ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)পর্বঃ৯

0
573

#ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ৯

– রুপ নাফিসার লেখাগুলো বার বার পড়ছে আর ওর মনের ভিতর তুলপার শুরু করে দিছে।
.
.
” আর কোন চাওয়ার নেই… কোন স্বপ্ন নেই। তোমাকে ভালবেসে ছিলাম। কোন পাপ করিনি। কখনও চাইনি এতটুকু অপবিত্রতা আমার ভালবাসায় দাগ কাটুক। আমি সমস্ত আস্থার বিশ্বাস থেকে তা রক্ষা করেছি। যার ফলাফল তুমি হারিয়ে গেলে। ভেবেছিলাম স্বপ্ন আছে বলেই মানুষ বেঁচে আছে। স্বপ্ন আছে বলেই মানুষ তার লক্ষ্যই পৌছায়। আজ যা বুঝলাম তা সবটাই সত্য। স্বপ্ন কখনও সত্য হয় না। তোমাকে কোন দোষ দিবনা। ভূল যা ছিল সব আমারি। কারন আমি যে সুখের ঠিকানা তোমার কাছে খুজছিলাম সেখানে অবিশ্বাস, ঘৃনার পরিপূর্ণ ছিল। তাই সব শেষ হয়ে গেল। তুমি খুজবা হ্যাঁ তুমি খুজবা পাগলের মত এই আমিটাকে। সময় সেই সুযোগ তোমায় হয়ত আর দিবেনা……………..”
– রুপের আর বসে থাকতে পারলনা। বার বার কথা গুলো ওর বুকে আঘাত দিচ্ছে। কাছে না থাকুক অন্তত চোখের সামনে থাকবে। সেই পরীক্ষার পর আর উপস্থিত হয়নি নাফিসা কোন পরীক্ষায়। রুপ পাগলের মত খুজেছে কিন্তু কোন হুদিস পায় নি নাফিসার।
.
.
– নাফিসা ছাড়া ওর জন্য প্রতিটা সময় যেন হাজার বছর সমতুল্য।
.
.
.
.
– নাফিসাকে নিয়ে রাফসান রুমে ঢুকতেই মারিয়ামের সাথে বেশ জোরে সোরে ধাক্কা খেল। পড়ে যেতেই মারিয়াম ধরে ফেলে।
– রাফসান বেশ লজ্জা পেয়ে যায়। নাফিসাকে রেখে চলে আসতেই মারিয়াম বলে উঠল রাফসান এখনও সময় আছে তোমার স্ত্রী সন্তান কে সময় দাও তাছাড়া এর থেকে ও সামনে তোমার জন্য বড় কষ্ট অপেক্ষা করছে।
.
.
.
– রাফসান থেমে যায় কথাটা শুনে এবং পিছন ফিরে বলল নাফিসা আমার হৃদপিন্ড আমার জিবন আমার নিঃস্বাসের প্রতিটা শ্বাসের অনুভূতি। ওকে আমি ছাড়তে পারবনা। ওকে পাওয়ার জন্য যে মূল্যই দেওয়া লাগুক না কেন আমি প্রস্তুত।.
.
.
– তুমিতো নাফিসার অতীত কিন্তু জানো না ওর বর্তমান আরও কঠিন। এই বর্তমান টিকে রাখার জন্য তোমার মত হাজারটা রাফসানকে ও কুরবানি দিতে এক সেকেন্ড সময়ও নিবেনা।
.
.
– রাফসান আর দারিয়ে না থেকে রুম থেকে বের হয়ে গেল।
.
.
– রাফসান চলে যেতেই মারিয়াম নাফিসার গায়ে হাত বুলাতেই নাফিসার জেগে ওঠে।
.
– নাফিসা ড্রেস চেঞ্জ কর জলদি বলে মারিয়াম চলে গেল।
.
.
– ড্রেস চেঞ্জ করে একটু বসতেই সুমি আপু সোজা আমার রুমে এসে আমায় এসে বলল তুই কেন আমাদের জিবনে ফিরে এলি আমার সংসার ভেঙ্গে দিতে?
.
.
– আপু আমি সব ঠিক করে দিব টেনশন নিয় না।
– আমার কথা শেষ না হতেই আমার গালে ঠাশশশ্ করে চড় বসিয়ে দিল।
.
.
