ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)পর্বঃ১৪

0
507

#ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১৪



– অলিভিয়ার সামনে একজন দানব উপস্হিত হল। অলিভিয়াকে গাছ থেকে নিচে ফেলে দিল দানবটি আর মার্ককেও ফেলে দিল। অলিভিয়া মার্ক কে ধরে ফেলে।



– অলিভিয়া গেছের কাছে যেতেই ঝেটিয়ে বিদায় করছে বার বার। মেয়েটিকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে তাই ও এখানে থাকবে আমার কাছে এখন থেকে। যা দুর হ তোরা। এই গাছের আশ পাশ যদি দেখছি তো ভেরা বানিয়ে গাছের নিচে বেঁধে রাখব।



– বাধ্য হয়ে অলিভিয়া মার্ক কে নিয়ে দুরে অবস্হান করল। মার্কের হুস ফিরলেই ২ জন মিলে কিছু করা যাবে।



– ভোরের দিকে মার্কের ঙ্গান ফিরল। অলিভিয়া নাফিসা কই?
– অলিভিয়া হাত উচিয়ে বলল ঐ গাছে। একটা দানবের কাছে আছে। এখনো দেখিনি ও কি অবস্থায় আছে। চল ওকে নিয়ে আসি অলিভিয়া।
– হুম গাছের নিচে যেতেই দিচ্ছেনা। দ্বারা দিন হোক দেখি কি করা যায়।




– আলবার্ট রুমের মধ্য বসে একটি পাত্রে পানি নিয়ে মন্ত্র পড়তে শুরু করল। হুম দেখা পেয়েছে একটা শহরে গাছের উপর ঘুমিয়ে আছে আর তার পাশে একটা দানব বসে থেকে ওকে অপলক ভাবে চেয়ে দেখছে।




– এটা কোথায় থেকে জুটল আর ২ জন ছিল তারা কই?
– এটা কি হাকিশ বলে আলিক্সের দিকে তাকাল আলবার্ট।
– না মাই লড এটা হাকিশ না। এটা কোন দানব। নাফিসা যে চঞ্চল গিয়ে দেখেন ওর দলবল নিয়ে দানবের আস্তানায় হামলা করছে। তার শাস্তি সরুপ ওকে বেধে রেখেছে। নাতনী আপনার একখান একাই একশ। কাউকে দরকার পড়েনা ওর।




– আলবার্ট মারিয়ামের দিকে তাকাতেই মারিয়াম বুঝে গেল ওকে কি করতে হবে! ও অদৃশ্য হয়ে গেল।



– অলিভিয়া আর মার্ক ২ জনেই দিন হলে আস্তে আস্তে গাছের কাছে গেল। মার্ক গাছে উঠতেই মার্ক ছিটকে পরে গেল।
– দানবটি চিৎকার করে বলল তোরা আবার আসছিস! দ্বারা তোদের কি করি বলে ২ জন কে ভেড়া বানিয়ে দিল এবং গাছের নিচে বেধে রেখে আবার নাফিসার কাছে গিয়ে বসল।



– মার্ক তুই ভেড়া হয়ে গেছিসরে…….
-আর তুই বুঝি কুত্তা হইছিস……



– কি দানবরে বাব্বা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েই নাফিসাকে নিয়ে মগ্ন হয়ে আছে। কত দিন বাড়ি যাইনি একটু জলদি যাব তারও উপায় নেই। ওকে ছেড়ে কেমনে যাব।
– মার্ক জলদি সাপের রুপ ধরে বাধা অবস্থা থেকে বের হয়ে অলিভিয়াকে ছেড়ে দিল।



– এবার ২ জনেই দানবকে আক্রমন করতেই দানব বলল এই তোরা ছাড়া পেলি কেমনে! তোদের সাহসতো কম না আবার আইসোস দ্বারা কি করি তোদের বলেই কাছে আসতেই মারিয়াম হাজির হইল।




– এই তুই কে রে তুইও ওদের মত মেয়েটিকে নিতে আসছিস? ওকে দিবনা। কি করতে পারিস তোরা দেখব আমিও।



