ধর্ষিতা বউ পর্ব-২

0
6116

গল্প —- ধর্ষিতা_বউ
২য়_ ও ৩ পর্ব
******”****””***************
পার্ট ২

সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রাপ্তি রান্না ঘরে গেলো। দেখলো তার ফুফু নাস্তা বানাচ্ছে।প্রাপ্তি বলল,
-ফুফু কোনো কাজ থাকলে বলেন আমি করে দিচ্ছি।
-কিরে এখনো আমাকে ফুফু বলেই ডাকবি?এখন তো আমি তো মা।
-এতোদিন ফুফু বলে এসেছি এখনন হঠাৎ করে মা ডাকতে পারবো??
-অন্য কোথাও বিয়ে হলে তো ডাকতে হতো আমাকেই ডাকলি না হয় মা বলে।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
দুইজনে মিলে নাস্তা বানালো!
সায়ান ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলো। বাইরে যাওয়ার যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হচ্ছিলো।তখন তার মা বলল
-কালকেই বিয়ে করলি,আর আজকে সকালেই তোর বাইরে যেতে হবে?কয়দিন না গেলে কি হয়?
-ফালতু বকো না তো মা।ঘরে বসে থেকে কি করবো এখন।
-কি করবি মানে?বিয়ে করেছিস,ঘরে বউ রেখে এখন কি কাজে বাইরে যাবি তুই?
-ওও তার মানে আমি ঘরে বসে বসে তোমার ভাইঝি কে দেখবো এখন??
-ও এখন তোর বউ সায়ান।কথাটা মাথায় রাখিস।
-মা আমি তোমার কথায় ওকে বিয়ে করেছি।নাহলে ওর মতো মেয়ের দিকে সায়ান চোখ তুলেও তাকায় না।
-চুপ কর সায়ান। এসব কি কথা বলছিস তুই??
-আমাকে এসব কথা বলে আমার মাথা খারাপ করো না মা।আমি যাচ্ছি।
প্রাপ্তির কিছুই বলার ছিলোনা।ও চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখে গেলো।দুপুরের রান্নার সময় সালেহা খাতুন প্রাপ্তিকে বলল,
-কিরে মা তোর মন খারাপ?
-না তো মা কিছু না।
-আমি বুঝতে পারছি তোর মনটা খুব খারাপ।একমাত্র তুই-ই পারিস সায়ানকে ঠিক করতে,মেয়েদের নেশা,মদ সিগারেটের নেশা কাটাতে।যদিও ও কখনো আমাকে বুঝতে দেয়না যে ও মেয়েদের সাথে মেলামেশা করে।
-আমি কিভাবে করবো মা?
-একটা ছেলের সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হচ্ছে এক্তা সুন্দরী মেয়ে।তুই তো কোনো দিক থেকে কম না রে মা।আল্লাহ্‌ সবদিক দিয়ে তোকে সুন্দর করে বানিয়েছেন।তাই চাইলেই তুই পারবি ওকে তোর আয়ত্বে এনে ওর জীবনটা সুন্দর শৃঙ্খল করে তুলতে।আমরা আর কয়টা দিনই আছি এখানে।সায়েরার (সায়ানের ছোট বোন) কাছে চলে যাবো আমরা কয়দিন পরে।
-আচ্ছা মা আমি চেষ্টা করবো আমার পুরোটা দিয়েই।
সারাদিন কথাগুলো প্রাপ্তির মাথায় ঘুরপাক খেয়ে গেলো।কিভাবে কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলো না প্রাপ্তি।
যা-ই হোক এইভাবেই তাদের দিনকাল চলতে থাকলো।বাবা মা যতদিন ছিলেন ততদিন প্রাপ্তি সায়ানের রুমেই ঘুমাতো কিন্তু মেঝেতে। শুধুমাত্র সায়ানের মনে ক্ষুধা মেটানোর সময়টাতে প্রাপ্তির জায়গা হতো বেডে।প্রতিদিন সায়ান কোনো না কোনো মেয়ের সাথে ফোন এ কথা বলে,জান,বাবু এসব বলে সম্বোধন করে।প্রাপ্তি নীরবে শোনে আর চোখের জল ফেলে।
কিছুদিন পরে সায়ানের বাবা মা চলে গেলো।
