#ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ৩
.
-আমি যখন লাফ দিলাম তখন বুঝতে পারলাম আমি নিচে পড়ে যাচ্ছি।
– আমি নিচে পড়তেই খপ করে কেউ যেন ধরে ফেলল।
– যাক বাব্বা বেচে গেলাম বলে সামনে তাকিয়ে দেখি সেই লোকটি যে সাপ রুপ ধরে আমাকে পেচিয়ে রেখেছে। ভয়ে আমার জান যায় যায় অবস্থা।
– একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে লোকটি বলল অনেক দিন ধরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু তোর সাথে থাকা ছেলেটির জন্য পারিনি।
– আজ সময়টা আমার তাই তোকে বাগে পেয়েছি। তোর মা আমার যা ক্ষতি করেছে সেটা আজ গন্ডায় গন্ডায় পুষিয়ে নিব।
.
.
.
– কথায় আছেনা বাবা-মার পাপের কর্মফল নাকি সন্তানদের ভোগ করতে হয়। সেই দিনটা আজ আমার হয়ত।
.
.
.
– এই কথাটিই লোকটি আমায় বুঝিয়ে
দিলো গালে একটা চড় বসিয়ে।
.
.
– অচমকায় চড় মারাতে বেশ জোরে
লাগল এবং মাথা ঝিম ধরে গেল।
.
.
– আমিও ভিষন রেগে সোজা বুক বরাবর
লাথি বসিয়ে দিলাম।
– এতে সে দুরে ছিটকে গিয়ে পড়ে
গেল।
–
– আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম আমার
মা তো তোকে হাফ মাডার করছে
এবার আমি তো তোকে ফুল মাডার
করেই ছাড়ব।
– আমি গর্জে উঠে বললাম আয় ব্যাটা
বুড়া সাপ দেখি তোর শক্তির
কেলমা…..
.
.
– লোকটি চট করে উঠে বলল তেজতো
তোর কম না! আমার সাথে লাগতে
আসছিস? বলেই ওর লম্বা সাপের জিহ্বা
বের করে আমার গলা জড়িয়ে ধরল।
– আমি কাঁশতে কাঁশতে শেষ। কোন
উপায় না পেয়ে নিজের জিবন বাঁচার
তাগিদে ওর লিকলিকে জিহ্বার মধ্য
হাত দিয়ে মনে মনে আল্লাহ আকবার ৩
বার তাকবির দিয়ে ফু দিলাম। এতেই
মারাত্বক কাজ হয়ে গেল।
– জিহ্বার মাঝখানে আগুন ধরে গেল
এবং আমায় ছুড়ে ফেলে দিল।
– আমি একটা গাছের সাথে বারি
খেয়ে পড়ে গেলাম। মারাত্বক আঘাত
পেলাম। উঠে দাড়াতেও কষ্ট হচ্ছে।
–
–
–
– আমি ঐ অবস্থায় বসে হাত জোড় করে
আমার জানা কিছু দোয়া পড়তে
লাগলাম এবং নিজের শরীর বন্ধ করে
নিলাম।
.
.
– দেখলাম সাপটি অনেক নিস্তেজ হয়ে
পরেছে।
– এইটুকু শক্তির এত্ত বাহাদুরি তোর?
– আমার ১২ শত বছর বয়স আমাকে
হারাতে পারবি! বলেই আমাকে
আঘাত করতে আসে।
– যেহেতু শরীর বন্ধ করে ফেলেছি তাই
আমাকে ছোয়ার আগেয় তার গায়ে
আগুন জ্বলে যাচ্ছে।
– আমি আমার শিখা মন্ত্র গুলো পড়তে
লাগলাম আর ওর শরীরে আগুনের শিকল
জড়িয়ে যেতে যেতে শুরু করল।
–
– আমায় মারিস না দয়া করে। তোর মা
আমাকে ভুল করেও মারেনি। তুই
জানিসনা আমি কে এর ফল তোকে
ভোগ করতে হবে তোর পরিবার দিয়ে।
আমায় ছেড়ে দে।
– যে স্বামীর এত বড়াই দেখাস সেই
তোকে আমার মৃত্যুর পর ছুড়ে মারবে।
তোর পরিবারের দুর্বল জিনিসের
ক্ষতির ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।
.
.
– অল্প বয়স আমার। রক্তের তেজই
আলাদা। ভাবলাম আমাকে দুর্বল করার
জন্য কথা বলছে তাই কাজ চালিয়েই
গেলাম।
– ও সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল আমার
চোখের সামনে।
.
.
– উমহহহহ্ বুইড়া জ্বীন কোথাকার
আমারে ভয় দেখাতে আসে।
দেখলিতো আমার পিছনে লাগার ফল।
.
