পাগল প্রেমিকা পর্ব-২০

0
431

#পাগল_প্রেমিকা
#sharmin_akter_borsha
#পর্ব_২০
_______
বৃষ্টি জানালা দিয়ে বাহিরে রাতের অন্ধকার শহর দেখছে এমন সময় ডান পাশে বসে থাকা বজ্জাত ছেলেটা বলল.

” ডিয়ার শালিকা রাস্তায় কি দেখছো এদিকে দেখো আমি তোমার দুলাভাই তো এদিকে বসে আছি ”

কথাগুলো বলে রিমন শব্দ করে হাসতে শুরু করে দেয়৷ রিমন এর কথা ও হাসির শব্দ শুনে বৃষ্টির প্রচুর রাগ হচ্ছে। বৃষ্টি রিমন এর মুখের দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল.

” নষ্টাদের কোনো কাজ নেই মানুষকে খোচানো ছাড়া ”

বৃষ্টির কথা শুনে রিমন বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে চোখ ছোটোছোটো করে গম্ভীর কণ্ঠে বলল.!

” জানো আজকে কি? ”

রিমন এর কথা শুনে বৃষ্টি দু-চোখ ছোটো-ছোটো করে এক ভ্রু কুঁচকে রিমন এর দিকে তাকিয়ে পাল্টা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে বলল.

” কি আজকে? ”

রিমন বৃষ্টির কথা শুনে একটা হাসি দিলো যেটা বৃষ্টির একটুও ভালো লাগলো না দেখতে। হাসি দিয়ে রিমন বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বৃষ্টির মুখের সামনে একটু ঝুঁকে বলল.

” আজকে একটা নষ্টা ছেলের সাথে তোমার ফুলসজ্জা ”

রিমনের কথা শুনে বৃষ্টির চোখ কপালে উঠে যায় হা করে রিমনের দিকে তাকিয়ে থাকে। বৃষ্টির হা করা মুখ দেখে রিমন আরাম করে নড়েচড়ে বসে বৃষ্টির উদ্দেশ্যে বলল..

” মুখ টা বন্ধ কর মশা ঢুকে যাবে মশা তোর পেটের ভেতর গিয়ে নাগিন ডান্স করবে যেমন তুই কাল করেছিলি ”

বৃষ্টি রিমনের কথা রেগে এক হাঁটু গাড়ির সিটের উপর তুলে সোজা রিমনের কলার ধরে রিমনকে সিটের সাথে চেপে ধরে রিমন সামনে ঠিক মুখের সামনে মুখ নিয়ে বলল.

” নষ্টা সাহস কি করে হয় তোর এ কথা বলার তুই কি ভাবছিস তোর মতো নষ্টার সাথে আমি ফুলসজ্জা করবো। ফুল তো দূরের কথা তোর সাথে তো আমি কোনো সজ্জাই করবো না নষ্টা। ”

রিমন বৃষ্টি কে নিজের সামনে এভাবে ঝুঁকে থাকতে দেখে বৃষ্টি’র লেহেঙ্গার ওড়নার নিচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে কোমড় চেপে ধরে। রিমনের হাতের স্পর্শ পেয়ে বৃষ্টি হালকা কেঁপে উঠে যা দেখে রিমন ঠোঁট জোড়া এক সাথে করে মুচকি ডেভিল মার্কা হাসি দিলো। বৃষ্টি ওর এক হাত দিয়ে রিমনের হাত ধরে নেয় আর হাত টা সরিয়ে দেয় তারপর চট জলদি রিমনের সামনে থেকে সরে যায় আর সিটে আগের ন্যায় বসে পরে আর ওড়না ঠিক করছে যাতে আর হাত দিতে না পারে। বৃষ্টিকে নিজেকে আড়াল করতে দেখে রিমন দুষ্ট হাসি দিয়ে বৃষ্টির কানের কাছে মুখ লাগিয়ে ফিসফিস করে বলল।

” কি হলো সব দিদিগিরি শেষ ”