– আমি কে! আমি তোর মা হইরে ব্যাটা বুড়া বজ্জাত দানব। আম্মা বলে আমায় ডাক বলেই মারিয়াম গিয়ে ফটাফট চড় বসিয়ে দিল দানবটির গালে।
– কি আমাকে মারলি তোর সাহস তো কম নয়।
– সাহসের দেখছিস কি! আমার মেয়ের গায়ে হাত দেওয়া আর ওকে বেধে রাখার আস্পর্ধা তোকে কে দিল বলেই দানব কে ধাক্কা দিল।
– দানবটি ছটকে পড়ে গেল।ও বুঝে গেল এই মহিলা ওর থেকেও শক্তিশালী।




– আর মাইর খাওয়ার সখ আছে! নাফিসাকে বের করে দে?
– না দিবনা ওকে আমার খুব ভাল লেগেছে। তাই কখনই দিবনা।
– মারিয়াম অলিভিয়া আর মার্ককে বলল এই তোরা দাড়িয়ে আছিস কেন ধর ব্যাটাকে আজ ওকে উচিত শিক্ষা দিয়েই ছাড়ব।




– মার্ক আর অলিভিয়া মিলে দানব কে ফাটাতে লাগল। বজ্জাদ দানব কোথাকার আমাদের মারা দেখ তোর কি হাল করি। অলিভিয়া ওর ঝাটাটা আনতো যেটা দিয়ে তোকে মেরেছে। ব্যাটাকে আজ ওটা দিয়েই ধোলাই দিব আজ। নাফিসাকে বের করে দে বলছি। দানবটি মারের চোটে নাফিসাকে হাজির করে। মেয়েটা ঘুমিয়ে আছে।



– এই তোরা কি ওর বন্ধু?
– হুম
– যা যার যার বাসায় চলে যা বলে মারিয়াম নাফিসাকে নিয়ে ভ্যানিস হয়ে গেল।



– যাহ্ উনিতো নাফিসাকে নিয়ে ভ্যানিস হয়ে গেল। এবার ওকে পাব কি করে?
– আগে বাসা থেকে ঘুরে আসি তারপর দেখা যাবে বলে ২ জনেও ভ্যানিস হয়ে গেল।




– মারিয়াম নাফিসাকে নিয়ে প্রাসাদে হাজির হল।
– আলবার্ট এসে নাফিসার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই নাফিসা চোখ খুলে তাকিয়ে দেখল ও প্রাসাদে। আলিক্সকে দেখে ভয় পেয়ে গেল। এবার বুঝি টিচার কে মারার জন্য শাস্তি পেতে হয়।




– আলিক্স সব বুঝতে পেরে বলল নাফিসা তুমি আবার কাউকে ভয়ও পাও!

– নাফিসা বলো কি করেছো টিচারের সাথে না হয় তোমাকে আমিও বাঁচাতে পরবনা।
– আমি সব ঘটনা খুলে বললাম ওনাকে।
– উনি শুনেতো অবাক হয়ে গেল টিচার তলে তলে এসব কাজ করেছে। ওকে তুমি বিশ্রাম নাও বলে সবাই চলে গেল।
– আমারও কেমন জানি আবার ঘুম পেয়ে গেল।




– রুপ ভার্সিটির জব টা ছেড়ে দিয়ে বিজনেস দেখাশুনা করে সিডের সাথে।
– মিনা রুপকে স্বাভাবিক করতে ওর বোনের মেয়ে লুসি কে এনেছে। ছোট বেলার বন্ধু ছিল। যদি ওকে দিয়ে রুপকে স্বাভাবিক করা যায়।



– রুপ সকালে বের হতেই লুসি বলে উঠল রুপ তুমি কি ফ্রী আছো?
– কেন?
– তোমাকে নিয়ে একটু সপিং এ যেতাম।
– স্যরি আমার সময় নেই বলে রুপ অফিসে চলে গেল।
– আন্টি তোমার ছেলে এমন কেন হয়ে গেছে। আগে তো এমন ছিলনা।
– লুসি ওর সাথে একটা দুর্ঘটনা ঘটছে মাই ডিয়ার। ওকে ঠিক আগের অবস্থার ফিরাতে তোমার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ও শুধু তোমার সাথেই একটু কথা বলে আমার সাথেতো……….. বলেই একটা বড় শ্বাস নিল মিনা।




