পবিত্র ভালোবাসা❣️পর্ব-১৭

0
1410

#পবিত্র_ভালোবাসা ❣️
#Writer_ইসরাত_জাহান_মাওয়া
#পর্ব_১৭

জান্নাত ঈশানের রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজা খুলে আর তার চোখ রুমের বিতরে যেতেই দেখলো ইসরাত নিচে পড়ে আছে তাই সে দৌড়ে ইসরাতের কাছে গেলো আর দেখলো ইসরাতের কপাল বেয়ে রক্ত পরে তা শুকিয়ে গেছে আর গায়ে বিষণ জ্বর আবার অজ্ঞান হয়ে আছে তাই সে জোরে জোরে ডাকতে লাগলো তার আব্বু আম্মু ও দাদিমা কে…..

জান্নাত: আব্বুউউউউউউউউউ,,, আম্মুউউউউউ দাদিইইইমাআআআআআ

জান্নাতের চিৎকার শুনে সবাই রুমে আসলো আর দেখলো ইসরাতের এই অবস্থা আর ওদের বুঝতে বাকি রইলো না যে এইসব কে করেছে। জান্নাতের বাবা তো কপালে হাত দিয়ে বসে আছে আর জান্নাতের মা আর দাদী ইসরাতের চোখে মুখে পানি দিচ্ছে আর জান্নাত ক্ষত স্থানে মলম লাগাচ্ছে…..

জান্নাতের বাবা: আমার মা টাকে এইভাবে মারলো। আবার তো ভাবতেই লজ্জা লাগছে যে আমার ছেলে কিনা শেষমেশ এত টা নিচে নেমে পড়েছে।

জান্নাতের আম্মু: ঈশান যে এতটা খারাপ পাষন্ড হতে পারে আমার জানা ছিলো না (কান্না করে) আল্লাহ তায়ালা এই নিষ্পাপ মেয়েকে মারার জন্য ওকে শাস্তি দিবে। অনেক বড় শাস্তি। (কান্না করে)

দাদিমা: ভাই রে তুই কাচ কে হীরা ভেবে দিনের পর পর এত ভুল করছিস একদিন তোর এই ভূল ভাঙবে সেইদিন হইতো দেরি ও হয়ে যেতে পারে।

জান্নাতের বাবা: জান্নাত ঈশান কোথায়?

জান্নাত: আব্বু আমি জানি না। আমি আসছিলাম ওদের দুইজন কে গিফট দিতে পরে এসে দেখি এই অবস্থা (কান্না করে)

জান্নাতের বাবা: ওই লোফাঙ্গার ছেলে যেখানেই থাকুক ওই ছেলে যেনো আমার বাড়ি তে আর না আসে বলে দিলাম।

দাদিমা: আজ তো ঈশান আর ইসরাতের ইমতিয়াজের বাড়িতে যেতে হবে।

জান্নাতের বাবা: আমি সব বলবো ইমতিয়াজ কে

জান্নাতের আম্মু: ওনাকে বলা কি ঠিক হবে?

জান্নাতের বাবা: বলা ঠিক হবে না কিন্তু বলতে যে হবেই না বলে তো আর উপায় নেই।

হটাৎ ইসরাতের নরা তে জান্নাত বললো….

জান্নাত: বাবা ইসু পাখির জ্ঞান ফিরেছে।

জান্নাতের কথা শুনে সবাই ইসরাতের দিকে তাকালো….

জান্নাতের আম্মু: মা তুই ঠিক আছিস। শরীর কেমন লাগছে এখন তোর?

ইসরাত: আলহামদুলিল্লাহ আম্মু ভালো,,,,কিন্তু আপনারা এইখানে?(অবাক হয়ে)

দাদিমা: বনু রে তোর কি হয়েছে এইভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলি কেনো আর কপালেই বা কাটলো কিভাবে?

