নীড় পর্ব-১৩

1
1859

নীড়
রেশমী রফিক
১৩।।
তুবা এই মুহূর্তে স্বর্ণর অফিসে রুমের সোফায় বসা। ভেতরে এসি চলছে। তবু সে দরদর করে ঘামছে। আবার ঠান্ডায় একটু-আধটু কাঁপছেও। চোখে হতবিহ্বল ভাব। কোনো কথা বলছে না। কারও দিকে তাকাচ্ছেও না। ওর চেহারা দেখে মনে হচ্ছে মানসিক বিকারগ্রস্ত। অবশ্য আজকের ঘটনার পর তার থেকে মানসিক সুস্থতা আশা করা যায় না একদমই। পরনের কাপড় ছেঁড়া। চুল এলোমেলো। স্বর্ণ তাকে নিজের ওড়না দিয়েছিল শরীর ঢাকতে। কাপড়টা সে হাতে নিলেও ভালোভাবে শরীর ঢাকতে পারছে না। হাত এত বেশি কাঁপছে, ওড়না গায়ে জড়াতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বর্ণ এক গ্লাস ঠান্ডা পানীয় দিয়েছিল ওকে। ওটা হাতে নিতে গিয়ে ফেলে দিয়েছে মেঝেয়।
শারার বসে আছে চেয়ারে। তার হাতে বরফের পোটলা। মাথা ফেটেছে। অল্পস্বল্প রক্ত বের হচ্ছে। এই মুহূর্তে ওকে হাসপাতালে নেবার উপায় নেই। কারণ রেস্টুরেন্ট চারদিক থেকে ঘেরাও করা হয়েছে। আপাতত স্বর্ণর নির্দেশে রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারী ফ্রিজ থেকে কতগুলো বরফের টুকরো নিয়ে একটা সুতি কাপড়ে জড়িয়ে শারারকে দিয়েছে। ওটা সে মাথায় ধরে রেখেছে। এছাড়াও হাতে-পিঠে প্রচুর আঁচড়ের দাগ। দেখে মনে হচ্ছে রীতিমতো টর্ণেডো বয়ে গেছে ওর উপর।
স্বর্ণ ওদের সামনে, নিজের চেয়ারে বসা। মোবাইলে বিভিন্নজনের সাথে কথা বলছে সে। উপরমহলে যাদের সাথে জানাশোনা আছে, সবাইকে কল করে এখানের পরিস্থিতি জানাচ্ছে। এই মুহূর্তে ওর বাবা দেশে নেই। ব্যবসায়িক একটা কাজে সিঙ্গাপুরে গেছেন। স্বর্ণ চাইলে এখনই জানাতে পারে তাকে। তিনি শুধু একটা কল করবেন বাংলাদেশে। তারপর আলাদিনের দৈত্যের মতো সমস্ত ঝঞ্ঝাট দূর হয়ে যাবে। কিন্তু স্বর্ণ তাকে কোনোরকম বাড়তি ঝামেলায় ফেলতে চায় না। তাছাড়া স্থানীয়দের সাথে ওর শত্রুতা আজ নতুন নয়। রেস্টুরেন্ট চালু করার পর থেকেই এখানকার অনেকের চক্ষুশুল হয়ে গেছে সে। এই পর্যন্ত যতবার সমস্যায় পড়েছে, বাবার সাহায্য নিয়েছে। কিন্তু এখন নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চাইছে। বাবার উপর নির্ভর করে আর কতদিন? রেস্টুরেন্টের ব্যবসা যেহেতু শুরু করেছে, আর এটাকে ঘিরে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের নানা পরিকল্পনা আছে। তাই অন্যসব ঝুটঝামেলার মতো এই ব্যাপারটাও নিজে সামলানোর চেষ্টা করা ভালো। ক্ষমতাধর বাবার একমাত্র কন্যা হিসেবে তার নিজেরও ক্ষমতার জোর কম নয়। সমস্যা হচ্ছে, এতকাল সে এই ক্ষমতার আশপাশে ছিল না। সাধারণ মানুষের মতো চলাফেরা করেছে। আর দশটা মেয়ের মতো সংগ্রাম করেই জীবনের উচ্চ শিখরে পা রাখতে চেয়েছে। অবাক করা ব্যাপার হলো, এই সংগ্রামে নামার পরই সে অনুভব করেছে, জীবনে ভালোভাবে চলতে-ফিরতে গেলে এই ক্ষমতা ভীষণ দরকার। তবু এতকাল অবধি ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। বারবার হামলার শিকার হয়েও সাধারণ মানুষের মতোই মামলা করেছে। উকিল নিয়োগ থেকে শুরু করে সব ধরনের দৌড়ঝাঁপ করেছে। তাতে অবশ্য ওর বাবার কিছুটা প্রভাব ছিল। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে, ক্ষমতার উপর আর কিছু নেই। অন্তত এই বাংলাদেশে ক্ষমতাই সবকিছুর উর্ধ্বে। যার ক্ষমতা, অর্থ আর প্রভাব প্রতিপত্তি আছে, সে-ই কেবল সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।
অনেকটা সময় পর শারার মুখ তুলল। স্বর্ণকে উদ্দেশ্য করে বলল,
– কিছু হলো?