– আমার আত্বসম্মানে বেশ লাগল। সুমি আপা আমি আর আগের মত নেই যে অপমান করবা আর আমি সহ্য করব। তুমি জানতা না রাফসান আমায় কতটা চাইত তবুও তুমি, ফুফু আর তোর মা মিলে কেমন করে রাফসান কে বিয়ে করলেন। ওর জিবন তো শেষ করেছেন সাথে এখন নিজেরও। রাফসানতো তোমায় ছুয়েও দেখে না তাই না!
.
.
– অহ রাফসান তোকেও সে কথা বলে দিছে আর তার সুযোগ তুই নিচ্ছি।
.
.
– চুপ একদম চুপ করে থাকুন। সুযোগ! কিসের সুযোগ? তুমি আমার নিরবতার সুযোগ নিয়েছো।
.
.
– আমি কারো সংসার ভাঙ্গতে আসিনি। তোমার মত অন্তত কুরুচিপূর্ণ মন আমার না বলেই চলে আসলাম।
.
.
– মারিয়াম নাফিসার চাচার সাথে বসে গল্প করছে আর জাহানারা রাগে ফুসছে।
মারিয়াম সেটা বেশ উপভোগ করছে।
.
.
.
– আমি ছাদে এসে দাড়িয়ে আছি। ভিষন বাতাস বইছে। আমি চুলগুলো ছাড়িয়ে দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।
.
.
– রাফসান পিছন থেকে এসে আলত করে নাফিসার চুলের ভিতর আলতো করে মুখ গোজে।
.
– তুমি তো দেখছি আমায় সব সময় ফলো কর রাফসান!
– ফলো কেন ভালবাসি তোকে খুব সেটা কি বুঝিস না?
.
.
– দেখ আমি তোমার কাছে যাইনি তুমি আসছ আমার কাছে আর এটা যদি বাসার কেউ দেখে তাহলে সবাই আমাকে ধিক্কার দিবে তোমাকে কেউ কিছু বলবেনা। এটার কারন আমি মেয়ে বলে। তোমরা ছেলেরা যত দোষ করনা কেন তোমাদের সাত খুন মাফ আর আমাদের বেলায়! বলে জোড়ে নিস্বাস ফেলাল।
.
.
– রাফসান হাটু গেড়ে বসে বলল নাফিসা আমাকে বিয়ে করবি!
.
.
– আমি রাফসানের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বললাম তোমার না একটি মেয়ে আছে সে যখন বড় হয়ে শুনবে তার প্রিয় বাবা টা তার মায়ের সাথে অন্যায় করেছে তাহলে কি করে ছোট্ট নাফিসার চোখে চোখ রেখে কি উত্তর দিবে।
.
.
– রাফসান রাগে চিল্লায় বলল আমাকে ধোকা দিয়ে বিয়ে করেছে সুমি। আমাকে মায়ের কসম দিয়ে ওর সাথে মিশাতে বাধ্য করেছে আমার মা। সবাই পেল আমি কি পেলাম। আমি তোকে চাই যে কোন মূল্যতে যে কোন মূল্য……. তুই আমার দুনিয়া। যেখানে শুধু আমার আর তোর বসবাস। তোকে ফিরে পেয়েছি হারানোর জন্য।
.
.
– আমার অতীত ভুলে বর্তমান নিয়ে খুশি তাই পাগলামো করবা না একদম বলে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম।
.
– রাফসান আমার হাত টেনে ধরে একদম ওর বুকের কাছে টেনে এনে বলল এই তুই কি বললি…… একদম জানে মেরে দিব। জানিস তো আমার অতীত রেকর্ড। আমার কাছ থেকে দুরে যেয়ে দেখা তারপর বলিস বলে রাগে গজ গজ করে নিচে নেমে গেল।
.
.
– আমার চোখের পানি পরে গেল টপ টপ করে। জানি ভালবাসা না পাওয়ার কি যন্ত্রনা।আমি আমার বিয়ের কথা বলতে পারছিনা। নিষেদ আছে কঠোর ভাবে রুপ এবং মারিয়ামের তাই বলতেও পারছিনা। আমি এখানে থাকলে রাফসানের পাগলামি দিন দিন বেড়েই যাবে।
.
.
– রাতে খাবার বসেছি সবাই মিলে। রাফসান ঠিক আমার কাছে এসে বসল। সুমি আপু রাগী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি মনে মনে বললাম দেখ কেমন কষ্ট কারো থেকে কিছু কেড়ে নিলে। যা ২ বছর আগে আমায় দিয়েছিস।
.
.