ইসরাত: তেমন কিছু না দাদী

জান্নাতের বাবা: মা তুমি বুঝতে পারছো না এইসব কেনো হলো আর কে করেছে এইসব। আর ইসরাত মা শুন(মাথায় হাত বুলিয়ে) মা রে আমি খুব সার্থপর একটা বাবা নিজের ছেলের ভালোর জন্য তোর মতো একটা নিষ্পাপ মেয়ের জীবন টা আমি নষ্ট করে দিয়েছি(কান্না করে) আমি জানি এই পাপের শাস্তি আমাকে পেতেই হবে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করবে না।

ইসরাত: বাবা এইসব কি বলছেন আপনি?(চোখের পানি মুছে দিয়ে) বাবা এইদিকে তাকান একটু….

জান্নাতের বাবা: হুম(মাথা নিচু করে)

ইসরাত: বাবা আপনি কিন্তু আমায় আপনার মা ও মেয়ে ভাবেন আর কোনো সন্তান চাই না তার মা খারাপ থাকুক আর কোনো বাবাই চাই না যে তার মেয়ে অসুখী থাকুক। তাই আমি জানি আপনি আমার খারাপ কোনোদিন ও চান নি। আর এই বিয়ে তো আপনার আমার কথায় হয় নি এই বিয়ে হয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে। ওনি চেয়েছেন বলেই আজ আমি এই বাড়ির বউ। আর সার্থপর কেনো বলছেন বাবা। আপনি হলেন খুব ভালো একজন বাবা । দুনিয়াতে আপনার মতো শশুর পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

জান্নাতের আম্মু: মা রে তোকে আল্লাহ কি দিয়েছে সৃষ্টি করেছে । তোর সাথে আমরা অন্যায় করেছি তাও তুই আমাদের ক্ষমা করে দিচ্ছিস।

ইসরাত: আম্মু ক্ষমা তো আমি করতে পারি না ক্ষমা করতে মহান আল্লাহ তায়ালা আর আপনারা তো কোনো ভুল করেন নাই। আপনারা তো সব বলেই দিয়েছেন বিয়ের আগে। আপনাদের মতো শশুর শাশুড়ি পেয়ে সত্যিই আমি খুব খুশি।

জান্নাতের বাবা: ঈশান কোথায় ইসরাত মা?

ইসরাত: মাথা নিচু করে বললো….জানি না বাবা….

দাদিমা: আচ্ছা এইসব এখন বাদ দে আর দেখ মেয়েটার মুখ শুকিয়ে আছে আগে কিছু খেয়ে পরে না হয় সব শুনবো….

জান্নাতের বাবা: হুম (হটাৎ ফোন চলে আসে আর তাকিয়ে দেখে ইসরাতের আব্বু ফোন দিয়েছে) আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু

ইসরাতের আব্বু: ওলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু…. কেমন আছিস আর বাসার সবাই কেমন আছে?

জান্নাতের বাবা: আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার রহমতে সবাই ভালো আছি। তোরা?

ইসরাতের আব্বু: আলহামদুলিল্লাহ….তো ঈশান বাবা আর ইসরাত মামুনি কখন আসবে?

জান্নাতের বাবা: আসলে,,,,(মিনমিনিয়ে) ওরা আজ আসতে পারবে না।

ইসরাতের আব্বু:কিন্তু কেনো?(অবাক হয়ে)

জান্নাতের বাবা: সত্যিই বলতে (আর কিছু বলার আগেই ইসরাত বললো)

ইসরাত: বাবা দিন আমি বলি….

জান্নাতের বাবা: হুম…(পরে ইসরাতের কাছে ফোন টা দিয়ে)

ইসরাত: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু । কেমন আছেন আব্বু?

ইসরাতের আব্বু:ওলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু। আলহাদুলিল্লাহ ভালো মামুনি তুমি?

ইসরাত: আলহামদুলিল্লাহ।

ইসরাতের আব্বু:মামুনি আজ আসতে পারবে না কেন?

ইসরাত: আসলে আব্বু কাল রাতে জ্বর আসছিলো বুঝতেই তো পারছেন এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে আবার জায়গাও পরিবর্তন তাই আর কি আজ যেতে পারবো না।

এই কথা শুনেই ইসরাতের আম্মু পাগল হয়ে গেছে….