কথাটা বলে রিমন আবারও হাসতে থাকে। রিমনের হাসির দিকে বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বৃষ্টি আর রাগে ফুসফুস করছে রাগে গাল টমেটোর মতো লাল হয়ে গেছে। বৃষ্টির এই লাল টমেটোর মতো লাল গাল দু’টো দেখে রিমনের আরও হাসি পাচ্ছে রিমন ওর হাসি কন্ট্রোল করে বলে……

” তুমি আমার হাতটা সরিয়ে দিলে কেনো? আমার তো বেশ ভালোই লাগছিল তোমার পেটে হাত দিয়ে, কি নরম তুলতুলে পেট আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই আবারও ধরবো নাকি? ”

কথা বলে রিমন ওর এক হাত বৃষ্টির দিকে বাড়িয়ে দিতেই বৃষ্টি দুই হাত দিয়ে রিমনের হাতে উড়াধুড়া থাপ্পড় মারছে সাথে যা ইচ্ছা বলছে..

” অসভ্য ফাজিল লুচ্চা নষ্টা কুত্তা হাত ধরা ধরবি না আমারে বান্দর ”

বৃষ্টি ওর মুখ ফসকে অটোমেটিক কথাগুলো বপর হচ্ছে যা শুনে সামনে ড্রাইভারের খুব খারাপ অবস্থা বেচারা গাড়ি কি চালাবে হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে। সব শেষে বৃষ্টি রিমনের হাত ওর দুই হাত দিয়ে ধরে মুখের সামনে এনে কামড়ে দেয়. আর প্রতিউত্তরে “আহহ” নামক শব্দ করে বলে..!

” আহহ কামড়ে দিলো রে কুত্তী..”

রিমনের মুখে কুত্তী শুনে বৃষ্টি বলল।

” তুই কুত্তা শয়তান নষ্টা ধরবি না আমাকে আবারও যদি ধরিস কাঁচা খেয়ে ফেলবো ”

বৃষ্টির কথা শুনে রিমন অবাক হওয়ার মতো ফেস বানিয়ে বৃষ্টি কে বলল।

” ওরে আমার রাক্ষসী শালি রে ”

রিমনের মুখের কথায় বৃষ্টি রিমনের পায়ের উপর পাড়া দিয়ে বলল।

” আমি মোটেও তোর নই আর রাক্ষসী শালি তো দূরের কথা কেউ নই আমি তোর নষ্টা কোথাকার ভুলে যাবি না আমি ইচ্ছে করে তোকে বিয়ে করিনি এক প্রকার বাধ্য হয়ে করেছি শুধু পরিবারের মান সম্মান এর কথা ভেবে তোকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলাম তোর মতো নষ্টাকে বিয়ে করতে আমার বয়েই গেছিলো ভুলেও আমাকে টাচ করবি না। আর ভুলে যাস না তুই একটা লুচ্চা নষ্টা ১২ ভাতার আর কি কি করেছিলি আমার সাথে যার জন্য তোকে আমি ক্ষমা করিনি আর না কখনো করবো আমার। তোর সত্যি তুই নষ্টা আর একটা নষ্টা কখনো একজনের হতে পারে না তুই আর তোর বন্ধু গুলা না বলতি তুই পাবলিকের তাই তো তুই নষ্টা ”

কথাগুলো বৃষ্টি অনেক ক্ষোপ নিয়ে বলে যা সত্যি হলেও রিমনের কথাগুলো শুনে কষ্ট লাগে। বৃষ্টির কিছু কথায় রিমনের মুখের হাসি চলে যায়। বৃষ্টি র মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে রিমন জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে তাকায় বৃষ্টি ও অন্য পাশে ঘুরে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে।

