পবিত্র ভালোবাসা❣️পর্ব-১৬

0
1420

#পবিত্র_ভালোবাসা ❣️
#Writer_ইসরাত_জাহান_মাওয়া
#পর্ব_১৬

জান্নাত: ভাইয়াআআআআ(দাতে দাত চেপে) তুই কি কোনোদিন ও ভালো হবি না। দেখছিস আমার ইসুপাখী টা কান্না করছে আর তুই এইখানে মজা করছিস।

ঈশান: তো কি করবো । মহারাণী কেনো কান্না করছে আমাদের কি বলেছে। হটাৎ করেই বাচ্চাদের মতো কান্না করা শুরু করছে যত্তসব ঢং….

জান্নাত: ভাইয়া তুই যা তো। ইসু পাখি তুই কান্না করছিস কেনো বল বল আমায়(করুন গলায়)

ঈশান: এখন তুই শুরু করে দে কান্না পরে আমি টিকটিক বানিয়ে ইউ টিউব ফেইস বুকে দিয়ে দিবো নে(হাসতে হাসতে)

জান্নাত: ওইটা ছাড়া আর কি পারিস তুই? একদিনে তো নামাজ পড়িস না । শুক্রবার ও তো পড়িস না। ছোটবেলায় আব্বু তোকে কুরআন শিখেয়েছে একদিন ও তো দেখলাম না পড়তে। এখন আসছে এইসব আজাইরা কথা নিয়া।

ঈশান: ওই চুপ তুই খুব বেড়ে গেছিস তুই। আর এই যে ভুত আপনার জন্য এত কথা শুনছি এখন বলুন তো কিসের জন্য এই নাটক করছেন।

ইসরাত: আমি নাটক করছি না (কান্না করে)

ঈশান: ওহহ সরি এইটা নাটক না তো এইটা রেয়ালিটি সো(মুখ বাঁকা করে)

জান্নাত: ইসু পাখি বল না প্লিজ।

ইসরাত: তোদের ভাইবোন কে দেখে কান্না করছি

ঈশান: হাহাহা,,,, নাইস জোকস (হাসতে হাসতে) আমাদের ভাই বোন কে দেখেও নাকি কেউ কান্না করে হাই আল্লাহ গিভ মি সাম দড়ি এই পাগলটাকে লোটকাইয়া মারি

জান্নাত: ভাইয়াআআআআ….

ইসরাত: আপনি তো হাসবেনেই । কিন্তু যার ভাই বা বোন নেই সে জানে যে একটা ভাই বা বোনের মর্মতা কতটা। আমার কোনো ভাই বা বোন নেই তাই আমি জানি ভাই বা বোন কি(কান্না করে) সেই ছোটো বেলা থেকেই একা একা বড় হয়েছি । যেহেতু আমার কোনো ভাই বা বোন নেই। আমি যখন শুনতাম আমার ফ্রেন্ড রা ওদের ভাই বা বোনের সাথে খুনসুটি জগরা করতো আর ওদের ভাই ওদের জন্য চকোলেট আনতো বোন রা কত সাহায্য করতো আর সব ব্যাপারে অনেক সাপোর্ট করতো। তখন আমি ওদের কথাগুলো শুনতাম আর ভাবতাম আমার যদি একটা ভাই বা বোন থাকতো আমি ও তার সাথে সব কথা বলতাম। (কান্না করে)

জান্নাত: কান্না করে না আমার ইসু পাখি এই দেখ আজ থেকে আমি তোর বোন সব কথা বলবি তুই আমার সাথে ওকে।(ইসরাত কে জড়িয়ে ধরে)

ঈশান: যতোসব নেকামি। যদি এতই ভাই বা বোন দরকার ছিলো তাহলে আপনার বাবা মাকে বলতেই পারতেন।

ইসরাত: আমার আম্মুর একটা অপারেশন হয় তাই ওনি আর সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না (কান্না করে)

ঈশান: আজব কথা বার্তা । ভাই বা বোনের জন্য ওনি এখন মরা কান্না শুরু করে দিছে। আমি তো খুশি হইতাম যদি এই পেত্নী না থাকতো(জান্নাতের মাথায় বারী দিয়ে)