ইসরাতের আম্মু: মামুনি কি হয়েছে তোমার আর এখন শরীল কেমন আমি এক্ষনি আসছি(ভয়ার্ত কণ্ঠে)

ইসরাত: না আম্মু এখন অনেকটা ভালো আছি। আর খারাপই বা থাকবো কিভাবে আমার শশুর শাশুড়ি ননদ দাদিমা ওনারা তো আমায় খারাপ থাকতে দেয়ই না।

ইসরাতের আব্বু ও আম্মু: আলহামদুলিল্লাহ,,,, শুনে খুশি হলাম। তো ঈশান বাবা কোথায়?

ঈশানের কথা টা শুনে ইসরাতের মুখ টা ছোটো হয়ে গেছে তাই সে বললো….

ইসরাত: একটু বাহিরে গেছে….

পরে আরো অনেক কথা বললো আর এখন অনেক ভালো আছে শুনে ইসরাতের আব্বু আম্মু আর আসবে না। পরে ওরা সবাই খাবার খেতে বসলো….. আর তখন ইসরাত বলে উঠলো…

ইসরাত: খাবার খাওয়া নিয়েও কিন্তু হাদীস আছে। ইসলামে বলা হয়েছে কিভাবে খাবার খেতে হবে।

জান্নাত: কিভাবে খেতে হবে বল…..

ইসরাত: হুম….খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে খেতে হবে। কেননা…রাসুল (সা.) খাবার গ্রহণের আগে সব সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন। তার সঙ্গীদেরও বিসমিল্লাহ বলতে উৎসাহিত করতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে ও ডান হাত দ্বারা খানা খাও। এবং তোমার দিক হতে খাও।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫১৬৭, তিরমিজি, হাদিস নং : ১৯১৩)
যদি কখনো বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যান তখন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, “যখন তোমরা খানা খেতে শুরু করো তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তাহলে বলো, ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওআখিরাহ।” (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৩৭৬৭, তিরমিজি, হাদিস নং: ১৮৫৮)

আর অবশ্যই খাবার গ্রহণের আগে হাত ধোয়া আবশ্যক। না হয় বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে। রাসুল (সা.) খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার আদেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) পানাহারের আগে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নিতেন। (মুসনাদে আহমাদ)

অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) খাওয়ার পর কুলি করতেন এবং হাত ধৌত করতেন। (মুসনাদে আহমাদ ও ইবনে মাজাহ

আর আমরা তো এখন টেবিলে খাবার খেতে বসি কিন্তু আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) পায়াবিশিষ্ট বড় পাত্রে খাবার খেতেন না। কাতাদা (রা.) কে জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে কীসের ওপর খানা খেতেন? তিনি বললেন, ‘চামড়ার দস্তরখানের ওপর।’ (বোখারি : ৫৩৮৬)

আমরা কিন্তু পানি পান করার সময় মাঝে মাঝে দাড়িয়ে বা বাম হাতে পান করি কিন্তু রাসুল (সা.) আজীবন ডান হাত দিয়ে খাবার খেতেন। বাম হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন তিনি। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাত দ্বারা খাবার খেয়ো না ও পান করো না। কেননা শয়তান বাম হাতে খায় ও পান করে।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৩৭৬; মুসলিম, হাদিস নং: ২০২২)

আজকাল তো হাত চেটে খাওয়া কে বলে বিখারির মতো খাওয়া। এখন তো চামচ ছাড়া কেউ খাবার খায় না।আর আমাদের রাসুল (সা.) খাওয়ার সময় সর্বদা হাত চেটে খেতেন। না চাটা পর্যন্ত কখনো হাত মুছতেন না। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার গ্রহণ করবে, তখন হাত চাটা নাগাদ তোমরা হাতকে মুছবে (ধোয়া) না।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫২৪৫)

আর এখন যদি কেউ আঙ্গুল চেটে খাবার খায় তখন বলা হয় জীবনেও মনে হয় এই খাবার দেখি না খায় নি কিন্তু আমরা জানি না যে আঙুল চেটে খাওয়ার ফলে বরকত লাভের অধিক সম্ভাবনা থাকে। কারণ খাবারের বরকত কোথায় রয়েছে মানুষ তা জানে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার গ্রহণ করো তখন আঙুল চেটে খাও। কেননা বরকত কোথায় রয়েছে তা তোমরা জানো না।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৯১৪)

