#নতুন_তুই_আমি#
💜💜💜💜💜💜💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
!
পর্ব:-৫৫………………………….
!
তামান্না ওয়াশরোমে গিয়ে আরও রেগে গেলো।প্যাকেট টা খোলতেই দেখলো সিয়াম তার জন্য একটা টি-শার্ট আর পেন্সিল পেন্ট নিয়ে এসেছে।যদি তামান্না বিয়ের আগে বাসায় এসব পড়তো।তবুও রাত্রি বেলা।এসব পোশাকে ভাইয়ার সামনে আসতো না।তাই বলে রির্সোটে এসব পড়বে!তবুও অগত্যা পড়তে হলো কারণ সারা বিকাল জার্নি করে এখন সাওয়ার না নিয়ে থাকতে পারবে না।
তবে বকবক করে সিয়ামকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো, “তামিল মেয়েদের বডি ফিটনেসে এসব পোশাক দেখে আমার জন্যও নিয়ে আসা হয়েছে।”
সিয়াম বিছানায় শুয়ে শুয়ে ফোন গুতাচ্ছে।তামান্নার কথা কানে আসলে ঠোঁট কামড়ে শুধু কিছু বললো না।
কিছুক্ষণ পর ওয়াশরোমের দরজা খোলার শব্দে সেদিকে তাকালো।
সাথে সাথে থার্ড সেঞ্চুরি হওয়ার মতো চমকে উঠলো।
তামান্না টাওয়েল হাতে চল ঝাড়তে ঝাড়তে বের হলো।টি-শার্ট টা তামান্নার বডির সাথে লেগে আছে।পেন্ট টাও ফিট।এমনভাবে সব কিছু ফুটে উঠেছে যে কোনো যুবকের জন্য নেশাধরানো দৃশ্য এটা।আর সেখানে তো সিয়াম তামান্নার বর।
তামান্না ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে ওর হ্যান্ড ব্যাগ টা খুলে ক্রিম বের করে শরীরে লাগাতে লাগাতে বললো, “সরি।আসলে তামিল নায়িকাদের কথা তোমার মুখে শোনে মাথা ঠিক ছিলো।তাই ওভাবে রাগারাগি করেছি।”
সিয়াম কিছু শুনেছে কি না কে জানে।সে তো তামান্নার লম্বা চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ে ভিজে যাওয়া তামান্নার সাদা টি-শার্ট টার দিকে তাকিয়ে আছে।যা তার সারা শরীরে রীতিমতো আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
সিয়াম ফোন টা রেখে নেশাতুরের মতো ধীরে ধীরে তামান্নার পেছনে এসে দাঁড়ালো।তামান্না তখন চুলগুলো সরিয়ে সদ্য ভেজা ঘাড়ে ক্রিম দিচ্ছে।সিয়াম যে পেছনে দাঁড়িয়েছে সেটা খেয়াল করে নি।
তামান্না হঠাৎ তার ঘাড়ে গরম হাতের স্পর্শ পেতেই আয়নার দিকে তাকালো।যদিও সে জানে এটা সিয়াম।তারপরও হঠাৎ তাই একটু চমকে গিয়েছিলো।
তামান্না কিছু বলার আগেই সিয়াম নিজের হাত এক গাঁধা ক্রিম নিয়ে তামান্নার ঘাড়ে আলতো করে লাগিয়ে দিতে লাগলো।
“আরে,কি করছো???এতটা!!”
তামান্না দাঁড়িয়ে গেলো।
ঘাড় থেকে ক্রিম মুছার চেষ্ঠা করলে সিয়াম হাত ধরে ফেললো।তামান্না সিয়ামের চোখের দিকে তাকালো।
চোখ দুটো হালকা লাল হয়ে আছে।যেন নেশা করে এসেছে।তবে তামান্না ঠিক বুঝতে পারছে সিয়ামের নেশা লেগে আসছে।তবে সেটা ভালোবাসার।
তামান্না তবুও ভাঙা স্বরে বললো, “ক্রিম টা দিই??”
