ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ পর্ব-১৮

0
1706

#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১৮তম পর্ব
#MD_Fahim_Ahmed
Page: All Story Link


জুঁই:-ভাইয়ার গলাদিয়ে তোমাদের বাড়ির কোনো খাবারই নাকি নামবেনা সেটা বলেই বাইরে থেকে খাবার খেতে গেলো,
আব্বু:-বুঝিনা ও আমাদের সাথে রাগ করেছে ঠিক আছে কিন্তু খাবারের সাথে কেন রাগ করবে,
জুঁই:-আব্বু সেটা কিন্তু তুমি ঠিকই জানো ভাইয়া কেন এমন করতেছে,
এইদিকে রাসেল খাবার খেয়ে রাস্তা দিয়ে বাসার দিকে আসতেছে ঠিক তখনি পিছনে থেকে কেউ রাসেল কে ডাকে রাসেল তাকিয়ে দেখে জেলার আদনান সাহেব ওকে ডাকতেছে কিছুটা দূর থেকে রাসেলের দিকে আসতে আসতে,

আদনান:-রাসেল এই রাসেল,
রাসেল:- আসসালামুয়ালাইকুম,
কেমন আছেন আংকেল,অনেক পরে আপনার সাথে দেখা হলো,
আদানান:-ওয়ালাইকুমাসসালাম ভালো আছি,
চলো আমরা পাশের একটা কফি শোপে বসে কদা বলি, এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কদা বলশে সবাই পাগল ছাড়া দ্বিতীয় কোনো শব্দ বলবেনা,
রাসেল:-হুম তাই চলেন,

তারপর দুজনেই হেঁটে হেঁটে পাশের নিড়িবিলি একটা কফি শোপে গিয়ে বসে যেই কফি শোপটা নদীর ধারে অবস্থিত,
দেখতে অনেক টাই সুন্দর যে কোনো মন খারাপ মানুষ এখানে আসলেই অনায়াসে তার মন ভালো হয়ে যাবে কন্ফ্রাম,

রাসেল:-আংকেল কি খাবেন বলেন আমি অর্ডার করে আসি,
এখানকার ওয়েটার গুলোতো আবার নবাবের বংশধর,
আদনান:-হাহাহা রাসেল সেইটা যা বলেছ,
আর বেশি কিছু খাবোনা তুমি একটা করে দুইটা কফির অর্ডার দাও,
রাসেল:-অকে স্যার ওহ সরি আংকেল আপনে থাকেন আমি অর্ডার টা তাহলে দিয়ে আসি কেমন,
আদনান:,হুম যাও,

তারপর রাসেল গিয়ে দুটো কফি অর্ডার করে আবার পুনরায় ফিরে আসে জেলার আদনান সাহেবের কাছে,

আদনান:-আচ্ছা রাসেল এখন বলো বাসাই উঠেছো সবাই কেমন ব্যবহার করতেছে তোমার সাথে,
রাসেল:-আংকেল সবাই আমার সাথে ভালো ব্যবহার করতেই চাই কিন্তু আমার মনটাই তাদের সাথে কথা বলতে চাইনা,
তাদের দেখলেই আমার অনেক রাগ উঠে যায়,
আদনান:-রাগ ওঠাটা তোমার সাভাবিক কারণ তারা তো আর তোমার সাথে কম করেনাই,
তবে তুমি যেইদিন জেল থেকে চলে গেলে সেইদিন সবাই এসেছিলো তোমার পরিবারের,
তার মধ্যে শিখা অনেক কান্না করেছে,আর তোমার বোনটা মনে হয় তোমাকে ছাড়া কিছুই বোঝেনা,
রাসেল:-হুম আমার বোনটা আমাকে খুব ভালোবাসে আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে চাইনা,
আর শিখা কান্না করবে কেনো,
ওতো আমার থেকে প্রতিশোধ নিতে সার্থক হয়েছিলো,

আদনান:-সেটা আমি জানিনা তবে খুব কান্না করেছিলো,
আমি স্পষ্ট তার চোখে তোমাকে হারানোর ভয় দেখতে পেয়েছি,আমার মনে হয় কি মেয়েটা তোমার সাথে এমটা অন্য কোনো কারণে করেছে যা কেউ ওদের দিয়ে জোর করে এমন একটা জঘন্য কাজ করতে বাধ্য করেছে,
রাসেল:-আমার বোন ও এই একই কথা বলেছে,
আমার মনে হয় কি এই বিষয় টা খুটিয়ে দেখা উচিৎ আমার,
কি বলেন আপনে,

