পার্থক্য
১৫ পর্ব।
#রিফাত_হোসেন।
২৮.
তারিন মন খারাপ করে বসে আছে। তিশা বার বার করে জিজ্ঞেস করছে – ‘কী হয়েছে।’ কিন্তু তারিনের কোন উত্তর পাচ্ছে না তিশা । যেন তারিন নিজেও জানেনা তখন রিফাত কে কেন ওভাবে জড়িয়ে ধরছিলো । তারিনের ভাষায় অপ্রকাশিত উত্তর একটাই তখন এক অন্য জগতে চলে গিয়েছিলো। তখন মনে হয়েছিলো আশেপাশে কী আছে তা দেখার সময় নেই আমার। শুধু একটা কথাই মনে হয়েছে কারোর বুকে মুখ লুকালে যেন নিজের মনের ভিতর শান্তি ফিরে আসবে। সে এক অদ্ভুত অনুভূতি। পৃথিবীর বুকে থাকা সমস্ত সুখ যেন সামনে থাকা মানুষটার বাহুডোরে জমা হয়ে আছে আছে।
আর কেন রিফাত চলে যাওয়াতে কেঁদে দিলাম আমি। কী হয়েছে আমার? তাহলে কী সত্যি আমি রিফাত কে ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব। আমি তো আর কাউকে ভালোবাসতে পারবো না। একজন কে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালো বেসেছিলাম। কিন্তু সে আমাকে ঠকিয়েছে। আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমি আর সেই কষ্ট পেতে চাই না। তবুও কেন বার বার ইচ্ছে করছে রিফাত কে ভালোবাসতে। কী আছে ছেলেটার মধ্যে, যা আমাকে শত বাধা অতিক্রম করে তার দিকে টানছে।
তিশার কথায় তারিনের ভাবনার ছেদ পড়লো।
তিশা বলল – ‘সত্যি করে একটা কথা বলবি।’
– ‘কী?’
– ‘তুই কী রিফাত ভাইয়া কে ভালোবাসিস?’
তিশার প্রশ্ন শুনে তারিন চুপ হয়ে গেল। কারণ তারিনের কাছে এর কোন উত্তর নেই। তারিন নিজেও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কোন উত্তর পায়নি। যতবারই এই প্রশ্নের উত্তর এর কাছাকাছি গেছে ততবারই আশিক এর মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। তারিন অনেক চেষ্টা করেও আশিকের মুখ সরাতে পারেনি। কারণ এই মুখে কোন হিংস্রতা নেই। নেই কোন শয়তান হাসি। যেই মুখটা আশিকের সাথে কাটানো শেষ মুহূর্তে তারিন উপহার হিসেবে পেয়েছে । যে মুখ দেখলে তারিনের শরীরে কাঁপুনি দিয়ে যায়।
এটা সেই মুখ না। এই মুখে আছে অজস্র মায়া আর ভালোবাসা। যেখানে একবার তাকালে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে৷ আশিকের সাথে প্রথম দেখা হওয়ার সময় যেই মুখ ছিলো আজ সেই মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠছে। এই মুখটা কে তারিন নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালো বেসেছিলো। কিন্তু শেষ দেখা হওয়ার সময় একটা হিংস্র মুখ সব ভালোবাসা ভেঙে তচনচ করে দিয়েছে। তাহলে কেন আবার নতুন করে কাউকে ভালোবাসতে পারছে না তারিন। কেন বার বার সেই মায়াভরা মুখটা তারিন কে বাধা দিচ্ছে। কী উদ্দেশ্য এই মুখটার। উফ তারিন আর ভাবতে পারছে না। মাথাটা প্রচন্ড যন্ত্রণা করছে।
তারিনের অবস্থা দেখে তিশা ঘুমাতে বলল।
তিশা আর কোন কথা না বলে ঘুমিয়ে পড়লো।
রিফাত ট্রেন থেকে নেমে আনমনা হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। যেন নিজের কোন হুস নেই। পুরো বেসামাল হয়ে গেছে। মনের ভিতর গাঁথা তীব্র কষ্ট সাথে নিয়ে হাঁটছে। সামনে দিয়ে দ্রুত গতিতে ট্রাক আসছে, কিন্তু রিফাতের সেদিকে কোন খেয়াল নেই। দেখে মনে হচ্ছে হাজার চিন্তা রিফাতের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে ট্রাকটা রিফাতের অনেক কাছে চলে এসেছে। আশেপাশে সবাই তাকিয়ে আছে, কিন্তু কেউ রিফাত কে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসছে না। হঠাৎ করে ট্রাকটা দ্রুত গতিতে রিফাতের উপর দিয়ে চালিয়ে দিলো। রিফাতের নিথর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রইলো।
হঠাৎ তারিন “রিফাত” বলে চিৎকার করে লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে গেল। পাশেই তারিন বসে বসে চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের সাথে কথা বলছিলো। তারিন এভাবে চিৎকার করাতে ও অনেক ভয় পেয়ে গেছে। তারিন এখনো তিশাদের বাড়িতে আছে, তাই তারিনের চিৎকার শুনে তিশার বাবা-মা চলে আসলো। এসে দেখে তারিন ভয়ে কাঁপছে। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে তিশা কে। তারিন কে নিয়ে তিশা ও খুব চিন্তিত। তিশার বাবা এসে জিজ্ঞেস করলো – ‘কী হয়েছে তারিননের এভাবে চিৎকার করলো কেন?’
