ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ পর্ব-২০

0
2071

#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺২০তম পর্ব


রাসেল:-আমি বলি কি,
নীল:- তুই যা বলতে চাস তারাতাড়ি বল নাহলে আমার রাগ কিন্তু উঠে যাচ্ছে,
রাসেল:-আরে রাগিস কেনো আমি তো বলতাইছি তাইনা,
যেহেতু ঢাকাতেই বিয়ে,তাই আমি এখানে থাকবো তুই এখানে এসে আমাক ফোন দিবি আমি চলে আসবো, তাহলে এরাও রাগ করবেনা আর তুইও রাগ করবিনা,

নীল:-আইডিয়া টা একেবারেই কিন্তু ফেলে দেওয়ার মতো না,আচ্ছা ঠিক আছে এটাই হবে তাহলে এখন কিন্তু রাখলাম,
রাসেল:-আচ্ছা কিন্তু গায়ে হলুদ দিতে আসবিনা,
নীল:-নারে গায়ে হলুদ দিতে এসে আমার শশুরের এস্টা খরচ করে কি লাভ,
রাসেল:-বাববাহ শশুরের জন্য এতো চিন্তা,
আগেতো ভেবে দেখিনাই কারো জন্য কেউ এতোটা চিন্তা করে,

এইভাবে অনেক কথা বলে ফোন কেটে দেয়,
রাসেল ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে মাত্র বের হয়েছে,তখনি দেখতে পায় জুঁই তার রুমে বসে আছে,

রাসেল:-কিরে জুঁই কি হয়েছে তোর মন খারাপ কেনো, এইভাবে তোকে কিন্তু একটু ও সুন্দর লাগেনা,
জুঁই:-কি করবো বল এখন ও আমার অনেক কিছু কেনাকাটা বাদ আছে কিন্তু বাবা নিয়ে যাবেনা,
রাসেল:-ওহহহহ এই বেপার কোনো বেপার না,আচ্ছা চল আমি তোকে সপিং এ নিয়ে যাচ্ছি,
জুঁই:- সত্যি ভাইয়া,
খুসিতে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
রাসেল:-হ রে আমার মিষ্টি পাগলি বোন,
যা তুই রেডি হয়ে আই আমি বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করতেছি,

তারপর রাসেল রেডি হয় বাড়ির বাইরের দোলনায় বসে বসে তার আদরের বোনের জন্য অপেক্ষা করতেছে,
এইদিকে

শিখা:-কি বেপার ননোদিনি এতো খুসি খুসি কেনো আর কোথায় যাচ্ছ,
জুঁই:-ভাবি আমি ভাইয়ার সাথে সপিং এ যাবো,
তাই মনটা খুসি,
শিখা:-ওহহহহ তাই,
আচ্ছা যাও তোমার ভাই আছে সপিং এ নিয়ে যাবে কিন্তু আমার তো আর কেউনেই যে এসে বলবে, এই চলনা সপিং করতে যায়,
ফাঁডা কপাল আমার মন খারাপ করে বললাম,

শিখার কথা শুনে জুঁই বুঝতে পারে যে আসলেই ভাবির মন খারাপ,তাই জুঁই বলে,
জুঁই:-ভাবি আমি একা যাচ্ছি না তুমি ও আমাদের সাথে যাচ্ছো,
শিখা:-আরে না তোমার রগচটা ভাই কি রেখে কি করবে কে যানে,এমনি তেই আমি ঐ রাগি মাখা আগুন ভরা চোখের দিকে তাকাতে পারিনা,
জুঁই:-ভাবি তুমি না গেলে আমি ও যাবোনা,
এখন বাকিটা তোমার ইচ্ছা ভাইয়া কিন্তু বাইলে অপেক্ষা করতেছে,
শিখা:-কিন্তু তোমার ভাই যদি রাগ করে তাহলে,
জুঁই:-সেইটা আমি দেখবো তুমি যাও রেডি হয়ে আসো, আমি নিচে আছি,
শিখা:-আচ্ছা,

জুঁই:-নিচে গিয়ে ছোফায় বসে পরে,
আর এইদিকে মেয়েকে এইভাবে দেখে রাসেলের মা জিগ্গেস করে,
আম্মু:-কিরে মা কোথায় যাচ্ছিস,
জুঁই:-ভাইয়ার সাথে সপিং করতে যাচ্ছি আমি আর ভাবি,

এইটা শুনেতো রাসেলের মা অনেকটাই অবাক হয় কেনন যেই ছেলে এই পরিবারের কারো সাথেই ঠিক মতো কথা বলেনা,আর সে নাকি যাবে সপিং এ,