আজকাল খাবার নিচে পড়ে গেলে তা আর কেউ তুলে না কেননা এতে নাকি সম্মান নষ্ট হয়। গরীব মিসকিন দের দলে পরে কিন্তু খাবার গ্রহণের সময় কখনো কখনো থালা-বাসন থেকে এক-দুইটি ভাত, রুটির টুকরো কিংবা অন্য কোনো খাবার পড়ে যায়। সম্ভব হলে এগুলো তুলে পরিচ্ছন্ন করে খাওয়া চাই।

রাসুল (সা.)-এর খাবারকালে যদি কোনো খাবার পড়ে যেত, তাহলে তিনি তুলে খেতেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের খাবার আহারকালে যদি লুকমা পড়ে যায়, তাহলে ময়লা ফেলে তা ভক্ষণ করো। শয়তানের জন্য ফেলে রেখো না।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১৯১৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৩৪০৩)

আজকাল তো চেয়ারে না বসে কেউ খাবার খায় না কিন্তু ইসলামে বলা হয়েছে কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খাবার খেতে তিনি নিষেধ করেছেন। হেলান দিয়ে খাবার খেলে পেট বড় হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দাম্ভিকতা প্রকাশ পায়। আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, আমি টেক লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না। (বুখারি, হাদিস নং: ৫১৯০, তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৮৬)

আর যারা রান্না করে তারা বুঝে যে রান্না করাটা কত কষ্ট কিন্তু তারপর ও তারা পরিবারের ভালোর জন্য রান্না করে। আর আমরা একটু খারাপ হলেই কতো কিছু বলি কিন্তু খাবারের দোষ ক্রুটি ধরা ভালো না কারণ শত চেষ্টা সত্ত্বেও খাবারে দোষ-ত্রুটি থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করা নিতান্ত বেমানান। রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি, হাদিস নং : ৫১৯৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৩৩৮২)

আমরা গরম ভাত বা যেকোনো কিছু ফু দিয়ে খাই কিন্তু খাবার ও পানীয়তে ফুঁ দেওয়ার কারণে অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। রাসুল (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কখনো খাবারে ফুঁ দিতেন না। কোনো কিছু পান করার সময়ও তিনি ফুঁ দিতেন না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৩৪১৩)

আল্লাহ তাআলা খাবারের মাধ্যমে আমাদের প্রতি অনেক বড় দয়া ও অনুগ্রহ করেন। এ দয়ার কৃতজ্ঞতা আদায় করা সভ্যতা ও শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। খাবার গ্রহণ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা অপরিহার্য।

খাবার শেষে রাসুল (সা.) আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাতেন ও দোয়া পড়তেন। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) খাবার শেষ করে বলতেন, ‘আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাসিরান ত্বয়্যিবান মুবারাকান ফিহি, গায়রা মাকফিইন, ওলা মুয়াদ্দায়িন ওলা মুসতাগনা আনহু রাব্বানা।’ তিনি কখনো এই দোয়া পড়তেন: ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আতআমানা ওয়াছাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫৪৫৮)

রাসুল (সা.)-এর সুন্নতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন

সবাই বলে উঠলো আমিন….

জান্নাত: বাবা তোমরা সবাই একটু ওয়েট করো আমি আসছি….

সবাই: হুম….

পরে জান্নাত অনেক বড় একটা মাদুর আনে পরে টা ডইং রুমের ফ্লোরে বিছিয়ে তার উপর ছোটো ছোটো করে কাপড়ের টুকরা বিছিয়ে দেয় আর সমস্ত খাবার এই মাদুরে সাজিয়ে দেয়। পরে সবাই কে ডাক দিয়ে বলে….

জান্নাত: এইবার সবাই খেতে চলে…

জান্নাতের এই পাগলিমা দেখে সবাই অনেক খুশি হয় তো নিচে বসে খাবার খেতে লাগলো….

অন্যদিকে ঈশান….

ঈশান: মেরি তুমি কেনো আমায় এত কষ্ট দেও (ড্রিঙ্কস করে)

অর্ণিল: ঈশান মেরি তোকে ভালোবাসে না জাস্ট টাইম পাস করে কজ আমি গতকাল মেরি কে একটা ছেলের….

চলবে….

বানান ভূল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here