ইসরাত: মাতা-পিতা ও স্ত্রী-সন্তানের পর পরিবারে সবচেয়ে কাছের এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হচ্ছে ভাই-বোনের সম্পর্ক। এখানে ভাই-বোন বলতে আপন বা একই ঔরসজাত ভাই-বোন বোঝানো হচ্ছে। আরবিতে যাদের জিরেহেমে এবং বাংলা ভাষায় সহোদর বা একই মায়ের গর্ভের ভাই-বোন বলা হয়। ভাই-বোনের সম্পর্ক মধুর সম্পর্ক। বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণীর এবং বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে অধিকার দ্বারা সম্মানিত করেছে ইসলাম। ইসলাম কারো হকের ব্যাপারে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়নি। সবাইকে তার ন্যায্য অধিকার প্রদান করেছে এবং সব মুসলিমকে আদেশ প্রদান করেছে অন্যের হক সঠিক ও যথাযথভাবে আদায় করার জন্য। ইসলামের নবির [সা.] মৌলিক মিশনই ছিল কারো হক বা অধিকার নষ্ট না করা। তিনি বলতেন, কোনো মুসলিম অন্য কারো হক বা অধিকার নষ্ট করতে পারে না। ভাই-বোনের হক বা অধিকারের প্রতিও ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছে। হাদিসে বড় ভাইকে বাবার সমান এবং বড় বোনকে মায়ের সমান বলা হয়েছে। সুতরাং একজন সন্তানের ওপর মাতা-পিতার যেসব হক বা অধিকার রয়েছে, বড় ভাই ও বড় বোনের ব্যাপারেও ছোট ভাই এবং ছোট বোনদের একই হক বা অধিকার। ১. বড় ভাই ও বড় বোনকে সম্মান করা। অর্থাৎ বড় ভাই ও বোন হিসেবে সে যে পরিমাণ বা যতটুকু সম্মানের অধিকার রাখে, ঠিক ততটুকু সম্মান প্রদর্শন করা। এ ক্ষেত্রে কোনো কমতি না করা এবং খুব বেশি বাড়াবাড়িও না করা। ২. তাদের কথা মেনে চলা। অর্থাৎ শরিয়তের খেলাফ যদি কোনো আদেশ তারা না করে, সে ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অজুহাত না দেখিয়ে যথাসময়ে আদেশ পালন করা। কিন্তু যদি এমন হয় যে, বড় ভাই ও বোন শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজের আদেশ করছে, সে ক্ষেত্রে তাদের আদেশ না মানলে হক বা অধিকার নষ্ট করা হবে না। ৩. তাদেরকে কোনো প্রকার কষ্ট না দেয়া। অর্থাৎ শারীরিক বা মানসিক কোনো প্রকার কষ্ট বড় ভাই ও বোনকে না দেয়া এবং কষ্ট পেতে পারে, এমন কাজের পরিকল্পনাও না করা। ৪. প্রয়োজনমাফিক তাদের আর্থিক সাহায্য করা। অর্থাৎ এমনও হতে পারে যে, বড় ভাই ও বোন আর্থিকভাবে ছোট ভাই বা বোনের তুলনায় দুর্বল। সে ক্ষেত্রে ছোট ভাই ও বোনদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।

জান্নাত: আলহামদুলিল্লাহ

ঈশান: ওই জান্নাত এখন যা এইখান থেকে খুব ঘুম পেয়েছে আর তোর এই ইসু পাখি না শিশু পাখির কথা শুনলে সারারাত কেটে যাবে ।

জান্নাত: আজকাল তো ভালো কথা তোর কানে যাবেই না। আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ আসি।

পরে জান্নাত চলে গেলো…..

ঈশান: ওই শুনুন এত সকালে আমাকে বিরক্ত করবেন না বাই(বলেই শুয়ে পড়লো)

ইসরাত ভাবছে সে কখন টাকে বিরক্ত করলো ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো ইসরাত…..

মাঝরাতে কারো গুঙ্গানুর শব্দে ঘুম থেকে উঠে পড়লো ঈশান…..

ঈশান: এই শব্দ আবার কোথা থেকে আসছে । ওহ গড একটু কি ঘুমাতে দিবে না বলেই নিচে তাকালাম দেখি ওই মেয়ে এই রকম গুঙ্গানুর শব্দ করছে। ওহ ডেড কোন মেয়ের সাথে তুমি শেষমেশ আমার বিয়ে দিয়েছো যে কিনা নাক ডাকে ওয়্যাকক ছিঃ ছিঃ। এই যে জ্ঞানী ব্যাক্তি সরি নারী আপনি এইসব কি শুরু করছেন আমাকে কি ঘুমাতে দিবেন না (ইসরাত কে বলছে) এই কি হলো…

ইসরাতের কাছ কোনো রেসপন্স না পেয়ে আবার বললো….

ঈশান: কি হলো কি আপনার আজিব মানুষ তো আপনি(বলেই ইসরাতের কাছে গেলো) এই উঠুন বলছি উঠুন(হালকা টাচ্ করে) ও মাই গড এত দেখছি জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে…এই আপনার যে জ্বর আসছে আমাকে বলেন নি কেনো?

ইসরাত কিছুই বলছে না কেননা ও এখন নিজের হুসে নেই….

