পাহাড়ে মেঘের ছায়া পর্ব – ৫৪

0
971

উপন্যাসঃ পাহাড়ে মেঘের ছায়া
পর্ব – ৫৪
(নূর নাফিসা)
.
.
৫০.
বৃষ্টি ডিএমসি-তে চান্স পেয়েছে। এ নিয়ে বাড়িতে খুশিতে মেতে উঠেছে সব। মেঘ আর নাফিসাকে জানাতে ভুলেনি সে! বাবামাকে জানানোর পরেই তাদের কল করে জানিয়েছে। অত:পর আকাশকে জানিয়েছে। আকাশ ভিডিও কলে কথা বলতে চাইলে বৃষ্টি ছাদে চলে এলো। বেশ কিছুক্ষণ কথা বললো দুজন। প্রতিদিনই আকাশের সাথে কথা বলে বৃষ্টি।
ষোলো তারিখ আকাশ ও তার বাবা-মা বৃষ্টিদের বাসায় এসে হাজির সাথে হুজুর! বৃষ্টি মানুষের সমাগম শুনে ড্রয়িং রুমে একটু উঁকি দিয়েছিলো। আকাশকে দেখে সে হতবাক! মোহিনী বৃষ্টিকে দেখে গম্ভীরমুখে বললো রেডি হয়ে আসতে। বৃষ্টি তো কিছুই বুঝতে পারছে না! কি হতে যাচ্ছে!
বৃষ্টি নতুন জামা পড়ে অতিরিক্ত কোন সাজসজ্জা ছাড়া সেজেছে। মোহিনী নিজেই তাদের সামনে নিয়ে গেছে। রায়হান চৌধুরী আকাশের বাবামায়ের সাথে এমনভাবে কথা বলছে যেন তারা পূর্বপরিচিত! পরিবেশটা অগুছালো মনে হচ্ছে বৃষ্টির কাছে, তার মনের ভেতর ঢিপঢিপ শব্দ হচ্ছে! আকাশ এখানে আসবে তা নিয়ে তাকে কিছু বললো না কেন! তারা কি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে! তার মাথায় নানান চিন্তা আর এদিকে আকাশের মুখে হাসি। আকাশের মা উঠে এসে বৃষ্টিকে কাছে নিয়ে বসালো। উনারা জানালো উনাদের পছন্দ হয়েছে। রায়হান চৌধুরী বৃষ্টিকে জিজ্ঞেস করলো,
– বৃষ্টি, আকাশকে চেনো?
বৃষ্টি একবার তার বাবার দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার আকাশের দিকে।
রায়হান চৌধুরী আবার বললো,
– তোমার ভাই তো বিয়ে শেষে চিঠি লিখেছিলো তুমিও কি চিঠি লেখার চিন্তা করছো নাকি তার আগেই দরখাস্ত লিখবে?
বাবার মুখে এমন কথা শুনে বৃষ্টি হতবাক! তার মানে কি! বাবা কি তার আর আকাশ সম্পর্কে সবটা জানে!
তিনি আবার বললেন,
– আমি কখনো জংলী দেখিনি, আর তুমি তাদের সাথে সাক্ষাৎও করে এসেছো! ভাবতে তো আমারই গলা শুকিয়ে আসছে!
বৃষ্টি চরম পর্যায়ে অবাক হয়ে আকশের দিকে তাকালো! এসব তার বাবা জানবে কিভাবে! সে নিশ্চিত আকাশ সব বলে দিয়েছে! সেটা আকাশের মুখে লেগে থাকা মৃদু হাসিই বলে দিচ্ছে! এ কোন মহা ঝামেলায় ফেললো আকাশ তাকে! এটাই কি ছিলো তার সারপ্রাইজ!
রায়হান চৌধুরী মোহিনীকে বললো,
– মোহিনী, তোমার মেয়েকে পানি দাও এক গ্লাস! তোমার স্ট্রং মেয়ে আজ বিড়াল হয়ে গেছে!
বৃষ্টি এতোক্ষণে মুখ খুললো,
– লাগবে না পানি।
– আচ্ছা, তাহলে বলো আকাশকে তুমি চেনো?
বৃষ্টি মাথা নিচু করে বললো,
– বাবা, সিলেটে জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিলাম আমি। সেখানেই তাদের সাথে দেখা।
– জঙ্গলে হারিয়েছিলে নাকি পানিতে?