স্বর্ণ মোবাইলটা টেবিলের উপর রেখে লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। বলল,
– এখনো না। তবে হয়ে যাবে।
– আর কতক্ষণ?
– নিশ্চিত বলতে পারছি না, শারার। ঘটনা খুবই সিরিয়াস।
– কীসের সিরিয়াস? আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে এখানে? তুবা আমার গার্লফ্রেন্ড না। নাইবা আমরা এখানে প্রেম করতে আসছি। ও আমার কাজিনের শ্যালিকা। কাজিনের বিয়েতে পরিচয় হয়েছিল। এরপর অল্পসল্প যোগাযোগ ছিল। আজ দুপুরে ওর সাথে আমার দেখা করার কথা ছিল কর্ণফুলীতে। একসাথে লাঞ্চ করব। আর যে ব্যাপারে দেখা করব, সেই ব্যাপারে কথা বলব। ওখানে প্রচুর ভীড় আর ফুডকোর্টের এসিও ঠিকমতো কাজ করছে না হয়তো, আল্লাহ জানেন। আমি ভাবলাম, তোমার রেস্টুরেন্টে চলে আসি। লাঞ্চ করা হবে। তুবার সাথে কথাও বলা হবে। তোমার সাথেও দেখা হলো। এই তো। আর তুবা খেতে পছন্দ করে। সেদিন তোমার রেস্টুরেন্টে খেয়ে খুব ভালো লেগেছিল। এজন্য ওকে নিয়ে আসলাম। ভাবলাম, ও পছন্দ করবে। অথচ কী থেকে কী হলো। আমি মাত্রই গাড়িটা পার্ক করেছি। তুবা ঘুমিয়ে পড়েছিল। ওকে ডাকব, ঠিক তখনই সব হামলে পড়েছে। মানে ঘটনা এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেল, আমি কিছুই বুঝলাম না।
ইচ্ছেকৃতভাবে তুবাকে খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে লক্ষ করার কথাটা চেপে গেল শারার। এসব কথা বলার মানে হয় না কোনো। স্বর্ণ ওকে পালটা ভুল বুঝতে পারে। হয়তো ভাববে, ওর চারিত্রিক দোষ আছে। তুবাকে এই কুমতলবেই নিয়ে এসেছিল। আবার তুবাও আছে সামনে। ঘটনার আকস্মিকতায় চোখ মেলে তাকানোর ওই মুহূর্তটা ওর মাথা থেকে গায়েব হয়ে গেছে। ভয়ে থরথর করে কাঁপছে সে। এখন সেই প্রসঙ্গ চলে এলে তার ধর্তব্যেও থেকে যাবে। এমনকি স্বর্ণকে এও বলল না কী কারণে তুবার সাথে দেখা হচ্ছিল কিছুদিন যাবত। সব কথা সবাইকে বলা যায় না। ক্ষেত্রবিশেষে একেকজন একেকরকম বুঝতে পারে।
স্বর্ণ ক্লান্ত সুরে বলল,
– তোমার বুঝার কথাও না। কারণ ওদের শত্রুতা তোমাদের সাথে নয়, আমার সাথে।
– কীসের শত্রুতা? কী বলছ?
– আমি একটা ‘মেয়ে মানুষ’ হয়ে ব্যাটাছেলের মতো রেস্টুরেন্ট বিজনেস খুলে বসছি এখানে। প্লাস আমি নিজে এই রেস্টুরেন্টে কাজ করি। এখানের শেফ, মানে যারা এই রেস্টুরেন্টে খেতে আসে, তারা আমার হাতের রান্না খায়। একটা ‘মেয়েমানুষ’ হয়ে আমি কী করে এগুলো করতে পারি? মেয়ে থাকবে চার দেয়ালের ভেতর। রান্নাবান্না করবে বাড়ির ভেতর বসে। তার হাতের রান্না কেবল তার স্বামী আর পরিবার-পরিজনরাই খাবে। সেখানে আমি রেস্টুরেন্টে বসে রান্না করছি আর দুনিয়ার মানুষজনকে খাওয়াচ্ছি। হলো কিছু?
