প্রতিশোধ পর্ব_১

প্রতিশোধ পর্ব_১
💘

#লেখিকা_সুপ্রিয়া_নস্কর

ছাড়ব না,কথা দিচ্ছি তোমাদেরকে।তোমাদের যে কষ্ট দিয়েছে তাদেরকে ছাড়ব না।—-

মা,বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলে আয়ান।আর চোখ থেকে জল পড়তে থাকে।

সেই সময় ঘরে আসে ধ্রুব।তারই কোম্পানিতে কাজ করে।আয়ানের কাছের একজন।

আমি সব খবর নিয়ে এসেছি।উনি রয় কোম্পানিতে আছেন।বাড়িতে উনি আর ওনার ভাই থাকেন।-ধ্রুব

রয় কোম্পানিটা কেনার ব্যবস্থা কর।যে রকমভাবেই ওই কোম্পানি আমার চাই।-আয়ান

কিন্তু,এরকমভাবে—-ধ্রুব

আমি কিছু শুনতে চাই না।যত টাকা লাগে লাগুক আমার কোম্পানিটা চাই।বিপ্লব আঙ্কেল সব ব্যবস্থা করে দেবেন।-আয়ান

আচ্ছা,আমি দেখছি।-ধ্রুব

কোনো কিছু দেখাদেখি নয়।-আয়ান

ঠিক আছে।একটা কথা বলব।-ধ্রুব

কী?-আয়ান

ওনাকে কষ্ট দিয়ে কী হবে?ওনার দোষ কিসে?-ধ্রুব

কষ্ট!আমি যে কষ্ট পেয়েছি তার কী হবে?তাছাড়া ওদের দোষ কম কথায়?যার জন্য আমার এই অবস্থা তার পরিবারকে আমি ছাড়ব না।-আয়ান

ধ্রুব কিছু বলে না,চলে যায়।

আয়ান মা বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে থাকে।প্রতিশোধের আগুন তার চোখে জ্বলছে।

অন্যদিকে

পরিবারের নিয়ম!পরিবারের নিয়ম!যতসব,এর জন্য আমার সব প্ল্যান মাটি হয়ে যাচ্ছে।না,হলে কবেই—-একটি লোক(ক্রমশ প্রকাশ্য)

হ্যাঁ,স্যার,ওদের পরিবারের তো ওটাই নিয়ম ছিল।আর উনি কিছু বুঝতে পেরে আগেই তা করে গেছেন।-উকিল রমেশ বাবু

কিন্তু স্যার,উইলে যা আছে তাতে তো ওনার স্ত্রীর ভাগ—পুলিশ রজত বাবু

কী ভাবছ,আমি অতো কাঁচা খিলাড়ি নই।পাখিটাকে ছোলা দিয়ে এতো সযত্নে বড় করলাম কী জন্য।কত খরচ করতে হয়েছে পাখির পিছনে।সব করে রেখেছি।ওর মনে যে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছি।তাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারব।-লোকটি

স্যার,আপনার যা আছে তাতে তো আপনার আর কিছু কী দরকার?ওর পিছনে ওত খরচ করার কীই বা দরকার।-আমতা আমতা করে বলে রমেশ বাবু

লোকটি রমেশবাবুর দিকে রাগী চোখে তাকায়।আর বলে-আমার কী আছে।কোটি টাকার সম্পত্তির জন্য একটু কিছু তো নিজের বিলিয়ে দিতে হয়।

এই বলে সে দাঁত বার করে শয়তানের মতো হাসতে থাকে।

আমি কিছুতে জড়িয়ে পরব না তো-রমেশ বাবু

চিন্তা করছ কেন?আমাদের রজতবাবু তো আছেন।-লোকটি

আমি,আমি কী করব।অনেক বড় পাপ করেছি আর নয়।আমাকে এবার রেহাই দিন।জনগনের রক্ষার ব্রত নিয়ে আজ আমি—-রজত বাবু

লোকটি বলে-ওত সৎ হওয়ার চেষ্টা কর না।আমাকে আর কোনো কিছু করতে বাধ্য করো না।

রজত চুপ করে যায়।মনে মনে বলে-আজ আমার ছেলে মেয়ের দিকে তাকিয়ে এই পাপ করতে হচ্ছে।কেউ এমন নেই যে এর মুখোশ টা খুলে ফেলে উচিত শিক্ষা দিতে পারে।

উকিল বাবু আর রজত দুজনের দিকে তাকায়।আর লোকটির হাসির বিকট শব্দে সারা ঘর কম্পিত হতে থাকে।

অন্যদিকে একজন ঘরে এসে বলে-স্যার আপনার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে।

অন্যদিকে

এই দিদি তাড়াতাড়ি খাবারটা খেয়ে নে।আজ খাবারটা পুরো খেয়ে তারপর যাবি।-নিলয়

হ্যাঁ,রে বাবা।তুই পুরো বুড়োদের মতো কথা বলছিস।-আয়ুসী

হুম,আমি বুড়ো!না তুই বুড়ি।দিদি তুই বিয়ে করবি না?-নিলয়

হ্যাঁ,করব তোর বিয়ে দিয়ে।-আয়ুসী

নিলয় তার দিকে ছোটো ছোটো চোখ করে তাকায়।আর আয়ুসী হাসতে থাকে।

আয়ুসী আর নিলয় দুই ভাইবোন।বাবা মারা যাওয়ার পর মামার বাড়িতে থাকত।কিন্তু পরবর্তীকালে মামাদের খারাপ ব্যবহারে তারা অন্য জায়গায় চলে আসে।

ওইদিকে রয় কোম্পানি হয় চৌধুরী কোম্পানির নামে।আর আয়ান কোম্পানিতে যায়।আয়ানকে সম্বর্ধনা জানাতে আজ কর্মচারীরা হাজির।

আয়ুসীও এসেছে।ম্যানেজার সবাইকে আলাপ করিয়ে দিচ্ছে।আয়ুসীর সামনে এসে বলে-এ আপনার পি এ।

আয়ান আয়ুসীর দিকে তাকায়।দেখে একটি মেয়ে খুবই সাধারন সাজ।মুখে কোনো মেকাআপ নেই।আর মুখটা মায়া ভরা।চোখ দেখে মনে হয় চোখদুটি বড্ড শান্ত।

welcome sir-আয়ুসী

আয়ুসীর কথাতে আয়ানের হুঁশ ফেরে।

তারপর আয়ান নিজের রুমে চলে যায়।ভাবে কী করা উচিত?

নিজের রুমে পায়চারি করতে থাকে।আর টেলিফোনটা তুলে বলে—-

চলবে—-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here