পার্থক্য
২০ পর্ব।
#রিফাত_হোসেন।
রিফাত এবং তারিন দু’জনেই মাথা নিচু করে আছে। আর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে চেয়ারম্যান সাহেব। কেউ কোন কথা বলছে না। হঠাৎ করে তারিনের চোখ দিয়ে জল বেড়িয়ে গেল। তারিন মনে মনে আল্লাহ কে ডাকছে যেন ওর বাবা কে কিছু না বলে। তিনি এটা কিছুতেই সহ্য করতে পারবে না। অপরদিকে নিজের বাবা-মা কে নিয়ে ও খুব ভয় পাচ্ছে রিফাত। আর ভাবছে তারা যদি এইসব জানতে পারে, তাহলে তো আমার প্রতি তাদের ভরসা, বিশ্বাস সব শেষ হয়ে যাবে। আর সবার সামনে তাদের সম্মানটা ও নষ্ট হয়ে যাবে। আর গ্রামের মানুষ যদি এটা জানতে পারে, তাহলে এই বিয়ে বাড়িতে একটা ঝামেলা না পাকিয়ে ছাড়বে না। সব দিক ভেবে রিফাত অস্থির হয়ে পড়লো । তারিন এখনো মাথা নিচু করে চোখের জল ফেলে যাচ্ছে। তারপর হাত দিয়ে চোখের জল মুছে রিফাতের দিকে রাগি মুড নিয়ে তাকিয়ে রইলো। তারিনের ইচ্ছে করছে এখনই ‘রিফাত কে গুলি করে মেরে ফেলতে। রিফাতের জন্যই এত কিছু হলো। কী দরকার ছিলো এভাবে আলাদা ঘরে ডেকে নিয়ে এসে দেয়ালের সাথে চেপে ধরার। আর বোকার মতো দরজা খোলা রেখে দিছে। স্টুপিড কোথাকার।
আবার রিফাত দিচ্ছে তারিনের দোষ। কী দরকার ছিলো কিস করার। আর কী দরকার ছিলো জড়িয়ে ধরার। এইসব না করলে তার কাছে আর এভাবে অপমানিত হতে হতো না। না জানি, তিনি মনে মনে আমাদের সম্পর্কে কী ভেবেছে। চেয়ারম্যান সাহেব তেমন কিছু বললেন না এখন। শুধু ঘর থেকে চলে যাওয়ার আগে বলে গেলেন – ‘বিয়ে শেষ হওয়ার পর আমার ঘরে আসবে তোমরা দু’জন।’
মুখ দিয়ে কোন কথা বলল না কেউ। শুধু মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ ইশারা দিল।
দু’জনে ঘর থেকে বের হয়ে দু’দিকে চলে গেল। তারিন তিশার কাছে গিয়ে বসে পড়লো। আর রিফাত আরিফ এর কাছে গিয়ে বসে পড়লো। আরিয়ান শান্ত কন্ঠে রিফাত কে জিজ্ঞেস করলো – ‘এতক্ষন কোথায় ছিলি?’
– ‘এই তো বাড়িটা একটু ঘুরে দেখছিলাম।’
– ‘ওহ্,
কেউ আর কোন কথা বলল না। তবে রিফাতের মনে শান্তি নেই। খুব ভয় করছে ওর। চেয়ারম্যান সাহেব কী করবে সেটা ভেবেই কেঁপে উঠছে রিফাত। যদি সবাইকে আসল ব্যাপারটা জানিয়ে দেয়, তাহলে তো সব শেষ হয়ে যাবে। তারিনের কাছে সারাজীবন একটা অপরাধী হয়ে থাকতে হবে। কারণ রিফাত যদি তখন তারিন কে ওভাবে দেয়ালের সাথে চেপে না ধরতো, তাহলে আর এত কিছু হতো না।
তারিন তিশার পাশে মন খারাপ করে বসে আছে। তিশা কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছে কী হয়েছে? কিন্তু কোন উত্তর দেয়নি তারিন।
কিছু হয়নি বলে এড়িয়ে যায়। তারিন ভাবছে বাবা-মা’র সামনে কোন মুখ নিয়ে দাঁড়াবে। কিছুদিন আগেও এত বড় একটা ভুল করে বাড়ি ফিরেছে। তখন কিছু বলেননি বলে আজও ছেড়ে দিবে তা নয়। এবার নিশ্চয়ই বাড়ি থেকে বের করে দিবে। গ্রামে বাবা-মা’র যে সম্মান ছিলো, এবার সব নষ্ট হয়ে যাবে। কারোর সামনে মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারবে না তারা। এবার কী হবে? উফফফফফ আর ভাবতে পারছে না তারিন। আগে মাথায় পানি ঢালতে হবে। তারপর ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে, কীভাবে চেয়ারম্যান সাহেব কে ম্যানেজ করা যায়। বাবা-মা’র সম্মান এভাবে নষ্ট হয়ে যেতে দিবে না তারিন। বসা থেকে উঠতে যাবে তখন তিশা তারিনের হাত ধরে আবার বসিয়ে দিল। তারিন জিজ্ঞেস করলো – ‘কী হলো টান দিলি কেন?’
