#নতুন_তুই_আমি#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
!
পর্ব:-২৫……………………….
আজ বাড়ির একমাত্র মেয়ের গায়ে হুলুদ।
কোনো কিছুর কমতি রাখে নি তামান্নার বাবা-মা।বাড়ি ভর্তি মেহমান গিজগিজ করছে।
কোলাহল আনন্দ উৎসবে একটা মুখুরিত সকাল শুরু হয়ে যায় তামান্নার জীবনে।
রোজকার মতো আজও বাড়ির বড় কারও হাতে সকালের খাবার খাওয়ার জন্য ডাইনিং এ বসে আছে সে।
ভাইপোর সাথে মজা করছে।
আজ-ই তো।তারপর কাল সে অন্য ঘরের গৃহিনী।
তবুও মুখে চিরচেনা হাঁসি টেনে সবার সাথে ঠিক তাল মিলিয়ে যাচ্ছে।
খাবার এসে গেছে।
সাথে বাড়ির সবাই উপস্থিত।
মেহমান রা সবাই আগেই খেয়ে নিয়েছে।
“আজকে বুলিকে কে খাওয়াবে???দাদুন??”
“না দাদাভাই….আজকে আমি খাইয়ে দিবো তোমার ফুপ্পিকে….”
তামান্না ওর বাবার দিকে তাঁকাল।বাবাকে আজকে একটু অন্য রকম দেখাচ্ছে।
মেয়ের পাশে বসে মেয়ের হাত রেখে বলল,
“আমার মা টা অনেক বড় হয়ে গেছে।”
তামান্না বাবাকে একটু আতলো করে জড়িয়ে ধরল,
“পাপা……”
তামান্নার মা হঠাৎ করে উঠে রান্না ঘরের দিকে চলে গেলো।
কাল মেয়ে চলে যাবে।প্রিয়জনদের মধ্যে একটা শোক আজই বয়ে যাচ্ছে।
কি করে বিদায় দিবে এতো আদরের মেয়েকে???
!
বিকালের দিকে বাড়ির বাগানে মহা আলোকসজ্জা।
তামান্নাদের বাড়িতেই সিয়াম আর তামান্নার একসাথে গায়ে হলুদ করা হবে বলে আবদার করেছে তামান্নার জেঠিমনি।
বয়োজেষ্ঠের আবদার কেউ আর ফেলতে পারে নি।
তাই গায়ে হলুদের সমস্ত আয়োজন এ বাড়িতেই করা হয়েছে।
বর কনের জন্য আলাদা করে বাগানের দু পাশে হলুদ ছোয়ার আয়োজন।
সিয়াম তো কোনো মতেই রাজি হচ্ছিলো না।
শশুড় বাড়ি গিয়ে কারও নাকি গায়ে হলুদ হয় এই প্রথম দেখছে সিয়াম!!সেটা আবার নিজের বিয়েতে।
কিন্তু মায়ের জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে।
সিয়াম পুরো একটা ম্যাগাহিরো লুক নিয়ে এসেছে।
উপস্থিত সব মেয়েই বড়সড় একটা ক্রাশ খাচ্ছে।
হলুদ রঙের পাঞ্জাবী,কালো চুরিদার পায়জামা,স্পাইক করা চুল,ছোট ছোট চাপা দাঁড়ি সব মিলিয়ে একটা তামিলস্টার!!!!
আর তামান্না!!!
হয়তো তাকে দেখে আজ স্বর্গের অপসরীরাও হিংসা করছে।
চাঁদের গায়েও একটা কলঙ্ক আছে।কিন্তু এই পরী!!!
তার গায়ে কোনো দাগ ই যে পাওয়া যাচ্ছে না।
সবুজ পাড়ের হলুদ শাড়ি,কানে ছোট লাল গোলাপের গয়না,গলায় গাঁদা ফুলের গহনা,মাথায় গাঁদা আর গোলাপ ফুলের মিংশ্রণে সাজানো ঝলমলে রূপের আলোয় একদম হলুদ হুরপরী।
!
এতো এতো লাইট আর ক্যামেরায় যেনো তামান্নার শরীর পুরে যাচ্ছে।
এর মধ্য আবার রাইয়ান তার কতজন বন্ধুদের নিয়ে আবার এসেছে ফটো নেওয়ার জন্য।
অলরেডি চল্লিশটার মতো ফটো সে তামান্নার সাথে তুলে ফেলেছে।
তাই তামান্না এবার অসহায় মুখ করে বলল,
“বোন,আর কত???ক্যামেরায় আলোতে তো আমার চামড়া পুড়ে গেলো!!!”
“ওহুহু….মাই সুইট আপু!! সরি সরি…ভাবী,আর একটু কষ্ট করো সোনা…..”
“রাইয়ান!!!!