আম্মু:-কি তুই রাসেল কেও রাজি করিয়েছিস সপিং এ যাওয়ার জন্য,
জুঁই:-হুম আমার ভাই বলে কথা,
আম্মু:-হুম তবে দেখিস শিখাকে দেখলেই তো ওর আবার মাথার তার ছিড়ে যায় তাই কোনো সিনক্রিয়েট যেনো না করে,
জুঁই:-আম্মু ভাইয়া যথেষ্ট বুদ্ধিমান সে ভাইরে অমন আচরণ করে তার মানসম্মান কেনো নষ্ট করবে,
তার আমি তো আছি,

এইসব কথা মাঝেই শিখা এসে হাজির,
সিড়ি দিয়ে নামতাছে,
অসম্ভব সুন্দর লাগছে,একটা নেভি বুলু কালারে থ্রি পিছ পরেছে সাথে মাচিং করা সব অর্নামেন্ট,
লম্বা চুল গুলো কিছু পিছনে রেখেছে আর কিছু কাধের উপর দিয়ে সামনে রেখেছে,
এক কথাই সেই অপরূপা লাগছে,
সবাই তাকিয়ে আছে সিড়ির দিকে এটা ভেবে যে কোনো পরী নামতেছে,
সবার এই অবস্থা দেখে শিখা একটু লজ্জা পায়,

শিখা:-এই জুঁই এমন করে কি দেখছো,
জুঁই:-কৈ কিছু নাতো চলো চলো ভাইয়া রাগে মনে হয় ফায়ার হয়ে আছে আমি সিউর,

তারপর কেউ আর কোনো কথা না বলে,
শিখা ওর শাশুড়ির পায়ে সালাম করে জুঁইএর সাথে বাইরে চলে আসে, মনে একগাধা ভয় না জানি রাসেল কি করে বসে,

জুঁই:-এই ভাইয়া আমরা রেডি তারাতাড়ি চল,

জুঁই এর কথা শুনে রাসেল সেইদিকে তাকিয়ে রাগে কটমট করতে থাকে,
ইশারায় বুঝিয়ে দেয় শিখা কেনো,
জুঁই ও বুঝিয়ে দেয় প্লিজ কিছু করিস না চল,
ওর মন ভালো না,
রাসেল ও কি যেনো ভেবে কিছু আর বলল না,

রাসেল:-আচ্ছা আমি তাহলে আমার গাড়ি অসতে বলি, এইখানে তো আর আমি গাড়ি রাখিনা,
কারণ এই বাড়িতে আমাকে থাকতে দিয়েছে সেটাই অনেক,
জুঁই:-ভাইয়া ভাবি কে সাথে নিয়েছি যেনো তোরা এক মুহূর্তের জন্য হলে কাছে থেকে দেখতে পারিস একে অপরকে,মনেমনে বললাম,
ভাইয়া আমরা রিকশায় করে যাবো কারে ভালো লাগেনা,

রাসেল:-আচ্ছা আহলে তোরা দুইজন এক রিকশায় যা আর আমি একটা রিকশায় যায়,
জুঁই:-না তা হবে না কারণ আমরা একটা রিকশাতেই যেতে পারবো অনায়াসে,
রাসেল:-কি বলিস এক রিকশায় কি ভাবে হুম,
আমি যেতে পারবোনা,
জুঁই:-চান্দু ভাই তোমাকে যেতেই হবে,
মনে মনে বলছি আর হাসতাছি,
ভাই যাওয়া যায় তো তিনজন,
আমি একপাশে আর একপাশে তুই বসবি আর সামনে ভাবি বসবে,

জুঁইএর কথা শুনে শিখা অবাক হলেও মনে মনে একটু খুসি কিন্তু রাসেল তো রাগে ফুসতাছে না পারছে সৈতে না পারতাছে কৈতে,

রাসেল:-কি আমি ওর সাথে যাবো তাও আবার আমার কলে নিয়ে,
ধ্যাত আমি যাবইনা,
জুঁই:-ওকে ভাইয়া যেতে হবে না, ভাবি চলো বাসাই যায়,রাগ দেখিয়ে বললাম,কারণ আমি জানি ভাইয়া আমার রাগ দেখতে পারবেনা,
রাসেল:-এই কৈ যাস আচ্ছা চল আমি যাচ্ছি,কি ও একপাশে বসবে তুই আমার সামনে বসবি,
জুঁই:-না এটাতো হবে না ভাইয়া ভাবি তোমার বউ সো ভাবি তোমার কলের কাছে বসবে আর একথা বলবিনা,ধমকের শুরে বললাম,