– ‘এখন আবার কোথায় যাচ্ছিস?’
– ‘মাথায় পানি দিতে।’
তিশা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো – ‘মাথায় পানি দিবি কেন?’
– ‘আজ আমার কপালে শনি আছে, তাই মাথাটা ঠান্ডা করতে যাচ্ছি’
তিশা হাসতে হাসতে বলল – ‘আজকে তো সোমবার, শনিবার এখনো দেরি আছে।’
– ‘আগে গাধী, আমি সেই শনিবারের কথা বলিনি।’
– ‘যেই শনির কথাই বলনা কেন। দু’টোর বানান একি রকম।’
তারিন রাগ দেখিয়ে বলল – ‘তোর মাথা।’
তারিন আর কোন কথা না বলে মাথায় পানি ঢালতে গেল। কিছুদূর যাওয়ার পর থেমে গেল। তারপর নিজের মনে মনে বলতে লাগলো – ‘শান্ত হয়ে একটু বসলেই তো মাথা ঠান্ডা হয়ে যায়। শুধু শুধু মাথায় পানি দিয়ে চুলগুলো নষ্ট কেন করবো।’
“হাইরে মেয়েমানুষ, শরীরে আগুন লেগে গেলেও বলবে, মাথায় আর মুখে পানি দিলে আমার আটা-ময়দা আর চুল নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সাবধানে পানি দিবেন সবাই”
তারিন মাথায় পানি দেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে আবার তিশার কাছে চলে এলো। তারিন কে দেখে তিশা বলল – ‘মাথা পানি দিলি না কেন?’
– ‘তখন কত কষ্ট করে তুই চুলগুলো ঠিক করে দিলি। এখন পানি দিলে তো আবার এলোমেলো হয়ে যাবে।’
– ‘হুহ্, চুল তো কখনই নষ্ট গেছে।’
তাড়াহুড়ো করে তারিন বলে উঠলো – ‘আরে একটু আগে রিফাত কে জড়িয়ে ধরেছিলাম তাই চুলগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে।’
তিশা অবাক হয়ে তারিন কে জিজ্ঞেস করলো – ‘কী বললি আবার বল তো।’
তারিন কোন কথা বলছে না। শুধু হাত দিয়ে মুখ চেপে রেখেছে। আর ভাবছে, ‘কোন কিছু না ভেবেই তিশা কে আসল কথাটা বলে ফেললাম। ডান হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে বা হাত দিয়ে মাথায় একটা টোকা মারলো। আর বলল – ‘ আসলে মাথা গরম হয়ে আছে তো। তাই উল্টো পাল্টা বলে ফেলেছি।’
তিশা একটা রহস্যময় হাসি দিয়ে বলল – ‘হুম… আমার কিন্তু খুব ডাউট হচ্ছে।’
– ‘তোর ডাউট তুই পকেটে ভরে রাখ। প্রায় সবার খাওয়া দাওয়া শেষ। একটু পর কাজী সাহেব আসবে।’
– ‘হুম।
কিছুক্ষন পর কাজি সাহেব এবং বাকি সবাই ঘরে আসলেন। দু’জনের সম্মতি নিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হলো। এবার বিদায় নেওয়ার সময়।’
তারিন তিশার কানে কানে বলল – ‘তুই কাঁদছিস না কেন?’
– ‘হুহ্, যাবো পাশের বাড়ি, তাই বলে কেঁদে কেঁদে চোখের কাজল নষ্ট করবো নাকি।’
– ‘হুম, তাও ঠিক কথা, কিন্তু।
– ‘কিন্তু কী?’
– ‘একটু পর আমাদের কাঁদতে হবে।’
– ‘তোদের মানে।’
– ‘আমার আর রিফাত এর।’
তিশা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো – ‘তোরা আবার কী করেছিস।’
– ‘এখন এত কিছু বলতে পারবো না।’
৩৪.
