পাতাঝরার শেষে……
©মৌপর্ণা
পর্ব ৯) ভালোবাসা বোধহয় এরকমই! আনকন্ডিশনাল……
আরও মাস দুয়েক পরের কথা,
অফিস, টিউশন, করে এমনি ভালোই কাটছিলো দিন,
শুধু মিস্টার রায়ের সাথে ঝামেলাটা এখনো মেটাতে পারেনি অন্বেষা….
লোকটা যত ভালো মনের মানুষিই হোকনা কেন,
লোকটা যে ভীষণ জেদ ও আত্মসম্মান নিয়ে চলে সেটা শেষ কয়েকমাসে ভালোই বুঝে গিয়েছিলো অন্বেষা!
নয়তো অন্বেষা কম চেষ্টা করেনি লোকটার মুখোমুখি হওয়ার, প্রতিদিন দশটা ঘন্টা একিই অফিসে থাকলেও লোকটা কিছুতেই মুখোমুখি হয়নি অন্বেষার, রিতিকা কে পড়াতে গিয়েও রোজ দেখেছে তার ঘর বন্ধ!
অফিস জয়েন করতে না করতেই অন্বেষা জানতে পারে অফিসের যাবতীয় কাজে ও দায়িত্বে মিস্টার অরুণজিৎ রায়! সার্প, ইন্টেলিজেন্ট, রেস্পন্সিবল একজন মানুষ, স্বভাব চরিত্রের দিক থেকেও একদম নিখাদ মানুষ!
কম্পানির Owner রুদ্রনীল রায়, অরুণজিৎ রায়ের জেঠু বেশিরভাগ সময়টাই থাকেনা সে অফিসে, বাড়িতেও কখনো দেখেনি অন্বেষা লোকটাকে….
তবে অরুণজিৎ রায়ের বাবা কোথায় সে খবর পাইনি অন্বেষা এখনো…..
মাঝেমাঝে আরও একটা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে
অন্বেষার মাথায়….
অফিসে ওরকম একটা পার্সোনালিটির লোক, এতো নিখুঁত ডিসিশন, নিখুঁত কাজ যার, সে এরকম নিজেকে কেন গুটিয়ে রাখে ?
আজও সে ব্যাচেলার, সিঙ্গেল, অথচ বেশিরভাগ মেয়েই যে তার জন্যে পাগল সেটা অন্বেষা শুনেছে অনেকবার!
একবার অরুণজিৎ রায় রুডলি কথা বললেও সেইদিন টা নাকি ম্যাজিক্যাল! এরকম বোকাবোকা কথা তো প্রায়ই শুনতে পায় অন্বেষা!
অথচ লোকটা শুধু রুডলি নয়, অনেকদিন অনেক ভালো ভাবেও কথা বলেছে অন্বেষার সাথে,
সেদিনের দরজার নব টার কারণে হওয়া ঝগড়াটার পরেই যেন লোকটা পুরো avoid
করে অন্বেষা কে ……
অবশ্য avoid করারই কথা…..অত বড়ো একজন
মানুষ কেনই বা অন্বেষার মেজাজ শুনবে…..
ইদানিং মিস্টার রায়ের সম্পর্কে শোনা কথাগুলো একটাও বিশ্বাস হয়না অন্বেষার,
এরকম একজন পার্সোনালিটির মানুষ Arrest কি ভাবে থাকতে পারে? এইরকম একজন মানুষ সাইকোলোজিকালি ইল? কোথায় আজকাল তো মনে হয়না সেরকম!
যদিও লোকটার IQ
, মেমরি পাওয়ার সত্যি অস্বাভাবিক বেশি!
নয়তো সেম টু সেম কেমিকাল Equation
যেটা তিনি প্রথম দিন সল্ভ করতে দিয়েছিলেন
সেটাই আবার ইন্টারভিউতে করতে দিতেন!
সাধারণ মানুষের তো মনে থাকারীই কথা নয়!