– রাফসানের কোন দিকে দৃষ্টি নেই কে কি ভাবল। ওর জাষ্ট নাফিসা চাই।
.
– রাতে জাহানারা রাফসানের মায়ের কাছে কল দিয়ে বলে বুবু আমাদের সব প্লান নাফিসা এসে নষ্ট করে দিল। আর তোমার ছেলে যা শুরু করে দিছে লজ্জায় আমাদের মাথে নিচু হয়ে যাচ্ছে।
.
.
– নাফিসা আসছে মানে!
– কেন বুবু জানোনা?
-না তো….
– ওকে তুমি বাসায় আসো জলদি নিজে দেখ বলে জাহানারা কল কেটে দিল।
.
.
.
– আমি রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম মারিয়ামের পাশে।

– আবার সেই শিতল স্পর্শে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
.
.
.
– ২ টা জ্বীন আমার সামনে বসে আছে। আমার ২ গুরু যার কাছে আমি দীক্ষা নিয়ে থাকি।
– আমাকে আমার মায়া বিদ্যার সম্পর্কে অনেক কিছু অনুভব করাল।
.
– একজন বলে উঠল নাফিসা ঘোড়ার খুরের পাওয়ালী কোন মহিলাকে চিনো? মুসলিম ধর্মের মহিলাটি।
– আমি বললাম হ্যাঁ চিনি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ডের মা উনি। আমায় খুব ভালবাসে।
.
.
– মহিলাটি তোমায় পাগলের মত খুজছে প্রায় ১ মাস ধরে। মহিলাটি খুব বিপদে আছে। তুমি কি তার সাথে কথা বলতে চাও?
.
.
– আমার বুক কেঁপে উঠল আজগড় ঠিক আছেতো!
.
– এখুনি তার সাথে দয়া করে যোগাযোগ করে দিন বলতেই আজগড়ের মা আমার সামনে হাজির।
– উনি আমায় জড়িয়ে ধরে বলল মা আমার আজগড়ের খুব বিপদ। আজ থেকে ৪৫ দিন আগে আমাদের গোত্র প্রধানের নির্দেশে ওকে বন্দী করেছে রোজের সাথে বিয়ে হওয়ার কারনে। কাল সূর্য ডোবার সাথে সাথে আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে।
.
.
– আজগড় যাওয়ার সময় শুধু তোমার নাম বলে গেছে। অনেক যোগাযযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু বার বার ব্যার্থ হয়েছি। আমার এক মেয়েকে হারিয়েছি এবার আর স্বামী সন্তানকে হারাতে চাই না বলেই ভ্রানিস হয়ে গেল।
.
.
– আমি কি করব। যে আমার আশ্রয় দিয়ে সব সময় আগলে রাখছে তার এই বিপদ! চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলাম। আমি আমার সব হারিয়েছি কিন্তু আজগড়কে কখনও হারাতে চাইনা। আমি কি করব এখন।
.
– নাফিসা তুমি ইচ্ছা করলেই কিন্তু তাকে হেফাযতের সাথে উদ্ধার করতে পার। এটাও তোমার একটা পরীক্ষা। এই কয়দিনে যা শিখিয়েছি তা পরখ করে দেখ।
.
.
– আমিতো চিনিনা সে কোথায় আছে। আমি তোমায় নিয়ে যাব মাই পিন্সেস বলে মারিয়াম আমার সামনে এসে দাড়াল। এখুনি চল সময় নেই তেমন বলেই আমায় নিয়ে ভ্যানিস হয়ে গেল।
.
.
– আমরা একটি গভীর জঙ্গলে এসে পৌছালাম। তুমি ভিতরে যাও নাফিসা আমি আর যেতে পারবনা। ও তোমার ধর্মের জ্বীন তাই তোমার সেখানে প্রবেশে সমস্যা হবেনা।
.
.
– আমি জঙ্গলের সামনে যেতেই একটা জ্বীন এসে আমার সামনে দাড়িয়ে আমার গলা চিপে ধরে বলল কে তুই?
…………………….?
– কথা কেন বলসিসনা কেন। চল তোকে প্রধানের কাছে নিয়ে যাই। তোকে দিয়ে আমরা মহা ভোজ করব। দেখে তো মনে হচ্ছে মানুষের বাচ্চা। প্রধান ও আমার উপর বেশ খুশি হবে।
.
.
