নিবেদিত_প্রেম_আরাধনা ||৯ম পর্ব|| (বোনাস)

#নিবেদিত_প্রেম_আরাধনা
||৯ম পর্ব|| (বোনাস)
-ঈপ্সিতা শিকদার
নিবেদিতা ও মালিহা নিজেদের মতো একটা টেবিলে বসেছে। একটু বিচলিত কণ্ঠে মালিহা নিবেদিতাকে প্রশ্ন করে,
“তুই কি আসলেই ডিভোর্স নিবি? মানে এভাবে বললি যে তখন।”

“নেওয়ার নয় না কি? আচ্ছা, তোর হাজব্যান্ড তোকে এমন ভাবে ডোরম্যাটের মতোন ব্যবহার করলে তোর কেমন লাগতো? এক্সেপ্ট করতে পারতি। মানিয়ে নিতে বলা এখন সহজ, করা কঠিন।”

মাথা ঝুঁকিয়ে ফেলে মালিহ। সে বহুবার সম্মুখে বসে থাকা এই নারীকে উপদেশ দিয়েছিল মানিয়ে নিত। অথচ, দিনশেষে কল্পনায় এঁকেও কি মনে হয় সে থাকতো এমন সম্পর্কে? প্রশ্নটিতে দগ্ধিত হয় সে।

“আমি তো তোর জন্যই বলেছি। আমি তো জানি তুই কতোটা দুর্বল আরাধ্যের প্রতি। ওর বদলে যাওয়াটা মেনে নিতেই এতো পুড়ছিস তুই, ওকে ছাড়া কীভাবে থাকবি?”

“সময়ের সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুতে মানিয়ে নিতে হয়। এমন তো না আমি সারাদিন ওর এটেনশন চাই। দিনশেষে দুটো আন্তরিক কথা, এটুকুও কি কামণা করতে পারি না স্ত্রী হিসেবে, প্রেয়সী হিসেবে? গতকালেরই কথা ধর, আমি কিন্তু ওকে ডিস্টার্ব করিনি। শুধু জানতে চেয়েছিলাম ও চিন্তিত কেন। ও কী করলো? এমন সব কথা…! কোন বর তার স্ত্রীকে গায়ে পড়া বলে! এর মানে ও বুঝে না?

না আমি ওর ওয়াইফ হয়েছি বলে আমার গায়ে, চরিত্রে কথাবার্তা লাগে না? বিশ্বাস কর আজ যদি অন্যকেউ হতো আরাধ্যের জায়গায়, আমি মানিয়ে নিতাম স্ত্রী হয়ে। কিন্তু আরাধ্যকে কী করে? আমি তো এই আরাধ্যতে অভ্যস্ত না, এই আরাধ্য আমার নয়। আমি মেনে নিতেই পারি না। সবসময় ভিতরটা চাপা কষ্টে ভার হয়ে থাকে। কাকে বলবো? কার বুকে মাথা রেখে কাঁদবো? কাছের মানুষটার দেওয়া যন্ত্রণাই যে…”

কথাগুলো বলতে বলতেই চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। নিবেদিতা টিস্যু হাতে সবার আড়ালে তা মোছার চেষ্টা করে।

“হ্যাপি ট্রিপ লেডিস্! কেমন লাগছে?”
তাদের সামনে উপস্থিত হয় আবরাহাম। তাকে দেখে জোরপূর্বক হাসে নিবেদিতা, মালিহাও সৌজন্যতার হাসি দেয়।

“কী গো মায়াবতী রমণী, আবার কাঁদছিলে বুঝি? কীসের এত কষ্ট তোমার? কষ্ট ভুলতেও হাসা আবশ্যক।”

বাক্য সম্পন্ন করেই কোল্ড ড্রিংকসের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে একজন ওয়েটারকে কিছু ইশারা করে। এক মুহূর্ত পরই দুজন ভায়োলিনিস্ট উপস্থিত হয়। তার প্রস্তাব রাখার পরপর তারই ইশারাতে হয়তো বাজানো শুরু করবে।

“কষ্ট হবে না আবার? সে তো প্রেমের মরা। একটা গানই আছে না,
প্রেমের মরা জলে ডোবে না।
তুমি সুজন দেখে কইরো পিরিত…?”

“মানে?”