মাঝেমাঝে জট পাকিয়ে আসে মনের ভেতর…..
মাথা তে ঘুরেফিরে আসে আরও একটা বড়ো প্রশ্ন…..
কেন অতবড় রাজপ্রাসাদে জায়গা হয়নি তার, কেন তাকে এডজাস্ট করতে হয় ঘুপটি ঘরে,
অথচ অফিসে কি বিশাল কেবিন!
খোলা মেলা কেবিনে সবসময় সূর্যের আলো ছড়িয়ে থাকে, কেবিন থেকে দেখা যায় নীচের রাস্তা, গাছগাছালি, এবং রাস্তার ওপর দিয়ে যাওয়া অজশ্র গাড়িঘোড়া …….
লোকটা চরিত্রের দিক থেকে নিখাদ মানুষ….
তবে হ্যাঁ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কড়া, কাটকাট রুক্ষ কথাবার্তা, মুখে হাসি নেই একটুও….
অবশ্য এসব দেখতেই সবাই অভ্যাস্ত এখন…….
আজকে অফিস থেকে এসে সবে মুখ হাত ধুয়ে পাখাটা চালিয়ে ঘরে বসলো এসে অন্বেষা, মাস তিনেক হলো বাড়িতে অল্প কিছু টাকা পাঠায় অন্বেষা প্রতি মাসে, বাড়ির সবাই ভীষণ খুশি, ইদানিং বিয়ে নিয়েও তাড়াহুড়ো করার ব্যাপারটা অনেকটাই কমেছে……
একমনে তখনও অন্বেষা ভেবে চলেছে মিস্টার রায়ের কথা, হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো অন্বেষার……..
“হ্যালো মা! এই তো এক্ষুণি ফোন করতাম
….”
“অন্বেষা, তোর বাবা বাইক থেকে পরে গিয়েছে, মাথার দিকটা থেকে বিভৎস্য চোট পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে, প্রচন্ড রক্ত বেরোচ্ছে রে, আমরা কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা কি করবো!”
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাটা শেষ করলেন অন্বেষার মা মেনকা দেবী…..
“মা! এসব কখন হলো? কি করে হলো মা? আমাকে কেন জানাওনি এতক্ষণ!
কি করবো এবারে! তোমরা এখন কোথায় মা?”
কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো জিজ্ঞেস করে চললো অন্বেষা…..
“আমরা এখানে একটা হাসপাতালে, ওরা কিছুই করছেনা জানিস… জেনারেল বেডে ফেলে রেখে দিয়েছে!” ভাঙাভাঙা গলায় বলে চললেন মেনকা দেবী…..
“তোর বাবার অবস্থা একদম ভালো নেইরে অন্বেষা! একবার দেখে যা মানুষটাকে, কতক্ষণ থাকবে সে আমাদের মধ্যে….” কথাগুলো এবারে জড়িয়ে এলো মেনকা দেবীর…..
“আমি কিছু একটা করবো মা! বাবার কিচ্ছু হবেনা….”
ফোনটা দ্রুত রেখে অন্বেষা বসে রইলো মিনিট পাঁচেক, তারপর প্রথমেই ফোন করলো তার রিয়া দি কে, রিয়া দির ফোনটা তিনবার রিং হয়ে কেটে গিয়েছে, রিয়া দি দিন দুয়েকের এর জন্যে নিজের বাড়ি গিয়েছে…….
তারপর কি খেয়াল হলো অন্বেষা জানেনা, দ্রুত ডায়াল করে ফেললো মিস্টার রায়ের নম্বর….
দু তিনটে রিং হতেনা হতেই ফোনটা রিসিভ করলো ফোনের ও পাশের মানুষটা….
“হ্যালো! মিস মিত্র, এখন আমি একটু ব্যস্ত আছি, সেরকম কিছু দরকার না থাকলে…..