– ‘তেমন কিছুনা বাবা, হয়তো কোন খারাপ স্বপ্ন দেখেছে। তাই এইরকম করছে। তোমরা ঘরে যাও আমি দেখছি ওকে।’
“ছোটবেলায় লেখকের আম্মু বলতো’ হাতপাখা টা আমার কাছে দিয়ে সবাই বাইরে যাও, ওকে আমি দেখে নিচ্ছি।”
তিশার বাবা- মা ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তিশা তারিনকে পানি খেতে দিলো। তারিন পানি খেয়ে কিছুটা শান্ত হলো। তারপর জিজ্ঞেস করলো – ‘এভাবে চেঁচিয়ে উঠলি কেন?’
তারিন কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল – ‘রিফাতের রক্তাক্ত শরীর ।’
এইটুকু বলে আবার তিশার বুকে মুখ লুকালো। তিশার আর বুঝতে বাকি রইলো না, তারিনের এইরকম হওয়ার কারণ কী। নিশ্চয়ই রিফাত কে নিয়ে কোন খারাপ স্বপ্ন দেখেছে।
কিছুক্ষন নীরব থেকে তারিন নিজেকে সামলে নিলো। নিজের মনকে শান্ত করলো এটা ভেবে, যা দেখেছে পুরোটাই একটা দুঃস্বপ্ন ছিলো।
২৯.
বাড়িতে গিয়ে রিফাত চুপচাপ নিজের ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দিলো৷ আয়শা বেগম (রিফাতের মা) দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করছে কী হয়েছে। কিন্তু রিফাত কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে বসে আছে৷ উত্তর না পেয়ে তিনি আরিয়ানের রুমে যায়। তারপর জিজ্ঞেস করে- ‘রিফাতের কী হয়েছে আরিয়ান, এভাবে ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে আছে কেন?’
– ‘মা তুমি কোন চিন্তা কর না। এমনি একটু মন খারাপ। কিছুক্ষন পর সব ঠিক হয়ে যাবে।
আয়শা বেগম আর তেমন কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। শুধু ঘর থেকে যাওয়ার আগে বলল – ‘তুই একটু ওর কাছে যা। তারপর দু’জনে ফ্রেশ হয়ে নিচে আয়।’
– ‘আচ্ছা ঠিক আছে।
আয়শা বেগম চলে যাওয়ার পর রিফাত ফ্রেশ হয়ে নেয়। তারপর রিফাতের ঘরের সামনে গিয়ে দরজা ধাক্কা দেয়। প্রথমবার দরজা না খুললেও পরেরবার আরিয়ানের কন্ঠ পেয়ে দরজা খুলে। আরিয়ান জিজ্ঞেস করলো – ‘কী রে এখনো ফ্রেশ হসনি কেন?’
– ‘আমার ভালোলাগছে না আরিয়ান।’
– ‘পাগলামু করিস না। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। এখন তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে আয়, মা খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছে।’
– ‘হু,
আরিয়ান নিচে চলে আসলো। কিছুক্ষন পর রিফাত ও চলে আসলো। খাবার খাওয়ার সময় আয়শা বেগম অনেক কথা বললেন, কিন্তু রিফাত কোন উত্তর দেয়নি। চুপ করে খাওয়া শেষ করে আবার উপরে চলে গেল। তারিনের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত রিফাতের চোখের সামনে ভেসে উঠছে। তারিনের পাগলামি গুলোর কথা মনে পড়তেই রিফাতের হাসি পেয়ে যায়। আবার তারিনের অনুপস্থিতি মুহূর্তের মধ্যেই রিফাত কে কষ্ট দেয়। যেন এক ছাঁয়ার মতো রিফাতের পিছু নিয়েছে তারিন। বুকের বা পাশে থাকা হৃদয়ে গেঁথে গেছে।
৩০.
