পাগল প্রেমিকা পর্ব-১৩

0
547

#পাগল_প্রেমিকা
#পর্ব_১৩
#sharmin_akter_borsha
________
বাড়িতে এসে বৃষ্টি ওর রুমে চলে যায় আর আবারও সব কিছু ভাঙচুর করে। বাহির থেকে আমরা অনেক ডাকাডাকি করি কিন্তু বৃষ্টি দরজা খুলে না। বাড়িতে বৃষ্টির আম্মু ছিলো না। সে তো অপূর্ব মানে ফুপির ফ্লাটে গিয়েছিল তখন ফুপি ডেকে ছিল.!
ওদের সাথে কাব্য বাড়িতে আসেনি কাব্য নীরবকে ওর বাইকের পেছনে বসিয়ে কোথায় জেনো চলে যায়। বর্ষা রিমা বৃষ্টি বাড়িতে ঢুকার পরপরই।
এদিকে অনেক বার ডাকাডাকি পরও বৃষ্টি দরজা খুলছে রুমের মধ্যেই জোরে জোরে কাঁদছে কেনো করলো ওর রাইটার বাবু ওর সাথে এমন কেনো করল এতো ভালোবাসার এই ফল বলছে আর কাঁদছে।
এদিকে বর্ষা আর রিমার এখন বৃষ্টির উপর প্রচুর রাগ উঠছে দু’জনেই জোরে দরজায় থাপ্পড় মারে আর ডাকতে থাকে। আরও কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি দরজা খুলে দেয়। দরজা খুললে বর্ষা রিমা ঠেলে রুমে ঢুকে পরে আর সামনে তাকাতেই দু’জনের মাথায় আকাশ ভেঙে পরে পুরো রুমের জিনিস তো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছেই সাথে রুমের ফ্লোরে রক্ত।
ফ্লোরে রক্ত দেখতেই রিমা বৃষ্টির দিকে তাকায়। বর্ষা সাথে সাথে রুমের দরজা আটকে দেয়। চোখ মুখ ফুলে আলু হয়ে গেছে কাঁদতে কাঁদতে মুখ থেকে চোখ সরিয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে হাত থেকে রক্ত এখনো পরছে। বর্ষা ওর হাত দিয়ে বৃষ্টির হাত চেপে ধরে সাথে রিমাকে ফাস্ট টেজ বক্স নিয়ে আসতে বলে। অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে। অনেক খানিই কেটেছে হাতের ভেতরে সাদা মাংস দেখা যাচ্ছে। রক্ত জেনো থামার নামই নিচ্ছে না অনেক কষ্টে হাতে ব্যান্ডেজ করে দেয়। রক্ত পরাও বন্ধ হয়ে যায়। ফ্লোরের রক্তের দিকে একবার তাকিয়ে বর্ষা বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে ওর কাঁধে হাত রেখে বলল,,
কি করছিস কি তুই মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোর পাগল হয়ে গেছিস নিজের হাত কাটছিস তুই বুঝতে পারছি তুই কি করছিস, তুই এইসব কেন করছিস ওই ছেলেকে ভালোবেসে যার তোর প্রতি নাই বিশ্বাস আর না বাসে তোকে ভালো তার জন্য তুই নিজের ক্ষতি করছিস ভালোবাসা ভালো কিন্তু ভালোবাসায় অন্ধ হওয়া বোকামি তুই এখনো কেনো বুঝছিস না ওই ছেলে শুধু তোর সাথে টাইমপাস করছে।
বর্ষার কথা শেষ হতেই বৃষ্টি কাঁদতে কাঁদতে বলল,, আমি ওকে ভালোবাসি ও না বাসলেও আমি বাসি আর নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলছি, আমি থাকতে পারবো না ওকে ছাড়া আমার নিজেকে নিজের কাছে পাগল পাগল লাগছে আমি পাগল হয়ে যাবো ওকে ছাড়া আমি রাইটার বাবুকে ছাড়া থাকতে পারবো না আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে বর্ষা। কথাগুলো বলে বৃষ্টি বর্ষাকে জরিয়ে ধরে বৃষ্টির কথা শেষ হতেই রিমা বলে।