অনেক রাত হয়ে গেছে গাড়িতে বসে ঘুমে ঢুলুঢুলু করছে বৃষ্টি রিমন ওর ফোন স্ক্রোল করছে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বৃষ্টি ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে রিমনের কাঁধের উপর মাথা রাখে। হঠাৎ কাঁধের উপর স্পর্শে পেয়ে রিমন ফোনের উপর থেকে চোখ সরিয়ে পাশে তাকাতে দেখল বৃষ্টি ঘুমে বিভোর হয়ে রিমনের কাঁধে হেলে পড়েছে গাড়ি চলছে বৃষ্টি ও নড়ছে নড়তে নড়তে বৃষ্টি নিচে পরে যেতে নিলে রিমন বৃষ্টির গালে হাত দিয়ে ধরে নেয় পরতে দেয় না বৃষ্টি কে।
রিমন ওর এক হাত দিয়ে বৃষ্টির গালে এসে পরে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে বৃষ্টির কপালে আলতো করে চুমু দেয়। ঘুমন্ত বৃষ্টির মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল রিমন।
তাকিয়ে থাকতে থাকতে কিছুক্ষণ পর রিমন বলল!

” হ্যাঁ আমি নষ্টা কিন্তু আমি এখন ভালো হয়ে গেছি প্রিয় তুমি নিজেও জানো না তোমাকে আমি কত জায়গায় খুঁজেছি কিন্তু পায়নি তুমি বলেছিলে তুমি বাক্ষ্মণবাড়িয়া তে থাকো তুমি নিজেও জানো না তোমাকে কতবার খুঁজতে গিয়েছিলাম আমি কিন্তু তোমাকে পাইনি আর পাবোই কি করে তোমাকে তো চিনতামই না নিজের ছবি দাওনি তুমি ছবি দিয়েছিলে অন্য কারো ঠিকানা বলেছিলে মিথ্যে তুমি জানো না গো প্রিয় তোমাকে কত খুঁজেছি। আমি বিয়ে করতে চাইনি শুধু মা’র অসুস্থতার জন্য রাজি হয়ে ছিলাম আর ভাগ্য দেখো সেই তোমাকেই আমার বউ করে দিয়েছেন আল্লাহ ঠিক বলেছো আমি অসভ্য আমি খারাপ আমি ভালো না বৃষ্টি সত্যি আমি ভালো না। ”

কথাগুলো বলে রিমন বৃষ্টির মাথায় চুমু দিলো। অন্য হাতের মোবাইল টা সিটের উপর রেখে বৃষ্টি কে সিটের উপর শুয়ালো। বৃষ্টি মাথা রিমন ওর কোলের উপর রাখে দুই পা সিটের উপর তুলে দেয়। বৃষ্টির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে রিমন বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে সারারাত কাটিয়ে দেয়। চাইলেই ঘুমাতে পারতো বসে কিন্তু ঘুমায়নি শুধু বৃষ্টি কে দেখেছে।

খুব সকালে ভোর সাড়ে পাঁচ টায় পৌঁছে যায় রিমন ওরা ওদের বাড়িতে। রিমন গাড়ি থেকে নেমে বৃষ্টি কে কোলে তুলে নেয় আর বাড়ির সামনে চলে আসে। বাড়ির বাহিরে দাঁড়িয়ে কলিংবেল বাজাতেই রিমন এর মা এসে দরজা খুলে দেয়। ঘুমন্ত অবস্থায় রিমন ও বৃষ্টি কে বরণ করে। বৃষ্টি কে কোলে নিয়েই রিমন বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। সারারাত জার্নি করে এসেছে তাই রুমে চলে যেতে বলে। সকালে বাকি নিয়ম পালন করবেন বলে জানান সোহান এর মা। রিমন বৃষ্টি কে নিয়ে ওর রুমে নিয়ে শুইয়ে দিয়ে উপরে কাঁথা দিয়ে দেয়।
ও দিকে সোহান ও রিমি ওর আম্মু রুমে নিয়ে বলে শুরু থেকে সবটা। সব শুনে সোহান এর মা বলল।

” কেমন মেয়ে বিয়ে করবে না বলে পালিয়ে গেছে? ”

মার কথা শুনে সোহান বলল।

” তনিমা পালিয়ে যায় নি মা। ”

সোহানের কথা শুনে রিমি ভ্রু নাচিয়ে সোহানের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে মারে আর বলে.

