গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ০৪
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” মেসেজ এ লেখা ছিল শুভ সাহেব এতো ভেবে লাভ নাই সব কিছু আমি ডিলেট করে দিছি। তোমার চ্যাট লিষ্ট এ শুধূ আমিই থাকবে। তোমার চ্যাট লিষ্টে এ প্রথম ব্যাক্তি আমি আর শেষ ব্যাক্তিও আমি। আর কোনো মেয়ে দের সাথে কথা বলবা না কথা বললে কীন্তু প্রবলেম হয়ে যাবে ।
আমি : তুমি কে। আর তুমি আমাকে চিন কীভাবে।
মেয়েটি : আমি চিনি তোমাকে।আর তুমিও আমাকে চিন। তোমার আশে পাশেই আছি।
আমি : আমি চিনতে পারছি। তুমি আর কেঊ না আমার কিউট বোন সেতু
সেতু : ঐ সালা বোন বলা বাদ দিয়া বউ বললেও তো পারিস
আমি ;সবাই কে কী বউ বানানো যাই।
সেতু : সবাই কে বলতৃ হবে কেন শুধু আমাকে বলবা।
আমি : তোমাকে বলব কীভাবে তুমি তো আমার আদরের ছোট বোন
সেতু : তোকে কয়বার বলব যে আমাকে আর বোন বলবি না। এর পরে বোন বললে তোর বারো টা বাজিয়ে দিব ।
আমি : আচ্ছা বাদ দেও। অনেক রাত হয়ছে ঘুমিয়ে পর।
সেতু : ওকে
আমিও ঘুমালাম সকালে উঠে বাড়িতে চলে আসব। ঘুম থেকে ঊঠে দেখি সেতু আমাকে জরিয়ে ধরে সুয়ে আছে।
আমি : এই সেতূ এভাবে ধরে আছো কেন? মামী অথবা অন্য কেউ দেখলে কী ভাববে।
সেতু : কেবলি তো এসে একটু জরিয়ে ধরলাম। আর এই রকম করছো কেন?
সেতু ছারতে চাইনি আমিই জোর করে ছারিয়ে নিলাম। আর বললাম তুমি এখানে কী কর হ্যা।
সেতু : আম্মু ডাকতে পাঠাইলো। তাই আসছি
আমি :তুমি যাও আমি আসতেছি।
সেতু মুখটা বেকিয়ে চলে গেল। আর ফ্রেস হতে চলে গেলাম। ফ্রেস হয়ে মামির কাছে গেলাম দৈখি মামি অনেক কিছু রান্না করছে। মামি এত কিছু রান্না করছেন কেঊ আসবে নাকি।
মামি : ফাজলামি করা বন্ধ কর। তুই আসোস আসার পর যখন চলে যাবি তখন তোর জন্য প্রতিবারই রান্না করি।
আমি মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে খাবার টেবিলে বসলাম । পাশে সেতুও ছিল তাই। সেতুর দিকে তাকিয়ে দেখি মুখটা মলিন হয়ে গেছে।
মুখ মলিন হয়ছে হইতো আমার যাওয়ার কথা শুনে।
আমি থাকলে হইতো কিছুদিন মজা করতে পারত আমার সাথে।
মামি : রংপুর কবে চলে যাবা কবে।
আমি : মজা করার জন্য) বিয়ে না করে যাব না মামি। আব্বু পাএী দেখতেছে।
মামি : ওমা তাই নাকি
সেতু : চোখের সামনে পাএী থাকতে আবার পাএী খুজা লাগে
মামি : কীরে সেতু মনে মনে কী বলিস। আসলেই বিয়া করবা
আমি :আপনিও না মামি বিয়ে করলে আপনারা জানবেন তো
খাবার খেয়ে রুমে এসে কাপর গুলো ব্যাগ এ তুলছি। তখনি সেতু আসলো আর বলল তোমার সাথে কিছু কথা আছে
আমি : আমি শুনতেছি বল
আমার হাত ধরে নীয়ে গিয়ে খাটের উপর বসাল আর সেতুর আমার সামনে দারিয়ে আছে। কিছু সেকেন্ড দারিয়ে থাকার পর সরাসরি আমার ঠোট দুটো লেপ্টে নিল ওর ঠৌটের সাথে।
কিছুক্ষণ পর ছেরে দিল আর বলল আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছারা আমি বাচবো না i love you shuvo
আমি স্তব্দ হয়ে আছি। কি উওর দিব ভাবতে পারছি। আমিও সেতুকে ভালোবাসি। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা অনেক কঠিন। আমার মামারা আমাকে অনেক বিশ্বাস করে।
সেতু : উওর দেও কী হলো
আমি…
(চলবে)