আদনান:-হুম আমার ও সেটাই মনে হচ্ছে,
যদি সেটা না হতো তাহলে তোমার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার পরে আইনের আদেশে বিয়ে হয়,
ও তো ইচ্ছে করলে তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যেতে পারতো সেইটা কিন্তু করেনি,
রাসেল:-হুম এটাও ঠিক কথা,
আমার ও সেটাই মনে হয়,আচ্ছা এইসব কথা রাখেন আমি আপনাকে অনেক দিন হলো একটা কথা জিগ্গেস করতে চাই কিন্তু জিগ্গেস করা হয়না,

আদনান সাহেব রাসেলের কথা শুনে অবাক হয়ে যায় এটা ভেবে যে কি এমন কথা যেইটা তাকে অনেক দিন হলো জিগ্গেস করতে চাইছে রাসেল,

আদনান:-আচ্ছা নির্ভয়ে বলে ফেলো আমার কাছে তুমি কি এমন কথা জানতে চাও,
রাসেল:-আগে কথা দেন আমি যা জানতে চাইবো সেইটা আনপে আমাকে বলবেন,
আদনান:-হুম কথা দিলাম আমার যদি কথাটার উত্তর জানা থাকে তাহলৃ অবশ্যই বলবো,
তুমি কি কথা সেইটা জিগ্গেস করতো আগে,

রাসেল:-আংকেল আমি সেই জেলে থেকেই আপনার সাথে পরিচিত কিন্তু কখনো আপনার পরিবারের কোনো কথা আমাকে বলেন নি,
আজকে আপনাকে বলতেই হবে আপনার পরিবারের সবাই কোথায় না কেউ নেই আপনার,

আদনান সাহেব রাসেলের কথা শুনে অবাক হয় এক দৃষ্টিতে নদীর দিকে তাকিয়ে বলে,

আদনান:-রাসেল তুমি যেই কথাটা জিগ্গেস করেছো সেটা জানা তোমার অধিকার আছে,
আর আমার পরিবারের সবাই ছিলো কিন্তু এখন কেউ নেই আমি একা আছি,
রাসেল:-কেন কি হয়েছে তাদের,
আদনান:-আমার একটা ছেলে আর একটা মেয়ে আছে, কিন্তু

রাসেল:-কিন্তু কি আংকেল,
অনেকটা অবাক হয়েই বলে,
আদনান:-আমার স্ত্রী একটা দুঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছে, যার কারণ নাকি আমি সেটা আমার ছেলে মেয়ে মনে করে আমাকে একা করে তারা একা থাকে,
রাসেল:-কি বলেন এইসব,
আমাকে একটু খুলে বলেন আসলে কি ঘটেছিল সেইদিন যার জন্য আপনার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে,

তারপর আদনান সাহেব রাসেল কে সবকিছুই খুলে বলে,
আপনাদের কে এখন বললাম না কারণ পরে বলবো আদনান সাহেবের ছেলেমেয়ের দেখা যখন পাবো,এখন আপনেরা চিন্তা করতে করতে পাগল হন ঘটনা টা কি ছিলো এটা ভেবে হাহাহা,

রাসেল:-কি বলেন তার মানে আমার সাথে যে এমন করেছে সেই নীলা আপনার মেয়ে,
অপেকটা অবাক হয়ে,
আধনান:-হুম আমার ছেলের নাম নীল ওরা চট্টগ্রাম থাকে কিন্তু আমাকে কখনো ঠিকানা দেইনা, মাঝে মাঝে আগে নীলা এখানে পড়াশোনা করতো তখন দেখা করে তাদের ঠিকানা অনেক জানার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি পারিনি,

আদনান সাহেবের চোখে পানি,
আজ সেও যে রাসেলের মতো মিথ্যা মায়ার জালে ঢেকে আছে,কোনো দোষ না করেও আজ সে তার সন্তানদের কাছে দোষী,

রাসেল:-আংকেল আমি আপনার ছেলে মেয়ের সাথে কথা বলবো,

আদনার সাহেব রাসেলের কথা শুনে অনেক টা না প্রায় তিন কেজি ওজনের একটা সক্ড খাই,
কেননা আদনান সাহেব ভাবতাছে রাসেল তার ছেলেমেয়ের সাথে কথা কি করে বলবে যেখানে সে পুলিশ হয়েও তাদের খোঁজ পাইনি,

আদনান:-এই রাসেল তুমি ওদের সাথে কিভাবে কথা বলবে হুম,
তুই ওদের চিনবে কিভাবে,

রাসেল হাসতে হাসতে বলে,
রাসেল:-হাহাহা আংকেল আপনার ছেলে নীল আমার বন্ধু,একটা কথা শুনলে আপনে অবাক হবেন,
আদনান:-কী নীল তোমার বন্ধু,
আর কি এমন কথা যেটা শুনলে আমি অবাক হবো বলো,
রাসেল:-আমি এতোদিন নীলের কাছেই থেকেছি চট্টগ্রামে,

