পিচ্চি মামাতো বোন পর্ব- ০৫ লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ

0
76

গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ০৫
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ

” আমিঃ সেতু তুমি পাগলামি করছো কেন? তোমার আমাদের সাথে যাই না । আর আমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না মাঝখান থেকে আমাদের যে মধুর একটা সম্পর্ক আছে এটা নষ্ট হয়ে যাবে। আর আমার মামা মামি দের ভালো বাসা থেকে বন্চিত হতে চাই নাহ। আর তোমাকে ভালোবেসে তোমাকে নিয়ে হইতো পালিয়ে গেলাম,পালিয়ে গেলে মামা মামিদের কাছে থেকে আগের মতো ভালোবাসা পাবো না। আর তোমরা উচ্চ ফ‍্যামিলির মেয়ে আর আমরা নিম্ন মধ‍্যবিও ফ‍্যামিলির ছেলে। তোমার আব্বুকে বললে সে কোনো কারনেই রাজী হবে না এর ভিতর একটা কারন হলো আমরা নিম্ন মধ‍্যবিও। আর আমার আরেকটা সমস‍্যা আছে যেটি কারনে আমি কোনো দিন হইতো বিয়ে করতেও পারব না। ঐ সমস‍্যার এর কারন শুনলে তোমার আব্বু আম্মু কেউ রাজী হবে নাহ।

আশা করি তুমি বুঝতে পারছো। তুমি এখনও অনেক ছোট আগে বড় তখন সবকিছু বুজতে পারবা,,তুমি যে আমাকে ভালোবাসি বলতেছো এটা তোমার আবেক জেটা বেশি দিন থাকবে নাহ। কিছুদিন পর এই ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে। তখন আর আমাকে ভালো লাগবে নাহ। তুমি তখন কলেজে যাবা তখন তোমার অনেক বন্ধু বান্ধবী হবে। আর তোমার বন্ধুরা সবাই গার্লফ্রেন্ড বয়ফেন্ড নিয়ে ঘুরতে যাবে। তুমি তো ঘুরতে পারবে নাহ। তখন মনে হবে কার সাথে প্রেম করি। যার সাথে একদিনও ঘুরতে পারি নাহ।

কলেজে যাবা আমার থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ছেলে দেখতে পাবা আর তোমাকে প্রপোজ করবে কারন তুমি অনেক সুন্দর। আর ঐ প্রপোজ পেয়ে মনে মনে বলবা কত সুন্দর সুন্দর ছেলে প্রপোজ করে আর আমি কীনা পরে আছি শ‍্যামলা একটা ছেলের কাছে।

তখন আর আমাকে ভালো লাগবে নাহ। আমাকে তোমার বোরিং মনে হবে।

সেতু : এই শুনো আমি আর এখন ছোট নাই। আমি সামনে এস এস সি পরিক্ষা দিব। আর যারা দশম শ্রেনিতে পড়ে তারা ছোট হয় না। আমি বড় হয়ছি আর আমি সব কিছুই বুজি । আর তোমাকে আমি সত্যিই ভালোবাসি। এই ভালোবাসা কোনো আভেক না। আমি তোমাকে নবম শ্রেনি থেকে ভালোবাসি। i really love you

আমি : এটা কখনও সম্ভব না।

সেতু : কেন সম্ভব না বল

আমি : আমার অনেক বড় একটা প্রবলেম আছে।

সেতু কী সমস‍্যা আমাকে বল। আমি সব রকম সমস‍্যাই মেনে নিব।

আমি : তোমার মতো কত মেয়ে বলল শুভ তোমার সমস‍্যা থাকলেও আমি তোমাকে ভালোবাসব। আর শুনার পর সবাই চলে গেল।

সেতু : আমি যাব না বল।

আমি : আরেকটু বড় হও তখন বলব।ভালো থেকো আবার মনে হয় কবে আসি না আসি। দেখা হয় না হয়।

এই বলে ঘর থেকে বের হয়ে আসি। আর চলে যাই নানীর কাছে। সব মামা মামির সাথে দেখা করে বিদায় নিয়ে আসলাম।

সেতুকে একবার ভালো করে দেখলাম দেখি সেতূর চোখে জল এসে পরেছে।

পরে আমি বাড়িতে এসে সেতু সাথে ঘটনা গুলো সব বলি শুধু কিছ এর কথা বাদ দিয়ে

আসলে আমি আর আম্মু ফেন্ড এর মতো। আমি ছোট থেকেই আম্মুর সাথে শেয়ার করি।

পরে কিছুদিন পর রংপুর ভার্সিটিতে চলে যাই। এর মাঝে সেতু এর সাথে অনেক কথা। ভালো মন্দ এগুলোই জিগ্গেস করা হয়ছে।

একদিন ভার্সিটিতে গিয়ে একটা মেয়ে বন্ধুর সাথে সেলফী তুলি আর ফেসবুকে এ পোষ্ট করি সেই পোষ্ট সেতু দেখে inbox মাথায় তুলে ফেলে।

সেতু : ঐ মেয়েটি কে

আমি : আমার বান্ধবী

সেতু : বান্ধবী তাই কী হয়ছে হ‍্যা ওই রকম ভাবে কাছাকাছি বসে সেলফি তুলা লাগব নাকি। আমি তোমাকে কোনো মেয়ের সাথে সহ‍্য করতে পারি নাহ।
এর পর যদি আবার মেয়েদের সাথে সেলফি তূলো তাহলে আমি কিছু করে ফেলব আর দোষ দিব তোমার ।

আমি : আচ্ছা ঠিক আছে বলব না।

আমার অনার্স এ পরিক্ষা দেই আর সেতুও এস এসছি পরিক্ষা দেই। সেতুর সাথে আমার অনেক কথা হয় এক বছর। বলতে পারেন জিএফ বিএফ যেরকম করে কথা বলে আমরাও সেরকম ভাবেই কথা বলি।

এক বছর সেতু আমার কাছে আনেক বার শুনতে চাইছে আমার প্রবলেম। কিন্তু আমি বলি নাই।

এখন আমি চাকরি খুজছি আর সেতু ইন্টার এ পড়ে। সেদিন সেদিন শুধু জিগ্গেস করে তোমার সমস‍্যা টা বল।

আমার ও ধৈর্য এর বাদ ভেঙ্গে যাই। আর আমি বলি।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here