“মিস্টার রায়, বাবা বাইক থেকে পরে গিয়ে বিভৎস্য ভাবে আহত, সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে একবার দুর্গাপুর যেতে হবে, আপনি একটু অফিসে আমার সুপারভাইসর কে ইনফর্ম করে দেবেন প্লিজ…..” বলে ফোনটা ধরে হাউহাউ করে কাঁদতে থাকলো অন্বেষা…..
“হোয়াট? কখন হলো এসব?”
“এই তো মিনিট পাঁচেক হলো মা ফোন করে বললো!”
“এখন কোথায় আছো? পিজি তে…”
“হমম….”
আবারো একটা চাপা কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলো মিস্টার রায়….
“অন্বেষা! রিলাক্স! ওকে? আমি আসছি এক্ষুণি…..এক্ষুণি আসছি আমি, তুমি রেডি হয়ে নাও…..”
অন্বেষা কিচ্ছুই বুঝতে পারলোনা, কোনোরকমে একটা বাইরের পড়ার জামা গলিয়ে ফোন হাতে নিয়ে বসে রইলো খাটের ওপর!
মিনিট পনেরোর মধ্যেই ফোনটা আবার বেজে উঠলো অন্বেষার,
“নীচে দাঁড়িয়ে, তাড়াতাড়ি নীচে নেমে এসো
…..”
ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে হুড়হুড় করে অন্বেষা নেমে গেলো সিঁড়ি বেয়ে, তারপর সাথে সাথেই উঠে বসলো গাড়ির ফ্রন্ট সিটে মিস্টার রায়ের পাশে…..
“লিসেন অন্বেষা! লিসেন, আমরা এখন Amri যাচ্ছি ওকে! Amri হসপিটালের সাথে কম্পানির টাই আপ আছে, HR এর কথা হয়েছে তোমার দাদা দেড় সাথে, ওরা বোধহয় এতক্ষণে তোমার বাবা কে নিয়ে রওনা হয়েছে একটা অ্যাম্বুলেন্সে করে!”
“কখন?” বিস্মিত মুখে প্রশ্নটা জিজ্ঞেশ করলো অন্বেষা……
“মিনিট পাঁচেক হলো! ওখানে থেকে কোনো লাভ হতোনা! কোনো ট্রিটমেন্ট শুরুই হয়নি ওখানে…. লাস্ট দুঘন্টা এমনিই ফেলে রেখেছে,
এখন আমরা Amri যাচ্ছি, HR একবার কথা বলেছেন, আমরা ওখানে গিয়েই ওয়েট করবো….কেমন! সব ঠিক হয়ে হবে……রিলাক্স! আমি আছি ওকে?”
অন্বেষা কোনো উত্তর দিলোনা, চুপচাপ বসে রইলো গাড়ির ফ্রন্ট সিটে, কাঁচ দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলো…..
ঘন্টা চারেক পর ওরা সমরেশ বাবু কে নিয়ে পৌঁছলেন Amri হসপিটালে, অন্বেষা বসে রইলো মেনকার দেবীর হাত ধরে……
“মিস মিত্র!”
“হ্যাঁ বলুন….”
“আমি কথা বলেছি ডক্টরের সাথে, দে আর ট্রাইং দেয়ার বেস্ট! সব ঠিক হয়ে যাবে কেমন! আমি আসছি এখন, তোমার দাদাদের সাথেও কথা হয়েছে, ওকে? যেকোনো প্রব্লেমস এ আমাকে বা HR কে কল করবে? আমি এখন আসছি….অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছে! আর কিছু কাজও পরে রয়েছে, অফিস ফিরতে হবে আমায়….”
অন্বেষা ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখলো ঘড়িতে ঠিক একটা কুড়ি! দিনের তারিখ পাল্টে গিয়েছে ইতিমধ্যেই!
