#ধূসর_রঙে_আকাশ
#পর্ব_৪৩
লিখা: Sidratul Muntaz
তোহা চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে শিউলিকে ডাকছে। শিউলি রান্নাঘরে কাজ করছিল। সব ছেড়েছুড়ে ঘোড়ার বেগে ছুটে এলো। ওর নিঃশ্বাস অনবরত উঠানামা করছে। তোহার ডাক শুনে মনে হচ্ছে শিউলি মস্তবড় অপরাধ করেছে। এখন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। সেই শাস্তির কথা ভেবে শিউলির যেমন ভয় লাগছে তেমনি সে মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে। শিউলি যে মুহুর্তে তোহার ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ালো ঠিক সেই মুহুর্তে অনতিবিলম্বে তোহা প্রশ্ন করে,
” এই চিঠি তুই কিভাবে পেয়েছিস?”
শিউলি ভ্যাবাচেকা খাওয়া কণ্ঠে উত্তর দেয়,” ভাইজানের ঘর পরিষ্কার করতে গিয়া টেবিলের নিচে পাইসি।”
তোহার চোখ দুটো অগ্নিশিখার মতো জ্বলে উঠলো। শিউলি আতঙ্কে পিছিয়ে যায়। সে কি চিঠি এনেছে নাকি নিজের বিপদ নিজে ডেকে এনেছে বুঝতে পারছে না। তোহা হিংস্র বাঘিনী রূপে শিউলির সামনে দাঁড়িয়ে ফুসতে ফুসতে বললো,
” তোর ভাইজানের ঘর প্রত্যেকদিন পরিষ্কার রাখতে বলেছিলাম। তুই কয়দিন পর পর ওইঘর পরিষ্কার করিস? আর টেবিলের নিচে এই চিঠি পড়েছিল এটা তুই একমাস পর পেলি? তার মানে এই একমাসে তুই একবারও ওর টেবিল ধরে দেখিসনি। নাহলে আরো আগেই চিঠি পেতি।”
শিউলি আতঙ্কে শুধু ঢোক গিলছে। এই ভয়টাই পেয়েছিল সে। তোহা মাঝে মাঝে সেই ঘরটা দেখতে যায়। দরজা আটকে সেখানে বসে কাঁদে। এই কাজটা নিয়ম করে সে কয়েকদিন পর পরই করে। শিউলির সেই রুটিন মুখস্ত। তাই তোহা আসার আগে সে শুধু ঘরটা কোনোমতে গুছিয়ে রাখতো৷ কখনো সেভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। একজন মৃত মানুষের ঘর কেন ঝকঝকে চকচকে করে রাখতে হবে? সেই ঘরে তো কেউ থাকেও না। বরং শিউলির ইচ্ছে করে তোহার ঘরটা একটু গুছিয়ে দিতে। কিন্তু তোহা নিজের ঘর অগোছালো রাখতেই পছন্দ করে। আর আমীরের ঘর হতে হবে সুন্দর করে গুছানো, পরিষ্কার। আজকে শিউলি সত্যিই ঘরটা ভালোমতো পরিষ্কার করছিল। তখনি চিঠি পেয়েছে। আর পাওয়া মাত্রই ওর হাত-পা আতঙ্কে জমে যায়। এতোদিন পর এই চিঠি তোহার হাতে দিলে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে শিউলি জানতো। এখন নিজের দোষ স্বীকার করা ছাড়া কোনো উপায়ন্তর নেই৷ শিউলি মাথা নিচু করে আছে। তোহা খেয়াল করে শিউলির শরীর ঘর্মাক্ত। তরতর করে কাঁপছে। ক্লান্ত মুখ, ক্লান্ত চাহনী সাথে ভয়ে জড়োসড়ো আর অস্থির। তোহা হঠাৎ কণ্ঠস্বর নিচু করে বললো,
” বোস। সারাদিন এতো কাজ করিস, একটু রেস্ট নিতে পারিস না?”