অনাকাঙ্ক্ষিত কথা শুনে আবরাহামের কপালে সূক্ষ্ম ঘামের রেখা দেয়। মন ভাঙার ভীতি নিয়ে যুবক সেই ঘাম বাম হাতের পিঠে মুছে।

“স্যার আপনি তো ভালো মানুষই। আপনাকে বললে কিছু না।”

আর কিছু বলার পূর্বেই নিবেদিতা মালিহা হাত ধরে চোখ রাঙায়। কিন্তু মালিহা তাকে উপেক্ষা করে হাত ছাড়িয়ে নেয়। পুনরায় মুখ খুলে।

“আরে স্যার বইলেন না নিবেদিতা ছাত্রজীবনে প্রেম করেছিল এক হ্যান্ডসাম হাঙ্কের সাথে, বিয়েও হয়। কিন্তু তখন অনেক পিরিত দেখাইতো ছেলে, এখন মানে বিয়ের পর দু আনা দাম দেয় না। টাকায় কেনা গোলাম বা পুতুলের মতোন আচারণ করে, ইচ্ছে হলে বকে, ইচ্ছে হলে রাগায়। অফিসের বসের রাগ বউয়ের উপর বের করো। কেমন শয়তান ব্যাটা চিন্তা করেন তো!”

মালিহা নিজের মতোন আরাধ্যের বদনাম করেই যাচ্ছে। কিন্তু আবরাহামের কর্ণগোচর হচ্ছে না কিছুই। প্রথম বাক্য শুনেই সে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে। ধিনতাধিন নামক কোনো ধ্বনি তো চলছে না ব্যাকগ্রাউন্ডে, না বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। তবুও সে যেন পূর্ণরূপে কম্পিত।

কোনোরকম “এক্সকিউজ মি” বলে উঠে চলে যায় সে নিজের নির্ধারিত রুমটিতে। তার আর কিছু বলার নেই, সে হতজ্ঞান শূণ্য হয়ে পড়েছে।

আবরাহাম উঠে যেতেই নিবেদিতা মালিহার হাতে শক্ত এক চিমটি কাটে। ছোটোখাটো আর্তনাদধ্বনি বের হয় মালির মুখ থেকে।

“রাক্ষসী! ডাইনি!”

“তুই রাক্ষসী! তোর পেটে তিতা ভাতও হজম হয় না তাই না মেয়ে! বস যতোই ফ্রেন্ডলি হোক, তাকে কখনোই পার্সোনাল কথা বলা উচিত না। প্রোফেশনাল লাইফে এর প্রভাব পড়ে।”

বোকা বোকা হাসি দেয় মালিহা।
“তুই তো আমাকে জানিসই দোস্ত। আমি কারো উপর রেগে গেলে অন্য কারো কাছে তার ইচ্ছামতো বদনাম না করা অবধি শান্তি পাই না!”

“তোর সব খাচড়া অভ্যাস! দূরে গিয়ে মর! অবশ্য মরার পরের জীবনের জন্যও তো কিছু করিস নাই।”

___

স্ত্রী জেলে শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে আরিফ মোতাহাবের। নিজের বর্তমান অষ্টাদশী প্রেমিকাকে নিয়ে সিলেট ভ্রমণ করতে এসেছেন তিনি, তাঁর ভাষায় হানিমুন করতে। একটু আগেই তাঁর পরিচিত একজন অফিসার ফোন করলে জানালেন মিথিলা আজমেরিকে বাল্যবিবাহের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

“এই শয়তান মেয়েটাও না! আমাকেই তো কল করতে পারতো। তা না করে পুলিশ ডাকিয়েছে। আর ঐ গাধা মহিলাটারও মাথায় এত কুবুদ্ধি কই থেকে আসে? এট্টুনি মেয়ের বিয়ে দিতে গেছে।

আমি একজন সচিব, আমার মান-সম্মান আছে, তা এই দুইটার মাথায় থাকে না। না, আমাকে মিডিয়ায় খবর যাওয়ার আগে অন্য উপায়ে মিথিলাকে বের করাতে হবে। আর সব সামাল দিতে এক্ষনই ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন।”

কথাগুলো মনে মনে আওড়ে নিজের প্রেমিকাকে আদেশ করেন মালপত্র গুছিয়ে দিতে। সেও তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নেয়। টিকেট বুকিং করিয়েছেন তিনি আগেই, তাই যাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা নেই আর।

রাতের প্রায় দেড়টা বাজে, সুখ নেটফ্লিক্সে প্রিয় শো অসুর দেখতে ব্যস্ত। সামনে ল্যাপটপ, ডান হাতে ক্যারামেলাইজ পপকর্ন, বাম হাতে কোকা কোলা। গভীর মনযোগে সুখ মুভি দেখছে।

তার মজা ও মনযোগে ব্যাঘাত ঘটিয়ে কলিংবেল বেজে উঠে। বিরক্তিমাখা চেহারা নিয়ে হেলেদুলে যেয়ে দরজা খুলে দেয় সুখ।