– লুসি সোজা গিয়ে রুপের অফিস রুমে ঢুকল।
– লুসি তুমি এখানে হঠাৎ!
– কেন আসতে পারিনা!
– না….. কাজের জায়গায় কোন আলাউ না তুমি বলে লুসির দিকে তাকাল রুপ।
– লুসি রুপের একদম কাছে এসে বলল রুপ তুমি আমাকে কেন বোঝনা! আমি কি চাই?
– দেখ লুসি তুমি কি চাও আমি জানিনা। ভাল কিছু চাইলে অবশ্যই পাবে।
– আমি তোমাকে চাই রুপ শুধু তোমাকে।
– রুপের এবার প্রচুর রাগ বেরে যায় লুসিকে একটা চড় বসিয়ে বলল মেহমান মেহমানের মত থাকবা। একদম লিমিট ক্রসস করবা না। এক্ষুনি বের হয়ে যাও।




– লুসি চট করে ওর রুপে এসে রুপকে চেপে ধরে বুকের সাথে। আমাকে দুর্বল ভেবনা রুপ ভাল বাসি তোমায় তাই কিছু বলতে পারিনা তোমায়।
– চিন্তা করনা এই এখানে খুব শিঘ্রই আসছি আমি বলে রুপের বুকে হাত বুলিয়ে চলে গেল।



– রুপ বিরক্ত হয়ে বলল অসহ্য সবকিছু mom এর জন্য। mom কি ওকে এজন্য নিয়ে আসছে?
-Mom জিবনেও শুধরাবেনা।



– সুমি রাফসানের সাথে অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করে প্রতিদিন। যে শাস্তি আজ ও পাচ্ছে সেটাতে ওর প্রতিদিন মৃত্যু হয়।
তবুও হাল ছাড়েনি। আল্লাহর কাছে বার বার ক্ষমা চায় ও। নিশ্চয় একদিন ওর কলিজার টুকরো আর স্বামীর খোজ পাবে ও।



“.
– ছোট্ট নাফিসাকে সামলানো আবার কর্মস্থল সামলানো রাফসানের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে তবুও মুখ বুঝে সব করতে হচ্ছে। কোন উপায় নেই।
এই কয়েক মাসে ছোট্ট নাফিসা আবহাওয়া সয়ে নিছে বলে আর তেমন সমস্যা হয়না বাচ্চাটির। কিন্তু প্রচুর কাঁদে মেয়েটি। না সহ্য করা যা না কিছু করা যায়।




– গভীর রাতে রুপ তাহাজ্জুদে দাড়িয়ে গেছে। নামায শেষে নাফিসার জন্য দোয়া করল এবং আল্লাহর কাছে ওকে বার বার চাইলো। রুপের গাল বেয়ে বেয়ে পানি পড়েই যাচ্ছে। আল্লাহ ও যেখানে থাকুক ওকে ভাল রেখ। ওকে সহিসালামত রেখ। ও ভালো থাকলেই আমি খুশি।




– নাফিসা ঘুমের ভিতর কেঁদেই যাচ্ছে ফুফিয়ে। নাফিসার কান্না দেখে মারিয়াম ওর কাছে এসে বসল এবং ধীরে ধীরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। এতে নাফিসার কান্নার বেগ বেড়েই যাচ্ছে। শেষে মারিয়াম ভয় পেয়ে ওকে ডাকতে লাগল। ওর ডাকা দেখে মুনিকা রুমে এসে হাজির। কি হয়েছে ওর।




– মারিয়ামের ঝাকানিতে নাফিসা জেগে যায়।
– নাফিসা মা আমার তুমি কাঁদছো কেন?
– মারিয়াম কেউ আমার জন্য কাঁদছে। নাম ধরে আমাকে ডাকছে। আমি তাকে দেখতে পাচ্ছিনা। শুধু অনুভব করছি বলে মারিয়াম কে জড়িয়ে ধরে মেয়েটি কেঁদে উঠল।