বাবা মা চলে যাওয়ার পর থেকে সায়ান প্রতিদিন কোনো না কোনো মেয়েকে নিয়ে বাসায় আসে,সারাদিন সিগারেট, মদ আর মেয়ের নেশায় পরে থাকে সে।তার ঘরে যে একটা বউ আছে তার দিকে সায়ানের কোনো খেয়ালই নেই। খাবার সময় আর রাতের ক্ষুধা নিবারনের সময় শুধু প্রাপ্তি সায়ানের সঙ্গী।সারাদিন বাসায় বসে থাকে আর এগুলোই করে।
একদিন প্রাপ্তি রান্না করছিলো সকালে।সবে কড়াইয়ে তেল দিলো।প্রায় গরম হয়ে আসছে।এমন সময় সায়ান ডাক দিলো।তাড়াতাড়ি যেতে হবে নাহলে আবার গালাগালি শুরু করবে।তাই তাড়াহুড়ো করে কড়াই নামাতে গিয়ে হাতের উপরে পড়ে গেলো সবগুলা তেল।মুহুর্তে মনে হচ্ছিলো যেনো ওর প্রানটা বের হয়ে গেলো!
-কিরে প্রাপ্তি তোর কত সময় লাগে।জলদি আয়।
কোনমতে হাত ওড়নার আচলে লুকিয়ে গেলো সায়ানের রুমে।
-ছোট লোকের বাচ্চা এতো সময় লাগে তোর এখানে আসতে!!কি করিস সারাদিন!!আমার কাপড়গুলো আয়রন করে রাখ।আমি শাওয়ারে যাচ্ছি।
অনেক কষ্ট করে প্রাপ্তি সায়ানের কাপড়গুলো আয়রন করে নিলো।
তারপর নিচে গিয়ে নাস্তা রেডি করে নিলো!!হাতটা মনে হচ্ছে যেনো জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।সায়ান যখন নাস্তার টেবিলে আসলো তখন প্রাপ্তি জিজ্ঞেস করলো
-বাসায় কোনো মলম আছে?
-কি করবি মলম দিয়?
-হাত পুড়ে গেছে লাগাবো!
-First Aid box এ আছে দেখে নিস।
নাস্তা করে সায়ান চলে গেলো।প্রাপ্তি অনেক খুজলো কিন্তু কোথাও First Aid Box খুজে পেলো না।এদিকে ব্যথা যন্ত্রণায় হাত পুড়ে যাচ্ছে।কোনো উপায় না দেখে প্রাপ্তি পোড়া জায়গায় টুথপেস্ট লাগিয়ে দিলো কিছু।অনেক কষ্ট করে রান্না বান্না করে নিলো দুপুরে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লো ড্রইং রুমের সোফায়।শরীরটা মনে হচ্ছে যেনো আগুনের মতো পুড়ে যাচ্ছে। জ্বর এসে পড়েছে।চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে।বিকালে ঘুম ভাংলো।উঠে দেখে হাতের পোড়া জায়গাটা ফোস্কা পড়ে গেছে।ভেতরে পানি জমে গেছে।উফফ কি যে ব্যথা হচ্ছে।ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে কিছুক্ষন লাগালো।যতক্ষন লাগালো ততক্ষন শান্তি লাগে।সন্ধ্যায় সায়ান বাসায় ফিরে এলো।এসেই রুমে চলে গেলো।রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সায়ান প্রাপ্তিকে বলল রুমে যাওয়ার জন্য।প্রাপ্তি বলল,
-আমার শরীরটা ভালো লাগছে না।আজকে..
-চুপচাপ যা বলেছি তা করবি।মুখে মুখে কথা বলবিনা।
রাতে সব কাজ শেষ করে প্রাপ্তি কাঁপতে কাঁপতে রুমে গেলো।জ্বরে পুরো শরীর পুড়ে যাচ্ছে।হাতের ব্যথায় ইচ্ছা করছে মরে যেতে।
এই অবস্থায় সায়ান প্রাপ্তির উপরে যৌন নির্যাতন চালালো।প্রাপ্তির শরীরে বিন্দু পরিমান শক্তি নেই।সায়ান যখন প্রাপ্তির হাত চেপে ধরেছিলো তখন প্রাপ্তির হাতের ঠোসা ফুটে গেলো।চামড়া উঠে যাওয়ায় হাতের যন্ত্রনা আরো তীব্রতর হয়ে গেলো।ও চেয়েও চিৎকার করে কাঁদতে পারছেনা।সায়ান এতোটাই নিষ্ঠুর যে এই অবস্থা দেখেও প্রাপ্তিকে ছাড়ে নি।

