#পাগল_প্রেমিকা
#পর্ব_১২
#sharmin_akter_borsha
________
রিমন বৃষ্টির আইডিটা নষ্ট করে দেয় অনেকবার রিপোর্ট দিয়ে.. আইডিটা বৃষ্টির অনেক প্রিয় ছিল, পরে যখন বৃষ্টি আইডিতে লগ ইন করতে যায় কিন্তু ঢুকতে পারে না। আইডি ডেসিবল দেখে বৃষ্টি প্রচুর কাঁদে অনেক প্রিয় ছিল আইডিটা যার জন্য বৃষ্টি নিজেকে সামলাতে পারে না। বৃষ্টির বুঝতে বাকি থাকে না আইডিটা ডেসিবল কে করেছে আইডি ডেসিবল করার পেছনে গোটা টাই রিমনের হাত ছিল। বিছানায় মুখ গুঁজে কাঁদতে থাকে বৃষ্টি কাদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পরে। অনেক চেষ্টা করে আইডিটা ফেরত পাওয়ার কিন্তু ওর আইডি কার্ড ছিলো না তাই আনতে পারেনি পুরো দুই দিন সায়েম ভাই আইডির পেছনে সময় দেয় বেক আনার জন্য অনেক কিছু করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। বৃষ্টি সিদ্ধান্ত নেয় ও আর কখনো রিমনের সাথে কথা বলবে না আর আইডি নষ্ট করার জন্য রিমনকে কখনো ক্ষমা করবে না।
একদিকে আইডি চলে যাওয়ার দুঃখ অন্য দিকে রিমনের সাথে বিচ্ছেদের কষ্ট বৃষ্টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। শুধু কেঁদেই যাচ্ছিল বৃষ্টির দুইটা আইডি ফেইক আইডি থাকলেও অরিজিনাল তো অরিজিনালই হয় । বৃষ্টি কে এভাবে দেখতে বর্ষা রিমার একটুও সহ্য হচ্ছিল না। তাই বন্ধুদের সাথে প্লেন করে বৃষ্টি কে নিয়ে বাহিরে পিকনিক মানাতে যাবে। বৃষ্টি শুরুতে রাজি হয় না তবে কাব্য নাহিদ অপূর্ব ওরাও যাবে ওরা তিনজন জোর করতেই বৃষ্টি যেতে রাজি হয়। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে আসবো সবাই। রেস্টুরেন্ট থেকে কাব্য নাহিদ অপূর্ব মাহিম নীরব ওরা ফাস্টফুড নিয়ে নেয়। আর আমাদের রিমা ও ওর গিটার ছাড়া কোথাও যেতে পারে না গিটারও বাড়ি থেকে আসার সময় নিয়ে আসে। আমরা দুপুরের পর বাড়ি থেকে রওনা দেই কিন্তু সবকিছু গুছিয়ে নিতে সময় লাগে আমাদের পৌছাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আমরা একটা মাঠে যাই এটা অনেক বড় মাঠ এক পাশ থেকে আরেক পাশ দেখা যায় না এখানে আবার মাঠ থেকে কিছুটা দূরে শুধু গজারী বাগান… অনেক বড় গন বাগান বলতে গেলে জঙ্গল… আমরা সবাই মিলে মাঠে বসে পরি.. এরই মধ্যে সন্ধ্যে হতে চলেছে আমরা এখনও বসে আড্ডা দিচ্ছি কিন্তু বৃষ্টির মন উদাসী এদিকে কোনো খেয়ালই নেই ওদের আনা ফাস্টফুড ও মুখে দেয়নি বৃষ্টি আর কেউ না বুঝলে জুম্মা বর্ষা রিমা বৃষ্টির অবস্থা জানে তাই ওর প্রতি কষ্ট হচ্ছে। এদিকে সবাই জোর করছে বৃষ্টি কে একটা গান গাওয়ার জন্য এমন টাইমে গান না হলে কি চলে নাকি? বর্ষা রিমা জুম্মা বৃষ্টি কেউই রাজি হয় না। কিন্তু কাব্য জেদ করে বৃষ্টি গান না গাইলে কেউ বাড়ি যাবে না। সব কিছুর পর বৃষ্টি গান গাইতে রাজি হয়।
রিমা হাতে গিটার নিয়ে গিটারে সুর তুলে.. গিটারের সুরে বৃষ্টি গান গাইতে শুরু করল….
Music….🎶🎶🎶
সেই তুমি কেনো আজ এতো অচেনা হলে
সেই তুমি কেনো আমাকে দুঃখ দিলে🎶🎶🎶
কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি🎶
কিভাবে এত বদলে গেলে এই তুমি🎶🎶
ও বুকেরই সব কষ্ট দু’হাতে সরিয়ে চলো বদলে যাই..
তুমি কেনো বুঝোনা তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে আমার অপরাধ ছিলো যতটুকু তোমার কাছে,
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়,🎶🎶🎶
কত রাত আমি কেঁদেছি বুকের গভীরে কষ্ট নিয়ে শূন্যতায় ডুবে গেছি আমি।
আমাকে তুমি ফিরিয়ে নাও,,,🎶🎶🎶
তুমি কেনো বুঝোনা তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে আমার অপরাধ ছিলো যতটুকু তোমার কাছে,
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়,🎶🎶
যতবার ভেবেছি ভুলে যাবো তারও বেশি মনে পরে যায়
ফেলে আসা সেই দিনগুলি ভুলে যেতে পারি না।🎶
তুমি কেনো বুঝোনা তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়🎶
আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে আমার অপরাধ ছিলো যতটুকু তোমার কাছে,🎶
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়,🎶
সেই তুমি কেনো আজ এতো অচেনা হলে🎶
(গানটা একটু এডিট করলাম গল্পের সাথে মিলানোর জন্য) সম্পূর্ণ গান বৃষ্টি শেষ করতে পারেনি তার আগেই ওর চোখে পানি চলে আসে। চোখের পানি জেনো কোনো বাধাই মানছিল না। দুই হাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে সবার কাছ থেকে উঠে চলে যায়।
সাথে সবাই বৃষ্টির পেছন পেছন চলে আসে এখনই মাগরিবের আজান দিবে এমন সময় এই জঙ্গলে থাকা মোটেও ঠিক না। সবাই গাড়িতে বসে বৃষ্টি কে জিজ্ঞেস করে কাঁদছে কেনো? তারপর বৃষ্টি সবটা সবাইকে বলে দেয়। শুধু জানতে পারে না কাব্য নাহিদ অপূর্ব ওরা ওদের বাইকে ছিল তাই জানতে পারে না। বাড়িতে আসার পর বৃষ্টি এটা মোটেও ঠিক করে নাই এটা ওর একটুও করা উচিত হয়নি।
চলবে….?