হাত ধরে ওখান থেকে চলে আসলাম।

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here