পরদিন সকালে কোনোমতে প্রাপ্তি উঠে গোসল করে নিলো।গোসল করে ড্রইং রুমে এসে শুয়ে ছিলো।একদম ভালো লাগছিলো না।নাস্তা বানায় নি।সায়ান উঠেই চিল্লাচিল্লি শুরু করলো-এখন আমি না খেয়ে বাইরে যাবো!!তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা।সারাদিন ঘুম আর ঘুম।এছাড়া আর কোনো কাজ নেই।
তারপর বাইরে চলে গেলো।তারপর এক ঘন্টা পরে ফিরে আসলো মদ আর সিগারেট নিয়ে।এসেই রুমে চলে গেলো।
শফিক বাজার করে দিয়ে গেলো।
প্রাপ্তি সেগুলো কোনোরকম কেটেকুটে রান্না করে আবার শুয়ে রইলো।শরীরটা এতোটাই খারাপ লাগছিলো যে কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলো না।রাতে খাবার টেবিলে সায়ানের চোখ পড়লো প্রাপ্তির হাতের উপরে।বলল,
-হাতে কিছু লাগাস নি??
-টুথপেস্ট লাগিয়েছিলাম।
-তোকে না বলেছি First Aid Box এ মলম আছে??
-খুজে পাইনি।
-তো বলিস নি কেনো আমাকে?
প্রাপ্তি আর কিছু বলে না চুপ করে থাকে।ও বুঝে উঠতে পারছিলো না হঠাৎ করে সায়ান এমন ভালোভাবে কথা বলছে কেনো!!!
রাতে কলিং বেল এর শব্দ শুনে প্রাপ্তি দরজা খুলল। দেখে শফিক।শফিক তার হাতে একটা প্যাকেট দিয়ে বলল -সায়ান সাহেব কইলো এইটা আপনারে দিতে।
প্রাপ্তি বুঝতে পেরে একটা মুচকী হাসি দিয়ে গেট লাগিয়ে দিল।

৩য়_পর্ব

প্রাপ্তি প্যাকেটটা খুলে দেখে একটা মলম।ও বুঝে নিলো এটা হাতে লাগানোর জন্য সায়ান আনিয়েছে।প্রাপ্তি ঔষধ লাগিয়ে নিলো হাতে তারপর শুয়ে পড়লো!মলমটা খুব ঠান্ডা।জ্বালাপোড়া খুব কমে গেছে। কিছুটা আরামদায়ক লাগছে।
সকালে উঠে দেখে ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে।
প্রাপ্তি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানিয়ে নিলো।তারপর সায়ানের রুমের দিকে গেলো।গিয়ে দেখে সায়ান ঘুমাচ্ছে এখনো!কিছুক্ষন প্রাপ্তি দাঁড়িয়ে দেখলো সায়ানের দিকে আর রাতের কথা ভাবছিলো।যতটা খারাপ ভেবেছি ওতটা খারাপ না সায়ান।হঠাৎ করেই সায়ানের ঘুম ভেঙে গেলো।প্রাপ্তি চোখ নামিয়ে ফেলল।সায়ান বলল
-কিরে এখানে কি করিস?
-না মানে কিছু না।
-কয়টা বাজে?
-৮:২০ বাজে এখন।
-ডেকে দিলি না কেনো আমাকে?আমার কাজ আছে আজকে।
-আমি কি জানতাম নাকি?!!
-আমার কাপড়গুলা আয়রন করে রাখ আমি শাওয়ারে যাচ্ছি।
প্রাপ্তি কাপড়গুলো আয়রন করে রাখলো।তারপর সায়ান নাস্তা করে অফিসে চলে গেলো।সায়ান বাসায় আসলেই মেয়েদের সাথে ফোন এ কথা বলে।আর প্রয়োজন হলে প্রাপ্তিকে বিছানার সঙ্গী বানায়।