এটা শুনে আদনান সাহেব অবাক হয়ে যায়,
আর এটা ভেবে সে অনেক খুসি যে রাসেল তার ছেলেমেয়ের কথা জানে,

রাসেল:-এইদেখেন আপনার ছেলে আর মেয়ের ছবি আমার সাথে,

রাসেল মোবাইল থেকে ফটো বের করে আদনান সাহেব কে দেখাই আর সে অনেক খুসি,
আজকে অনেক বছর পরে ছেলের চাঁদ মুখটা দেখতে পেয়ে আদনান সাহেবের চোখে পানি,
হোকনা সেটা মোবাইলে ফটৌ দেখা,

আদনান:-তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ছেলে মেয়ের ছবি দেখানৌর জন্য,
আচ্ছা তাদের ঠিকানা দিতে পারবে আমাকে,
লাসেল:-না আমি যতো দূর জানি তারা আপনাকে অনেক ঘৃণা কলে,
আর আমি চাইনা আপনে তাদের থেকে অপমান হয়ে আসেন,
আদনান:-তাহলে আমি কি তাদের কাছে কখনো যেতে পারবোনা,
রাসেল:-হুম যাবে আমি ওদের সাথে আপনার মিল করাবো কথা দিলাম,

আদনান সাহেব অনেক টাই খুশি হয়ে রাসেল কে জড়িয়ে ধরে,
অনেক ধন্যবাদ জানাই,
তারপর অনেক কথা বলে রাথ ভালোই হয়েছে দেখে যার যার মতো বিদাই নিয়ে বাসাই চলে আসে,
রাসেল বাসাই এসে দেখতে পাই সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে,

জুঁই:-ভাইয়া তুই এসেছিস,
আচ্ছা তুই ছোফায় বসেক আমি খাবার খেয়ে আসি,
রাসেল:-নারে আমি রুমে আছি,
এখানে বসবোনা,যদি আমার অপবিত্রতা কারো উপর পরে তখন,

আম্মু:-রাসেল প্লিজ আমাদের কে আর এইসব বলে এভাবে কষ্ট দিস না,
আমরা আর নিতে পারতেছিনা,
আব্বু:-হ্যা বাবা তোর মা ঠিকই বলেছে,
ষব কিছুরি একটা সিমা আছে,বাবা আজকে একটা ভুলের জন্য আমাদের তুই এইভাবে কষ্ট দিবি,

রাসেল কিছু বলেনা,
শুধু নিরবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনতেছে,
ওর চোখে পানি নেই কারণ চোখের পানি আগেই শুকিয়ে ফেলেছে কেদেঁ কেদেঁ, কিন্তু এখানে উপস্থিত সবার চোখেই পানি,
রাসেল ওখানে আর থাকতে না পেয়ে দৌড়ে রুমে চলে আসে,রাসেলের এইভাবে রূমে আসা দেখে শিখা পিছনে পিছনে চলে আসে,
রাসেল এসেই শুয়ে পরে,

শিখা:-তোমার কি শরীর খারাপ,

বি.দ্র. আপনারা এই গল্পের হ্যাপি এন্ডিং চান নাকি স্যাড এন্ডিং সেটা কমেন্ট করে জানাবেন,
যেটা বেশি কমেন্ট হবে সেইটা করবো,
আর যদি কমেন্টে না বলেন তাহলে হবেনা,
এখন সবটাই আপনাদের ইচ্ছা,

শিখা দৌড়ে এসে রাসেলের কপালে হাত দিয়ে বলে,
আর এটার জন্য রাসেলের অনেক রাগ উঠে যায়,

রাসেল:-তোকে আমি বলেছিনা আমার রুমে না আসতে তাহলে কেন এসেছিস,
আর আমার শরীর স্পর্শ করলি কেন,
তোর পবিত্র হাত তো নোংরা হয়ে গেলো,
শিখা:-প্লিজ এইভাবে বলিওনা আমার অনেক কষ্ট হয়,
আর তুমি আমার জন্য সবাই কে কেন কষ্ট দিচ্ছ বলো, মা বাবা তো কোনো ভুল করেনি,
সেদিন তাদের জায়গায় তুমি থাকলে এমনটাই করতে,
তোমার যতো ইচ্ছা আমাকে কষ্ট দাও তবু বাবা মা কে আর এইভাবে কষ্ট দিও না আমি তাদের চোখের পানি সহ্য করতে পারিনা,
তোমার দেওয়া দেওয়া কষ্ট সহ্য না করতে পেরে যদি আমার মৃত্যু ও হয় তবু নিজেকে ভাগ্যবতি মনে হবে,