মিথিলা আজনেরি ও আরিফ মোতাহাবকে একসাথে দাঁড়িয়ে থাকতে পৈশাচিক হেসে শুধায়,
“এত তাড়াতাড়ি ছাড়া পেয়ে গেলে? আমিও না, নিশ্চয়ই ছাড়িয়েছো নিজেকে ক্ষমতার জোরে। বাংলাদেশের আইনও না! গরীবের জম, বড়লোকের বন্ধু।”

মিথিলা আজমেরি চড় মারতে হাত অগ্রসর করেন। তার হাত ধরে ফেলে সুখ।

“ডিয়ার বিচ মমি, তোমার হাতটা একটু বেশিই চলে। তবে মনে রেখো আমারটাও কিন্তু অচল না।”

মিথিলা আজমেরি ফুঁসে উঠে কিছু বলবে তার পূর্বেই আরিফ মোতাহাব তাকে টেনে ভিতরে এনে। সজোরে সদরদরজা আটকান।

“কী শুরু করেছো তোমরা, হ্যাঁ? এতটুকু মেয়ের ইচ্ছের বাইরে তুমি বিয়ে দিতে চাচ্ছো? ও আরিফ মোতাহাবের মেয়ে, সামান্য টাকার জন্য ওসব পরিবারে ঐ বুইড়ার সাথে বিয়ে… ছিঃ! ছিঃ! আর সুখ তুই আমাকে কল করতি। তা না করে পুলিশে কেন কল করতে গেলি? আমার যে একটা মান-সম্মান আছে সোসাইটিতে তা কি ভুলে গেছিলি না কি?”

ফিক করে হেসে দেয় সুখ। নাটকীয়তার সহিত জবাব দেয়,
“ওহ রেয়ালি? তোমাদের বুঝি মান-সম্মান আছে? যে এক পা কবরে দিয়ে দুই দিন পরপর পোশাকের মতোন বিছানাসঙ্গী বদলায় তার সম্মান। হাস্যকর! তুমি কি ভাবছো সবাই তোমাদের অনেক সম্মানের চোখে দেখে। সবাই জানে তোমার এসব সো কল্ড বিজনেস ট্রিপের নামে কার কার সাথে শুতে যাও। আর সবাই এটাও জানে তোমার মিসেস তোমার আড়ালে নিজেও কত পুরুষের রাতের রাণী হয়।”

“সুখ! মুখ সামলে কথা বলো! নিজের বাবা-মায়ের সাথে কথা বলছো তুমি?”

“বাহ্! এ তো দেখি নিজের বেলায় ষোলো আনা। তোমরা নিজেদের সামলে রেখেছিলে আমায় মেয়ে ভেবে, দেন হোয়াই শুড আই? তুমি আমার উপস্থিতিতে তোমার কর্মচারীর কাছাকাছি যাও, তোমার বউ তো দু’ধাপ এগিয়ে যেয়ে বিছানায় অন্তরঙ্গ মুহূর্তই দেখায়।

আবার আমাকে নিজের মতোন পতিতা ভেবে বলে কি না এখন বিয়ে করতে পরে অনেক সুদর্শন সঙ্গী পাবো। তোমাদের লাস্ট ওয়ার্নিং দিলাম, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও নাহলে ভালো হবে না। আর হ্যাঁ, সম্মানের কাজ করে এমনিতেই সম্মান পাবে। এভাবে চেঁচিয়ে গলা ভাঙা লাগবে না।”

নিজের তিক্ত বচনগুলো শুনানো শেষ হতেই হনহন করে নিজের বেডরুমে চলে যায় সুখ। কাউকে কিছু বলার সুযোগ দেয় না। দরজা লক করে বিছানায় বসে অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপতে শুরু করে সে। কতো স্বাভাবিক ভাবেই মা-বাবাকে এতগুলো বাজে কথা শুনিয়ে দিল!

মনে মনে ভাবছে,
– সে কীভাবে পারলো এত বাজে বাজে কথা মা-বাবাকে বলতে! আজ এতোটুকুও লজ্জা করলো না। হয়তো তার লজ্জাটাই ভেঙে যাচ্ছে। যার কারণও সে না, তার মা-বাবায়ের কর্মই।

___

ঘড়ির ঘণ্টার কাটা এগারোতে পৌঁছিয়েছে। মিটিং শেষ করে বের হয়ে ফোন সুইচ অন করে নিবেদিতা। দেখতে আরাধ্যের দুইশো প্লাস মিসড্ কল। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কল ব্যাক করে না সে। বরং, আরাধ্যের টেক্সট পড়তে শুরু করে সে।

-দেখো, এত সামান্য সামান্য বিষয়ে বাড়ি ছাড়া কেমন কথা? এমন সব ওয়াইফই সয়। তুমিই শুধু এত ব্যতিক্রম প্রতিক্রিয়া দাও। যাকগে আমি সরি। আর কোনোদিন আমি তোমাকে বকা তো দূরে থাক, উঁচু গলায় অবধি কথা বলবো না। সরি, সরি, সরি। বিলিয়ন বিলিয়ন সরি। এবার তো ফিরে আসো আরাধনাপাখি।