পুরনো কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে প্রাপ্তির চোখ লেগে গেলো টেরই পেলো না।
হঠাৎ করে কলিং বেল বেজে উঠলো।প্রাপ্তি দরজা খুলে দেখে সায়ান দাঁড়িয়ে আছে।সায়ান ঘরে ঢুকেই বলল
-যাও শাড়ি পরে আসো।আমরা আজকে আকাশ দেখবো।
প্রাপ্তি তার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না।ও দাঁড়িয়ে রইলো সায়ানের সামনে।সায়ান বলে,
-শুনতে পাও নি কি বলেছি,জলদি যাও,আজকের চাঁদটা খুব সুন্দর আলো ছড়িয়েছে।ছাদে গয়ে জোছনা দেখবী একসাথে।তুমি একটু সেজেগুজে আসো।
প্রাপ্তি নীল শাড়ী আর লাল চুড়ি পরে নিলো।চুল খুলে চিরুনি দিয়ে আচড়াচ্ছিলো।এমন সময় সায়ান এসে বলল
-চুলে খোপা করো।
-কেনো?খোলা চুলেই তো ভালো লাগে আমার কাছে।
-আরে করো না।
তারপর প্রাপ্তি চুলে খোপা করে নিলো সুন্দর করে পেছন থেকে সায়ান এসে ওর খোপায় কাঠবেলি ফুল গুজে দিলো।আর প্রাপ্তিকে জড়িয়ে ধরে বলল,
-বড্ড ভালোবাসি তোমায়।
বলে সায়ান প্রাপ্তির কপালে চুমো খেতে নিলো এমন সময়
-প্রাপ্তি….প্রাপ্তি.. এই প্রাপ্তি…..
সায়ানের ডাকে ঘুম ভেঙে গেলো প্রাপ্তির।উফফ স্বপ্ন ছিলো এটা!!ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১:২৫ বাজে।এতো রাতে সায়ান ডাকছে কেনো!!
যাক গে প্রাপ্তি সায়ানের রুমে গেলো।
-কিরে এতক্ষন ধরে ডাকছি শুনতে পাস না?কানে তুলো দিয়ে রাখিস নাকি?
-না আসলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
-হ্যাঁ সারাদিন ঘুম,খাওয়া ছাড়া আর কিছু কাজ নাই তোর?
-এতো রাতে আমি কি করবো আর না ঘুমিয়ে?
-রিয়াকে একটা ড্রেস দে।ওর ড্রেসটাতে পানি পড়ে ভিজে গেছে।
-বাবু আমি এসব ক্ষ্যাত ড্রেস পরবোনা।(রিয়া)
-তাহলে কি করবে এখন?(সায়ান)
-তোমার শার্ট দাও পরে নিবো।(রিয়া)
-আচ্ছা ঠিক আছে(সায়ান)।
-এই শুন আমার ড্রেসটা ওয়াশ করে দে।সকালে আমার যেতে হবে বাসায়।(রিয়া)
-আচ্ছা(প্রাপ্তি)
প্রাপ্তি এসে রিয়ার ড্রেসটা ধুয়ে শুকাতে দিলো।বাড়ি কথা খুব মনে পড়ছে। সেই কবে মায়ের সাথে দেখা করে এসেছি আর যাওয়া হয়নি।সকালে সায়ানকে বলবো বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে যাবো।