রিফাত এবং তারিন চেয়ারম্যান সাহেবের ঘরের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে। কেউ ভিতরে ঢুকার সাহস পাচ্ছে না। রিফাত তারিন কে বলে আগে যেতে আবার তারিন রিফাত কে বলে আগে যেতে। রিফাত তারিন কে ধমক দিয়ে বলল – ‘সব দোষ আপনার, তাই আপনি আগে ভিতরে যাবেন।’
– ‘আমার কোন দোষ নেই। আপনি আমাকে না ডাকলে আমি কখনোই যেতাম না ওখানে। আর উনিও আমাদের ওভাবে দেখতেন না।’
– ‘আপনি কী করেছেন মনে নেই?’
– ‘দেখুন আপনি কিন্তু আমাকে রাগিয়ে দিচ্ছেন।’
তারিন কে রাগিয়ে কেন জানি রিফাত খুব মজা পাচ্ছে। তাই আরেকটু রাগানোর জন্য বলল – ‘ এইটুকু একটা মানুষ আবার আইছে রাগ দেখাতে।’
রিফাতের কথা শুনে তারিন তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো। তারিন রাগে কটকট করতে করতে বলল – কিহ্, আমি এইটুকু একটা মানুষ। আপনার এতবড় সাহস আমাকে এইটুকু একটা মানুষ বললেন।’
– ‘হ্যাঁ, আপনি এইটুকু একটা মানুষ। তো কী করবেন শুনি?’
– ‘এতদিন তো শুধু অফ সাইড আর লেগ সাইডে বল করেছি, কিন্তু এবার ডাইরেক্ট বোল্টআউট করবো।’
তারিনের কথা শুনে রিফাত ‘হা’ হয়ে গেল। তারপর কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল – ‘মানে।’
তারিন একটা রহস্যময় হাসি দিয়ে বলল – ‘কিছুনা, চলুন একসাথেই ভিতরে যাই।’
– ‘আচ্ছা চলুন।’
তারপর আস্তে আস্তে দু’জনে একসাথে ভিতরে ঢুকলো। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে দু’জন। রিফাত আড়চোখে সামনে তাকিয়ে দেখে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে নিকোটিনের ধোঁয়া ছাড়ছে চেয়ারম্যান সাহেব। দু’জনে তাকে সালাম দিল। তিনি ওদের কে বসতে বললেন। কিছুক্ষণের জন্য সব কিছু চুপচাপ হয়ে গেল।
অনেকক্ষন চুপ করে থাকার পর চেয়ারম্যান সাহেব নীরবতা ভেঙে বললেন – ‘তোমাদের মাঝে কী সম্পর্ক?’
তারিন কিছু বলার সাহস পেলো না। তাই রিফাত সাহস করে বলল – ‘আমরা একে অপরকে ভালোবাসি।’
তিনি একটা ধমক দিয়ে বললেন – ‘তোমাদের কী মনে হয় এটা কোন ভালোবাসা।’
তার ধমক শুনে চারদিকে কেমন কেঁপে উঠলো। তারিন ভয় পেয়ে রিফাতের হাত জাপটে ধরলো। উনার এইরকম রাগ রিফাত কেন? তারিন ও আগে কখনো দেখেনি। দু’জনে মনে মনে বলে উঠলো “আজকে ভয়ংকর কিছু হতে যাচ্ছে, যা আমাদের কল্পনার বাহিরে এবং যার জন্য আমাদের মাঝে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেশি।
ওদের ভয় পেতে দেখে চেয়ারম্যান সাহেব কিছুটা শান্ত হয়ে বলল – ‘কী হলো চুপ করে আছো কেন?’