কি সব পাগলামি করছি বৃষ্টি তুই যদি আমার থেকে বড় না হতি তাহলে এখন তোর এই কাজে তোর গালে ঠাসসস করে চড় বসিয়ে দিতাম। বৃষ্টি কে কথাটা বলে রিমা বর্ষার দিকে তাকিয়ে বলল, তুই তো ওর এক মাসের ছোট তুই তো ওকে কিছু বলতে পারিস কিছু বলছিস না কেনো ওকে? বর্ষা রিমার দিকে চোখ বড়বড় করে তাকাতেই রিমা চুপ হয়ে যায় আর বিছানার অন্য পাশে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে পরে। বর্ষা বৃষ্টি কে ওর থেকে ছাড়িয়ে আবারও বুঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু বৃষ্টি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে। বর্ষা বৃষ্টির গায়ে চাদর টেনে দেয় এদিকে বৃষ্টি বালিশে মুখ গুজে কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পরে তারপর বর্ষা রিমা আবারও কাজের বেটির কাজ শুরু করে ফাস্ট ফ্লোরের রক্ত পরিস্কার করে তারপর রুমটা গুছায়। রুম ক্লিন করা হলে দু’জনেই বৃষ্টির মাথার কাছে বসে থাকে। বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রিমা বলে. কাল বাড়িতে কি বলল যখন সবাই ওর হাত দেখে জিজ্ঞেস করবে কি হইছে ব্যান্ডেজ কেনো তখন আমরা কি বলবে? বর্ষা রিমার দিকে তাকিয়ে ওর কথাগুলো শুনে তারপর ওর দিকে তাকিয়ে বলে, কাল সকালে আবার একটা মিথ্যে বলতে হবে। আর সকালের টা সকালে ভাববো এখন ঘুমা। দু’জনই বৃষ্টির দুই পাশে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলো। বৃষ্টির আম্মু রাতে খাবার খাওয়ার জন্য ওদের তিনজনকে ডাকতে আসে কিন্তু বর্ষা খাবে না বলে দেয় তিনজনের একজনও রাতে খায়নি। বৃষ্টির এমন অবস্থায় ওরা কি করে খাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টি বর্ষা রিমাকে প্রমিজ করে আর কখনো রিমন এর সাথে কথা বলবে না।
ব্রেকফাস্ট এর জন্য ডাইনিং টেবিলে গেলে বৃষ্টি কে জিজ্ঞেস করে সবাই হাতে ব্যান্ডেজ কেনো?
বৃষ্টি কারো কথার কোনো উত্তর দেয় না কোনো রকম খেয়ে উঠে চলে যায়। কোই আর যাবে ছাঁদে গেছে বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর বৃষ্টির আম্মু বর্ষা রিমাকে ভয় দেখিয়ে বলে হাতে ব্যান্ডেজ কেন? বর্ষা ওর চাচিকে বলে আসলে চাচি কাল রাতে বৃষ্টি আপেল কাটার সময় রিমা হঠাৎ বৃষ্টির উপর পরে যায় আর তখন ছুড়ি গিয়ে বৃষ্টির হাতের উপর লাগে আর হাত কেটে যায় । তারপর দু’জনেই সেখান থেকে কেটে পরে। সিঁড়ি দিয়ে উঠছে ছাদে যাওয়ার জন্য এদিকে রিমা বর্ষার পিঠে ঘুসি দিয়ে বলল, আমার নাম টাই ছিলো বলার আমি ওর উপরে গিয়ে পরছি আর কেটে গেছে৷ রিমার কথা শুনে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বর্ষা রিমাকে বলল, আর নয়তো কি বলতাম সত্যি কথা বলতাম যাতে পরে বৃষ্টি আমাকে ছাঁদ থেকে নিচে ফেলে দিক। সিঁড়ির উপর থেকে নামছিল কাব্য বর্ষার কথা শুনে কাব্য বলে। বৃষ্টি তোকে ছাঁদ থেকে কেনো ফেলে দিবে? কাব্যর ভয়েস শুনে বর্ষা রিমা অবাক হয়ে সিঁড়ির উপরের দিকে তাকালো তারপর

চলবে….?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here