.
– আমি ধীরে ধীরে বাসার ভিতর
ঢুকলাম।
– বাসায় ঢুকে বুঝতে পারলাম বেশ
রাতই হয়ে গেছে।
– রুমে এসে দেখি রুপ সুয়ে আছে।
আজবতো আমি এতক্ষন বাহিরে ছিলাম
তবুও ওর ভাবনা হলনা আমাকে নিয়ে?
– হয়ত রাগ এখনও জমে আছে তাই
ওভাবেই সুয়ে পড়েছে।
– কিছু না ভেবে ওয়াস রুমে গিয়ে
সাওয়ার নিলাম। পুরো গা নোংরা
হয়ে গিয়েছিল।
– সাওয়ার থেকে বের হয়ে রুপের
দিকে তাকিয়ে সোফায় গিয়ে সুয়ে
পড়লাম। ওর কাছে শুতে কেমন জানি মন
সায় দিচ্ছিলো না।
.
.
.
– কেবল চোখ দুটো বন্ধ করব এই সময় রুপ বেশ
চিৎকার করেই বলে উঠল এত্ত রাত অবদি
কোথায় ছিলে!
.
.
.
-ভয়ে আমার শরীর কেঁপে উঠল। চোখ
খুলে তাকিয়ে দেখে রুপ আমার
সামনে দাড়িয়ে।
.
.
.
– এমনিতেই আমার উপর ভিষন রেগে
আছে তার উপর যদি বলি আমার সাথে
এরকম ঘটেছে তাহলে হয়ত আরো রেগে
যাবে তাই চুপ করে ওর দিকে তাকিয়ে
রইলাম।
.
.
– রুপ বলল আবার কোন গোলমাল
পাকিয়েছ?
– না না আমি কিছু করিনি তোহ।
– তাহলে এসে সাওয়ার নিলে কেন?
– এইরে সারছে। এখন কি বলি?
– নিশ্চয় ভিতরে ভিতরে মিথ্যা
সাজাতে ব্যাস্ত তাই না?
– আল্লাহ এবারের মত বাঁচাও আর কোন
দিন এমন কোন কাজ করবনা।
– নাফিসা তুমি বদলে গেছ……. বলে রুপ
বিছানায় গিয়ে সুয়ে পড়ল।
–
– আমি দ্রুত গিয়ে ওকে পিছন থেকে
জড়িয়ে ধরে সুয়ে পড়লাম।
– তুমি বললে না কোথায় গিয়েছিলে!
– কেন তুমি আগে সব কিছু না বলার
আগে জেনে ফেলতে আর এখন কেন
বুঝতে পারোনা। ভালবাসার কি কমতি
পড়ে গেছে?
– নাফিসা তুমি আগে মানুষ ছিলে
তাই তোমার মনের কথা পড়তে
পারতাম। কিন্তু এখন জ্বীন জাতির হয়ে
গেছ তাই আর সম্ভব নয়।
– রুপ আমার দিকে ফিরে বলল নাফিসা
আমার মন বলছে তুমি কঠিন কিছু করে
ফেলেছো যার ভোগ আমাদের ২জন
কেই পোহাতে হবে।
– ঐ লোকটির শেষ কথা বার বার আমার
কানে বাজতে লাগল। ওকে না মেরে
জিবিত ও রাখতে পারতাম। তাহলে
কি আমি মস্ত বড় ভুল করে ফেললাম। যার
মাষুল এখন দিতে হবে!
ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া
ভাবিওনা।
.
.
– রুপ আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়া
থাকতে পারব না। মরেই যাব। আমাকে
আর কখনও তোমার থেকে দুরে রেখনা
দয়া করে।
.
.
– রুপ নিশ্চিত বুঝতে পারল কিছু একটা
ঘটেছে যেটা ও তাকে বলছেনা। এটাই
সব থেকে কষ্টের সময় নাফিসা
আমাকে বিস্বাস করতে পারেনি
এখনও।
.
.
– তুমি কি করেছো বল আমায়!
– না কিছু নয়।
– রুপ ভিতর ভিতর খুব রেগে গেল কিন্তু
প্রকাশ করল না।
– আমার কেমন জানি অসস্তি লাগছে।
যদি বলে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
– আর বুইড়া সাপ মিথ্যাও বলতে পারে
নিজেকে বাচানোর জন্য।
–
–
– রুপ উঠে বাহিরে চলে গেল।
– আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম।
– খানিক পর রুপ প্লেটে করে খাবার
নিয়ে এসে আমার পাশে বসল।
– এক হাতে আমাকে টান মেরে
বসিয়ে মুখের সামনে এক লোকমা ভাত
তুলে ধরল।
– আমি চোখ নাচিয়ে বললাম জনাব
আপনি নাকি আমার মনের কথা পড়তে
পারেন না?