” পালিয়ে যায়নি মানে? ”

রিমির প্রশ্নের প্রতিউত্তরে সোহান দীর্ঘ শ্বাস ফেলে সবটা বলল।

” কি বলল সেটা রহস্য থাক পরে কোনো ন কোনো পর্বে জানতে পারবেন। ”

সকাল তখন প্রায় সাতটা বাজে রিমন বৃষ্টির পায়ের কাছেই বসে ছিলো হঠাৎ বৃষ্টি ঘুমের মধ্যে চিৎকার করতে লাগল আর বলতে লাগল।

” নষ্টা অসভ্য লুচ্চা ধরবি না আমাকে সর বলতাছি ছাড় আমারে।”

ঠিকই ভাবছেন আপনারা বৃষ্টি রিমনকে স্বপ্নে দেখছে। রিমনের সাথে স্বপ্নে হাতাহাতি হচ্ছে ইয়াপ। এমন সময় বৃষ্টি কারাটে করা শুরু করল। রিমন বৃষ্টির এমন অদ্ভুত আচরণে অবাক হয়ে বৃষ্টি কি হয়েছে তোমার বলতে বলতে বৃষ্টি কে টাচ করতে গেলে বৃষ্টি উড়াম দড়াম দিলো এক উস্টা।
উস্টা খেয়ে সাথে সাথে রিমন বিছানা থেকে নিচে পরে যায়। কারো পরে যাওয়ার শব্দ শুনে বৃষ্টি লাফ দিয়ে উঠে আর দেখে রিমন নিচে বসে আছে। যা দেখে বৃষ্টি ভ্রু কুঁচকে রিমনকে জিজ্ঞেস করল।

” রুমের মধ্যে কি জায়গার অভাব পরেছে যে আপনি নিচে বসে আছেন? ”

এমনিতে উস্টা দিয়ে ফেলে দিছে উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করছে নিচে কেনো বসে আছে। ভাবতেই রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে। রিমন নিচে বসে থেকেই বৃষ্টি কে বলল.

” ওই ছেড়ি আমি নিচে বসে আছি নাকি তুই উস্টা দিয়া ফালাই দিছোস ”

রিমনের মুখে যখন বৃষ্টি শুনল ও রিমনকে উস্টা দিয়ে খাট থেকে ফালাইয়া দিছে আহা কি হাসি রে ওরে কি হাসি আল্লাহ কে দেখে বৃষ্টির চরম লেভেলের উচ্চত মানের হাসি। এভাবে হাসতে দেখে রিমনের রাগ দ্বিগুন বেড়ে গেলো আর বলল।

” ওই তুই হাসতাছিস কেন এক তো উস্টা দিছোস দুই আবার হাসতাছিস? ”

রিমনের কথায় বৃষ্টি হাসি থামিয়ে বলল।

” তুই না কথায় কথায় বলতি আমাকে উস্টা দিবি এখন দেখ কে কাকে উস্টা দিলো আমি দিছি তাও তোকে ভেবেই আমার হাসি পাচ্ছে ওরে আল্লাহ আমার গাল ব্যাথা হয়ে গেছে কিন্তু হাসি থামছে না”

এমন সময় রিমন ফ্লোরে থেকে উঠে বৃষ্টির সামনে এসে বৃষ্টির হাত ধরে ওর সামনে দাঁড় করিয়ে বলল।

” তোর খুব হাসি পাচ্ছে না দাঁড়া তোর হাসি ছুটাচ্ছি ”

কথাটা বলে রিমন বৃষ্টিকে পেছনে ঘুরিয়ে ওর হাত পেছনে নিয়ে চেপে ধরে। হাতে একটু ব্যাথা পাচ্ছে তাই জোর গলায় রাগী কন্ঠে বৃষ্টি বলল.