তোহার এই কথা শুনে শিউলি প্রথমে চমকে যায়। তারপর আহ্লাদে কান্না চলে আসে। তোহা তাকে নিয়ে ভাবছে, তার রেস্ট নেওয়া নিয়ে চিন্তা করছে। শিউলির খুব ভালো লাগে। খুশিতে,আহ্লাদে আর হালকা অভিমানেই চোখে পানি চলে আসে। কারণ এতোদিন একবারও ভালো করে তোহা ওর সাথে কথা বলেনি। তোহা শিউলির কাধে হাত রাখলো। শিউলি আরও চমকালো। তোহা শিউলিকে নিয়ে বিছানায় বসলো। শিউলির চমকের মাত্রা শুধু বাড়তেই থাকে। মেয়েটা কিছুদিন আগেও হসপিটালে ভর্তি ছিল। আমীরের ভয়ংকর মৃত্যু দেখে শিউলি এতোই অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছিল যে বাচ্চাটা মিস ক্যারেজ হয়ে যায়৷ এতে অবশ্য শিউলির জন্য ভালো হয়েছে। সে বাচ্চা দিয়ে করবে কি? নিজেই একটা বাচ্চা মেয়ে। কিন্তু তবুও একটা প্রাণ তার শরীরে বেড়ে উঠছিল এখন আর সেই প্রাণটি বেঁচে নেই। পৃথিবীর আলো দেখার আগেই সে অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। শিউলির সেজন্য মাঝে মাঝেই মনখারাপ হয়। সে অন্যমনস্ক হয়ে যায়। এক ধ্যানে বসে কি যেন চিন্তা করতে থাকে। হয়তো বাচ্চাটার কথাই চিন্তা করে। অন্যায় শিউলির সাথে হয়েছিল। কিন্তু শিউলি আর তার বাচ্চাটার তো কোনো দোষ ছিল না। অথচ সর্বোচ্চ শাস্তি তারাই পাচ্ছে। আর যারা আসল অন্যায়কারী তারা? তাদের কি হবে? প্রকৃতি ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয়না। তাদের ভয়াবহ ধ্বংসলীলা কেউ আটকাতে পারবে না। শিউলির সাথে যারা অন্যায় করেছিল প্রকৃতি তাদের কঠিন শাস্তি দিবে। এসব কথা প্রায়ই তোহা শিউলিকে বলে। এখনো বলছে। আর শিউলির চোখ দিয়ে গলগল করে তপ্ত অশ্রু গড়াচ্ছে। তোহা শিউলির চোখের পানি মুছে দিল। মাথার একপাশে হাত বুলিয়ে বললো,
” চল রেডি হো। আজকে তোকে নিয়ে বের হবো।”
শিউলির চোখের পানি মুহুর্তেই আটকে যায়। মনটা তীব্র আনন্দে লাফিয়ে উঠে। তোহা আপা বাসা থেকে বের হবে? এতোদিন পর? তাও তাকে সাথে নিয়ে বের হবে। শিউলির মনের আনন্দ আর ধরে না। তোহা মুচকি হেসে বললো,
” যাবি না?”
শিউলি দুইহাতে চোখের পানি মুছতে মুছতে দ্রুত মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়। সে যাবে। খুশিতে মুখ দিয়ে কথাও বের হচ্ছে না। তোহা শিউলির অবস্থা দেখে হালকা করে একটু হাসে। এরপর বললো,
” গোসল করে তারপর রেডি হো যা। আর পূরবীকে একটু আসতে বলিস।”
শিউলি দ্রুত উঠে চলে যায়। আজকের দিনটা সত্যিই সুন্দর। ইশশ, চিঠিটা সে আরও আগে কেনো উদ্ধার করলো না? তাহলে এই ঝলমলে দিনটা আরও আগে দেখতে পেতো!
পূরবী দরজার কাছে এসে হাসি-খুশি মেজাজে বললো,” আমাকে ডেকেছিস?”
তোহা অনেকদিন পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়ে নিচ্ছে। পূরবীর ডাক শুনে পেছনে না তাকিয়েই বললো,” আয় বোস।”
পূরবী স্বাচ্ছন্দ্যে বিছানায় এসে বসলো। পা দুলাতে দুলাতে খুশি খুশি কণ্ঠে বললো,
” শিউলিকে নিয়ে বের হচ্ছিস? লাভলী আন্টি শুনে খুব খুশি হয়েছে। এতোদিন পর অবশেষে কোথাও বের হচ্ছিস তুই! কোথায় যাবি?”
তোহা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,” এমনি ঘুরাঘুরি করবো। একটু শপিংয়েও যেতে পারি।”
পূরবীর মুখটা কেমন জানি হয়ে যায়। কেমন করে জানি জিজ্ঞেস করলো,” শপিংয়ে?”
” হুম।”
” আবারও যমুনায় যাবি?”
” এছাড়া আর কই যাবো?”
পূরবীর মুখ এখনো গম্ভীর। আনমনা হয়ে কিছু একটা চিন্তা করছে। তোহা সেটা খেয়াল করে বললো,” কেন? যমুনায় গেলে কি সমস্যা?”
পূরবী একধ্যানে নিচে তাকিয়ে থেকে বললো,” তোর ইচ্ছা। যেখানে খুশি যা। কিন্তু..”
” কিন্তু?”
” যমুনাতে যাওয়া ঠিক হবে না।”
” কেনো?”