– আমি এটারই অপেক্ষা করছি। রুপের কথা বেশ মনে পরে গেল। রুপ বলেছিল শত্রু পক্ষ সব সময় দুর্বল মানুষ ভেবে ভুল করে বসবে আর এটাই আমার বড় হাতিয়ার।
.
– যাওয়ার সময় অনেক জ্বীন গুলো বলল কিরে বনখাসি কই পেলি! আজতো মহা ভোজ হবে।
.
– আমি রেগে গিয়ে মনে মনে বললাম আহম্মকের দল আমি বন খাসি! তোদের ভোজ করার মজা তোদের প্রধান হারে হারে টের পাবে।
.
.
– একদম দরবারে আমাকে নিয়ে গেল। শত শত জ্বীন সেখানে উপস্থিত ছিল। আমাকে ঠিক মাঝখানে এনে বলল মালিক একে আমাদের সীমানায় পেলাম।
.
.
– প্রধান আমায় দেখে বলল এ কেউ সাধারন নয়। সাধারন হলে আমাদের সীমানায় আসতে পারত না।
– এই মানুষের ছা তোর উদ্দেশ্য কি এখানে কেন এসেছিস।
– আজগড় কই ওকে নিতে এসেছি।
– আমার কথা শুনে ওরা হো হো করে হেসে উঠল। এই মানুষের ছা নাকি আজগড়কে ছাড়াতে আসছে।
– এই আমাদের ভোজ হবার আগে এই বন খাসিকে ওর ইচ্ছাটা পূর্ন করে দে বলে এক জ্বীন কে ইশারা করল প্রধান।
.
.
– আজগড়কে আমার সামনে হাজির করল। আমি আজগড়ের অবস্থা দেখে কেঁদে ফেললাম।পুরো শরীর ক্ষতেই ভরা। মুখ দিয়ে কথা বলতে পারছেনা। ওর আর আমার চোখ দিয়ে কেবল পানিই বেয়ে যাচ্ছে আর ওরা হাসছে।

– এমন সময় একটা জ্বীন অচমকায় আজগড়কে লাহার চেইন দিয়ে গায়ের শক্তি দিয়ে আঘাত করল। আমার সামনে নিস্তেজ হয়ে বসে পড়ল আজগড়।
– আমি চিৎকার দিয়ে উঠে বললাম মালাউনের বাচ্চা তোর অবস্থা এর থেকেও খারাপ যদি না করতে পারছি আমি মানুষের বাচ্চা নয় বলে জ্বীনটার একনিমিষেই টুটি চিপে ধরে দেয়ালে আছাড় দিলাম। জ্বীনটার ঘাড় ভেঙ্গে নেতিয়ে পড়ে গেল।
.
– আমার কান্ড দেখে দরবারে হইহল্লোড় বেড়ে গেল। আমি সেদিকে কান না দিয়ে আমার ইশারা করতেই আমার সামনে ১৫ টি সেই হাজার বছরের সাপ গুলো এসে গর্জন শুরু করে দিল।
.
.
– আমি হুংকার ছেড়ে বললাম আমি জ্বীন রাজকন্যা এলিনা আর মনুষ্য ছেলে মেহেদীর একমাত্র কন্যা সন্তান নাফিসা। এ সেই রাজকন্যা এলিনা যে জ্বীন নরখাদক দানবদের রাজা জিক্কার কে ৫০০ শত বছর ধরে পাথর করে বন্দী করে রেখেছে আর ওদের রাজ্য লুকিয়ে রেখেছে জ্বীন সব রাজ্যগুলো থেকে। আমি তার কন্যা নাফিসা বলছি আল্লাহর কসম করে যদি আজগড় কে সসম্মানে না ফিরত দাও তাহলে ওকে তো আমার সাথে নিয়ে যাবই সাথে দানব বাদশা জিক্কার এর থেকেও খারাপ হালাত করে ছাড়ব বলে একটা সাপকে নির্দেশ দিতেই ও গিয়ে প্রধান কে জড়িয়ে পেঁচিয়ে ধরে।
.
.
” নাফিসা শুধু ভয় দেখায় না কাজ করেও দেখায়। আয় কে আছিস আমার মত বনখাসিকে দিয়ে ভোজন করবি। আমায় খেয়ে হজম করতে পারবি কি সবাই বলে একটা পাথরে সাউড করে এবার নিজের শক্তি দেখালাম। পাথরটি চূর্ন-বিচূর্ন হয়ে ধুলায় পরিনিত হল।”
.
.
