ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ পর্ব-২১

0
1813

#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺২১তম পর্ব


শিখা:-শাড়ি টা যে আমার পছন্দ হয়েছে সেইটা জুঁই কি করে বুঝতে পারলো,?
না জুঁই তো আমার দিকে তাকায় নি তাহলে কি রাসেল, নাহ এটা কিভাবে হবে,
ধ্যাত কিছুই ভাবতে পারতাছিনা,
আম খেতে ইচ্ছে হয়েছে আম খাবো,
এখন আম কোন গাছের সেটা যেনে আমার কি হবে।

এইসব ভাবতে ভাবতেই শিখা প্যাকেট গুলো আলমারিতে রেখে নিচে চলে আসে,
অনেকেই এসেছে বাড়িতে,

জুঁই:-ভাবি তোমার পছন্দ হয়েছে তো জিনিস গুলো,

শিখা:-হুম পছন্দ তো হয়েছে,
কিন্তু ঐ জিনিস গুলো আমার পছন্দ সেটা তুমি জানলে কিভাবে,

জুঁই:-আমি কিভাবে জানবো,
ভাইয়া তো আমাকে ডেকে বললো শাড়িটা তোমার নাকি অনেক পছন্দ হয়েছে,

শিখা:-কি বলছো তোমার ভাই এটা বলেছে,
কিন্তু উনি এটা জানতে পারলো কি করে,

জুঁই:-সেইটাতো আমি জানিনা,

আর কিছু বলতে যাবে তখনি,

আম্মু:-এই জুঁই রাসেল কে খাবার দিয়ে আশেক,
ওর মনে হয় অনেক খুদা লেগেছে,

জুঁই আর শিখা যখন ছোফায় বসে কথা বলতেছিলো তখন রান্না ঘরথেকে বেরুতে বেরুতে রাসেলের আম্মু বলে উপরের কথাগুলো,

জুঁই:-আম্মু ভাইয়া অসুস্থ ছিলো তাই এই বাড়ির খাবার খাইছে, এখন সে সুস্থ,
তাহলে এই বাড়ির খাবার কি খাবে বলো,

আম্মু:-কেনো খাবেনা হুম এইগুলা ওর বাড়ির খাবার খাবে তাতে প্রবলেম কৈ হুম যা তুই দিয়ে আই,

বলেই আর কোনো কথা না শুনেই রাসেলের আম্মু চলে যায় খাবার টা রেখে,

জুঁই:-ভাবি তুমি নিয়ে যাও আমি একটা কাজ করবো,

জুঁই এর কথা শুনে তো শিখা রিতিমতো ঘামতে শুরু করেছে,

শিখা:-আমি নিয়ে যাবো,
অবাক হয়ে,

জুঁই:-হুম তোমার বড় তুমি নিয়ে যাও তার জন্য খাবার,

শিখা:-আচ্ছা,
রাক্ষস গন্ডার না জানি কি করে বসে,
দেখলেই তো ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যায়,
মনে হয় রাগলে চোখ থেকে আগুন বের হয়
মনে মনে বলতে বলতে সিড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে রাসেলের রুমের কাছে এসে দেখি বদজাতের হাড্ডি রুমে নেই,গেলো কোথায়

শিখা রুমের এইদিক ঐদিক খুজতে থাকে কিন্তু কোথাও দেখতে পাইনা,হঠাৎ শিখার চোখ যায় রাসেলের ফোন টার দিকে,
কেউ নেই তাই আগ্রহ নিয়ে ফোন টা হাতে নেই,
যেইনা পাওয়ার বাটুনে চাপদিবে অমনি কোথা থেকে রাসেল এসে ছো মেরে ফোনটা নিয়ে নেয়েই ঠাসসসস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়,

রাসেল:-তোর সাহস কি করে হয় আমার রুমে আসার আর তার উপরে আমার ফোন হাতে নিয়েছিস,,কোনো কিছু ডিলেট করেদিসনি তো আবার,

শিখার চোখে পানি,
সামান্য মোবাইল টা ধরেছে বলে এইভাবে মারবে,

শিখা:-আমি তো ফোন টা হাতে নিতেই তুমি ছো মেরে আমার থেকে নিয়ে নিলে, ফোনের ওয়ালপেপার টাই দেখলাম না তাহলে ডিলেট কি করে করবো,
কান্না ভেজা শুরে বললাম,

