পদ্মফুল #জান্নাতুল_ফারিয়া_প্রত্যাশা |২২|

#পদ্মফুল
#জান্নাতুল_ফারিয়া_প্রত্যাশা
|২২|

আরাফাত বাড়িতে আসার পর থেকেই অভি যেন কেন বারবার ঘুরে ঘুরে তাকে দেখছে। ব্যাপার’টা আরাফাতও খুব ভালো ভাবে খেয়াল করেছে। সে ভীষণ বিরক্ত হচ্ছে তাতে। আদিদ তার সাথে অভির পরিচয় করিয়ে দেয়। অভি কথার তালে তালে তার থেকে অনেক কিছু জানতে চায়। কথা বলা শেষ করে আদিদ অভিকে নিয়ে তার রুমে চলে যায়। রুমে ঢুকতেই অভি বলে,

‘ছেলেটা মিথ্যে বলছে।’

আদিদ ব্রু কুঁচকে বললো,

‘কোন ছেলে, আরাফাত?’

‘হ্যাঁ। ওর সব কথা সত্যি না। আমি ডেম সিউর, ও তোদের কাছ থেকে কিছু একটা লুকাচ্ছে। ও নিজেকে যেমনটা দেখাচ্ছে ও আসলে তেমন না।’

‘তাহলে কেমন ও? ওকে কেন তোর হঠাৎ এত সন্দেহ হচ্ছে?’

‘না, ঠিক সন্দেহ না। আমি নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারছি না। আসলে এত এত খারাপ মানুষ জীবনে দেখেছি যে এখন ভালো মানুষ দেখলেও সন্দেহ লাগে। যাকগে, আমাদের এখন অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। আমাকে আগে তোর সেই রুমে নিয়ে চল। ঐ রুমে গেলেই আমি সব কিছু বুঝতে পারবো।’

‘হুম, নিয়ে যাবো। তবে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর। একটু পরই হয়তো পদ্ম’র বিদায় হয়ে যাবে। তারপরই আমি তোকে সেখানে নিয়ে যাবো।’

‘আচ্ছা। বাই দ্যা ওয়ে, আন্টি আংকেল কি জানে আমি এখানে কেন এসেছি?’

‘না, আমি বলিনি।’

‘ভালো করেছিস। কাউকে কিছু বলার দরকার নেই। আমাদের এই মিশন’টা হবে সিক্রেট মিশন, বুঝতে পেরেছিস?’

‘হুম, বুঝেছি।’

আরাফাতের বাড়ি থেকে তেমন কেউ আসেনি। যেই কয়জন এসেছে তাদের সবার খাওয়া দাওয়া শেষ। এখন চলছে বিদায়ের প্রস্তুতি। আরাফাত আর পদ্ম ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছে। বাড়ির অন্য সবার সাথে সাথে অভি আর আদিদ ও সেখানে উপস্থিত। রুবি হোসেন আরাফাতের মা’কে বোঝাচ্ছেন। যেমন করে মেয়ের বিয়ের সময় মা তার শ্বাশুরি’কে বোঝায় ঠিক তেমন। পদ্ম খানিক অস্বস্তি আর লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে আছে। তার বরাবর’ই বসা ডাক্তারবাবু। সে একবার আলতো চোখে তার দিকে তাকায়। মনে মনে বলে, “এই মানুষ’টার জন্যই হয়তো আজ সে বেঁচে আছে। মানুষ’টার সমস্ত কষ্ট আল্লাহ দূর করে দিক । উনার ভালোবাসাকে উনার কাছে ফিরিয়ে দিক।”

আরাফাতের বাড়ির লোক এবার পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে ফেলল, এবার তাদের বেরুতে হবে। পদ্ম’র কী হলো কে জানে, সে কেঁদে উঠল। রুবি হোসেন-কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল সে। রুবি হোসেন তখন তার মাথায় তখন হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতে লাগলেন,

‘ভালো থেকো, মা। এই বাড়িতে হয়তো তোমার অনেক অসুবিধা হয়েছে, আমরা হয়তো ঠিক মতো তোমার খেয়াল রাখতে পারিনি তার জন্য আমাদের ক্ষমা করো। কিন্তু, ইনশাল্লাহ এখন থেকে তোমার জীবন পাল্টে যাবে দেখো। তুমি তোমার বাকি জীবনটা খুব সুখে কাটাতে পারবে। তোমার জন্য আমার অনেক অনেক দোয়া রইল।’