” কারণ বললে তুই এখন রেগে যাবি।”
” আজকে আমি কোনোকিছুতেই রাগবো না। তুই বলতে পারিস।”
” এইতো মাস ছয়েক আগে, আমার জন্য কাপড় কিনতে যমুনায় গেছিলি। তারপর তো আর ফিরে এলি না। তিনমাস পর যখন এলি, তখন তুই অন্যকারো বউ। কিভাবে কি হলো, আমরা কিছুই জানিনা। কতবড় একটা ধাক্কা খেলাম সবাই। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই আবার দুইমাসের মাথায় আরও একটা ধাক্কা। আমীর ভাইয়ের মৃত্যু। সাথে আরও কত রহস্য বেরিয়ে এলো। তোদের নাকি কখনো বিয়েই হয়নি। চোখের সামনে এতোদিন যাকে দেখেছি, সে কোনো সাধারণ ব্যক্তি নয়। ড.রিব সিকেন্ট, অস্ট্রেলিয়ান সাইন্টিস্ট! আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে কতদিন ধরে ছিলেন এতবড় পরিচয়ের একজন মানুষ, কখনো বুঝতেও পারিনি না। হুট করে উনার মৃত্যুটা বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়ে গেল। জায়গা জায়গা থেকে সাংবাদিকরা ইন্টারভিউ নিতে এ বাসার নিচে এসে ভীড় জমাতে লাগলো। আন্টি-আঙ্কেল জবাবদিহি করতে করতে কাহিল।সবার এক প্রশ্ন, রিব সিকেন্ট কিভাবে মারা গেলেন? উনার সাথে আমাদের সম্পর্ক কি? তোর সাথে সম্পর্ক কি? কেনো পরিচয় গোপন করে এতোদিন এখানে থেকেছেন? অনেক রহস্য! আমরা একটা উত্তরই দিয়ে গেলাম, জানিনা। আর তুই তো তখন কথা বলার অবস্থাতেও ছিলি না। পরে তোকেও কম বিরক্ত করেনি মানুষ। এখন রাস্তায় বের হলে হয়তো অনেকেই এগিয়ে আসবে। হাজারখানেক প্রশ্ন তুলে মাথাখারাপ করবে।”
” আমি মুখে নিকাব পড়ে বের হবো। কেউ চিনবেই না।”
” তাই করিস। কিন্তু একটা ব্যাপার খেয়াল করেছিস?”
” কি?”
” তোর জীবনের স্মরণীয় ঘটনাগুলো সব ওই শপিংমলটার সাথেই জড়িত। যেদিন আমীর ভাই তোকে কিডন্যাপ করলো সেদিনও তুই যমুনায় গিয়েছিলি। আবার যেদিন উনি সুইসাইড করলো তার আগের দিনও উনার জন্য পাঞ্জাবী কিনতে যমুনায় গিয়েছিলি। আর উনি সুইসাইড করলো তোর দেওয়া পাঞ্জাবীটা পড়েই। অদ্ভুত না?”
তোহা একদৃষ্টে চেয়ে থেকে বললো,” হুম।”
” আজকেও আবার যমুনায় যাচ্ছিস। এমন অদ্ভুত কিছু ঘটবে না তো?”
তোহা মৃদু হাসলো। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,” সত্যি কি জানিস? আমি নিজেও ব্যাপারটা খেয়াল করেছি। তাই আজকে ইচ্ছে করেই শপিংয়ে যাচ্ছি। আমার মনে হয়, আজকেও আমার জীবনে সাংঘাতিক কিছু ঘটবে। মনে রাখার মতো আরেকটা অভূতপূর্ব ঘটনা! ”
” তুই এখনো কেমন করে এটা চাইছিস?”
” জানিনা।”
পূরবী কিছুক্ষণ চেয়ে থাকে তোহার দিকে। তোহা চেয়ে থাকে আয়নার দিকে। দুজন দুইভাবে কি যেন চিন্তা করছে। পূরবী হঠাৎ বললো,
” আচ্ছা কেন জানি ডেকেছিলি?”
” একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে।”
” কি প্রশ্ন?”
” তোর নিশ্চয়ই মনে থাকার কথা, মা-বাবার এ্যানিভারসেরির দিন ছিল। আমরা সারপ্রাইজ প্ল্যান করেছিলাম। আমি কলেজ থেকে আসার সময় একজনের কান কেটে দেওয়ার দৃশ্য দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। যে কান কেটেছে তার বর্ণনা শুনে তুই বললি রগ কাটা শাহ। সে নাকি বিরাট মাস্তান। কিছুদিন পর পর পুলিশের কাছে ধরা খায়। তারপর আবার জামিনে ছাড়া পায়। ওর কাজ শুধু মানুষের রগ কেটে দেওয়া। এসব তুই কেনো বলেছিলি?”