– ওই একই কথা হলো না! পানির স্রোতে ডুবে গেছি সেখান থেকে জঙ্গলের ধারে উদ্ধার।
– বেয়াই সাহেব, ছোট বেলা কবিতা বানিয়েছিলাম,
নদীতে ধরিতে গিয়েছি মাছ।
নাহি পেয়েছি তাহা,
কিন্তু পেয়েছি মৎস কন্যা।
তুলে নিয়েছি মোর কুড়ে ঘরে
বেধেছি স্বপ্ন, বেধেছি আশা
আর ডেকেছি নিজের সর্বনাশ!
হুট করেই মোহিনী বলে ফেললো,
– কি গো! এটা কি কবিতা ছিলো নাকি বাস্তব? এই কবিতা তো আমায় কখনো শুনাও নি তুমি!
আকাশের বাবা মা হেসে উঠলো। আর বৃষ্টি মনে মনে বললো, “এই হচ্ছে আমার স্পেশাল বাবামায়ের কীর্তি! মেহমান বসিয়ে রেখেও তাদের রসিকতা ফুরায় না!”
রায়হান চৌধুরী বললো,
– এই হয়েছে! এই বয়সে আমার উপর সন্দেহ করবে তুমি!
আকাশের বাবা বললো,
– বেয়াই সাহেব এবার কাজের কথায় আসি। বৃষ্টি তোমার বাবা-মা সহ আমরা অনেক আগে থেকেই জানি তোমাদের পরিচয়ের ঘটনা। আকাশ তো এক পায়ে দাড়িয়ে কিন্তু তোমার কি আকাশকে ভালোলাগে? আকাশের সাথে বিয়েতে কি তুমি রাজি আছো?
বৃষ্টির মুখ থেকে কোনো কথা বের হচ্ছে না! কোনো পূর্বাভাস ছিলো না, হঠাৎ করেই এ কোন পরিস্থিতিতে পড়লো সে! সে একবার মায়ের দিকে তাকালো পরক্ষণেই আবার বাবার দিকে তাকালো। রায়হান চৌধুরী বললো,
– এতো নার্ভাস কেন আম্মা? তোমাদের ছোট থেকেই চেয়েছি যাতে তোমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারো। তোমার মা শাসনে রাখতে চেয়েছে আমি তা হতে দেইনি। শাসনে রাখলে তো আমি আমার সন্তানদের মন জানতে পারবো না, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তোমরা আমাকে কিছু জানাতে পারবে না, আমার কাছে কোনো আবদার করবে না। অন্যথায় তোমাদের ইচ্ছে পূরণে ব্যর্থ হবো! পৃথিবীর সকল পিতামাতাই চায় তাদের সন্তান ভালো থাকুক, সুখে থাকুক। তোমাদের সুখে আমরা বাবামায়েরা সুখী। আমার সকল প্রচেষ্টা তোমাদের ঘিরেই। পরবর্তী প্রজন্মে তোমাদের প্রচেষ্টাও হবে তোমাদের সন্তানের জন্য। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। চাইলেও অবহেলা করা যাবে না। জীবন তোমার, সিদ্ধান্তও তোমার। এবার বলো তো, আকাশকে তোমার পছন্দ হয় কি-না? তোমার মতামত ছাড়া কোনো মতামত আমরা দিতে পারছি না।
বাবার কথাগুলো শুনে বৃষ্টির মনে বইছে সুখের বাতাস আর চোখে বইছে অশ্রুধারা। শুধু আজ নয়, সবসময়ই তার কাছে মনে হয় সে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবতী। কেননা তার কাছে এমন বাবামা আছে। নিচু স্বরে বৃষ্টি জবাব দিলো,
– বাবা, তোমাদের সিদ্ধান্তে আমি একমত। তোমরা সর্বদা আমাদের সাপোর্ট করে এসেছো। আদর স্নেহ মমতাসহ উপযুক্ত শিক্ষা দান করেছো। বাবা মা সবার কাছেই আছে কিন্তু তোমাদের মতো এমন বাবা মা কারো কাছে নেই! তোমাদের মেয়ে সর্বদা তোমাদের বাধ্য। সিদ্ধান্ত সবটাই তোমাদের হাতে।
– এখন আমি যদি আকাশকে পছন্দ না করে তোমার জন্য অন্যকাউকে পছন্দ করি!
বৃষ্টি বাবার মুখে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,
– তবুও আমি তোমাদের সিদ্ধান্তেই রাজি। কখনো এর কারণও জিজ্ঞেস করবো না। তখনও বলবো আমার বাবা মায়ের সিদ্ধান্তই শ্রেষ্ঠ।
রায়হান চৌধুরী এবার মৃদু হেসে বললো,
– মোহিনী, এবার তোমার সুযোগ। বলো কি বলবে?