সিয়াম তামান্নাকে ঘুড়িয়ে দাঁড় করালো।আবার ঘাড়ে হাত দিলো।খুব নরম ভাবে ক্রিম লাগিয়ে দিতে লাগলো।আবেশে তামান্না চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললো।
সিয়াম হাতে ক্রিম নিয়েই তামান্নার টি-শার্টের ভেতর দিয়ে পেটে হাত রাখলো।পেটেও ঠিক একই ভাবে ক্রিম দিয়ে দিলো। তারপর তামান্নার ভেজা শুলো পেছনে আনলো।
তামান্না নিজের দিকে ঘুরিয়ে তামান্নাকে দেখতে লাগলো।চুলগুলো সামনে নিয়ে আসায় সামনের দিকেও চুলের পানিতে ভিজে গেছে।
সিয়াম তামান্নার জন্য এই ড্রেস টা ইচ্ছা করেই নিয়েই এসেছে।তামান্নাদের বাসায় যখন বিয়ের পর থেকেছিলো তামান্নার কার্বাডে এমন অনেক পোশাক দেখে একটু অবাক হয়েছিলো।তামান্না যে বাসায় এসব পড়ে বুঝে গিয়েছিলো।আর তখন থেকেই খুব ইচ্ছা-তামান্না এই ড্রেসে দেখবে।তাই আকাশের অজান্তেই সে তামান্নার জন্য এসব কিনেছে।আর নিজের দুষ্টু বুদ্ধি খাটিয়েই এতো ফিট আর সাদা রং এর পোশাক নিয়ে এসেছে।
কিন্তু এতে যে তামান্নাকে এত বেশী আর্কষিত লাগবে সেটা সিয়াম ভাবে নি।ভেবেছিলো আর্কষিত লাগবে।তাই বলে এতটা!
সিয়াম তামান্নার গালে হাত রাখলো।এক আঙ্গুল দিয়ে তামান্নার গাল বরাবার দাগ টানলো।তারপর ঠোঁটে স্পর্শ,স্মুথলি আঙ্গুলটা ঘর্ষণ করে তামান্নার ঠোঁটের একটু ভেতরের দিকেও আঙ্গুলটা নিয়ে গেলো।ভেজা স্পর্শ আঙ্গুলে পেতেই সিয়াম আরও একটু দিশেহারা হয়ে গেলো।সে আচমকা তামান্নার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো।তামান্নাকে কোনো কিছুর সুযোগ না দিলে একের পর এক চুমু দিয়ে যাচ্ছে।নরম ঠোঁট দুটোতে পাগলের মতো কামড় দিচ্ছে।ভেতরের দিকেও।তামান্না ব্যথায় কুঁকিয়ে উঠছে।তবুও সিয়াম ছাড়ছে না।তামান্নার চুলের পেছনে এক হাত অন্য হাত পেটের কাছে।
তামান্না রীতিমতো হাপিয়ে উঠছে।বাধ্য হয়ে সে ও সিয়ামকের ঠোঁটের সাথে তাল মেলাতে লাগলো।সিয়াম তামান্নার ঠোঁটের আশেপাশে লিক করছে। চুমু, লাভ বিটে ভরিয়ে দিচ্ছে।তামান্নাও সিয়ামের চুলগুলো দু হাতে খামচে ধরে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ করেই সিয়ামের একটা হাত যেটা তামান্নার চুলে ছিলো।সেটা তামান্নার বুকে এসে পড়লো।চাপ পড়লো বুকে।নরম মাংস পিন্ডে বলিষ্ঠ কোনো পুরুষের যন্ত্রণাময় ভালোবাসার স্পর্শ।
তামান্না আর সহ্য করতে না পেরে সিয়ামকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো
তামান্না একটু দূরে গিয়ে পেছন ফিরে হাপাতে লাগলো।লজ্জায় নিজেকে ইচ্ছা করছে কোথায় লুকিয়ে ফেলতে।কিন্তু সিয়াম সেটা হতে দিলে তো!