শারার হতভম্ব দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। স্বর্ণর কথার মাথামুন্ডু বুঝার চেষ্টা করছে। স্বর্ণ আবার বলল,
– এদের রাগ আসলে আমার উপর। আমি একলা মেয়ে মানুষ, কোনো পুরুষের হেল্প ছাড়া রেস্টুরেন্ট চালাচ্ছি। আমার সাথে যারা কাজ করছে, বেশিরভাগই ছেলে। মেয়েও আছে। তবে কম। মাত্র দুইজন। ওরা পার্টটাইম কাজ করে। বিকেলের দিকে এসে টেবিল সেটআপ করে দেয় আর কাস্টমারদের টেবিলে খাবার পৌঁছে দেয়। বাকি কাজগুলো আমি ছেলেদের দিয়ে করাই। মানে একটা মেয়ের আন্ডারে এই রেস্টুরেন্ট সাকসেসফুলি চলছে। অনেকগুলো ছেলে কাজ করছে। সোসাইটির ইজ্জত যাচ্ছে আর কী। তারা আমার পেছনে লাগার জন্য বহুদিন ধরে ইস্যু খুঁজছিল। আজ মে বি প্ল্যান করেই তোমাদের উপর অ্যাটাক করেছে। তবে প্রি-প্ল্যানড না বোধহয়। কারণ ওদের সাথে অস্ত্র বলতে সেরকম কিছু তো ছিল না।
শারারের চোখ বিস্ফোরিত হলো। প্রায় চিৎকার করে বলল,
– অস্ত্র মানে? ওদের কি অস্ত্র নিয়ে অ্যাটাক করার কথা ছিল? ও মাই গড!
ইশারায় ওকে শান্ত হতে বলল স্বর্ণ। এসি রুমের কথাবার্তা বাইরে যাবার কথা না। তবু কেউ কান পাতলে অবশ্যই শুনতে পাবে। শারারের কথোপকথন তো দূরে থাক, এই মুহূর্তে ওর কণ্ঠও বাইরে যাওয়া যাবে না। লোকজন প্রচুর ক্ষেপে আছে। উত্তেজিত কণ্ঠ শুনলে আবার চড়াও হতে পারে। নিচু সুরে বলল,
– আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, ওরা তোমাকে আগে দেখেছিল এখানে। ফ্রেন্ডসদের সাথে আসছিলে। আজ সেকেন্ড টাইম দেখে হুট করে প্ল্যান করেছে অ্যাটাকের।
– আমি ঠিক বুঝলাম না। হোয়াই মি? আমি কী ক্ষতি করেছি ওদের? আর যেখানে আমার সাথে একটা মেয়ে আছে।
– এটাই পয়েন্ট। তোমার সাথে তুবাকে দেখেছে বলেই চট করে অ্যাটাকের প্ল্যান চলে এসেছে। তোমাকে আর তুবাকে জড়িয়ে কেচ্ছাকাহিনি রটাবে আর আমাকেও এর মধ্যে জড়াবে। এটাই এদের উদ্দেশ্য।
শারার হতাশ ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইল স্বর্ণর দিকে। আচ্ছারকম বিপদে পড়া গেল তো! আগে জানলে ভুল করেও এখানে আসত না। তুবাকে নিয়ে তো নয়ই, একাও না। স্বর্ণ ওকে আশ্বাস দিল,
– রিল্যাক্স! এভ্রিথিং উইল বি ফাইন। আমি হ্যান্ডেল করছি তো ব্যাপারটা।
শারারের পকেটে মোবাইল বাজতে শুরু করেছে। লাঞ্চের সময় এক বন্ধুর সাথে দেখা করার কথা বলে বের হয়েছিল অফিস থেকে। এরপর অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। ঘড়িতে এখন সোয়া তিনটা বাজে। তিনটার দিকে অফিসে একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হবার কথা। ওর বাবা আজ সকালে অফিসে না এলেও লাঞ্চের পর আসার কথা। উনি নিজেও মিটিংয়ে থাকবেন। এখন নিশ্চয়ই ওকে খুঁজছেন।
ফোনটা ধরা উচিত হবে না কি না, শারার বুঝতে পারছে না কিছু। একবার মনে হচ্ছে, বাবাকে এসব জানানো মানে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারা। আবার মনে হচ্ছে, অবস্থা যেরকম বেগতিক, এক কান দুই কান করে বাবার কানে চলে যাওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। চারপাশ থেকে তিলকে তাল বানানো গল্প বাবা শোনার চাইতে সে নিজে যদি পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে, ভালো হবে। বাবা নিজেও এই পরিস্থিতি থেকে ওকে উদ্ধার করতে পারবে নিশ্চয়ই। কিন্তু তার আগে স্বর্ণ যদি ব্যাপারটা যে করে হোক মিটিয়ে ফেলতে পারে, এটাই সবথেকে ভালো।
একনাগাড়ে কল হচ্ছে। রিসিভ করা উচিত। নয়তো বাবা টেনশন করবে। চারদিকে খোঁজ লাগাতেও পারে। সাতপাঁচ ভেবে শারার ঘরের একপাশে সরে এলো। কল রিসিভ করে নিচু সুরে বলল,
– হ্যালো আব্বু। আমি একটু আটকা পড়ে গেছি। এক ফ্রেন্ডের সাথে আছি। তুমি একটু মিটিংটা চালিয়ে নাও প্লিজ।
ওপাশ থেকে কড়া কণ্ঠ শোনা গেল,
– কোথায় আটকা পড়েছ? কী এমন জরুরী কাজ যে মিটিং ফেলেই যেতে হলো?