মুহূর্তেই অন্বেষার খুড়তোতো ভাই এসে দাঁড়ালো ওদের সামনে, তারপর মিস্টার রায়ের দিকে চেয়ে বললো
“স্যার! আপনি কিছু খেয়েছেন? না মানে আপনি আমাদের এতগুলো বিস্কিট, কেকের প্যাকেট দিয়ে গেলেন, আপনি নিজে…..”
“হ্যাঁ আমি ডিনার করেছি! ওটা তোমাদের জন্যে….”
অন্বেষা অবাক হয়ে চেয়ে রইলো মিস্টার রায়ের দিকে, কখন ডিনার করলেন উনি! সন্ধ্যে থেকে রাত অবধি তো অন্বেষার সাথেই ছিলেন, নীচে অবশ্য গিয়েছিলেন একবার, তখনই খুব সম্ভত খাবার গুলো এনেছিলেন…..
তবে সে খাবার সত্যি মুখে তুলেছেন?
মিস্টার রায় এগিয়ে গেলো এক্সিট গেটের দিকে…..
অদ্ভুত ভাবে পরের দিন সকালে কম্পানির HR ফোন করে একটা রেন্টেড Address এর কন্টাক্ট শেয়ার করলেন অন্বেষার সাথে….
সত্যি তো বাড়ির এতো গুলো লোক তো পিজির ঘরে থাকতে পারবেনা….
ব্যাপারটা এর আগে ভেবেই দেখেনি অন্বেষা….
***********************************************************
আজ আট দিন পর অন্বেষা জয়েন করেছে অফিসে, আরও দিনদুয়েকের মধ্যেই ছেড়ে দেবে ওরা সমরেশ বাবু মানে অন্বেষার বাবা কে….
অন্বেষা ভাবেও নি কখনো উইদাউট OT
শুধু মেডিসিনে দিন দশেকের মধ্যেই ঠিক হয়ে উঠবেন সমরেশ বাবু…..
গত রাতে ইম্প্রোভমেন্টের কথা ও রিলিস ডেট শুনে কাল রাতে বেশ ঘুম হয়েছে বাকি সবাড়ির, সমরেশ বাবুও এখন ফোনে, সামনাসামনি কথা বলেছেন বাড়ির সবাড়ির সাথে,
উনিই তো বললেন অন্বেষা কে আর ছুটি না নিতে, উনি এখন ভালোই আছে আর তাছাড়া বাড়ির অনেকেই আছে, গত পরশু দিন কাকা রা এসেছেন সবাই….
এইসবের মাঝে একটা সপ্তাহ রিতিকা কেও পড়াতে যাওয়া হয়নি, তবে এই সপ্তাহে যেতে হবে……
*********************************************************
(আরও দিন পনেরো পরের ঘটনা….)
দিন দুয়েক হলো সমরেশ বাবু, মেনকা দেবী ও বাড়ির সবাই ফিরেছেন দুর্গাপুর!
অন্বেষা কত করে বলেছিলো আরও দু চারটে দিন থেকে যেতে, তবে দোকান দোকান করেই পাগল সমরেশ বাবু!
কিছুতেই তাকে রাখা গেলোনা কলকাতায়…..
যাওয়ার আগে মেয়েকে প্রাণ ভর্তি করে আশীর্বাদ করে গেলেন মিত্র দম্পতি!
সেই আবার পুজোতে দেখা! আরও মাস দুয়েক বাকি এখনো পুজো আসতে……..
তাও এবছর নতুন চাকরি, কতদিন ছুটি পাওয়া যাবে কে জানে!
ওদের কে বিদায় জানাতে কেমন যেন বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো অন্বেষার!
মায়ের আদর মাখা স্পর্শ ভরা হাত গত কুড়িদিন কেমন যেন আবার অভ্যেস হয়ে গিয়েছিলো অন্বেষার!
কথাগুলো বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভাবতে ভাবতে আবার চোখের সামনেটা কেমন যেন ঝাপসা হয়ে এলো…..