সে নিজের শার্টের একটা একটা করে বোতাম খোলে ধীর পায়ে তামান্নার দিকে এগুতে লাগলো।
শার্ট টা ফ্লোরে ফেলে সিয়াম পেছন থেকে জড়িসে ধরলো তামান্নাকে।
সিয়ামের খোলা বুকে নিজের পিঠ টা ঠেকাতেই কেঁপে উঠলে তামান্না।
সিয়াম তামান্নার কানের কাছে মুখ লাগিয়ে বললো, “তামিল নায়িকাদের কথা শোনে তোর রাগার কোনো কারণ দেখছি না আমি।তোর যা ফিগার!বিশ্বাস কর কোনো হিরোইনের সেটা নেই।”
তামান্না চুপ করে আছে।এই মুহুর্তে কিছু বলার অবস্থায় সে নেই।
সিয়াম আবারও বললো, “হিরোইন দের টা দশ টা হিরোর সংস্পর্শে এসে সব শেষ।কিন্তু তোর তো আমি কিছুই শেষ করতে পারি নি।”
সিয়াম তামান্নার ঘাড়ে গভীর চুমু দিলো।তারপর টি-শার্টেট হাতা টা একটু নামিয়ে আরও গভীরভাবে চুমু দিচ্ছে।প্রতিটা চুমুতে তামান্নার তীব্র ভাবে কেঁপে উঠছে।
সিয়াম তামান্নাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরলো।যতটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরা যায়।ততটা।
তামান্নার মনে হচ্ছে এই বুঝি সে সিয়ামের উষ্ম লোমাঞ্চ বুকের ভেতর ডুকে যায়।
কি যে অসম্ভব ভালো লাগছে তার।
সিয়াম তামান্নাকে ছেড়ে দিয়ে তামান্নার দু গালে হাত দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বললো, “এজন্যই আমাদের ইসলামে মেয়েদের টাইট পোশাক পরিধান নিষিধ সর্ব সম্মুখে।কারণ মেয়েদর এতে এতোটাই আকর্ষিত লাগে যে কোনো যুবকেই সহজের কাম ইচ্ছা জাগ্রত হয়।কিন্তু বিশ্বাস কর,তোকে দেখে আমার এমন কেনো হয়!সব সময়!সব পোশাক এতো আর্কষণ কেনো করিস আমায়?আমার জন্য তুই পবিত্র বলে?তুই তো চাইলে আমার সামনে সব সময় এই পোশাকে থাকতে পারিস!কোনো বাঁধা নেই।তাি কি এতো কাছে পেতে ইচ্ছা করে তোকে।কই তামিল নায়িকার মেদ হীন পেট দেখে তো এমনটা হয় না।”
সিয়ামের মুখে তামিল নায়িকার মেদহীন পেটের কথা শোনে তামান্না চোখ বেটে তাকালে সিয়াম দিকে।
তারপর লজ্জা তার রাগে পরিণত হয়ে গেলো নিমিষেই।
সিয়াম ঘাড়ের পেছনে হাত বেঁধে দাঁতে দাঁত চেপে বললো, “মেদহীন পেট টাও দেখছো??”
সিয়াম হাসলো।তামান্নার কমড়প চাপ দিয়ে নিজের বুকের আরোও কাছে নিয়ে আসলো।তারপর বললো, “দেখার জিনিস দেখবোই তো।কি স্লিম পেট!”
তামান্না চোখ মুখ খিচে সিয়ামের দিকে তাকিয়ে রইলো।তারপর সিয়ামের ঘাড় থেকে একটা হাত নামিয়ে সিয়ামকে অবাক করে দিয়ে নিজের টি-শার্ট টা পেট থেকে সরিয়ে নিলো।সিয়ামের একটা হাত নিজের উন্মুক্ত ফর্সা-মেদহীন পেটে চেপে ধরে বললো, “তোমার বউয়ের পেটের চেয়েও স্লিম??”