” ছাড় বলছি আমাকে কুত্তা নষ্টা ছাড় কইতাছি ”

বৃষ্টির মুখে আবারও নষ্টা শুনে রিমন বৃষ্টির হাত ছেড়ে দেয় আর বলে।

” তুই আমাকে একদম নষ্টা বলবি না বললাম। ”

বৃষ্টি হাত দু’বার ঘুরিয়ে হাত ঢলতে ঢলতে বলল।

“বলবো বলবো বলবো একশো বার বলবো হাজার বার বলব তুই নষ্টা তুই নষ্টা মানে তুই নষ্টাই ”

রিমন বৃষ্টির দিকে চোখ ছোটো-ছোটো করে তাকিয়ে বলল।

” আমি নষ্টা? ”

রিমনের কথা শুনে বৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরে বলল।

হ্যাঁ তুই নষ্টা আর নষ্টাকে আমি নষ্টা বলতে মানে আমি সত্যি কথা বলতে ভয় পাই না হুহহ আমিও…
আর কিছু বলার আগেই রিমন বৃষ্টির হাত ধরে ওর দিকে বৃষ্টি কে ঘুরিয়ে সোজা বৃষ্টির দুই গাল রিমন ওর দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে বৃষ্টির ঠোঁট জোড়ার সাথে রিমনের ঠোঁট জোড়া মিশিয়ে দিলো। বৃষ্টি চোখ বড়বড় করে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে বৃষ্টি ভাবেওনি রিমন এমন কিছু করবে। বৃষ্টির হুশশ ফিরতেই বৃষ্টি এক ধাক্কা দিয়ে রিমনকে ওর সামনে থেকে সরিয়ে দেয় আর কাঁদো কাঁদো সুরে বলে।

” লুচ্চা অসভ্য নষ্টা আমার ঠোঁট ”

রিমন একটু দূরে সরে হাতের আঙুল দিয়ে ওর ঠোঁট মুছতে মুছতে বলল আমি না নষ্টা আর নষ্টারা এমন টাই করে আর যদি নষ্টা বলিস তখন আরও বেশি করবো দেখিস নষ্টা কাকে বলে তোকে দেখিয়ে দেবো।

বৃষ্টি ওর হাত দিয়ে ঠোঁট মুছতে মুছতে বলল.!

” লুচ্চা কুত্তা নষ্টা আজকে তোর একদিন আমার যতদিন লাগে ”

কথাটা বলে রিমনের পেছনে দৌঁড় দেয় রিমন তো এক দৌঁড়ে রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে যায়। দৌড়াতে দৌড়াতে বাহিরে সবার সামনে গেলে সবাই রিমন কে দেখে হাসতে শুরু করে ওরে কি হাসি হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের উপর হেলে পরছে। সবার এমন হাসির কারণ বুঝতে পারছে না রিমন প্রচন্ড রেগে সবার দিকে তাকিয়ে ধমক দিয়ে বলল।

” তোমরা সবাই এমন করে হাসছো কেনো হাহহ জোকার দেখেছো মনে হচ্ছে ”

রিমি হাসি থামিয়ে বলল….

” ভাই আয়নায় তোর মুখটা একটু দেখ ”

কথাটা বলে রিমি আবারও আগের ন্যায় হাসতে থাকে রিমনের সবার হাসি দেখে বিরক্ত লাগছে খুব সকালে উস্টা দিয়ে খাট থেকে ফেলে দিলো পরে ও পাগলের মতো কতক্ষণ হাসলো আর এখন এখানে সবাই হাসছে ভাবতেই মেজাম বিগড়ে যাচ্ছে এমন সময় একটা বাচ্চা মেয়ে একটা ছোটো আয়না এনে রিমনের সামনে ধরে বলল।

” নাও ভাইয়া নিজেকে একটু দেখো ”

বিরক্তিকর ভাব নিয়ে মেয়েটার হাত থেকে আয়না টা নিলো রিমন আয়না টা মুখের সামনে ধরতেই যা দেখলো সেটার জন্য প্রস্তুত ছিলো না রিমন এমন দূর্দশা ভাবা যায়। হাত থেকে আয়নাটা ধপ করে পরে গেলো রিমন দুই চোখ ফেলফেল করে সবার দিকে তাকিয়ে আছে ছোটো বড় সবাই রিমনের দিকে তাকিয়ে হেসেই যাচ্ছে ঠিক তখনই রিমন সবাইকে একটা…
রি-চেইক করা হয়নি ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here