পদ্ম মাথা তুলে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বললো,

‘তোমরা আমার জন্য অনেক করেছো। আমাকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবেসেছো। আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি তবে আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমাদের কথা আমার আজীবন মনে থাকবে, বড়ো মা।’

পদ্ম চোখ মুছতে মুছতে বড়ো মা’কে সালাম করলো। আকবর সাহেবের কাছে গিয়ে উনাকেও সালাম করলো। তারপর সে গেল ডাক্তারবাবুর কাছে। ভেজা গলায় বললো,

‘আমার জন্য আপনাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। খুব জ্বালিয়েছি আপনাকে তাই না? ক্ষমা করবেন। আপনি খুব ভালো মানুষ। দেখবেন, একদিন আল্লাহ ঠিক আপনার দোয়া কবুল করে নিবেন আর আপনি আপনার ভালোবাসাকে আবার ফিরে পাবেন।’

আদিদ আলতো হেসে পদ্ম’র মাথায় হাত রেখে বললো,

‘ভালো থাকবেন। আর কোনো অসুবিধা হলে, অবশ্যই আমাকে জানাবেন।’

পদ্ম মাথা নাড়িয়ে বললো,

‘আচ্ছা।’
.
.

নতুন বউ নিয়ে বর যাত্রী বেরিয়ে পড়েছেন। সবাইকে বিদায় করে, রুবি হোসেন আর আকবর সাহেব নিজের রুমে চলে এলেন। আদিদ ও তখন অভি-কে নিয়ে নিজের রুমে চলে গেল। তবে গেইটের সামনে তখনও দাঁড়িয়ে রইল কেবল একজন। যিনি তার ময়লা পুরোনো শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছছেন তো আবার কাঁদছেন। যদি পারতেন, হয়তো তিনি পদ্ম-কে কখনো তাদের সাথে চলে যেতে দিতেন না। তিনি তো জানেন, মেয়েটা কে যে তারা বাঁচতে দিবে না।

.

‘এই রুম’টার কথাই তোকে বলেছিলাম অভি।’

অভি নাক টেনে বললো,

‘কিন্তু, এখান থেকে এত গন্ধ আসছে কেন?’

‘আসলে রুমটা অনেকদিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না। মনে হয় কোনো চিপা চাপায় ইঁদুর টিদুর ম*রে পড়ে আছে, তাই এত গন্ধ।’

‘এটা ইঁদুর ম*রা*র গন্ধ? আচ্ছা দরজাটা খুল, ভেতরে গেলেই বুঝতে পারবো।’

আদিদ দরজা খুলে ভেতরে ঢুকল। অভিও পেছন পেছন ভেতরে আসল। চারদিকে প্রচুর ময়লা আর তার সাথে এই বিচ্ছিরি গন্ধ। অভি নাকে রুমাল চেপে ধরলো। তারপর সে বললো,

‘ছবিটা তুই কোথা থেকে পেয়েছিলি?’

আদিদ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বললো,

‘ঐ যে ঐ শেলফের উপর।’

অভি সেখানে গেল। ভালো ভাবে এদিক ওদিক তাকাল। চারদিক এত ময়লা যে কিছু ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অভি আদিদ-কে বললো,

‘এই রুমে তুই কী কী রেখেছিস? তোর প্রয়োজনীয় কিছু আছে এখানে?’

‘না, তেমন কিছু নেই।’

‘তাহলে এক কাজ কর। এখানে যত ড্রয়ার আছে সবগুলো খুল। আমি একটা একটা করে সবগুলো ফার্নিচার সরিয়ে দেখবো।’

‘ঠিক আছে।’

আদিদ আর অভি টেনে টেনে ফার্নিচারগুলো সরাচ্ছে। আর তার দরুন নিচে শব্দ তৈরি হচ্ছে। কিছু শব্দ কানে যেতেই রুবি হোসেন শোয়া থেকে উঠে বসলেন। বললেন,

‘এই তুমি কিছু শুনতে পাচ্ছো?’

আকবর সাহেব ব্রু কুঁচকে বললেন,

‘কী শুনবো?’

‘আরে উপর থেকে শব্দ আসছে। কেউ কি ছাদের রুমে গিয়েছে নাকি?’

‘ছাদের রুমে কে যাবে আবার?’