– আব্বু, আমি একটু পরেই চলে আসব। এসেই সবটা বলছি। ঠিক আছে? আমার ফ্রেন্ড এত করে বলল। আমি আসলে…
– এই ফ্রেন্ডরাই তোমার সর্বনাশের মেইন কারণ। স্টাডি শেষ করে বহু ফাতরামি করেছ ফ্রেন্ডসার্কেল নিয়ে। অনেক ধরেবেঁধে অফিসে রেগুলার করেছি তোমাকে। তাও অফিসের ফাঁকে ফাঁকে ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে চলে গেছ। একবার ভাবলে না, অফিসটা তোমার বাপের হলেও এখানে তুমি জাস্ট একজন স্টাফ। বাকিরা যেমন নয়টা-পাঁচটা অফিস করে, তোমাকেও করতে হবে।
– আব্বু, প্লিজ। তুমি রাগ করো না। আমি চলে আসব তো। ডেইলি-ডেইলি তো যাই না অফিসের বাইরে।
– ডেইলি না গেলেও দুদিন পর পরই অফিসের বাইরে তোমার কাজ পড়ে যায়, সেই খবর আমার কাছে অলরেডি আছে, বুঝেছ? এর আগেও তুমি কয়েকবার লাঞ্চ টাইমে অফিস থেকে বের হয়ে আর ব্যাক করোনি।
– আজকের পর আর কখনো এমন হবে না। আই প্রমিজ।
– ওরকম প্রমিজ তো আগেও করেছ। দেখেছি তো!
শারার চুপ রইল। ওপাশ থেকে তুমুল বকাবকি চলছে। ঠিক বকা নয়, বাবা রেগে গেলেই বিশাল লেকচার দেবে জীবন সম্পর্কে, ক্যারিয়ার সম্পর্কে। ওসব বাণী শুনতে শুনতে কান পেকে গেছে। তবু কিছু কিছু সময়ে চুপচাপ শুনতে হয়। সবটা ভালোই চলছিল। ছেলেকে হু-হু করতে দেখে শারারের বাবার কণ্ঠ অনেকটাই নরম হয়ে এসেছে। অফিস শেষ হবার আগেই যেন চলে আসে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে ফোনটা রাখতে যাবেন, ঠিক এমন সময়ে পাশ থেকে তুবা কাঁদো কাঁদো সুরে বলল,
– ভাইয়া, প্লিজ জলদি কিছু একটা করেন। আমার ফ্রেন্ড আমার জন্য ওয়েট করতেছিল। একসাথে কোচিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ও যদি আমাকে খুঁজে না পেয়ে বাসায় কল করে, একদম সর্বনাশ হয়ে যাবে। আর বাসায় জানলে আম্মা কী যে করবে, আমি জানি না। মেরে ফেলবে একদম। আমার মোবাইল ব্যাগ সবকিছু তো মনে হয় ওরা নিয়ে গেছে…
শারার ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। তুবার এই সময়েই কথা বলতে হলো? সবকিছু শুনে ফেলল বাবা। এখন উপায়?
যা ভেবেছিল, তাই। ওপাশ থেকে কৌতুহলী কণ্ঠ শোনা গেল,
– শারার, তোমার সাথের মেয়েটা কে? কী বলল ও? কোথায় তুমি? হোয়াটস গোয়িং অন?
(চলবে)
পরের পর্ব রাত নয়টায়

1 COMMENT

Leave a Reply to Tahmin Kabir Cancel reply

Please enter your comment!
Please enter your name here