– মা তুমি খারাপ স্বপ্ন দেখছো। তাই ভুলে যাও সব।
মারিয়াম ভাল করেই জানে এটা রুপের কাজ। রুপ কে ছাড়া আর কারো প্রতি এর অনূভুতি নাই। সব ভুলে গেলে কি হবে অভ্যাস ভুলতে পারেনি মেয়েটি।




– পরদিন আলিক্স প্রাসাদ থেকে ওর প্রাসাদে নাফিসাকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাইল আলবার্টের কাছে

– আলবার্টও ভাবল ওকে এখানে রাখা বেশ রিক্স তাই আলিক্সের কাছে রাখা সেভ।

– আলিক্স নাফিসাকে নিয়ে ওর প্রাসাদে রওনা দিল। ওরা ভেসে ভেসে যাচ্ছে।
– টিচার আমরা কোথায় যাচ্ছি।
– আমার প্রাসাদে। কোন দুষ্টমি করবানা কিন্তু ওখানে গিয়ে।
– ওকে টিচার বলেই হাত বাড়িয়ে মেঘ ধরার চেষ্টা করলাম।
– নাফিসা নিষেধ করেছি । এরকম করলে কিন্তু নিচে ফেলে দিব হুম।
– দেন আমিও আপনার মত ভাসতে পারি বলে ঝাপ দিলাম নিচে।
– না এই মেয়েতো সেই ডেন্জারাস্ লেভেলের বলেই আলিক্স থেমে গেল। একদম মায়ের বিপরীত। এর স্বভাব এরকম কেন। সিরিয়াস কেন হয়না মেয়েটা।




– আমি আর ভাসতে পারছিনা। নিচে পড়েই যাচ্ছি। অসহায় ভাবে টিচারের দিকে তাকালাম। উনি আমায় একনিমিষেই ওনার কাছে নিয়ে গেল। বেশি ওভার কনফিডেন্স দেখাবানা নাফিসা আর আমার সামনে তো নই। দেখলেতো কি হতে কি হয়ে গেল!




– দেখেন একদিন আমি আপনার থেকে অনেক বড় হব আর এভাবেই আপনার জিবন রক্ষা করব।
– হুম ঈশ্বর তোমার আশা পুরুন করুক।(আলিক্স)

– আচ্ছা টিচার আমার ২ টা বন্ধু ছিল ওদের কেন দেখতে পাই না?
– ওরা বাসায় চলে গেছে নাফিসা।
– আমায় না বলে চলে গেল?
– বলেই গেছে। তখন তুমি হয়ত ঘুমিয়ে ছিলে।




– আলিক্স নাফিসাকে নিয়ে প্রাসাদে যেতেই হইচই পরে গেল ব্যাবিলন সম্রাট আলিক্স নতুন বিয়ে করে এনেছে এবং তার চেহারার বর্ননা দেওয়া খুব মুশকিল। অপরুপ সুন্দরী।





– আলিক্সের ওয়াইফ কান্না করতে করতে ছুটে এসে নাফিসা দেখে রাগে জ্বলে উঠল। সোজা নাফিসাকে ধরে দেয়ালে একটা আছাড় মারে। সব একদম চোখের পলকে হয়ে যায়।
– জেনিফা তুমি পাগল হয়ে গেছ ওকে কেন আঘাত করলে বলে নাফিসাকে নিয়ে রুমে গেল আলিক্স।



– আলিক্স নাফিসাকে শুয়ে দিল। কত আশাকরে ওর নানা ওকে আমার হাতে তুলে দিছে আর এসেই কি হাল হল মেয়েটার বলেই মন্ত্র পড়তে শুরু করে দেয়। এমন সময় জেনিফা এসে বলল আমার কি অপরাধ যে আপনি আবার একটি নতুন সম্রাজ্ঞী রাজ্যতে নিয়ে আসলেন।




– আলিক্স কোন কথা না বলে ওর কাজ করে যেতেই লাগল। ধীরে ধীরে নাফিসার ক্ষত গুলো মিলে গেল।
-নাফিসা চোখ খুলেই জেনিফার দিকে রেগে তাকিয়ে রইল।
– টিচার উনি কে আর আমায় বিনা অপরাধে কেন মারল ওভাবে। আপনি না থাকলেতো আমাকে মেরেই ফেলতো। আমি বলে এমনি আক্রমন করে বসি!