– এটা তোমার অভ্যাস যেটা আমার
স্মরনে ছিল। তাই চুপচাপ করে খেয়ে
নাও।
– খাব না।
– খাবা না! বলে আমার দিকে রাগী
দৃষ্টিতে তাকাতেই আমি ভয় পেয়ে
গেলাম।
– ভয় দেখাও কেন। আমিতো মজা করে
বলছি বলেই খেতে লাগলাম।
.
.
.
– খাওয়া শেষ করে সুয়ে পড়লাম।
– রুপ এসে আমার কপালে কিস করে বলল
তুমি এমন কোন কাজ করোনি তো যেটা
আমাদের সম্পর্কের মধ্য চির ধরাবে।
– আবার সেই কথা…… ভাল লাগেনা
বলেই পাশ ফিরে সুইলাম।
– রুপ বলল এদিক হও বলছি।
– না
– আমার কথা শুনবানা?
-না… না….না….
– ওকে আমি আমার তাহলে কেলমা
দেখায় হুম…..
– না বলেই পাশ ফিরে সুইলাম।
-good girl
-আমি কি জানতাম আমাদের মাঝে
এটাই শেষ খুনসুটি! যদি জানতাম কখনই
ওকে ছেড়ে দিতাম না।
– জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষন পড় ঘুমের জগতে
তলিয়ে গেলাম।
.
.
.
– খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেল আমার।
চোখ মেলে দেখি রুপ পাশে নেই।
.
.
– আমি উঠে বসলাম এবং রুপ কে
ডাকলাম কিন্তু কোন রিপ্লাই পেলাম
না।
আমি বিছানা ছেড়ে রুম থেকে
বাহিরে এলাম।
– কান্নার শব্দ পেয়ে আমার বুকের
ভিতে ঝড় বেয়ে গেল।
– সেই সাপটির কথা মনে পরে গেল।
রুপের কিছু হয়নিতো?
– আমি জলদি সে দিকে গেলাম। রুপকে
দেখলাম বসে আছে। ও ওভাবে কেন
বসে আছে! ওর কিছু হয়নি দেখে মনে
শান্তি পাইলাম।
– কিন্তু শান্তি বেশি ক্ষন রইল না।
– রুমে ঢুকে দেখি রুপম সুয়ে আছে। ওর
পুরো শরীর নীল এবং ঘাড়ের কাছে
ক্ষত চিহ্ন।। সেখান থেকে কয়েক
ফোটা রক্ত ঝড়ে পড়ছে।
–
–
– আমি আর দাড়িয়ে থাকার মত শক্তি
পেলাম না ধপ করে বসে পড়লাম। আমি
কি ভুল করলাম যার বিনিময়ে রুপমের এই
হাল হল! আল্লাহ্ রুপম কে ঠিক করে দাও।
.
.
.
– আমাকে দেখে রোজ এসে এক ঝটকায়
তুলে ঠাশশশ্ করে চড় বসিয়ে দিল। তোর
কি ক্ষতি করেছি যে তুই ছোট্ট
বাচ্চাটাকেও ছাড় দিলিনা।
– আমি গালে হাত দিয়ে হতবম্ভ হয়ে
কাদো কাদো কন্ঠে বললাম আমি কি
করেছি? আমাকে চড় মারলি কেন?
– যে কোন দিন আমার সাথে খারাপ
ব্যবহার করে নি সে আমাকে কেমনে
চড় মারে!
.
.
– আমার শাশুড়ি মা মিনা এসে
আমাকে ধাক্বা দিয়ে বলল তুই আমার
উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এইসব
করেছিস?
– আমি ধাক্বা খেয়ে রুপের সামনে
পড়ে গেলাম। কিন্তু আজ রুপ আমাকে
ধরলও না। বাবা এসে আমাকে টেনে
তুলল।
.
.
.
– মিনা এসব কি ব্যবহার?
– Dad! mom ঠিক ব্যবহারই করছে। যা
আগেই করা দরকার ছিল বলে রুপ আমার
দিকে তাকাল।
– এটা আমি কাকে দেখছি। এটা রুপ
হতে পারেনা।
.
.
.
– নাফিসা আমি কতবার তোমায়
গতকাল রাতে জিঙ্গাসা করছি তুমি
একবারও কিছু বলছো?
– আমি কি করছি?