– আমার ভুল হয়ে গেছে আমায় ক্ষমা করে দিন দয়া করে আমি সম্মানে আজগড়কে ওর বাসায় পৌছে দিব এবং আমার গোত্র থেকে রোজ দের গোত্রে সন্ধি প্রস্তাব পাঠাব।
.
.
– আমি কিছুটা শান্ত হয়ে বললাম রোজ এখন মুসলিম তাই ওকে মেনে নিতে আশা করি সমস্যা হবেনা বলে ১৫ সাপ কে নির্দেশ দিলাম সব ঠিক না হওয়া অবদি সেখানেই অবস্থান করতে।
.
– আমি আজগড় কে বলাম চিন্তু করনা সব ঠিক হয়ে যাবে। ওরা তোমাকে রেখে আসবে।
আজগড় অনেক কষ্টে আমার হাত ধরে কিছু বলার চেষ্টা করল কিন্তু আমি বুঝতে পারলামনা।
তুমি ঠিক হয়ে নাও আমি পরে শুনব বলে সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম। মারিয়াম আমাকে নিয়ে বাসায় এসে পড়ল।
.
.
– ভোর হওয়ার পথে। আমি ফজরের নামাযের জন্য জায়নামাযে দাড়িয়ে গেলাম।
– মারিয়াম নাফিসার চাচার কাছে গিয়ে বলল আমি নাফিসাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে চাই এতে আপনার মেয়ে সুমির জন্য ভাল হবে।
– সাজ্জাদ বলে উঠল রাফসানের পাগলামো বেড়েই গেছে। আপনারা কোথায় যাবেন?
.
.
.
– সেটা আপনার না জানলেও হবে। একটু পর বের হব। আশা করি বাসার সবাইকে সামলাবেন।
.
.- বিথীর বিয়ের পর না হয় যান….
– না এখুনি বলে সেখান থেকে বের হয়ে সোজার সুমির রুমে এসে ছোট্ট নাফিসাকে নিয়ে নাফিসার রুমে গিয়ে দেখে নাফিসা নামায শেষ করে কেবল উঠল।
-নাফিসা এই বাচ্চাটার সারা শরীর হাত বুলিয়ে দাও তো…..
– আমি অবাক হয়ে গেলাম ওর কথায়। কিন্তু কিছু না বলে হাত দিয়ে স্পর্শ করতেই বাচ্চাটি কেঁপে উঠল।
– মারিয়াম ওর কি হলো?
– কিছুনা তুমার পর রাফসানের জন্য এই বাচ্চাটি অত্যন্ত ভুমিকা পালন করবে তার বাবার বেঁচে থাকার জন্য। একটা সুন্দর জিবন দান করবে।
.
.
– আমি কিছু না বলে ছাদে উঠে আসলাম। রোজ আর আজগড়ের সম্পর্ক ভাল হয়ে যাবে আজ থেকে। আমার আর রুপের মাঝে বিশাল ব্যবধান যা কখনও ঠিক হবার না বলে নিজের শুকরা জ্বীনের লকেট খুলে ছুড়ে মারলাম।
.
.
-রুপ সুয়ে আছে এমন সময় এক দমকা বাতাস এসে ওকে ছুয়ে দেয় যেখানে ছিল নাফিসার শরীরের ঘ্রান। রুপ একঝটকায় বিছানা থেকে উঠে পরে। ওর আর বুঝতে বাকি থাকলনা এটা কি ছিল। ও নাফিসার রেসপন্স পাইছে এখনি।
.
.
.
– মারিয়াম ছুটে এসে নাফিসাকে বলল আমায় ক্ষমা করে দাও মাই প্রিন্সেস এথানেই তোমার নাফিসা নামক জিবনের সমাপ্ত করে দেওয়ার জন্য বলেই নাফিসার বুকে স্বচ্ছ কাঁচের ছুড়ি বসিয়ে দেয় মারিয়ম।
.
.
– মারিয়াম আমার সাথে কি করলে বলে ধপ করে বসে পড়ল নাফিসা এবং সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায় এবং কয়েক ফোঁটা জল চোখ দিয়ে বেয়ে যায়।
.
– মারিয়াম আর দেরি না করে নাফিসাকে নিয়ে ভ্যানিস হয়ে গেল এর এই সব গুলো ঘটনা রাফসানের চোখের সামনে একপলকে ঘটে গেল।
রাফসান স্তব্ধ হয়ে দেখল শুধু সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা……..
চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here