‘আরে শুনছো না, ঐ তো ফার্নিচার টানার শব্দ হচ্ছে। চলো তো, উপরে গিয়ে একবার দেখে আসি।’

‘আমি পারবো না এখন উপরে যেতে। তোমার যেতে হলে তুমি যাও।’

রুবি হোসেন তখন কর্কশ গলায় বললেন,

‘তা কেন পারবে? এখন যদি বলতাম, উপর থেকে কোনো মেয়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে তখন তো আমার আগেই দৌড় দিতে, যত্তসব।’

রুবি হোসেন একাই ছাদের দিকে উঠতে লাগলেন।
সবকিছু জায়গা থেকে সরানোর পরও তারা তেমন কিছু পায়নি। এখন শুধু বাকি এই আলামারি। এই ভারি আলামারি কীভাবে সরাবে সেটাই তারা বুঝতে পারছে না। আদিদ না করলেও অভি বললো, একবার চেষ্টা করা উচিত। দুজনে খুব শক্তি প্রয়োগ করে আলামারির এক দিক অনেকটা ফাঁক করলো। তারপর আরো চেষ্টা করে আলামারিটা অনেকটাই সামনে নিয়ে এলো তারা। অভি আলামারির পেছনে গেল। এত এত ময়লায় তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে সে ভালো ভাবে দেখতে লাগল কিছু আছে কিনা। হ্যাঁ, আছে। একটা কামিজ। সে কামিজটা হাতে নিয়ে আলামারির পেছন থেকে বের হতেই দরজার সামনে রুবি হোসেনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। সঙ্গে সঙ্গে হাতের কাপড়’টা পেছনে ফেলে দিয়ে বললো,

‘আন্টি, আপনি?’

আদিদ পেছন ফিরে তাকাল। রুবি হোসেন চোয়াল শক্ত করে বললেন,

‘তোমরা এখানে কী করছো?’

আদিদ জবাবে বললো,

‘মা, আমরা একটা কাজ করছি।’

‘এই রুমে তোমাদের কী কাজ?’

জ্বলে উঠে বললেন রুবি হোসেন। আদিদ বললো,

‘রেগে যাচ্ছো কেন মা? বললাম তো, আমরা একটা কাজে এসেছি। কাজ শেষ হলে চলে যাবো। এখানে এত রেগে যাওয়ার কী আছে?’

অভির দুই ব্রু এর মাঝখানে একটু ভাজ পড়ল। চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হলো তার। রুবি হোসেনের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। অভির এমন চাহনি তে রুবি হোসেন ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পেরে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করলেন। বললেন,

‘না, রেগে যাচ্ছি না তো। আমি তো শুধু বলছিলাম, এই গরমে এত ময়লার মাঝে তোমাদের আবার এত কী কাজ থাকতে পারে? আচ্ছা, সমস্যা নেই। কাজ থাকলে, করো কাজ। আমি নিচে গিয়ে একটু রেস্ট নিই।’

‘ঠিক আছে মা। তুমি নিচে যাও, আমরাও কাজ সেরে নিচে নামছি।’

রুবি হোসেন নিচে নেমে গেলেন। রুমে গিয়ে ধপ করে বিছানায় বসে বললেন,

‘সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে।’

আকবর সাহেব বিরক্ত কন্ঠে বললেন,

‘আবার কী হয়েছে?’

রুবি হোসেন তখন চেঁচিয়ে উঠে বললেন,

‘তোমার ছেলে অভিকে নিয়ে ছাদের রুমে গিয়েছে।’

আকবর সাহেব ও ঘাবড়ে গেলেন।

‘কিন্তু কেন?’

‘জানি না আমি। আমার তো এখন ভয় করছে, ওরা যদি কিছু বুঝে ফেলে?’

‘না না, বোঝার কোনো উপায় নেই। ঐ রুমে কোনো কিছুর চিহ্ন’ই নেই যে ওরা কিছু বুঝবে। আর বুঝলেও, আমরা এক কথায় থাকবো, আমরা কিছু জানি না। একেবারে নরমাল থাকো। বেশি হাইপার হলে, ঐ অভি বুঝে ফেলবে।’

‘হ্যাঁ, ঠিক বলেছো। আমাদের এখন একদম নরমাল থাকতে হবে। যেন ওরা কিছু পেলেও আমাদের উপর সন্দেহ করতে না পারে।’

অভি তার হাতের কাপড়’টা আদিদের সামনে ধরে বললো,

‘এটা কার?’

আদিদ কাপড়’টা হাতে নিল। কাপড়’টা ভালো ভাবে পরিষ্কার করে বললো,

‘সুজানার?’

তার গলা ধরে এল। হ্যাঁ, এটা সুজানার’ই। অভি বললো,

‘সুজানার কাপড় এখানে কেন? তুই কি সিউর এটা সুজানার?’