– এবার রুপ সবার সামনে ঠাশশশ্ করে চড়
মারল যেটা আমার জন্য সব থেকে
লজ্জাকর ব্যাপার।
– মিনা এসে গত রাতের ঘটনা সবার
সামনে দেখালো যেখানে সাপটি
আমাকে কাকুতি মিনতি করছে বাঁচার
জন্য কিন্তু আমি পৈশাচিক হাসি
দিয়ে পুরে ফেলি।
– রুপ একঝটকায় আমার গলা চিপে ধরে
বলে শক্তির খুব তেজ না!
– পৃথিবীর সবাই কে দেখাইতে হবেতো
তুমি কতটা শক্তিশালী। সব জায়গায়
পাগলামো! অনেক সহ্য করছি আর না।
– সিড এসে রুপকে ধরে এবং ছেড়ে
দিতে বলে।
– রুপ আমায় জোড়ে ধাক্কা দিয়ে
ফেলে দেয় এবং বলে dad. ওকে আমার
চোখের সামনে থেকে চলে যেতে
বলুন।
.
.
.- আমি কোন কথা না বলে সেখান
থেকে চলে আসলাম।
–
– মিনা রুপ কে বলল হয় তুই পরিবারকে
চয়েস করবি না হয় তোর গুনধর রুপসী
বউকে। তোর জন্য একটা অপসনই খোলা
আছে।
.
.
.
– আমি রুমে বসে থেকে কাঁদছি এমন সময়
রুপ রুমে আসে।
– আমি রুপকে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে
ধরে বলি তুমি যা দেখছ তা সবটা ঠিক
না। প্লিজ আমার কথা শোন!
– এই তুমি এখনও আছো। এক্ষুনি বের হয়ে
যাও আমার রুম,বাসা এবং আমার জিবন
থেকে। আমি কোন বিস্বাস ঘাতককে
আমার জিবনে চাইনা। যার একটা ছোট
বাচ্চার জন্যও মনে এক বিন্দু দয়া নেই।
Get out… বলে দরজার দিকে আঙ্গুল
দেখিয়ে দিল।
.
.
.
– এই অনেক বলে ফেলছো আর না। কি
ভাবছো তুমি হুম। তুমি কি একা রুপম কে
ভালবাস! আমি বাসিনা?
– চুপপপপপপপ! একদম চুপ আমি ভাল করেই
জানি তোমাকে কেমনে আমার জিবন
থেকে সরাতে হয়।
.
.
.
– আমি যাব না। আমার কি দোষ। এটা
আমার সংসার, আমার স্বামী, আমার
পরিবার আমিতো এটা কিছুতেই ছাড়ব
না।
–
– ইসলাম ধর্মে কি যেন ৩ টা শব্দ আছে
যেটা ৩ বার বললে ডির্ভোস হয়ে যায়!
– অহ পেয়েছি! তালাক শব্দটি তাইনা।
তুমিতো আবার খুব ধর্ম মানো!
—
–
– কথাটি শুনে আমার পায়ের তলার
নিচে থেকে মাটি মনে হয় এক
নিমিষেই সরে গেল। মাথা বনবন করে
ঘুরছে। হাত পা থরথর করে কাঁপছে।
– ও এটা কিভাবে বলতে পারল। এটা
কে? এতো আমার রুপ না এ অন্য কেউ।
আমি রুপের পা ধরে বললাম দেখ রুপ
পাগলামি কর না। আমরা সবাই মিলে
সমস্যা সমাধান করব।
– ঠাশশশ্ করে চড় মেরে বলল তুমি যাবে!
না আমি বাধ্য হয়ে এমন কিছু করব যা
তোমাকে সেটা যাওয়াতে বাধ্য
করবে।
.
.
.
– ও যা করতে চাইছে সেটা করলে একদম
শেষ হয়ে যাবে তাই ওর কথাই মেনে
নিলাম।
–
–
……… কিছুক্ষন আগেই ২ জনের মধ্য কত্ত
ভালবাসা ছিল
……….কি দোষ ছিল কতটুকু দোষ ছিল
কিছুই জানতে চাইলে না কিংবা
জানার চেষ্টাও করলে না
………..কি ছিল দোষ তার জন্য এতটা
সাজা দিলে
……….. তুমি আমাকে হারানোর পর
একদিন তুমি আমায় খুব মনে করবে
……….. ফের দেখবা আমার সাথে
দেখা করার জন্য আল্লাহর কাছে
ফরিয়াদ করবা
-কিন্তু সময় তোমাকে সেই সুযোগ
দিবেনা।
ভাল থাক তুমি এবং তোমার
পরিবারকে নিয়ে সুখে এবং
শান্তিকে।
বলেই বের হলাম বাসা থেকে। রুপম
ভাল থাকলে হয়ত আটকাতো কিন্তু
সেতো নাই।
তাই আমাকে আটকানোর কেউ নাই
চলবে……..
–
–