– আমার কিছুই বলার নেই। শুধু আমি আমার মেয়েকে সুখে দেখতে চাই। সিদ্ধান্ত তুমিই নিবে, হেরফের হলে তোমার খবর নিয়ে ছাড়বো।
– চাইলাম মতামত, আর দিলে ধমকি! আচ্ছা মেনে নিলাম তোমার কথা। বেয়াই সাহেব, তাহলে পাকাপাকি হয়ে থাকুক। ইনশাআল্লাহ, মেয়ের মেডিক্যাল কোর্স কমপ্লিট হলে আপনাদের বাড়ির বউ করে নিয়ে যাবেন।
আকাশের বাবা বললো,
– আমরা আজই আমাদের বাড়ির বউ নিয়ে যাবো বেয়াই।
বৃষ্টির পরিবার সবাই অবাক! রায়হান চৌধুরী বললো,
– তা হয় না বেয়াই। আমি কিন্তু আগেই বলেছি আপনাকে। আমার মেয়ের পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শ্বশুর বাড়ি পাঠাবো না।
– হ্যাঁ, সেটা বুঝলাম কিন্তু আমার ছেলের জ্ঞান হওয়ার পর আজ প্রথম একটা পাকাপোক্ত আবদার করেছে সেটা তো আর আমি ফেলতে পারি না! আজকের এই দিন, এই তারিখেই সে বিয়ে করবে এবং সেটা বৃষ্টিকেই। এজন্যই তো সাথে হুজুর নিয়ে আসা।
– বেয়াই সাহেব, বৃষ্টির বয়স এখনো পরিপূর্ণ হয়নি। ওদের ইচ্ছাতে আপনারা আংটি পড়িয়ে রাখতে পারেন কিন্তু আজ বিয়ে সম্ভব না! এভাবে বললেই কি হয়! সবকিছুরই একটা প্রস্তুতি দরকার। কোর্স শেষ হলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ওদের বিয়ে দিবো।
আকাশের মা বললেন,
– আকাশ, উনারা কিন্তু ঠিক বলছে। বৃষ্টির পরিপূর্ণ বয়স হয়নি এখনো। তাছাড়া ওর ক্যারিয়ার গঠন বাকি। আমরা এনগেজমেন্ট করিয়ে রাখি।
– না আম্মু। আমি আজ বিয়ে করবো। বিয়ে না করে বাসায় যাবো না। এটাই আমার শেষ কথা!
রায়হান চৌধুরী হেসে বললো,
– তাহলে তুমি আজ থাকো আমাদের বাড়িতে।
– সরি, আংকেল। আমি আজ বিয়ে করেই বাসায় যাবো। আপনারা আমাদের বিয়ে না দিতে চাইলে প্রয়োজনে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করবো। তবুও বিয়ে আজই হবে!
বৃষ্টি হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে! এমন চাহনি দেখে আকাশ বললো,
– বৃষ্টি, তুমি কি এখন আমাকে পাগল মনে করছো? যা-ই মনে করো, বিয়ে কিন্তু আজই করবো। আর বউও বাসায় নিয়ে যাবো।
আকাশের মা একটু ধমকের সুরেই বললো,
– আকাশ তুমি তো সত্যিই পাগল হয়ে গেছো! উনারা বলছে আজ বিয়ে দিবে না আর তুমি বলছো তাদের উপেক্ষা করে কাজী অফিসে বিয়ে করবে!
– আম্মু আমি কিন্তু বাসা থেকে আগেই বলে এসেছি তোমাদের! আমি আজই বিয়ে করবো। আংকেল আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি, বৃষ্টির সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করার দায়িত্ব আমার। আমার কাছে থাকলে ওর পড়াশোনা বেশি ভালো হবে সেটা আপনি গ্যারান্টিসরূপ ভেবে নিতে পারেন। বরং বিয়ে না হলে বৃষ্টির পড়াশোনায় আরও ক্ষতি হবে। কেননা ও প্রায়ই চাইবে এখানে সেখানে বেড়াতে যাওয়া, পড়াশোনায় একটু ফাকি দিয়ে আমার সাথে দেখা করা। এর আগেও যে এভাবে কতবার দেখা করেছে সেটা কিন্তু আপনার অজানা নয়। আমার সাথে রাগারাগি করেও নিজেকে কষ্ট দিয়েছে। ভবিষ্যতেও যে এমন কিছু করবে না সেটার কিন্তু কোনো গ্যারান্টি নেই! আর আপনি দমিয়েও রাখতে পারবেন না, এবং হয়তো সেটা চাইবেনও না। আংকেল, বয়সটা খুব আবেগের। সময়টা আপনিও পাড় করে এসেছেন, সুতরাং এর সম্পর্কে আপনি অজ্ঞাত নন।
রায়হান চৌধুরী বললো,
– ঠিক আছে, তোমার কথায় ভরসা নিয়ে আমি বৃষ্টির বিয়ে দিতে রাজি। দু এক সপ্তাহ বাদে আনুষ্ঠানিকভাবেই বিয়ে হবে। কি বলেন বেয়াই?