বহুদিন আরাধ্যের বচনে নিজেকে ‘আরাধনাপাখি’ নামে সম্বোধিত হতে দেখে পুরনো প্রেমের তাড়নায় চোখে জল জমে যায় নিবেদিতার। আরাধ্য প্রণয়ে জড়ানোর পর আরাধনাপাখি বলেই ডাকতো তাকে, তবে প্রায় দু’বছর ধরেই এই শব্দটি হারিয়েছে আরাধ্যের শব্দভাণ্ডার থেকে।

আবরাহাম আড়চোখে নিবেদিতাকে পর্যবেক্ষণ করে। কালরাত্রিতে সত্যের সম্মুখীন হওয়ার পর সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই রমণীর থেকে দূরত্বই বজায় রেখে চলবে সে। করছেও যথাসম্ভব উপেক্ষা। তবে তার এত গভীর উপেক্ষায়ও মেয়েটা নির্বিকার, যেন আগেও এমনটাই ছিল। হয়তো তার দৃষ্টিতে ছিলই।

বিকেলের ফ্লাইটে করে ঢাকা আসে নিবেদিতা ও মালিহা। খুব বেশি রাত হয়ে গিয়েছে বলে নিবেদিতা আর নিজের বাড়ি ফিরে না মালিহার বাসায় থেকে যায়।

রাত গাঢ় হলে কবিরের কল আসে মালিহার ফোনে, অবশ্যই প্রেমালাপ করতে। যেহেতু মালিহার ফোনের আওয়াজ খুব বেশি এবং একসাথে এক বিছানায় শুয়ে আছে নিবেদিতাও তা অল্পস্বল্প হলেও শুনতে পায়।

হুট করেই শুনতে পায় কবির বলছে,
“কাল না আরাধ্যের বাসায় ট্রিট দিচ্ছে। যে ছেলেটা আইডিয়া লিক করেছিল, তাকে ধরতে পেরেছে আরাধ্য। এজন্য আরাধ্যকে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে, এই খুশিতে পার্টি। আর আমি না ভুলে আরাধ্যকে বলে দিয়ে তোমরা কোথায়। সরি জান, স্লিপ অফ টাং!”

মালিহা ইচ্ছে মোতাবেক বকতে শুরু করে কবিরকে। নিবেদিতা সেদিকে ধ্যান নেই সে অন্য ভাবনায় ব্যস্ত। মানুষটা কি একটুও অনুতপ্ত না তার কাজে? শুধুই চিন্তিত তার অনুপস্থিতির জন্য?

আপন মনেই সিদ্ধান্ত নেয় সে।
“না, এর একটা ফয়সালা করা প্রয়োজন। আগামীকালই আমি খোলামেলা কথা বলবো ওর সাথে।”

জার্নির ক্লান্তিতে ও বেশ রাত করে ঘুমানো দুপুরে ঘুম ভাঙে তার। ঘুম থেকে জেগেও নাস্তা করে বিছানাতেই পড়ে থাকে সে ক্লান্তিতে।

বিকেল হতেই লাগেজ নিয়ে আরাধ্য ও তার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ফ্ল্যাটের সামনে আসলে দেখতে পায় দরজা খোলা। লাগেজ নিয়ে ঢুকবে তখনই শুনতে পায় আরাধ্যের উগ্র কণ্ঠ।

“আমার যদি এতোই নখরা উঠানোর হতো, আমি কোনো বড়লোকে সুন্দরী স্মার্ট মেয়েকেই বিয়ে করতাম। কত কত মেয়ে আমার জন্য পাগল! তবুও আমি বিয়ে করেছি এমন আনস্মার্ট, ভাবুক, চুপচাপ, ডাম্ব মেয়েকে। কেন? যাতে নত হয়ে থাকে সবসময়। আমার কথা, রাগ সয়ে নেয়। আর এই মেয়ের কথাই বলিস না! সামান্য বস্তির শিক্ষকের মেয়ে, আবার তার চাই এত্তসব!”

নিবেদিতা নির্বাক। এসব কী শুনছে সে? সত্যিই কি যা শুনছে তা সত্য না কি কোনো কল্পনা? তার অন্তরাত্মা সহ বারংবার প্রার্থণা করছে আল্লাহর নিকট, এ যেন বাস্তবতাবিহীন কোনো দুঃস্বপ্ন হয়। তবে সব প্রার্থণা কি পূরণ হয় বা সবসময় কি আর চমৎকার হয়?

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here