ঈশান: এত জ্বর কিভাবে আসলো আপনার(বলতেই মনে পড়ে গেলো যে কলম দিয়ে হাতে অনেক জোরে চাপ দেওয়াতে ব্যাথায় এখন জ্বর আসছে ) ইসসসসসস কি করলাম আমি আমার তো একটু চিন্তা করার দরকার ছিলো আমার কারণে মেয়েটা আজ এত জ্বরে ভুগছে। আর দোষ ওনারই আমাকে ভালোভাবেই বললেই তো হতো এত ঘাড় তেড়া যে শেষমেশ এই টপিক টা ওনার উপর কার্যরত করতে হয়েছে। (এইসব ভাবতে ভাবতে ইসরাত কে খুলে তুলে নিলো আর বিছানায় শুয়িয়ে দিলো পরে একটা রুমাল এনে মাথায় জলপট্টি দিতে লাগলো) অনেক্ষণ জলপট্টি দেওয়াতে জ্বর টা কিছুটা কমেছে তাই সে একটু নিজের ফোন টা চেক করলো আর যা দেখলো তাতে ওর চোখ কপালে উঠে গেলো কেননা মেরি ওকে সাত টা মিসডকল পনেরা টা ম্যাসেজ দিছে তাই সে সাথে সাথে ফোন ব্যাক করলো….কিছুক্ষণ ফোন বাজার পর….

মেরি: হেলো কে বলছেন…?

ঈশান: হেই মেরি ডার্লিং আমি…

মেরি: আপনি কে?

ঈশান: আমি ঈশান মেরি

মেরি: কে ঈশান?

ঈশান এখন খুব ভালোই বুঝতে পারলো যে মেরি রেগে আছে।

ঈশান: সরি মেরি ফোন সাইলেন্ট ছিলো তাই তোমার ফোন বা ম্যাসেজ দেখতে পারি নাই।

মেরি: শাট আপ ঈশান। আর কত সরি বলবে। আমার কি মনে হয় জানো তুমি আমাকে ভালোই বাসো না।

ঈশান: আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি মেরি প্লিজ ট্রাস্ট মী বেবি

মেরি: যদি ভালবাসতে তাহলে আজ আমাকে একটা ফোন ও দিতে রাতে। যে তুমি কিনা কয়েকদিনের রিলেশন এ হাজার বার ফোন দিতে এখন বিয়ের পর একবারও দেও না আমি দিলেও তোমাকে পাই না ফোনে। তুমি আমাকে সরাসরি বলেই দিতে পারো যে এই রিলেশন তুমি কন্টিনিউ করতে চাচ্ছে না। তাহলেই তো হয়। আর তুমি তো জানোই এই মেরির জন্য হাজার হাজার ছেলে লাইন ধরে বসে থাকে কিন্তু মেরি পাত্তা দেই না আর যেখানে তুমি ওর ভালোবাসা পেয়ে গেছো…..

ঈশান: তুমি ভুল বুঝছো মেরি….(বলতে না বলতেই)

ইসরাত: আপনি খুব পঁচা। ভালোবাসেন না আমায়(জ্বরে আবোল তাবোল বলছে) আমার কত স্বপ্ন ছিলো….

মেরি: বাহ বউয়ের সাথে বাসর করছো ওকে বাই আর ফোন দিবে না আমায়…

ঈশান: মেরি তুমি যা ভাবছো টা না আসলে ওনি….

মেরি: কি আমি । আর তুমি আর তোমার বউ যে এখন একসাথে টা আমি খুব ভালোই বুঝতে পারছি । আজ থেকে তোমার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই ব্রেকআপ(বলেই ফোন কেটে দিলো)

ঈশান: মেরি মেরি শোনো তো…..ড্যাম ইট(বলেই ফোন ফেলে দিলো)

ইসরাত কিছু একটা পড়ার শব্দে টিপটিপ করে চেয়ে দেখলো ঈশান যেনো কি করছে তাই ও আস্তে আস্তে ওকে জিজ্ঞাসা করলো (কথা বলার শক্তিটা ও পাচ্ছে না)

ইসরাত: কি হয়েছে আপনার। (বলতে না বলতেই)

ঈশান: তোর জন্য এখন আমার সব শেষ হয়ে যাচ্ছে(ইসরাত কে এক টান দিয়ে নিচে ফেলে) তুই আসার পর থেকেই সবাই দূরে সরে যাচ্ছে আমার থেকে(চুলে মুঠি ধরে) তোর কারণে আমি আমার আপনজনদের হারাচ্ছি।

ইসরাত: কি হ হ হয়েছে আপ আপনার এমন ক করছেন কেনো(খুব কষ্টে বললো)