রিয়া দি ইদানিং
পলাশ দা মানে রিয়া দির নতুন বয় ফ্রেন্ডের সাথে ফোনেই ব্যস্ত থাকে বেশির ভাগ সময়টা…..
মাঝেমাঝে ওদের কে এভাবে কথা বলতে দেখলেও কেমন যেন একটা চাপা কষ্ট অনুভব করে অন্বেষা, কারণে অকারণে ভেসে ওঠে মিস্টার রায়ের মুখটা…..
সমরেশ বাবুর এক্সিডেন্টের পর কেমন যেন লোকটার জন্যে লুকোনো অদৃশ ভালোবাসাটা বেড়ে চলেছে দিনপ্রতিদিন!
নিজেকে কেমন যেন বড়ো বিশ্বাসঘাতক মনে হয় অন্বেষার, নয়তো একটা লোক সারাটারাত জেগে থিসিস ফাইল রিট্রিভ করার পরও অন্বেষা কি ভাবে পারলো তাকে বারবার অপমান করতে!
অথচ সেই একিই মানুষ না থাকলে আজ চাকরিটাও থাকতো না, আবার হয়তো বাবা সুস্থ হয়ে ফিরে যেতেন না!
অন্বেষা সবটা জানে কি ভাবে উনি প্রতিটা মুহূর্ত কাছেনা থেকেও বারবার খোঁজ নিয়েছেন বাবার…..
লোকটা কেন এরকম অদ্ভুত!
সবসময় অন্বেষার পাশেই থাকেন তবুও এতটা দূরত্ব কেন বজায় রাখেন…..
কেন মুখোমুখি হন না অন্বেষার, কেনই বা প্রয়োজন ছাড়া ফোন করলে বাঁকা কথা শুনিয়ে দেন….
শুন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে ভাবতে বিন্দু বিন্দু জল চোখ বেয়ে নেমে এলো গালে,
রাতটা বেশ অন্ধকার, তারাগুলো ঘন মেঘে ঢাকা, একাদশীর একফালি চাঁদ আকাশে থাকলেও সেও ঢেকে রয়েছে মেঘের তলায়…
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হলো এরই মধ্যে, হালকা হাওয়ায় ঝিরিঝিরি জলের বিন্দু আলতো স্পর্শ করলো অন্বেষার চোখ, মুখ, ঠোঁট……
হাউহাউ করে খানিকটা কাঁদতে পারলে মনের ভেতরের ঝড়টা একটু শান্ত হতো, কেন এতো কষ্ট হচ্ছিলো অন্বেষার, বুঝতে পারলোনা সে নিজে!
একবার মনে হলে মা বাবা কে দেখবে বলে মনটা ছটফট করছে, তারপর মনে হলো মিস্টার রায় একবার ভালো করে হাসি মুখে কথা বললেই বোধহয় তার সব যন্ত্রনা মুছে যেত নিমেষে!
মিস্টার রায়ের যাই পাস্ট থাকুক না কেন, ওনার পাস্টে ক্রাইম রেকর্ড থাকুক না থাকুক
উনি সাইকোলোজিকালি সুস্থ হোক না হোক তাতে আর কিচ্ছু এসে যায়না অন্বেষার!
ভালোবাসা বোধহয় এরকমই! আনকন্ডিশনাল……
বুকের ভেতরে জমানো ভালোবাসাটা কে জোরকরে চেপে রাখতে রাখতে আজ সে বড়োই ক্লান্ত!
ক্লান্ত হয়ে অন্বেষা বসে পড়লো ভেজা বারান্দায়! বৃষ্টির গতি বেড়েছে তখন!
ঝড়ের হওয়ায় বৃষ্টির জলে ভিজতে থাকলো অন্বেষার পরণের নাইটি, চুল, মুখ ! ভেজা বারান্দায় বসে রইলো অন্বেষা!
ব্যালকনির সামনেটা তখন ঝাপসা হয়ে এসেছে প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে!
(চলবে….)