প্রেমমানিশা(২২)

#প্রেমমানিশা(২২)

‘ মামা এক প্লেট ঝাল দিয়ে ফুচকা দিন তো ‘

কথাটা বলেই সানাহ্ ফুচকা স্টলের সামনে থাকা চেয়ারে বসলো। তার সামনে একটা প্লাস্টিকের টেবিল আছে যার সামনে একটা চেয়ার আর দুই পাশে দুটো চেয়ার। ফুচকাওয়ালা মামা সানার কথা মতই ইচ্ছামত কাচা মরিচ আর লাল মরিচ দিয়ে ফুচকা বানিয়ে দিয়ে গেলেন। হুট করে কি হলো। সানার রাগে দুঃখে কান্না পাচ্ছে।

সানাহ্ তার কান্না আটকে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো। হাত বাড়িয়ে ফুচকার প্লেটটা সামনে নিলো। একটা ফুচকা মুখে নিতেই সানার নাক ফুলে যেতে শুরু করল আর চোখ লাল হয়ে উঠতে শুরু করল। ফুচকার তীব্র ঝালে তার চোখ মুখ মাত্রাতিরিক্ত লাল হয়ে গেছে তবুও সে তার জেদ বজায় রাখতে থামলো না। একের পর এক ঝাল ফুচকা গোগ্রাসে গিলে চললো।

ফুচকা শেষ করে যখন সানাহ্ আশেপাশে তাকালো তখন দেখলো আশেপাশে যারা ছিল তারা অনেকেই হাঁটাচলা করতে সময় তার দিকে চোখ ফিরিয়ে তাকাচ্ছে, হয়তো তার রক্তিম বর্ণ ধারণ করা চেহারার জন্য। সানাহ্ বিষয়টা পাত্তা দিলো না। ইশারায় ফুচকাওয়ালা মামার সহকারী ছেলেটাকে বললো ফুচকাওয়ালা মামাকে ডাকতে। ছেলেটা ডাক দিতেই ফুচকাওয়ালা মামা ছুটে এলেন আর সানাহ্ ব্যাগ থেকে ফুচকার টাকা বের করে মামার দিকে এগিয়ে দিল।

ফুচকাওয়ালা মামা ফুচকার টাকা নিতে সময় সানার দিকে তাকিয়ে ভয়ে দুই পা পিছিয়ে গেলেন। সানার মুখের যা অবস্থা তাতে যে কারোর ভয় পেয়ে যাওয়ার কথা। সানাহ্ ব্যাপারটা পাত্তা না দিয়ে বললো ‘ একটা পানির বোতল এনে দিন। ‘ ফুচকাওয়ালা নিজে দৌড়ে গিয়ে পানির বোতল নিয়ে এলো, হয়তো নিজের দোষের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। সানাহ্ বোতলটা হাতে নিয়ে বোতল থেকে পানি নিয়ে মুখ ধুয়ে নিল। মুখ ধুয়ে আবারও বোতলটা ফিরিয়ে দিয়ে ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে মুখটা মুছলো। মুখ মুছে বোতলটা নিয়ে ঢকঢক করে এক নিশ্বাসে পানি খেয়ে ফেললো। পানি খেয়ে এতক্ষণে শান্তি লাগছে।

মুখের লাল লাল ভাবটা কমে এসেছে। মুখে তৈরি হওয়া গরম ভাবটাও অনেকটা কমেছে। সানাহ্ এবার আকাশের দিকে চোখ দিলো। ঘুরতে ঘুরতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে খেয়ালই করেনি। বাড়ি ফেরা দরকার নাহলে মা হাজার প্রশ্ন করবে। সানার এখন কোনো ঝামেলায় যেতে ইচ্ছা করছে না তাই সে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাঁটা দিলো।

বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে রাত সাড়ে আটটা বেজেছে সানার। রিক্সা থেকে নেমে রিক্সাওয়ালাকে তার ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে বাড়িতে ঢুকলো। বাড়ির সদর দরজা পেরিয়ে যখন সিড়ির দিকে যেতে ব্যস্ত তখনই রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলেন মিসেস কায়নাত। সানাহ্কে ফিরতে দেখে কপালের ঘাম শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে এগিয়ে এসে বললেন ‘ এসে গেছিস ? খিদে পেয়েছে নিশ্চই… ফ্রেশ হয়ে আয়। কী খাবি ? ‘

যদিও বাইরে সেই ভয়ংকর ঝাল দেওয়া ফুচকা খেয়ে সানার এখন খাওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই তবুও মায়ের উপর সরাসরি কিছু বললো না। ঝামেলা করার মনমানসিকতা তার নেই এখন। তাই বললো ‘ থ্রি টোস্টেড ব্রেড, ওয়ান পোচড এগ অ্যান্ড ওয়ান মাসালা এগ মামলেট। একেবারে রাতের খাওয়া। এখন দিওনা মা… রাত দশটায় আমি নিজে এসে খাবো। ‘