পূরবীর হাসি পায়। কষ্ট করে হাসি চেপে বললো,” তখন তো তুই বলদ নাম্বার ওয়ান। যা বলতাম তাই বিশ্বাস করতি। তাই তোকে আরও ভয় দেখানোর জন্য বানিয়ে বানিয়ে বলেছিলাম।”
” আমাকে ভয় দেখিয়ে তোর কি লাভ হলো?”
” মজা লাগতো। স্যরি রে!”
” আচ্ছা, রগ কাটা শাহ নামটা কই পেলি?”
” বললাম না একটা আর্টিকেল পড়ে জেনেছি? ওই আর্টিকেলে যা লেখা ছিল আমি তার আগা-মাথা কিছুই বুঝিনি। আমি তো জানিও না এটা একটা সাইন্টিস্টের নাম। তাছাড়া এমন নাম বাঙালীরা ট্রল করার জন্য বানিয়েছে। শাহভীর থেকে শাহ নিয়ে রগ কাটার সাথে লাগিয়ে। আর তোর বর্ণনা শুনে আমি ভেবেছিলাম হয়তো এলাকার কোনো মাস্তান হবে। আমি তো ভাবিনি আমি যার নাম নিয়েছি তুই তাকেই দেখে এসেছিস। ”
” আমি ভেবেছিলাম তুই আগে থেকেই উনাকে চিনতি।”
” চিনতাম না। আমি চিনলে আমীর ভাই আড়াইমাস ধরে এখানে পরিচয় গোপন করে থাকতে পারতো নাকি? আমাকে তুই চিনিস না? এলাকার মসজিদে গিয়ে মাইকিং করে আসতাম। আমার বোনের হাসব্যান্ড গ্রেট সাইন্টিস্ট।”
তোহা সামান্য হাসলো। কেন জানি মনে হচ্ছে আজকের দিনটা সত্যি বিশেষ দিন!
যমুনা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের গেইটে তোহা দাঁড়িয়ে আছে। ওর গায়ে কালো বোরখা। মুখে নিকাব। শিউলি শপিংমলের ভিতরে। ওর কি একটা জিনিস দরকার। তোহার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিনতে গেছে। তোহা ইচ্ছে করেই এখানে এসে দাঁড়িয়েছে। মনে মনে ভাবছে, আজকেও যদি আমীর এসে তাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যেতো? পরমুহূর্তেই মনে হয় তা কি আদৌ সম্ভব? আমীর তো কবেই চলে গেছে না ফেরার দেশে! ফেসবুক খুললেই শুধু আমীরের মৃত্যু নিয়ে হাজার হাজার পোস্ট। বেশিরভাগ মেয়েরা পোস্ট করে অনেক আবেগ মাখানো কথা বলে, শোক প্রকাশ করে। ওকে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ওর এই অকাল মৃত্যুতে পুরো বিশ্ব যেন স্তম্ভিত। মৃত্যুর আগে এই মানুষটিকে বাংলাদেশের অনেকেই চিনতো না। কিন্তু এখন সবাই চিনে। এমন কোনো মানুষ নেই যার মুখে আমীরের নাম নেই। আমীরের মৃত্যুর কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে না এমন মানুষও নেই। এতোবড় একজন সফল সাইন্টিস্ট কেন আত্মহত্যা করেছেন এই প্রশ্ন নিয়ে আলোড়ন এখনো দমে যায়নি। এই রহস্য উদঘাটন না করে হয়তো মানুষ ক্ষান্ত হবে না। আমীরের দেওয়া শেষ চিঠি দুটো তোহার বেঁচে থাকার অবলম্বন। আর কিছু চাইনা তার! মৃত্যুর পর কি আমীরের সাথে দেখা হবে? যদি দেখা হয় তাহলে তোহা আমীরকে এমনভাবে জড়িয়ে ধরবে যেন আর কখনো ছাড়তে না হয়।
তোহা নিকাবটা খুলে হঠাৎ পেছনে ঘুরতেই দেখল আমীর দাড়িয়ে আছে। তৃষ্ণার্ত চোখে তোহাকে দেখছে। চশমার আড়ালে থাকা চোখ দুটোয় কত তৃষ্ণা,আকুলতা, কত অভিব্যক্তি প্রকাশের অব্যর্থ চেষ্টা! তোহা চমকে যায়। সে কি ঠিক দেখছে? সত্যিই আমীর এসেছে? যদি এটা স্বপ্ন হয় তাহলে এই স্বপ্ন থেকে তোহা কোনোদিন জাগতে চাইবে না।
চলবে
( এইতো, আমীর ইজ ব্যাক। আগামী পর্বে রিম্মি-নীলাভ্রও থাকবে ইনশাল্লাহ।😌)