– ঠিক আছে।
– এবার ঠিক আছে তো আকাশ?
– না আংকেল, আপনি আনুষ্ঠানিক ভাবে না হয় আগামী দু এক সপ্তাহ বাদে আয়োজন করুন। কিন্তু ঘরোয়াভাবে হলেও আজই বিয়ে করবো।
আকাশের কথা শুনে সবাই হতবাক! বৃষ্টির মুখে তো বুলি নেই ই! যে যা-ই বলছে, আকাশ বলছে আজকেই বিয়ে করবে! হুজুর সে ই নিয়ে এসেছে! অবশেষে ধার্মিকভাবে তাদের আজই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বউ বাসায় নিবে আনুষ্ঠানিক ভাবে। এখন উপস্থিত শুধু দুই পরিবার। আর ওদিকে মেঘকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কল করে। গম্ভীর হয়েও সবাই হাসিখুশি ভাবভঙ্গি প্রকাশ করলো। দুপুরের খাওয়াদাওয়া শেষ হলো রায়হান চৌধুরীর বাড়িতে।
বৃষ্টি তার রুমে জানালার পাশে দাড়িয়ে আছে। আকাশ কাশি দিয়ে রুমে প্রবেশ করলো। বৃষ্টি ঘুরে দেখলো আকাশ এসেছে তার রুমে। স্যুট-কোট পড়ে একেবারে পরিপাটি সাজ, যেন বিয়ের পর বেড়াতে এসেছে শ্বশুর বাড়ি! অথচ আজ কিছুক্ষণ আগে তাদের বিয়ে হয়েছে যেটা কল্পনার বাইরে ছিলো! ভাবতেও পারেনি আকাশ তাকে এমন সারপ্রাইজ দিবে! আকাশ এগিয়ে এসেছে তার কাছে। বৃষ্টি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। এমনিতে অতি চঞ্চল ভাব দেখালেও আজ আকাশের সামনে দাড়াতে তার লজ্জা লাগছে খুব! আকাশ তার থেকে এক ফুট দূরে প্যান্টের পকেটে দুহাত রেখে দাড়িয়ে বললো,
– বলেছিলাম না ষোল তারিখ সারপ্রাইজ দিবো। এখন বলো কেমন সারপ্রাইজ দিলাম, মাই ডিয়ার ওয়াইফি ?
বৃষ্টি তার দৃষ্টি নিচের দিকে রেখে কিছুক্ষণ আগে পড়িয়ে দেওয়া আংটিটা আঙুলে ঘুরাচ্ছে। আকাশের কথায় লজ্জাময়ী হাসি দিয়ে বললো,
– আপনি একটা পাগল।
– প্রথম হানিমুন কি তাহলে পাবনা মানসিক হসপিটালে হবে?
– ছি!
আকাশ হেসে উঠলো আর বৃষ্টি লজ্জায় কাতর! আকাশ এক ফুট দূরত্ব বজায় রেখেই বৃষ্টির কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বললো,
– আজ তো বউ সাজলে না। বাট আফটার নেক্সট টু উইক উডবি বি মেক রিয়েল ব্রাইড, মিসেস আকাশ।
বৃষ্টির মুখের হাসি আরও প্রশস্ত হয়ে উঠলো। কথাটা বলা শেষ হতে হঠাৎই আকাশ বৃষ্টির গালে আলতো চুমু একে দিলো এবং সোজা হয়ে দাড়ালো। বৃষ্টি ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে আর আকাশের মুখে হাসির ঝিলিক। সে বললো,
– আগামী দু সপ্তাহ আমাকে কোনোভাবেই খুজবে না। না সরাসরি আর না কোন যোগাযোগ ব্যাবস্থায়। আমি বিয়ের দিন তোমার সামনে উপস্থিত হবো। বিয়ের শপিং নিয়ে কোনো চিন্তা করো না। আমি নিজে সবটা ম্যানেজ করবো। সময় মতো তোমার কাছে পৌছে যাবে। আল্লাহ হাফেজ।
বৃষ্টি মুচকি হেসে বললো,
– আল্লাহ হাফেজ।
পরক্ষণেই মিস্টার ও মিসেস চৌধুরীর কাছে বিদায় নিয়ে আকাশ তার বাবামায়ের সাথে বেরিয়ে গেলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here