সকালে নাস্তা বানিয়ে দিলো।রিয়া আর সায়ান নাস্তা করে নিলো।রিয়া চলে গেলো নাস্তা করেই।যাওয়ার সময় বলে গেলো
-আমার সায়ানের দিকে একদম বাজে নজর দিবিনা।ওর আশে পাশে কম যাবি।
প্রাপ্তি রিয়ার কথায় কান দেয়নি।রিয়ে চলে যাওয়ার পরে প্রাপ্তি সায়ানকে বলল
-অনেকদিন বাসায় যাইনা।যদি আপনি অনুমোতি দেন তাহলে আমি একবার বাবা মায়ের সাথে দেখা করে আসতে চাই।
-আমার খাওয়া দাওয়া দেখবে কে?না খেয়ে থাকবো?
-আমি রান্না করে দিয়ে সকালে যাবো।আবার বিকালেই চলে আসবো।থাকবো না।আপনি তো ওই সময়টা অফিসেই থাকেন।বা অন্য কাজে বাইরে থাকেন।আপনি বাসায় আসার আগেই আমি চলে আসবো।
-আচ্ছা আমি অফিসে যাওয়ার সময় তোকে নামিয়ে দিয়ে আসবো।কিন্তু আমি বাসায় এসে যেনো তোকে পাই।
-পাবেন।আমি ওয়াদা করছি আমি আপনার ফেরার আগেই বাসায় চলে আসবো।থাকবো না।
পরে দুইজনেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে নিলো।
প্রাপ্তি নীল রঙের একটা শাড়ী,হাত ভর্তি লাল রেশমী চুড়ি পরে নিলো,একটা স্টোনের ছোট্ট টিপ পড়লো,চোখে গাঢ় করে কাজল,ঠোটে হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিক লাগালো,আর চুলগুলো খোপা করে নিলো।ওর ফর্সা শরীরে এই সাজে ওকে দারুন লাগছিলো।
প্রাপ্তি গতকালের ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারলো না।সায়ান ফোন এ কথা বলে মেয়েদের সাথে,ফ্লার্ট করে,ড্রিংক করে,সিগারেট খায় সব মেনে নিয়েছিলো কিন্তু রিয়ার সাথে এইভাবে শারীরিক সম্পর্ক ও কিছুতেই মেনে নিতে পারলো না।তাই ও সিদ্ধান্ত নিলো যে করেই হোক সায়ানকে ওর প্রতি টেনে আনবেই আর এটা হলো তার শুরু।
প্রাপ্তি রেডি হয়ে যখন সায়ানের সামনে আসলো তখন সায়ান অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো।তারপর বলল
-এতক্ষন লাগে তোর রেডি হতে?
-মাফ করবেন দেরি হয়ে গেছে।আর ২ টা মিনিট দিন।আমি বোরকা পরে নেই প্লিজ।
-আবার বোরকা পরবি কেনো?আমার গাড়িতে করেই তো যাবি।বোরকা পরতে হবে না।
-আচ্ছা চলুন তাহলে।
-আর শুন,চুল খুলে রাখ।তাতেই বেশি ভালো লাগবে।
প্তাপ্রি মনে মনে খুশি হচ্ছিলো সায়ানের ব্যাবহার দেখে।ভাবছে-আমি আবার স্বপ্ন দেখছি না তো!!
তাই নিজের হাতে একটা চিমটি কেটে দেখলো।নাহ সত্যি।স্বপ্ন না।
তারপর তারা গাড়িতে উঠলো। যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই সায়ানের চোখ পড়লো প্রাপ্তির হাতের পোড়া দাগের উপরে।অনেকটা পুড়েছে মেয়েটার।সায়ান বলল
-তোর হাত দেখি অনেকটাই পুড়ে গেছে। সেদিন শফিক মলম দিয়ে যায়নি?
-দিয়েছিলো।আমি লাগিয়েছিলামও।কিন্তু সেদিন রাতে অনেক জোরে ঘষা লেগে চামড়া উঠে যাওয়ার কারনে দাগটা পড়ে গেছে।
-ওহ বুঝেছি।বাসায় ভিনেগার আছে।লাগিয়ে নিস।দাগ চলে যাবে।
-আচ্ছা।
প্রাপ্তি তার কানকে বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না।এটা কি সত্যি সেই সায়ান যে কিনা কাল রাতেও একটা মেয়ের সাথে যৌন লালসায় লিপ্ত ছিলো!!যা কিনা আমাকে এক ফোটাও তোয়াক্কা করতো না।তারমানে মা ঠিকই বলেছে।ছেলেদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা একটা মেয়ে।যে সহজেই একটা ছেলেকে বশে নিয়ে আসতে পারে।
প্রাপ্তির বাসা এসে পড়েছে।সায়ান প্রাপ্তিকে নামিয়ে দিলো।প্রাপ্তি যাওয়ার সময় সায়ান পেছন থেকে ডাক দিয়ে বলল
-প্রাপ্তি এইদিকে আয় তো একটু।
প্রাপ্তি তাড়াতাড়ি আসলো।
-কিছু বলবেন?
সায়ান প্রাপ্তির হাতে একটা স্মার্ট ফোন দিয়ে বলল
-এই ফোন এ দুইটা সিম লাগানো আছে।আজকে থেকে এই ফোন টা তুই ইউজ করবি।এখানে দুটো সিমেই টাকা লোড করা আছে।
এইটুকু বলেই সায়ান অফিসে চলে গেলো!প্রাপ্তি দাঁড়িয়ে রইলো অবাক হয়ে সায়ানের গাড়ির দিকে।গাড়িটি অদৃশ্য হওয়ার পরে প্রাপ্তি বাসার ঢুকে গেলো।

চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here