সিয়াম তামান্নার উন্মুক্ত পেটের দিকে তাকালো।হাত টা ইচ্ছে করেই আরও শক্ত করে চেপে রাখলো তামান্নার পেটে।তারপর কিছু না বলে তামান্নার সামনে হাঁটু গেরে বসে পড়লো।মোহিত নয়নে তাকিয়ে রইলো তামান্নার খোলা পেটের দিকে।গভীর নাভীর চারপাশে আঙ্গুল ঘুরিয়ে নিয়ে চুমু দিলো।তামান্না দু কদম পিছিয়ে গেলেও সিয়াম কমড়ের দু পাশে হাত রেখে ঠিকই ব্যালেন্স করে নিলো।
তারপর মাথাটা একটু উপরের দিকে তুলে তামান্নার দিকে তাকিয়ে বললো, “তোর পেটের চেয়ে স্লিম হতে গেলে আরও কিছু বছর সাধানা করতে হবে তাদের।”
তামান্না এবার একটু অহংকার বোধ নিয়ে সিয়ামের মতো হাঁটু গেরে বসে পড়লো।সিয়ামের বুকে হাত রেখে স্বাহাস্যে বললো, “তাহলে চোখ টা কি আমার পেটের দিকেই সব সময় রাখা যায় না??”
“শুধু পেট??”
“আমি কি তাই বললাম??”
“তারমানে সবকিছু??”
“একটা ছেলে তার বউয়ের দেহ মন দুটোর সর্বশ্রেষ্ঠ পাহারাদাড়।কিন্তু সে পাহাড়াদাড়-ই হচ্ছে একমাত্র বৈধ আমানতদাড়।নিজের আমানতকে কি করতে হয় সেটাও আমি বলে দিবো?”
সিয়াম উঠে দাঁড়ালো।তামান্নাকে কোলে তুলে নিয় তামান্নার দিকে তাকিয়ে বললো, “আমার আমানত আমার যা ইচ্ছা….”
তামান্নার সিয়ামের এই চোখের ভাষা একদম অন্য রকম লাগে।খুব লজ্জায় ফেলে দেয়।তামান্না সিয়ামের বুকে মুখ রাখলো।
সিয়াম তামান্নাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে লাইট টা বন্ধ করে আসলো।ডিম লাইটের ঝাপসা আলো ঘরে।
জানালা খোলা।বাইরের উন্মুক্ত বাতাস ঘর শীতল করে দিচ্ছে।আর সেই মুহুর্তে সিয়াম তামান্নার শরীরের উপর শরীর শায়ন করে।মুঁচকি হেসে তামান্নার দিকে তাকিয়ে বলে, “তুই কি জানিস!তুই আমার সামনে শক্ত হওয়ার চেষ্ঠা করেও পারিস না!”
তামান্না কিছু বললো না।সত্যই ভালোবাসার মানুষের কাছে শক্ত হয়ে থাকা টা খুব কঠিন কাজ।যে কাজ টা তামান্নার পক্ষে যেটা আজও সম্ভব না।
সিয়াম তামান্নার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে।
তামান্না লজ্জায় সিয়ামের থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলো।
সিয়াম বললো, “তুই এতো সুন্দর না হলেও পারতি।”
বাইরে শরৎকালের মোহনীয় বাতাস।কাল পঞ্চমী।পাশে কোনো এক হিন্দু পাড়ায় পূজার ঢাক বাজচ্ছে।আর ঠিক তখন তামান্নার বুকেও ভেতরেও কেউ ঢাক বাজিয়ে যাচ্ছে।সিয়ামের প্রতিটা ছোয়া ছেয়ে দিচ্ছে তাকে একটা মায়াজালে।যেখান থেকে ছুটে আসার ক্ষমতা তামান্নার নেই।
সিয়াম একের পর এক চুমু দিচ্ছে তামান্নাকে।ঠোঁট,গাল,গলা,ঘাড়,বুকে আজ তামান্না শরীরের প্রতিটা অংশে শুধু সিয়ামের রাজ্যত্ব।সিয়াম তামান্নার টি-শার্ট টা খুলে ফেললো।তামান্নার কানের লতিতে একটা বিট দিয়ে বললো, “সাদা টি-শার্ট কিনেছিলাম তোর বুকের সাইজ টা ঠিক করে দেখার জন্য।”