– নাফিসার মুখে টিচার নাম শুনে জেনিফা একটু শান্ত হল। তাহলে ও অন্য কেউ।
– হ্যাঁ ও উন্ন কেউ। তুমি কি ভাবে ভাবলে একটা হাটুর বয়সী মেয়েকে আমি বিয়ে করবো? তাও আবার আমার বন্ধুর মেয়েকে!




– এবার জেনিফা বেশ লজ্জা পেয়ে গেল। কিন্তু মনের ভিতর সন্দেহ রয়েই গেল।
– টিচার ওনাকে আমার সামনে থেকে যেতে বলুন। হিংসুটে পেত্নী কোথাকার?
– কি আমি পেত্নী! তোমার সাহস তো কম না রানী জেনিফা কে এ ধরনের কথা বল।(জেনিফা)
– আমি আরও জানি শুনবেন! একদম ছড়ার মত বলে দিব।
– নাফিসা আমি আসার সময় কি বলেছি কোন কথা বলবেনা। আর উনি তোমার বড় ওনাকে সম্মানের সাথে কথা বল। তাছাড়া ও আমার ওয়াইফ।
– নাফিসা চুপ হয়ে গেল।




– আলিক্স নাফিসাকে বিভিন্ন শিক্ষা দিতে লাগল দিন রাত মিলে। নাফিসা তো একে বারে কাহিল হয়ে পড়েছে। তবে ওর প্রখর মেধা দেখে আলিক্স খুব খুশি। ওকে বার বার শিখে দিতে হয়না। একবারেই কাজ হয়ে যায় তাই দ্রুত শিখতে পারছে মেয়েটা।




– আলিক্স নাফিসাকে এত্ত টাইম দেয় তার জন্য জেনিফার সন্দেহ ও রাগ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিল।
আলিক্সও এটা নিয়ে বেশ চিন্তিতো তাই ওকে দ্রুত শিখাতে লাগল।




– নাফিসা প্রতিরাতে কেঁদে ওঠে এটা আলিক্সের নজরেও আসে। এ বিষয় নিয়ে মারিয়াম কে প্রশ্নও করেছে আলিক্স কিন্তু কোন লাভ হয়নি। মারিয়াম বলেছে কিছুই জানেনা সে। হয়ত স্বপ্ন দদেখে নাফিসা তাই ও রকম ভাবে কাঁদে।



– না স্বপ্নে দেখে এভাবে প্রতিদিন কেউ কাঁদবেনা।ওকে নিয়ে বেশ চিন্তায় পরে যায় আলিক্স।এভাবে আরও ৪ মাস কেটে যায় নাফিসার জিবনে। কিন্তু প্রতি রাতে ওর কান্না যেন বেড়েই যায়।





– একরাতে নাফিসা ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় কেউ ওকে কাঁচের বোতলে বন্দী করে ফেলে।
– নাফিসাকে বন্দী করতেই আলিক্সের ঘুম ভেঙ্গে যায়। নাফিসার নিশ্চয় বিপদ হয়েছে বলে উঠতেই বিছানায় জেনিফা কে দেখতে না পেয়ে রাগে চিৎকার করে নাফিসার রুমে যায়। গিয়ে দেখে নাফিসা বিছানায় নেই।




– আলিক্স চিৎকার দিয়ে সবাইকে ডাকে। সবাই এলে বলল মেয়েটি কোথায়। তোমাদের পাহারায় রাখছিলাম। নাকে তেল দিয়ে কি ঘুমাও। যাও এক্ষুনি ওকে খুজে বেরর কর না হলে তোমাদের গায়েব করে দিব।
– জেনিফা আলিক্সের কাছে আসতেই আলিক্স রেগে ফেটে পড়ে আর জেনিফা কে জোড়ে ধাক্কা দিয়ে ছুড়ে ফেলে। কারন ও ছাড়া প্রাসাদে নাফিসার শত্রু এই প্রাসাদে আর কেউ নেই।

চলবে……………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here