গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ০৬
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” আমি সেতুকে বলি আমি কোনোদিন বাবা হতে পারব নাহ্। একটা এক্সিডেন্ট এ সমস্যা হয় আর ডাক্তার বলে আমি আর বাবা হতে পারব না।
সেতু শুধু মেছেজ সিন করল আর হার্ট একটা ইমোজি দিল।
পরে অফলাইন এ চলে গেলো। আমি অবশ্য জানি কেন চলে গেল। আমার যে সমস্যা এটা জেনে কোনো মেয়ে বিয়ে করবে না।
আর বিয়ে করবেই বা কেন আমি কোনোদিন তাকে মা ডাক শুনাতে পারব না। এই যে সমস্যার এর কথা বললাম এখানেও কিছু কারন আছে গল্পে থাকুন জানতে পারবেন। গল্পের ভিতর টুইস্ট আনতে চাইতেছি।
সেদিন সমস্যা বলার পর সেতু তিন দিন অনলাইন এ আসে নাই। আমি ওকে মিস করতেছি অনেক। সেতু আমাকে অনেক কেয়ার করত। অনেক শাসন করত।
তার দেওয়া মেছেজ গুলো মিস করতেছি। তিন দিন পর আনলাইন আসল সেতুর নামের পাসে সবুজ বাতি টা জলে উঠল।
আমি একটি মেছেজ দিলাম কেমন আছো।
সেতু :ভালো
আমি : বাড়ির সবাই কেমন আছে।
সেতু : ভালো
আমি :ভালো থেকো
সেতু : হুম
পরে আর মেছেজ দিলাম না একটু মনে মনে হাসলাম হাইরে আবেক। আগে কত কথা বলত এখন আর কথাই বলে না। মেছেজ তো দেয়ী না আবার বলেছে তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
সেতু এর ভালোবাসা ছিল আবেক আর এই ভালোবাসা সমস্যা এর কথা শুনে জানালা দিয়ে পালালো। আর বলত সমস্যা আছে তাই কী। ওমনি ভালোবাসব।
আপনারা ভাবছেন হইতো ভাবছেন হইতো আমি কষ্ট পাচ্ছি নাহ। আসলেই আমার কষ্ট হচ্ছে না। আজকে নতুন ভাবে কেউ কথা বলা বাদ দেয়নি।
অনেকেই এরকম ভাবে বলত ভালোবাসি কিন্তু সমস্যার এর কথা বলতেই কথা বলা বন্ধ করে দিছে।
যদিও অন্য মেয়েদের থেকে সেতুর ব্যাপার টা একটু আলাদা। কারন সেতুকে আমি ভালোবাসি। আর ভালোবাসাও না ভালো লাগা এই আর কি।
সেতুকে মিছ করি। তার মেছেজ গুলো মিস করি। এটাই। তাছারা আর কিছূই নাহ।
এখন আসতে আসতে সেতুকে ভুলে যাব তার দেওয়া মেছেজ গুলো আর মিছ করব না।
আমার একটা চাকরি হয়ে গেছে। এখন আর আমি বেকার নাই। কিছুদিন পর শুনতে পেলাম সেতুর বিয়ে ঠিক হয়েছে একটা এমবি বিএস ডাক্তার এ সাথে । শুনে ভালোই লাগল। বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে। বিয়ের সাত দিন আগেই থেকে সব মামা মামি নানী সবাই ফোন দিয়ে বলতেছো তারাতারি আসতে।
আর বলবেই না কেন পাচঁ মামার একমাএ ভাগিনা অনেক আদরের। আর আমি ছোট বেলাই মামার বাড়ি বেশি থাকছি।
কিন্তু এটা ওটা বলে বলি বিয়েতে যাইতে পারব না। আসলে বিয়েতে যাইয়া সেতুর সামনে যাইতে সরম করবে। আর সরম এর কারনটা আপনারা ফিল করতে পারবা।
সেতুর বিয়ে তে আসতে আব্বু আম্মু আসতে বলছে কিন্তু না করে দিছি। আম্মু আসার জন্য জন্য জোর করে নাই জোর করলে আসতেই হতো। কারন আম্মু উপরের কথা গুলো সব জানে। আমার জীবনে সব ঘটনা আম্মুর এর সাথে শেয়ার করি।
বিয়ের চার দিন আগে সেতু মেছেজ দিছে। ভাইয়া বিয়েই আসবে না কেন?