তারিন নিজের বাড়িতে চলে গেছে। রাতে একা একা ভালো লাগছে না বলে রিফাত কে ফোন দেয়। রিফাত তখন কম্পিউটার এ কাজ করছিলো। তারিনের ফোন পেয়ে রিফাতের মুখে হাসি ফুটে উঠে। রিফাত ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলে। ওপাশ থেকে তারিন অভিমান কণ্ঠে বলল – ‘ কেমন আছেন?’
– ‘হু’ ভালো। আপনি? ‘
– ‘হু, আমিও ভালো আছি।’
– ‘আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
ধন্যবাদ দেওয়ার কারণ রিফাত বুঝতে পারলো না। তাই জিজ্ঞেস করলো – ‘হঠাৎ ধন্যবাদ দিলেন কেন?’
– ‘আপনার জন্যই তো আরিফ ভাইয়া আর তিশার সম্পর্ক টা সবাই মেনে নিলো।’
– ‘কিন্তু, আপনি জানলেন কীভাবে?’
– ‘বিকেলে তিশা বলল, আপনি চেয়ারম্যান কাকা কে বলেছেন আরিফ ভাইয়া আর তিশা একে অপরকে ভালোবাসেন। তারপর তিনি তিশার বাবার সাথে কথা বলে তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন। আর এটা ও বলেছেন খুব তাড়াতাড়ি ওদের দু’জনের বিয়ে দিবে।’
রিফাত একটু মজা করার জন্য বলল – ‘আমার ও খুব ইচ্ছে করছে।’
তিশা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো – ‘কী ইচ্ছে করছে।’
– ‘বিয়ে করতে।’
– ‘তো করে ফেলেন তাড়াতাড়ি।’
– ‘হু, আগে একটা প্রেম করতে হবে।’
– ‘প্রেম করে কী করবেন।’
– ‘আরে প্রেম করেই তো বিয়ে করবো।’
– ‘এমনি এমনি কী আপনাকে লুচ্চা বলি। আপনি হাই লেভেলের লুচ্চা ‘স্কয়ার’।
– ‘আবার স্কয়ার কেন?’
– ‘ডাবল করে দিলাম।’
তারিনের কথা শুনে রিফাত হাসতে শুরু করলো। আরো কিছুক্ষন কথা বলে দু’জনেই ঘুমিয়ে পড়লো। এভাবে কয়েকদিন চলে গেল। প্রতিদিন দু’জনের মধ্যে ফোনে কথা হতো। এর মধ্যে রিফাতের বাবা দেশের বাহিরে চলে যান। বাধ্য হয়ে অফিসের দ্বায়িত্ব নিতে হয় রিফাত কে। ফলে বেশি সময় এখন রিফাত কাজে ব্যস্ত থাকে। তাই এখন তারিনের সাথে বেশি সময় কথা বলতে পারে না রিফাত।
একদিন দুপুরে অফিসে বসে কাজ করছিলো রিফাত। পি. এ এসে বলল – ‘স্যার আপনার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে।’
– ‘নাম কী তার।’
– ‘স্যার তার নাম আরিফ।
আরিফ নাম শুনে রিফাত বেশ অবাক হলো। রিফাত মনে মনে ভাবছে আরিফ নামে তো একজনকে চিনি। কিন্তু সে এখানে কীভাবে আসবে আর এখানেই বা আসবে কেন? আরিফ সাহেব যদি আসতো, তাহলে আমাকে আগে অবশ্যই ফোন করে আসতো। এভাবে হুট করে চলে আসতো না। আর তিনি তো আমার ঠিকানা ও জানে না। হয়তো অন্য কোন আরিফ। কোন কাজে হয়তো আমার কাছে এসেছে।
পি.এ এর কথায় রিফাত বাস্তবে ফিরলো – ‘কী হলো স্যার চুপ করে আছেন যে। তাকে কী আসতে বলবো?’