তারপর কেউ আর কোনো কিছু না বলে একটা রিকশা ডেকে,
প্রথম মে রাসেল উঠে বসে উপরে,তারপর জুঁই বসে,আর অবশেষে শিখা ভয়ে ভয়ে লাসেলের সামনে বসে,খুব ভালো লাগছে তার,
রিকশা চলছে তার আপন গতিতে,
কখনো কখনো ঝাকুনির কারণে রাসেলের পা শিখার সাথে স্পর্শ করছে যার জন্য শিখার শিহরিত হয়,

শিখা:-ইসসসসস আমাকে যদি জড়িয়ে নিতো ওর বাহুডোরে কি মজাই না পেতাম,
জুঁই:-ভাবি তোমার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে নাকি,
শিখা:-আরে না সমস্যা হবে কেনো,
আমার ভাগ্য ভালো যে একটু হলেও স্বামীর সাথে এক রিকশায় বসতে পেরেছি,
রাসেল:-এ ডং তোর কপাল ভালো আমার সাথে যেতে পারতাছিস, মনডাই চাই তোকে রিকশা থেকে ফেলে দেই শালার শাকচুন্নি কুত্তি বিশাই টিকটিকি,মনেমনে,

রাসেল কিছুই বলছনা,
শুধু চুপচাপ বসে আছে দেখে,
শিখা মনে মনে ভাবে
শিখা:-একে তো করলার জুস তেলাপোকার সুপ ইদুরের ভুনা খাওয়াতে হবে তাহবে মাথায় সু বুদ্ধির উদায় হবে,খবিস একটা,

এভাবে নানান ভাবনা চিন্তার মধ্যে দিয়েই রাস্তা শেষ করে সপিং মলে পৌঁছে যায়,
জুঁই ইচ্ছা মতো সব কিছু পছন্দ করতেছে আর কিনে নিচ্ছে,
রাসেল হঠাৎ খেয়াল করে শিখা একটা শাড়ির দিকে বাড়বার তাকাচ্ছে যেনো শাড়ি তা তার খুব পছন্দ হয়েছে,

জুঁই:-ভাবি তুমি কি নিবা বলো,
শিখা:-না না আমার কিছু লাগবেনা,
আজকে আমার জন্য যেইটা করছো সেটাই অনেক বড় পাওয়া,
রাসেল জুঁই কে ইশারায় তার কাছে ডাকে আর চুপটি করে সেই শাড়ি টা শিখার জন্য নিতে বলে যেনো বুঝতে না পারে,

জুঁই:-ভাইয়া ঐ শাড়ি টা দেখান তো,
তখন দোকানদার শাড়ি টা দেয় আর সবার পছন্দ হয় নিয়ে নেই,
কিন্তু শিখার মনটা খারাপ হয়ে যায় এটা ভেবে,
শিখা:-শাড়িটা আমার কতো পছন্দ হয়েছিল,
এখন জুঁই নিয়ে নিলো যদি রাসেল আমার জন্য কিনে দিতো কতটাইনা খুসি হতাম,
ধ্যাত কি ভাবি এইসব আমার ভাগ্যে আছে নাকি,
জুঁই:-ভাবি তুমি এতো কি ভাবো হুম,
এখন ভাইয়ার জন্য একটা কিছু তুমি পছন্দ করবে ব্যাস,
শিখা:-আমার মতো বেইমানের পছন্দ করা কোনো জিনিস কি তোমার ভাই পরবে নাকি,
জুঁই:-তুমি পছন্দ করো বাকিটা আমি দেখবো,
ভাইয়া তো আর এখানে নেই যে সে বুঝতে পারবে তুমি পছন্দ করেছো,

তারপর শিখা ঐ শাড়ির সাথে মেচিং করা একটা পান্জাবি পছন্দ করে,
তাদের সপিং শেষ হয়ে যায়,
তারপর আবার রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাসাই চলে আসে,
শিখাকে কিছু প্যাকেট জুঁই দিয়ে বলে যাও রুমে গিয়ে দেখবে,
শিখা রুমে গিয়ে প্যাকেট টা খুলতেই অবাক কেননা তার পছন্দ করা শাড়িটাই ছিলো,
কিন্তু একটা কথা মাথায় আচ্ছেনা,
শাড়ি যে শিখার পছন্দ সেইটা জুঁই কি করে বুঝতে পারলো,,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
https://www.facebook.com/love.u.jan.onekvlobasi.arohi. যদি কারো আইডি হ্যাক, ডিসেএবল, বা যে কোনো সমস্যা হয় তাহলে উপরের লিংকের আইডিতে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান পেতে পারেন,
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
……….চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here