সানার মুখে মা ডাক শুনে থমকে গেলেন মিসেস কায়নাত। আহ্ কত মায়া ভরা সেই ডাক.. মেয়েটার মুখে এক মুহুর্ত মা ডাক না শুনলে মিসেস কায়নাতের কান তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠে। কথাটা ভাবতেই আপনিতেই মিসেস কায়নাতের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। মিষ্টি হেসে মাথা নাড়িয়ে চলে গেলেন তবে ক্লান্ত সানার তার মায়ের মুখের স্নিগ্ধ হাসি চোখেই পড়লো না। সে যেন আপন জগতেই ব্যস্ত।

রুমে এসেই ব্যাগপত্র রেখে বারান্দায় চলে গেলো সানাহ্। ক্লান্ত গা এলিয়ে দিল বারান্দায় থাকা ডিভানে। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়ছে। অন্যদিন এতটা ক্লান্ত থাকে না সানাহ্। আজ হয়তো মন খারাপটাই শরীরের উপর প্রভাব ফেলছে। কোথাও শুনেছিলাম মন সুস্থ থাকলেই শরীর সুস্থ তবে আজ সেটার প্রমাণও পেলাম।

প্রেম বিরহে আজ সানার মন ক্লান্ত। ইচ্ছে করছে আবারও সব ছেড়ে চলে যেতে কিন্তু এবার আর সানাহ্ যাবে না। তাকে এখানে উপস্থিত থেকে ফারহানের ওই বন্ধুর সঙ্গে ফাইট করতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে ফারহান সানাহ্কে ভালোবাসে ওই রিয়াশা ফিয়াশাকে না। এর জন্য সানাহ্কে যা যা করতে হবে সে তাই করবে তবু নিজের অধিকার ছাড়বে না। এত সহজে দমে যাওয়ার পাত্রী সে নয়।

সবেমাত্র খাওয়া দাওয়া সেরে ঘরে এসেছে সানাহ্। হট শাওয়ার নিয়ে মায়ের হাতে খেয়ে এখন ঘুম পাচ্ছে। কতদিন পর মিসেস কায়নাত সানাহ্কে খাইয়ে দিয়েছেন হিসাব নেই। সানাহ্ তার হাতে খেতেই চায় না। সানার নিজ হাতে খাওয়া পছন্দ। মা তাকে খাইয়ে দিবে তারপর ঐ একই এটো হাতে নিজেও খাবে ব্যাপারটা সানার পছন্দ না।

ঘুম চোখ ফেটে আসছে অথচ সানাহ্ একটু পড়তে চেয়েছিল। আর কয়েকদিন পর ফাইনাল এখন না পড়লে কি করে হয়। কোন কুক্ষণে যে বিছানায় শুয়েছিল। এই জন্যই তো হতচ্ছাড়া ঘুম চোখে এসে ধরা দিল। ধুর চোখ মুখ ধুয়ে পড়তে বসতে হবে ভেবে সানাহ্ বিছানা ছেড়ে উঠলো। বাথরুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে আসলো। তারপর পড়তে বসলো। বই খুলে পড়ছে কিন্তু ঘুমঘুম ধরছে তবে সানাহ্ হার মানবে না। আজ কেউ পারবে না তাকে পড়া থেকে দূর করতে।

হঠাৎ ফোনের রিংটোনে সানার পড়ায় ব্যাঘাত ঘটলো। বিরক্তিতে তার চোখ মুখ কুঁচকে গেল। কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো বাজতে থাকা ফোনের দিকে। তারপর না দেখেই ফোন কেটে দিলো। সানাহ্ যখন আবার পড়ায় কনসেনট্রেট করতে চেষ্টা করলো তখনই ঘর কাপিয়ে আবারও ফোন বেজে উঠলো। সানাহ্ বিরক্তিতে ফোনই ধরলো না। ফোন আবারও কিছুক্ষণ বেজে বন্ধ হয়ে গেলো।

তবে কলদাতা যে থামার পাত্র নয় সেটা সানাহ্ একটু পরেই বুঝতে পারল। আবারও ফোন বাজছে। সেই একই রিংটোন… এই রাত তোমার আমার। এবার আর সানাহ্ বসে রইলো না। দ্রুত কল রিসিভ করে কিছু বলার জন্য উদ্যত হলো কিন্তু তার কথা মুখেই রয়ে গেলো। ফোনের ওপার থেকে ফারহান তেজ দেখিয়ে বললো ‘ এতক্ষণ লাগে ফোন ধরতে ? ফোন ধরছিলে না কেন ? ‘