আমি : আসলে এক বছর কথা বলার পর তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম আর তুমি মাজপথে ছাইরা দিলে । সব কিছুই সম্ভব কিন্তু নিজের চোখের সামনে ভালোবাসা দেখা সম্ভব না।
সেতু :আপনাকে দিয়ে যদি আমি মা হতে না পারি তাহলে বিয়ে করে লাভ কী। আপনাকে তো কেউ বিয়ে করবে না।
আমি আর কিছু না হাসির একটা ইমোজি দিয়ে অফলাইন চলে গেলাম।
বিয়ের দুই দিন আগে রুমে বসে আছি। বসে আছি বললে ভুল হবে অফিসের জন্য রেডি হচ্ছি তখন দেখি মামা আমার দরজার সামনে দারিয়ে আছে। আমি সালাম দিয়ে বললাম আরে মামা কখন আসলেন। এই যায়গায় বসেন। আমি বসতে আসেনি তোমাকে নিতে এসেছি চলো
আমি :মামা নতুন নতুন অফিসে জয়েন করছি। আর ছুটি দিবে নাহ। আর এমনে গেলে চাকরি থাকবে।
মামা : তোমাকে কী কেউ কীছু বলছে। তোমার মামি কী কিছু বলছে বল
আমি : না মামা মামি আর কী বলব
মামা :তাহলে চল তোমার অফিসে যাব। আমি ছুটি নিয়ে দিব।
পরে বাধ্য ছেলের মতো মামাকে নিয়ে গেলাম অফিসের সামনে গিয়ে মামা কাকে জেন ফোন করল। পরে অবশ্য বুজতে তার বন্ধুকে ফোন দিছিলো
মামা : কীরে কী অবস্থা
ঐ পাশের লোকটির কথা শুনতে পারলাম না।
মামা : আমি তোর অফিসের সামনে দারিয়ে আছি।
লোকটি কী বলল শুনতে পেলাম না। কিছুক্ষণ পর দেখি আমাদের অফিসের বস বের হয়ে আসল। আসা দেখে সালাম দিলাম।
বস :ওলাইকুম আসসালাম
মামা : শুভ আমার ভাগিনা ওর ছুটি লাগবে
বস : আরে শুভ তোর ভাগিনা হয় আগে বলবি তো। বলেই আগেই ছুটি দিয়ে দিতাম। শুভ ছুটি চাইছিল কিন্তু দেই নাই। আরো বকা দিছি
মামা : এখন তো জানলি। ছুটি দিবি নি চলে যাব আমি
বস :আরে তুই আইছস ছুটি না দিয়ে পারি বল। চল কিছু খাই।
মামা : হুম চল
পরে একটা রেষ্টুরেন্টে গেলাম গিয়ে খাইতে বসলাম
মামা :তা শুভ কী কাজ কিছু পারে । না পারেই না।
বস :পারে কিন্তু নতুন তো তাই মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। কিন্তু পারফরম্যান্স ভালো আগাতে পারবে।হঠাৎ করে আসলি ফোন দিয়ে আসতি তোর ভাবী শুনলে খুশি হতো।
মামা :সময় নাই রে। এখানে দুইটা কাজের জন্য এসেছি এক হলো তোর সাথে দেখা করতে আর ভাগিনা কে নিতে।
মামা একটা কার্ড বের করে দিল আর বলল বিয়ের দিন চলে যাইস আমার মেয়ের বিয়ে। আর কোনো কিন্তু চলবে না বলে দিলাম
বস : ঠিক আছে চলে যাবো
মামা :তাহলে আজকে উঠিরে,বাড়িতে অনেক কাজ বুজতেই তো পারছোস।
বস : আচ্ছা যা
পরে আমরা চলে আসলাম এসে সরাসরি নানীর বাড়ি । নানীর বাড়ি অনেক মানুষ সবাই আমাকে দেখে কাছে আসল। সবাই কথা বলল কিছুক্ষণ পর আমার ছোট কিউট বোন টা আসল আর বলল আমার জন্য কী নিয়ে আইছৌ।
আমি : কিছুই না হ
ছিন :তোমার সাথে কথা নাই যাও
আমি : ঠিক আছে না নিলা আম্মকে চকলেট দেয় গা
পরে ছোট বোন চকলেট টা নিয়ে দৌর দিল। আমি আম্মুর সাথে কথা বললাম। বলে ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে নিলাম।
সেতুর সাথে এখনও দেখা হয়নি। অনেক খুশিতে আছে মনে হয়
বিয়ের সব আয়োজন কম্পিলিট করা হলো । বিয়ের দিন আমি যেটা ভাবি নি ঐই টাই হয়ছে…….
(চলবে)
এই পার্ট মনে লেখা ভালো হয় নাই। ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।