ঈশান: তো কি তোকে আদর করে বুঝাতে হবে। তুই আসার পড়েই ডেড আমার গায়ে হাত তুলেছে এখন আমার মেরি আমার সাথে ব্রেকআপ করেছে। আমারতো মনে হচ্ছে তুই কোনো শয়তানের দূত। এসেছিস আমার জীবন টাকে ধ্বংস করতে।

ইসরাত: মানুষের সাথে শয়তানের তুলনা করবেন না কেননা মানুষ হচ্ছে আশরাফুল মাখলুত বা সৃষ্টির সেরা জীব তাই শয়তানের সাথে তার তুলনা করবেন না দয়া করে।

ঈশান: একশো বার বলবো যে তুই শয়তানের সৃষ্টি তুই একটা খারাপ মেয়ে। তুই আমার জন্য কখনো লাকি না তুই একটা আনলাকি মেয়ে। (বলেই ইসরাত জোরে ধাক্কা মেরে ঈশান রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো)

ভোরে…..

জান্নাত নামাজ পড়ে কুরআন তেলাওয়াত করে গতকাল ইসরাতের বলা ভাইবোনের সম্পর্ক নিয়ে ভাবছে…. আর আজ কেনো যেনো মনে হচ্ছে ওর ও ওর ভাইকে কিছু একটা দিয়ে সারপ্রাইজ দিবে তাই সে একটা কার্ড বানালো… যাতে যে নিজে আর্ট করে কবিতা লিখেছে ওর ভাইয়ের জন্য….

‘ভাইয়া’ কে নিয়ে লেখা আমার ছোট্ট
একটা কবিতা।
————————-‘ভাইয়া’————-
———–
ভাইয়া তুমি বোন হিসেবে দিলে আমায় ঠাঁই,
এই দুনিয়ায় ভাই-বোনের তুলনা যে নাই।
একটু আড়াল হলেই তাই কাঁদে আমার মন,
কত কাছের ভাইয়া তুমি,কত যে আপন।
জানকি ভাইয়া ,এক সূতায় বাঁধা দুটি মন?
সেই সূতায় বাঁধা শুধু ভাই আর বোন।
সেই বোনের আসন দিয়ে করলে আমায় ধন্য,
তাই তো শুধু মনটা কাঁদে ভাইয়া তোমার জন্য।
,,,,,ভাইয়ের মমতাময়ী বোন :জান্নাত

এই লিখার পর জান্নাত আরেকটি কাম বানালো এবং তা ইসরাতের জন্য কেননা ইসরাত যে তার প্রিয় ফ্রেন্ড তাই ওর জন্য একটা কবিতা লিখলো…..

আত্মার সঞ্চয় তুমি ,
বহুমূল্যের রক্তের টান বয়ে
সময়ের স্রোতে জোয়ার এলেও ,
তুমি থেকো ,
প্রিয় বান্ধবী হয়ে।

টুকরো টুকরো মুহূর্তেরা
বিন্দু বিন্দু মন,
জীবন আর যন্ত্রণাতে ,
তোমার হাসি,যেন,যখেরধন।

আমার তোমার সব বৈষম্য-এ
সব মিলের মাঝে,
তোমার দুহাতের স্পর্শ থাকুক
বিবর্ণ বার্ধক্যের সাঁঝে।

ন’মাস আর দশ দিন , কেন !
জীবনের প্রতিটি দিন ,
তোমার নামে উৎসর্গকৃত ,
তোমাতেই সব রঙ্গিন।

সময় নামক নদী চলবে
নিটোল মমতা বয়ে,
ভাটা পরে যাবে যে দিন এ স্রোতে
হাত রেখো ,তুমি অন্তত
প্রিয় বান্ধবী হয়ে।

জান্নাত…..

এই দুইটা কাম বানিয়ে অনেক সুন্দর একটা একটা কার্ড বানালো জান্নাত আর মুখে যেনো হাসি কমছেই না। আজ সে তার অতি প্রিয় দুইজন কে নিজের মতো করে কিছু একটা বানিয়ে দিচ্ছে। আর আজ সে বুঝতেও পেরেছে যে দামী উপহার দিলেই যে আনন্দ পাওয়া যায় টা কিন্তু নয়। ভালোবেসে যদি একটা কাগজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে দিলেও তাতে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। দামী গিফ্ট তো লোক দেখানো কিন্তু ভালোবাসার গিফট টা হলো শুধুই দুইটা মনে সম্পর্ক…… এই সব ভাবতে ভাবতে জান্নাত ঈশানের রুমের দিকে রওনা দিলো। আর ভাবলো আজ সে ওদের সারপ্রাইজ দিয়ে তাক লাগিয়ে দিবে কিন্তু সে জানে না যে ওর জন্যই বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে….

জান্নাত ঈশানের রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজা খুলে আর তার চোখ রুমের ভিতরে যেতেই…..

চলবে…..

বানান ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here