ফারহানের তেজি স্বর শুনে কিছু বলার সাহস পেলো না সানাহ্। কোথায় সে যাচ্ছিল চিৎকার চেঁচামেচি করতে অথচ এখন ফারহান গলা বাজাচ্ছে। সানাহ্ শুধু আমতা আমতা করে বললো ‘ না মানে…. ‘

‘ কথা পরে বলো। আগে তোমার বারান্দায় এসে দাড়াও । ‘

এবার সানার মাথা চড়ে গেল। একে তো তেজ দেখাচ্ছে আবার এইদিক দিয়ে এই ঠান্ডায় বারান্দায়ও যেতে বলছে। মগের মুল্লুক নাকি ?
সানাহ্ থমথমে গলায় বললো ‘ এই শীতের রাতে আমাকে বারান্দায় ঢুকতে বলার কারণ কি জানতে পারি ? ‘

এবার সানার গলায় কম্পনের মাত্রা ফারহানের কানে ঠেকলো। বুঝতে পারলো সানাহ্ রেগে যাচ্ছে। কিন্তু এখন তো সে সানার মন ভালো করতে চায় তাই তাকে রাগালে চলবে না। সানাহ্কে হাসানোই তার একমাত্র কাজ। ফারহান নরম গলায় একটু অধিকার খাটিয়ে বললো ‘ আরে আসো না। বিশেষ কথা আছে। ‘

সানার কি হলো কে জানে। ফারহানের এহেন নরম গলা শুনে কঠোর সানাহ্ও গলে গেলো। কোনো আপত্তি করতে পারলো না। নিঃশব্দে বারান্দার স্লাইড খুলে বারান্দায় এলো। বারান্দায় এসেই সানার চোখ কপালে উঠে গেলো। একি ফারহান তার বারান্দার বাহিরে ফোন কানে নিয়ে নিচে দাঁড়িয়ে আছে। সানাহ্ চোখ দুটো গোলগোল করে ফারহানের দিকে তাকিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো ‘ আপনি এখানে ? আপনি এত রাতে এখানে এসেছেন কোন দুঃখে ? ‘

‘ সব জানতে পারবে, আগে নিচে এসো। দুজনে মিলে একটা জায়গায় যাবো। ‘ ফারহান ফিসফিসিয়ে বললো।

‘ আরে আজব নিচে কি করে আসবো ? আমার বারান্দায় তো আর আপনার বারান্দার মত সিড়ি নেই। তাছাড়া মেইন গেট দিয়ে আসতে গেলে মা ধরে ফেলার চান্স আছে। ‘ সানাহ্ অবাক হয়ে বললো। ফারহানকে এই সময় সে এখানে মোটেও আশা করেনি।

‘ তার ব্যবস্থাও আমি করে রেখেছি। দেখো তোমার বারান্দার ডান দিকে মই লাগিয়েছি। ওটা দিয়ে নামো। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তোমাকে চোখের সামনে না পেলে আমি কিন্তু তোমার ঘরে আসবো। তুমি কি চাও আমি সেটা করি ? ‘ ফারহান বললো।

‘ দাড়ান আসছি…. ‘ বলে সানাহ্ ফোনটা রেখে ঘরে চলে গেলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই ট্রাউজারের বদলে একটা জিন্স পড়ে এলো। পকেটে ফোনটা রেখে এবার মই দিয়ে নামতে শুরু করলো। কিন্তু অর্ধেক নামতে না নামতেই মই কাপতে শুরু করেছে। সানার ভয়ে হাত পা কাপছে। সে এখনও মাটির থেকে তিন চার ফুট উপরে আছে। এখান থেকে পড়লে মরুক না মরুক কিন্তু হাত পা ঠিকই ভাঙবে। সানাহ্কে থেমে যেতে দেখে ফারহান বললো ‘ থামলে কেন ? ‘

‘ নামতে পারছিনা কবি সাহেব, মই কাপছে। এখান থেকে পড়লে হাত পা আস্ত থাকবে না। ‘

‘ আরে ভয় নেই আমি আছি। তুমি আরেকটু নামো। যদি পুরোটা নামতে পারো তাহলে ভালো নাহলে পড়ার আগে ধরে নিবো। ‘

‘ আমি পড়ার আগেই কেন বলছেন পড়বো ? আপনি কি চান আমি পড়ে যাই ? ‘ কটমট করে বললো সানাহ্ ।

‘ আমি সেটা কখন বললাম ? আমি শুধু বলছি তুমি আমার ভরসায় নামো। বাকিটা আমি দেখে নিবো ‘ ফারহান অসহায় গলায় বললো।

‘ কিন্তু…. ‘

‘ কথা বলে সময় নষ্ট করো না সানাহ্। আমাদের কিন্তু তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। আমি তো মই ধরেছি। তুমি নামো, আমি সামলে নিবো। ‘