শিখা তো ঠিকই বলেছে,
সেইদিন তার মা বাবা পরিবর্তনে যদি রাসেল নিজেও হতো তবুও এমনটাই করতো তাহলে অযথা কষ্ট কেনো দিচ্ছে তাদের,

রাসেল:-শোন আমার মনটা না এখন পাথর হয়ে গেছে তোর ঐ মাগুর মাছের কান্না আমার মন গলাতে পারবেনা,
তুই বরং নিজেকে বাঁচাতে চাই যা এখান থেকে,
শিখা:-কোথায় যাবো আমি,
তোমার পায়ের নিচে আমার বেহেশত,তাই ধুকে ধুকে মরলেও আমি তোমার পায়ের নিচেই মরতে চাই,

শিখার চোখ থেকে অনবরত জল পরেই যাচ্ছে,
এ যেনো চোখে সমুদ্র নিয়ে এসেছে,
রাসেল চোখে যে পানি নেই সেটা বললে ভুল হবে কারণ তার চোখে ও পানি ছল ছল করতেছে,
তারও যে শিখার কষ্ট সহ্য হয়না,
কিন্তু কি করবে সে মনকে ঠিক রাখতে পারেনা আগের কথাগুলো মনে আসলেই,

শিখা:-আচ্ছা তুমি শুয়ে পরো আমি তোমার পা টিপে দেই,
তাহলে দেখবে তোমার অনেক ভালো লাগবে,
রাসেল:-না লাগবেনা তুই জা এখান থেকে নয়তো কিন্তু খবর আছে,

রাসেলের ও তো ইচ্ছে করছিলো শিখার ঐ নরম হাতে স্পর্শ পেতে কিন্তু নিতে পারছেনা কোনো একটা সংকোচ তাকে বাধা দিচ্ছে,

শিখা:-মনে করো আমি একটা কাজের মেয়ে,
আর মালিক কাজের লোক দিয়ে তো অনেক কিছুই করাই,তুমি না হয় আমাকে দিয়ে কাজের লোক মনে করেই তোমার সেবা করার সুযোগ দাও,
কেদেঁ কেদেঁ,

রাসেল ঠাসসসস ঠাসসসসস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয় শিখার গালে,
কিছু না বলেই রুম থেকে বের হয়ে যায়,

রাসেল:-সাহস কতো এই বাড়ির একমাত্র ছেলের বউ হয়ে নিজেকে কাজের মেয়ে বলে,
একে বারে মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলবো হুম মনে মনে,
শিখা:-আমি সামান্য কাজের মেয়ে বলাতেই তোমার এতো রাগ উঠলো,
এতোতা ভালোবাসো আমাকে আর নিজের ইগোকে রাগ সামলাতে বলতে পারছোনা,
তুমি যতই মারো কাটো আমি তোমার ঐ বুকে জায়গা করে নিবোই হুম,

চোখ মুছতে মুছতে নিচে চলে গিয়ে খাবার টেবিলের সব কিছু পরিষ্কার করে রুমে গিয়ে শুয়ে পরে,
রাসেল ও এসে শুয়ে পরে,রাসেল অনেক কষ্ট হচ্ছে শিখার গায়ে হাত তোলার জন্য,
কি করে পারলো যাকে জিবনের প্রথম দেখাই ভালোবাসে ফেলেছে তাকে আঘাত করতে,
কির করে পারলো,
এই সব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমের দেশে হারিয়ে যায় শেই দিকে কোনো খেয়ালি নেই,

মাঝ রাতে শিখা পানি খাওয়ার জন্য রাসেলের রুমের পাশ দিয়ে যেতে নিলেই বুঝতে পারে রাসেলের রুম থেকে কারো গোঙানির শব্দ আচ্ছে,
শিখা তখন রাসেলের ঘরের দরজা ধাক্কা দিলেই দরজা খুলে যায়,
দেখতে পাই রাসেল শিতে কাপছে আর ঘুমের ঘোরে গোঙ্গাচ্ছে,
শিখা তারাতাড়ি করে কমবোলটা রাসেলের গায়ে টেনে দেয় আর রাসেলের কপালে হাত রাখে,
আর হাত রাখতেই মনে হলো এক হাজার ভোল্টের সক খেলো শিখা,
কেননা শিখা রাসেলের কপালে হাত রেখেই বুঝতে পারে রাসেলের শরীর,,,,,,,

❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
……….চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here