– ‘হ্যাঁ, তাকে ভিতরে আসতে বলুন।’
পি.এ চলে গেল। কিছুক্ষন পর দরজার বাহির থেকে একজন বলল – ‘ভিতরে আসবো।’
রিফাত সামনে তাকিয়ে বেশ বড়সড় একটা টাস্কি খেলো। কারণ প্রথমে যার কথা ভেবেছিলো সেই আরিফ। একটা ঘোরের মধ্যে থেকেই বলল – ‘ভিতরে আসুন।
রিফাত এখনো অবাক হয়ে আরিফ সাহেবের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই দেখে তিনি বললেন – ‘আমাকে এখানে দেখে খুব অবাক হয়েছেন তাই না।’
– ‘কিন্তু আপনি এখানে কীভাবে আসলেন।’
– ‘আসলে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যই আমি আপনাকে না জানিয়ে চলে এসেছি।’
– ‘কিন্তু আপনি আমার ঠিকানা কীভাবে জানলেন।’
রিফাতের কথা শুনে আরিফ সাহেব মৃদু হাসি দিয়ে বলল – ‘আসলে আমি কালকেই এসেছি। রাতে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলাম। তারপর সেখান থেকে বেড়িয়ে আরিয়ান কে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি বলল একটা কাজে অন্য জায়গায় আছে সে। আর আপনার কথা জিজ্ঞেস করাতে বলল অফিসে আছেন। তারপর আপনার অফিসের ঠিকানা নিয়ে চলে এলাম।
– ‘আমাকে তো একটা ফোন দিয়ে আগে থেকে জানাবেন। আর কিছুক্ষন আগেও তো আমার সাথে আরিয়ানের কথা হলো তবুও আমাকে কিছুই বলল না।’
– ‘হা হা হা, আমিই আপনাকে আগে থেকে কিছু না জানাতে বলেছিলাম। না হলে আপনাকে এভাবে চমকে দিতে পারতাম নাকি।’
– ‘সত্যি খুব অবাক হয়ে গেছিলাম আপনাকে হঠাৎ করে দেখে।’
আরিফ সাহেব বললেন – ‘এবার যে কাজে এসেছি, সেটা বলে নেই।’
– ‘এখানে কী বলবেন, আপনি এখন আমার সাথে আমাদের বাড়িতে যাবেন।’
– ‘আরে না, সেটা এখন সম্ভব নয়।’
– ‘কেন?’
– ‘আমাকে আজকেই বাড়ি ফিরতে হবে।’
– ‘আচ্ছা ঠিক আছে বাড়িতে না গেলেন। এখন তো দুপুরের খাবারের সময়। তাই চলুন একটা রেস্টুরেন্ট এ যাই। তারপর সেখানে গিয়ে কথা হবে।’
আরিফ ও আর না করেনি – ‘আচ্ছা চলুন।’
দু’জনে মিলে একটা রেস্টুরেন্ট এ গেল। রিফার দু’জনের জন্য খাবার অর্ডার করলো। তারপর বলল – ‘এবার বলুন।’
আরিফ ব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করে রিফাতের হাতে দিলো। রিফাত বলল – ‘এটা কীসের কার্ড?’
– ‘সামনের সপ্তাহে আমার আর তিশার বিয়ে।’
রিফাত অনেকটা খুশি হয়ে বলল – কংগ্রাচুলেশনস আরিফ সাহেব।’
– ‘ধন্যবাদ।’
– ‘এবার খুশি তো। যাকে ভালোবাসেন, তাকেই জীবন সঙ্গী হিসেবে পেলেন।’
– ‘খুব খুশি আর আপনাকে অনেকে ধন্যবাদ। আর আপনাদের সবাইকে অবশ্যই আমাদের বিয়েতে আসতে হবে। আর আঙ্কেল, আন্টি কে আমার সালাম দিবেন। একটু ব্যস্ততার কারণে তাদের সাথে দেখা করতে পারলাম না। তাই আপনি তাদের দু’জনকে সাথে নিয়ে আসবেন।’.
– ‘বাবা তো দেশের বাহিরে আছেন। আর মা যাবেন কি না সঠিক বলতে পারছি না।’
– ‘ওহ্, আচ্ছা তাহলে আপনি এবং আপনার বন্ধুরা সবাই আসবেন কিন্তু।’
– ‘আচ্ছা ঠিক আছে আসবো।’
খাওয়া শেষ করে আরিফ সাহেব বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয়। আর রিফাত অফিসে চলে যায়। অফিসে গিয়ে কাজ করে বিকেলে বাড়ি ফিরে।
চলবে……….।
বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।