সিয়ামের কথা বলার সময়ের প্রতিটা গরম নিশ্বাস তামান্নার আলোড়িত দেহে আরও আড়োয়ন করে দিচ্ছে।
সিয়াম তামান্নার গলায় হারিয়ে গেছে।আবারও অন্য পাশের কানের লতিতে বিট দেওয়ার সময় বলছে, “তোর ফিগার টা বিয়ের আগের চেয়ে একটু ডেভলপ হয়েছে।হুমায়ন আহমেদের অরণ্য পড়েছিলি??মেয়েটার শরীর শুকনা থাকলেও কিন্তু দোলাভাইয়ের কারণ বুক ছিলে খুব ডিভলব।”
তামান্না এবারও কিছু বলতে পারলো না।তবে সিয়ামের শক্ত পা যখন তামান্নার নরম পা দুটোকে ঘায়েলে মেতে উঠলো তখন তামান্না উত্তর না দিয়ে সিয়ামের পিঠ টা খামচে ধরলো।সিয়ামও যেনো কোনো অশ্ব শক্তির আধার হয়ে মেতে উঠলো ভালোবাসার খেলায়।তামান্নার নরম শরীর জোড়ে ভালোবাসার চিহ্ন তৈরী করে দিতে লাগলো।শরীরের সমস্ত পাওয়া ভালোবাসা দিয়ে আদায় করে নিতে লাগলো।তামান্নাও মেমসাহেবের মতো করে নিজের যৌবনের সমস্ত রং দিয়ে রাঙিয়ে দিতে লাগলো সিয়ামকে।
!
রাইয়ান ফ্রেস হয়ে নিজের খাবার টা খেয়ে শুয়ে পড়লো।কিচ্ছু ভালো লাগছে না।
আকাশ টার সাথে এক গাড়িতে না আসলেই হতো।ভেবেছিলো ভাইয়ার মতো কিন্তু আসলেই একটা পাঁজি।
অথচ আকাশ একের পর এক সিগারেট টেনে যাচ্ছে।ছোট্ট রাইয়ানের চঞ্চলতা তার মনে চঞ্চল ভালোবাসার যে স্রোত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটা সে কিছুতেই ভুলতে পারছে না।
তিনটা রোম পাশাপাশি।মাঝখানের রোম টা রাইয়ানের।সিয়ামের হঠাৎ ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে রাইয়ানের মুখটা দেখতে খুব ইচ্ছা করছে।তবে এতো রাতে কি তার রোমে যাওয়া ঠিক হবে!
আরও কিছুক্ষণ ভাবলো আকাশ।তারপর আর থাকতে না পেরে বেড়িয়ে এলো।কিন্তু রাইয়ানের রোমের সামনে এসে বেশ খানিক টা ঘাবড়ে গেলো।দরজা টা হাট করে খোলা।
আশেপাশে ভালো করে দেখলো আকাশ।কোথাও রাইয়ান নেই।সিয়ামের রোম তো ভেতর থেকে লক করা।এই মুহুর্তে ওদের রোমে নক করা টা ঠিক হবে না।
তবে মেয়েটা কোথায় যেতে পারে!
আকাশ রিসেপশনে গিয়ে জানতে চাইলো এখানে আরও কেউ বুকিং এ আছে কিনা।কিন্তুু না!ওরী বাদে আর কেউ এখানে নেই।মফস্বলের রির্সোট-বেশি রাত বা কোনো বিপদে না পড়লে কেউ এমনি এমনি খুব কম আসে।হয়তো বছরে দু-একবার কোনো শৌখিন বড়লোক বেড়াতে আসে।আকাশ গার্ডকে জিঙ্গেস করে জানতে পারলো একটা মেয়ে নাকি রির্সোটের ছাদের দিকে গিয়েছে বেশ অনেকক্ষণ।
আকাশ আর দেরী করলো না।তামান্না নিশ্চয় এখন ছাদে যাবে না।রাইয়ান-ই হবে।
তাই দ্রুত সিরি বেয়ে ছাদে উঠে গেলো।