‘হ্যাঁ, এটা পরেই ও লাস্ট আমার সাথে দেখা করেছিল। আর তারপর…’

‘সুজানা কি এই রুমে কখনো এসেছিল?’

‘না।’

‘কাপড়’টা দে আমায়।’

অভি কাপড়’টা হাতে নিয়ে বললো,

‘দেখছিস, কাপড়’টার কিছু অংশ ছিড়ে আছে। কাপড়’টা পুরনো বলে কিন্তু ছেড়া না এটা কেউ ছিড়েছে।’

‘কী?’

‘হুম। একটা কাজ কর তো, এই আলমারি’টা খুল। এর মধ্যেই হয়তো সুজানা আছে।’

আদিদ রেগে গেল। ব্রু কুঁচকে বললো,

‘এসব কী বলছিস তুই?’

‘কথা না বলে, যা বলেছি তা কর না।’

আদিদ আলামারি’টা টান দিতেই দেখল সেটা লক করা। অভি বললো,

‘জানতাম লক করা থাকবে।’

কথাটা বলে অভি তার পকেট থেকে চিকন পিনের মতো কিছু একটা বের করলো। তারপর সেই পিনের মতো জিনিস’টা লকের ভেতর ঢুকিয়ে লক’টা ভেঙ্গে ফেলল। আর সে যখন আলমারির দরজাটা খুললো সঙ্গে সঙ্গেই ভীষণ একটা তীব্র গন্ধ তাদের নাকে এসে ঠেকল। গন্ধ’টা এত খারাপ ছিল যে তারা আর সহ্য করতে না পেরে অন্যদিকে ঘুরে গেল। তারপর আস্তে আস্তে গন্ধ’টা একটু দূর হলে অভি তার মোবাইলের ফ্ল্যাশ’টা আলমারির দিকে ধরল। আর তখনই যেন আঁতকে উঠল আদিদ। তার শরীর কাঁপতে লাগল। কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,

‘এ-এটা ক-কার ক*ঙ্কা*ল?’

অভি দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বলে,

‘হয়তো সুজানার।’

আদিদ ধপ করে নিচে বসে পড়ে। তার নিশ্বাস আটকে আসছে। মনে হচ্ছে যেন এক্ষুণি হয়তো ম*রে যাবে।

অভি বললো,

‘আগে এটার ডি এন এ টেস্ট করতে হবে, তারপরই সিউর হওয়া যাবে এটা কার ক*ঙ্কা*ল।’

____________________

বাড়িতে হৈ চৈ পড়েছে। পুলিশ দিয়ে ভর্তি বাড়ি। আকবর সাহেব আর রুবি হোসেন এত বেশি উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন যেন উনারা এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। অন্যদিকে আদিদ স্তব্ধ। সে এখনও ঐ রুমেই বসে আছে। অভি তাকে কোনোভাবেই সেখান থেকে আনতে পারছে না। ক*ঙ্কা*ল’টা ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে সুজানার বাড়ির লোকদের ও খবর দেওয়া হয়েছে। এখন ডি এন টেস্ট করালেই এই সব কিছুর সমাধান পাওয়া যাবে। অভি তার এক কলিগ-কে বলেছে ঐ রুম আরো ভালো ভাবে সার্চ করতে। আর বাকি সবকিছু তো পুলিশ’রা করছেই।

সে আদিদ-কে কোনোরকমে ধরে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে বললো,

‘এখনই এইভাবে কেন ভেঙ্গে পড়ছিস? আমরা তো সিউর না যে এটা কার ক*ঙ্কা*ল। আমাদের আগে হসপিটালে যেতে হবে তারপর ডি এন এ টেস্ট করাতে হবে। প্লীজ দোস্ত, নিজেকে শান্ত কর। এখনই এইভাবে ভেঙ্গে পড়লে, সব সত্যি জানার পর কী করবি?’

আদিদ ঢোক গিলে তখন বললো,

‘আর কী সত্যি জানার আছে?’

‘আছে, এখনও অনেক কিছু তোর জানার আছে। নিজেকে শক্ত কর। অনেক বড়ো একটা সত্যির মুখোমুখি যে তোকে হতে হবে।’

চলবে…

(আদিদ যদি গল্পের নায়ক হয় তবে কেন পদ্ম’র বিয়ে আরাফাতের সাথে হলো, এটাই তো আপনাদের প্রশ্ন? আস্তে আস্তে সব জানতে পারবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here