রাসেল:-যাক বাবা বাঁচা গেলো,
যদি ওয়ালপেপারে দেওয়া ছবিটা দেখতো তাহলে তো আমার সব শেষ, কারণ ওয়ালপেপারে ঐ শাকচুন্নিরই ছবি ছিলো,আপনেরা আবার বলে দিয়েন না কিন্তু,
ঐ কেনো এসেছিস এইখানে বল,

শিখা:-আম্মু তোমার জন্য খাবার পাঠিয়েছে,
আর আমার স্বামীর রুমে আমি কি আসতে পারিনা, আমার কি কোনো অধিকার নেই, এখানে আসার, তোমার সাথে সময় কাটানোর বলো,

রাসেল:-না নেই অধিকার তো সেই দিনি হারিয়ে ফেলেছিস যেদিন মিথ্যা অপরাধে অপরাধী বানিয়েছিস, শোন যে ভাবে এসেছিস সেইভাবে চলেযা, বাড়িতে মেহমান আছে তাই কিছু বলতে চাইনা,

শিখা:-আমাকে এতো কষ্ট দেওয়ার থেকে একেবারে গলা টিপে মেরে ফেলো তোমার দেওয়া এই অবহেলা, কষ্ট আমি সহ্যকরতে পারছিনা,

রাসেল:-কষ্টের কি দেখেছিস মাত্র তো শুরু,
দেখতে থাক আগে আগে হোতা হে কেয়া,
চল যা এখান থেকে,

শিখা আর কিছু না বলে চোখ মুছে বাইরে চোলে যায়,রাসেল ভাবতেছে,

রাসেল:-শিখা আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো,
কেন যানি তুমি আমার সামনে আসলেই রাগকে কন্ট্রোল করতে পারিনা,

এইভাবে দেখতে দেখতে সারাদিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে,
রাসেল একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,
আজ কেন যানি আকাশের বুকেও কষ্ট জমা আছে, মনে হচ্ছে এখনি ঝোড়ে পরবে,
বলতে না বলতেই আকাশের বুক থেকে সকল কষ্ট বৃষ্টি আকারে ঝড়তে শুরু করে,
রাসেল দৌড়ে রুমে চলে আসে,সারাদিন খাবার খাওয়ার সময় পাইনি ভিষন খুদা পেয়েছে তার,

রাসেল:-খুদা তো ভালোই লেগেছে এখন এই পেট কে শান্ত করবো কি করে,
এখন তো বাইরে যাওয়া সম্ভব না,

রাসেল এইসব ভাবছে তখনই বাইরে থেকে কেউ তার রুমে আসার শব্দ পাই,
একটু পরে বুঝতে পারে তার বোন এসেছে হাতে খাবার প্লেট,

জুঁই:-ভাইয়া আমি জানি তোর অনেক খুদা লেগেছে, কিন্তু তুই এইবাড়ির খাবার খাবিনা,তবুও একটু কষ্ট করে খেয়ে নে আমার লক্ষি ভাইয়া,

রাসেল:-নারে আমার খুদা লাগেনি,
তুই এইগুলা নিয়ে যা,

জুঁই:-ভাইয়া দেখ আমি কিন্তু সারাদিন কিছুই খাইনি তুই খাসনি বলে,আর ভাবি ও কিছু খাইনা শুধু মনমরা হয়ে বসে থাকে,

রাসেল কি যেনো ভেবে খাবার খেতে শুরু করে,
একবার রাসেল কে জুঁই খাওয়াই দেই আবার রাসেল জুঁই কে খাওয়াইয়া দেই,
এইভাবে খাবার পর্ব শেষ করে জুঁই বাইরে চলে যায়,আর রাত হওয়া আর শরীর অনেক ক্লান্ত থাকারক কারণে রাসেল বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুম চলে আসে,
সকালে ঘুম থেকেই উঠেই দেখতে পারে বাড়ি ভর্তি মানুষ,আসলে রাসেলের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে মানা দশটাই উঠেছে,
আপনেরা ভাবছেন কেউ তাহলে ডাকলোনা কেন এটা ভুল, শিখা অনেক বার ডেকেছে কিন্তু মহারাজ ঘুম থেকে ওঠার নাম গন্ধ নেইনি,