ফারহানের কথায় আশ্বাস পেয়ে সানাহ্ সব ভয় দূর করে দিয়ে নামতে শুরু করলো। অবশেষে মই থেকে নেমে যখন হাফ ছেড়ে দাড়ালো তখন ফারহান ওর হাত টেনে বললো ‘ এই জন্যই বলেছিলাম কিছু হবে না। এখন তাড়াতাড়ি চলো। ‘

‘ কিন্তু আমরা কোথায় যাবো ? ‘ সানাহ্ অবাক হয়ে বললো। ওর মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না এত রাতে ফারহান তাকে নিয়ে কোথায় যেতে চাইছে। এত রাতে কোন জায়গা খোলা যে ফারহান যাবে।

‘ সে তো গেলে দেখা যাবে। এখন এত কথা না বলে চলো ‘ বলেই ফারহান সানার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল। সানাহ্কে কোনো কথা বলারই সুযোগ দিলো না ফারহান। সোজা তাকে সিটে বসিয়ে তার সিটবেল্ট বেধে নিজেও ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসলো। ড্রাইভিং সিটে বসেই গাড়ি স্টার্ট দিল। গাড়ি এখন ছুটে চলেছে তার গন্তব্যের।

গাড়ি যখন এক ঘন্টা পর তার গন্তব্যে পৌঁছলো তখন সানাহ্ গাড়ি থেকে নেমে অবাক। সানাহ্ যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না তারা নদী কিনারে এসেছে। জায়গাটা যে নদীর তীরে সেটা বুঝলেও কোন নদী সেটা বুঝেনি সানাহ্। নদীর তীরে আগে কখনও আসেনি সানাহ্। এতদিন শুধু তার মামণির নদীকে ঘিরে বিভিন্ন সুখকর স্মৃতির ছবি দেখেছে কিন্তু বাস্তবে কোনওদিন আসা হয়নি।

সানাহ্ গাড়ি থেকে নামতেই ফারহানও গাড়ির চাবি তার পকেটে রেখে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির পিছনের ডিকি খুললো। ডিকি খুলে সেখান থেকে একটা মাঝারি সাইজের হোয়াইট কালারের পলিথিন ব্যাগ নামালো। তারপর ডিকি বন্ধ করে সেই ব্যাগ হাতে নিয়ে সানার কাছে এসে দাঁড়ালো।

‘ ভালো লেগেছে ? ‘

হুট করে ফারহান কখন পিছনে এসে দাঁড়ালো বুঝতেই পারল না সানাহ্। সে তখন ব্যস্ত প্রকৃতির লীলাখেলা দেখতে। সময় এখন কত জানা নেই সানার। তবে সূর্যোদয় হতে এখনও বেশ দেরি। ফারহান আবারও জিজ্ঞেস করলো ‘ ভালো লেগেছে ? ‘

‘ খুব ভালো লেগেছে…. এটা কোন নদী ? আপনি জানেন আমি আগে কখনও কোনো নদী দেখিনি। আমার কখনও সেই সৌভাগ্য হয়নি। তবে আজ আপনার কারণে দেখলাম। আমি খুব খুশি কবি সাহেব। ‘ সানাহ্ আনন্দে লাফিয়ে উঠে বলল।

‘ এত খুশি হতে হবে না। এখনও অনেক কিছু বাকি আছে। তোমাকে খুশি করবো বলে সারা সন্ধ্যা লাগিয়ে খোজ নিয়েছি কোন নদীতে এলে ভালো হবে। আজকাল নদীর যা অবস্থা হচ্ছে। নদী বলে তো বাংলাদেশে কিছুই বাকি নেই। অনেক খোঁজ নিয়ে জানলাম শীতলক্ষ্যা নদীতে আসলেও আসা যেতে পারে। তাই টাকা দিয়ে মাঝি ঠিক করলাম সকাল আটটা পর্যন্ত। এখন আমরা নৌকায় উঠবো আর সেখান থেকে মাঝ নদীর কাছাকাছি যাবো তারপর বাকিটা সিনারি এভাবেই ইনজয় করবো। হবে না ? ‘ ফারহান হেসে সানার কাধ ঝাঁকিয়ে বললো।

‘ চলবে মানে.. দৌড়বে ‘ বলে হেসে দিল সানাহ্। আর ফারহান সানার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইলো।

~ চলবে ইনশাআল্লাহ্….

( একদিন গল্প না দিলে যারা গল্প গল্প করে ম্যাসেজ করেন তারা দয়া করে আজ রেসপন্স করবেন। আমি গল্প দিলে কোনো রেসপন্স নেই অথচ একদিন দিতে ভুলে গেলেই আপনারা তেড়ে আসেন গল্প কই গল্প কই করে। আমি এই গল্পে কোনো রেসপন্সই পাই না।। আশা করি আজ হতাশ করবেন না আপনারা। )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here