রিফাত বলল – ‘আমরা একে অপরকে অনেকদিন ধরে ভালোবাসলেও কেউ কাউকে সেই কথা বলতে পারছিলাম না। আমি অনেকবার চেষ্টা করেও পারিনি ওকে আমার মনের কথা জানাতে। আর তারিন ওর বাবা-মা’র কথা ভেবে কিছু বলতে পারেনি। এতে করে আমাদের মাঝে দূরত্ব বাড়তে থাকে। শেষে কোন উপায় না পেয়ে আজকে দু’জনে আলাদা ভাবে কথা বলি। একসময় খুব কাছাকাছি চলে আসার কারণে আমরা একটা ভুল করে ফেলি। কিন্তু বিশ্বাস করুন আঙ্কেল, আমাদের মাঝে কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিলো না। আমরা দু’জন দু’জনকে মন থেকে ভালোবাসি।’
চেয়ারম্যান সাহেব বললেন – ‘তোমরা কী বুঝতে পারছো তোমাদের বাবা-মা এইসব শোনার পর তাদের কী অবস্থা হবে। তাদের সম্মানটা কোথায় যাবে।’
তারিন কান্না স্বরে বলল – ‘প্লিজ কাকা, আমাদের পরিবারের কাউকে এটা জানাবেন না। আমরা চাই না আমাদের জন্য আমাদের পরিবার কষ্ট পাক। আর উনিও কালকে সকালে বাড়ি চলে যাবে। আমাদের মাঝে আর কোন সম্পর্ক থাকবে না।’
এ’কথা বলে তারিন মাথা নিচু করে ফেললো। চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়ছে তারিনের। চেয়ারম্যান সাহেব সেটা খুব ভালো করেই খেয়াল করেছে।
‘রিফাত করুণ চোখে তারিনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। কোন কথা বের হচ্ছে না মুখ দিয়ে৷
কিছুক্ষন নীরব থাকার পর চেয়ারম্যান সাহেব বললেন – ‘ঠিক আছে তোমরা এখন যেতে পারো।’
কথাটা শেষ হওয়ার পরেই রিফাত ও তারিন করুণ চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো তার দিকে।
তারপর ঘর থেকে বেড়িয়ে আসলো দু’জন।
বাহিরে এসে কেউ কোন কথা বলল না। তারিন সিড়ি বেয়ে নিচে নেমেই তিশাদের বাড়িতে চলে গেল। রিফাত তারিনের চলে যাওয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ছাদে চলে এলো।
তিশাদের বাড়িতে গিয়ে তারিন আফজাল সাহেব এবং আমেনা বেগম কে খুঁজতে লাগলো। তিশার বাবা-মায়ের ঘরে গিয়ে দেখলো তারা বসে আছে। হাত দিয়ে চোখটা মুছে মাথা নিচু করে ভিতরে ঢুকলো তারিন। আমেনা বেগমের সামনে গিয়ে বলল – ‘মা বাড়িতে চলো।’
– ‘হুম যাবো। কিন্তু তুই এতক্ষন কোথায় ছিলি?’
আমেনা বেগম এর প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারছে না তারিন। পাশ থেকে আফজাল সাহেব জিজ্ঞেস করলো – ‘কী হলো কোথায় ছিলি এতক্ষন?’
আমেনা বেগম – ‘নিশ্চয় চেয়ারম্যান বাড়িতে গেছিলো।’
মায়ের কথা শুনে তারিন শিউরে উঠলো। মনে মনে ভাবছে ‘মা কী তাহলে সব জেনে গেছে।’ তবুও শিউর হওয়ার জন্য বলল – ‘তুমি কীভাবে জানলে আমি চেয়ারম্যান বাড়িতে গিয়েছিলাম।’
– ‘হয়তো তিশার জন্য মন খারাপ করছিলো তাই।’
তারিন কিছুটা শান্ত হয়ে বলল – ‘ওহ্,
– ‘তিশা তো দূরে কোথাও যায়নি। ওর সাথে তো প্রতিদিনই দেখা করা যায়। এতে মন খারাপ হওয়ার কী আছে?(আমেনা বেগম)
– ‘এখন কোন কথা বলতে ভালো লাগছে না। আগে বাড়িতে চলো তারপর কথা হবে।’
– ‘সত্যি করে বলতো তোর কী হয়েছে।’
– ‘কিছু হয়নি।’
আমেনা বেগম রাগি কন্ঠে বলল – ‘আমার দিকে তাকা।’
তারিন আস্তে আস্তে করে উপরের দিকে তাকালো।
তারিনের দিকে সবাই হা করে তাকিয়ে রইলো। কারণ তারিনের চোখদুটো লাল হয়ে আছে।
আফজাল সাহেব তারিনের সামনে দাঁড়িয়ে বলল – ‘কী হয়েছে তোর, এভাবে চোখ লাল হয়ে আছে কেন? দেখে তো মনে হচ্ছে কান্না করেছিস। কী হয়েছে মা বল আমাকে?’
তারিন কোন কথা না বলে আফজাল সাহেব কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল।
অনেক চেষ্টা করার পরেও কেউ তারিনের কাছ থেকে কোন উত্তর পেলো না।
আফজাল সাহেব এবং আমেনা বেগম তারিন কে নিয়ে বাড়িতে চলে গেল।
চলবে……….?
বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
শব্দ সংখ্যা – ১৬০০+
সবার মন্তব্য – দরজায় ছিলো তারিনের বাবা হা হা হা।
আসলে প্রথম এটাই দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সবাই যখন যানে কে ছিলো। তাই আমি ইচ্ছে করেই টপিক চেঞ্জ করে দিলাম। হি হি হি।