আব্বু:-রাসেল ঘুম ভাঙ্ল তাহলে,

রাসেল:-হুম,

তখনি একটি লোক রাসেলের বাবা কে জিগ্গেস করে,

লোকটি:-ভাইজান এই ছেলেটি কে,

রাসেলের বাবা কিছু বলতে যাবে তার আগেই,

রাসেল:-আংকেল আমি এইবাসাই ভাড়া থাকি,
আর কিছুনা বলেই চলে এলাম,

এইকথা শুনে রাসেলের বাবার মনটা খারাপ হয়ে গেলো,
দেখতে দেখতে দুপুর পেরিয়ে যায় রাসেল এখনো রেডি হয়নি দেখে শিখা দেখতে যায় রাসেল কি করতেছে,

শিখা:-এই যে মিস্টার বর এখানো রেডি হননি কেন,

শিখার কথায় রাসেল সামনে তাকিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,
মনে হচ্ছে কোনো এক পরী তার রুমে এসেছে,
শিখা তো রাসেলের তাকানো দেখে লজ্জায় লজ্জাবতি হয়ে গেছে,

শিখা:-এমন করে তাকিয়ে কি দেখো শুনি,
লাজুক কণ্ঠে বললাম,

রাসেল:-পরী

শিখা:-কিহহ পরী কোথায় থেকে আসলো।
অবাক হয়ে এইদিক ঐদিক তাকিয়ে,

রাসেল:-না না এমনি বলেছি,
ইসসস এখনো যদি ওকে বুকের হাথে জড়িয়ে ওর ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিতে পারতাম,
নাহ আমি এইসব কি ভাবছি ছি ছি,

শিখা:-ভির ভির করে কি বলতেছো শুনি,

রাসেল:-অনেক সুন্দর লাগতেছে,
এই শাড়িতে,

আসলেই অনেক সুন্দর লাগছে,হিজাব করার কারণে যেনো রুপের রেখাটা আরো ফুটে উঠৃছে,

শিখা:- ধন্যবাদ মিস্টার বর,
এখন কথা না বলে তারাতাড়ি রেডি হন আম্মু রেগে আছে আপনার উপরে,

রাসেল:-আচ্ছা আমি রেডি হয়ে আসতাছি তুই যা,

শিখা:-না সেইটা হবে না তোমার সাথেই যাবো,

রাসেল:-আমি কি তাহলে তোর সামনেই চেন্জ করব নাকি,

শিখা:-করো সমস্যা কি,
আমি তো তোমার বউ প্রতিবেশী ভাবি থোরিই না
হাসতে হাসতে বললাম,

রাসেল:-তোরে তো,

রাসেল শিখাকে ওয়ালের সাথে চেপে ধরে,
শিখা বড় বড় করে নিশ্বাস নিচ্ছে রাসেলের নিশ্বাস যেনো ওর নিশ্বাস এক হয়ে গেছে,
আজ প্রথম কেউ শিখা এতো কাছে এসেছে,
ইশশ এযেনো এক চরম রোমান্টিক দৃশ্য,
হঠাৎ রাসেলের ধ্যান ভাঙ্গে তারাতারি শিখা কে ছেড়ে দিয়ে কাপড় নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে যায়,

শিখা:-এটা কি হলো,
মিস্টার খবিস গন্ডার কালো ভূত টিকটাকি,
একটা কিস তো করতে পারতি সেটাও করলো না, এতো বছর পরে কাছে পেয়েও কিছুই হলো দূরো,
এরে তো তেলাপোকার জুস খাওয়াএ হবে তাহলে বুদ্ধি হবে,

ভির ভির করে এইসব বলছে আর নিজে নাজেই হাসতাছে শিখা,
ঠিক তখনি ওয়াশরুম থেকে রাসেল বেরিয়ে আসে,
অনেক সুন্দর লাগছে,
দুইজন কে একই ড্রেসে মানিয়েছে,
শিখাতো এক ধ্যানে তাকিয়েই আছে,

রাসেল:-এই মিস চলেন,
এইভাবে হা করে থাকলে মুখে মশা তেলাপোকা ডুকে যাবে,

তেলাপোকা নাম শুনতেই শিখা দৌড়ে এসে রাসেল কে জড়িয়ে ধরে,রাসেল তো অবাক যে শিখা এমন একটা কান্ড করবে,

রাসেল:-এটা কি হচ্ছে,

শিখা:-আমাকে বাঁচাও আমি তেলাপোকা দেখে অনেক ভয় পায়,

রাসেল:-ওহ এই বেপার, তেলাপোকা নেই আমি এমনি বলেছি,বুঝিনা এই মেয়েরা সবাই কে ভয় দেখাই অথচ এটো টুকু তেলাপোকা দেখে নিজেরাই ভয় পাই আজব কেরেক্টার মাইরি,

শিখা:- সত্যি তো,

রাসেল:-হুম সত্যি

তখন শিখা রাসেল কে ছেড়ে দেয় এক বস্তা লজ্জা পেয়ে যায়,
তারপর কেউ আর কোনো কিছু বলে না থায় দাঁড়িয়ে আচে একে অন্যের দিকে তাকিয়ে,চারিদিকে যে সোর উঠেছে বর এসেছে বর এসেছে সেই শব্দ এদের কানে পৌঁছেনাই এখনো মনে হয়,
রাসেলের ধ্যান ভাঙ্গে মোবাইলে কল আসার শব্দে কলটা রিসিভ করে,

রাসেল:-হ্যা নীল বল,

নীল:-ঐ শালা আমি এসেগেছি তুই আই,

রাসেল:-তুই তোর লোকশন দে আমাক আমি আসতাছি,

নীল:-আচ্ছা ঠিক আছে
দিছি দেখ,

রাসেল তো লোকশন পেয়ে অবাক হয়ে যায় কেননা লোকেশনে নীল কে এখানেই দেখাচ্ছে,

নীল:-কথা বলস না কেন আমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছি তুই না আসলে যাবোনা,

রাসেল:-তুই মনে হয় লোকেশন ভূল দিছস না হলে আমার এইখানেই তোকে দেখাচ্ছে কেনো,

নীল:-লোকেশন ঠিকই আছে,
তুই চশমা দিয়ে দেখ শালা খাতচোর বেটা,

রাসেল:-আচ্ছা তুই কার বাড়িতে সেইটা আগে বলতো,

এইদিকে এদের সব কথা তো শিখার মাথার উপর দিয়েই যাচ্ছে,
কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারতেছেনা শুধু তাকিয়ে দেখতেছে,

নীল:-আমার শশুরের নাম রায়হান চৌধুরী,

এইনাম শোনার পরে রাসেল অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় এটা কি করে সম্ভব,

রাসেল:-আচ্ছা তুই থাক আমি আসতাছি,
বলেই কল কেটে দিলাম,
আচ্ছা জুঁই এর হবু বরের নাম কি নীল মাহমুদ,

শিখা:-হুম আমার বান্ধবী নীলার ভাই
কেনো অনেক টাই অবাক হয়ে,

রাসেল:-কিহহহহ আচ্ছা নিচে যাওয়া যাক,

দুজনেই সিড়ি দিয়ে নিচে নামতেছে আর সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে,
মনে হচ্ছে ভলিউডের নায়ক নায়িকা একসাথে নিচে আসতেছে,শিখার খুব ভালো লাগতাছে যে রাসেলের সাথে আছে,রাসেল তারাতাড়ি শিখার কাছ থেকে বাইরে গিয়ে দেখতে পাই নীল দাঁড়িয়ে আছে,

রাসেল:-ঐ বেটা আগে বলস নাই কেনো যে তুই এই বাড়িতে বিয়ে করতেছিস,

নীল:-আগে তুই বল এখানে কেনো,

রাসেল-আমি তো এখানেই থাকি,

এইদিকে এরা দুইজন কথা বলছে আর সবাই এদের দিকে তাকিয়ে আছে,তখনি পিছন থেকে কেউ একজন বলে ওঠে,,,,,

❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
……….চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here