#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================
❝ ফিরে_আসা ❞
———————-
লেখিকা: Umma Hurayra Jahan
পর্ব: ০৪
রফিক: আরে সংকুচ করছিস কেন???বল না কি বলবি? ?
আরমান : না মানে „বলছিলাম যে আমি তোর মেয়েটাকে নিজের মেয়ে বানিয়ে আমার ঘরে নিতে চাই
এমনি এমনি তো তোর মেয়েকে আমায় দিবি না । তাই বলছিলাম কি, আমি ফাতেমাকে আমার মাহিন এর বউ করে নিতে চাই ।
দোস্ত দিবি তোর মেয়ে টাকে আমায়???
রফিক: হা করে তাকিয়ে আছে বন্ধুর দিকে । সত্যি বলছিস তুই???
না মানে তুই কি সিরিয়াসলি বলছিস??
খাদিজা বেগম: ভাই সাহেব আপনি কি সত্যি বলছেন????
আরমান:: [ রহমান সাহেবের হাতে হাত রেখে] হে রে দোস্ত সত্যি বলছি
ফাতেমার মতো মেয়ে কে ঘরের বউ করতে পারলে আমার ঘরটা জান্নাতের বাগানে পরিনত হবে রে ।নিজেকে ধন্য মনে করবো
রফিক: হে রে দোস্ত নিয়ে যা নিজের মেয়ে করে আমার মা টাকে । আমার কোন আপত্তি নেই
আরমান : আলহামদুলিল্লাহ।
রফিক: কিন্তু তোর ছেলে কি ফাতেমাকে পছন্দ হবে? ??কারন ফাতেমা তো এ যুগের মেয়েদের মতো না ।
দেখলিই তো কি রকম করে আসলো তোর সামনে
আরমান: তোর তো নিজেকে ভাগ্যবান মনে করা উচিত রে যে তোর মেয়ে এই রকম হয়েছে
আর হে,মাহিন কে নিয়ে কোন চিন্তা করার দরকার নেই ।
আমার পছন্দই ওর পছন্দ । আজ পর্যন্ত আমার কোন কথার অবাধ্য হয় নি ।
রফিক: তাহলে তো সব ঠিক আছে
আরমান : আচ্ছা ফাতেমা কি রাজি হবে??
রফিক: আরে ওর কথা ভাবিস না, আমার কথাই শেষ কথা. ও আমার কথা ফেলতে পারবে না.
ও খুব বাধ্য মেয়ে আমার
আরমান : তাহলে এই কথাই রইলো ।
সামনের সপ্তাহে আমি তোর ভাবি,মাহিন ,আর মহিমা কে নিয়ে তোর বাসায় আসবো ফাতেমাকে দেখতে
আজ তাহলে উঠি । দেখা হবে সামনের সপ্তাহে
খাদিজা বেগম: উঠি মানে????
আরে ভাইসাব আজ আপনি আমাদের এখানেই থাকবেন ।
এতো দুর থেকে এসেছেন।
আরমান : না ভাবি আজ যেতেই হবে । অফিসের দরকারি ফাইল সাইন করতে হবে ।
আর আজ না গেলে কাজটা হবে না ।
আমি তো আমার পরিবার নিয়ে সামনের সপ্তাহে আসবোই
আজ তাহলে যাই
রফিক: আচ্ছা তাহলে সাবধানে যা । পৌছে ফোন দিস
আরমান : আচ্ছা ঠিক আছে । আসসালামুআলাইকুম । আসছি
রফিক: ওয়ালাইকুম আসসালাম
রফিক সাহেব খুশিতে আত্যহারা ।
তার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিলো মেয়েকে বড়লোক বাড়িতে বিয়ে দিয়ে তার সমান সমান লোকের সাথে আত্মীয়তা করবে ।
সে সমাজে বুক ফুলিয়ে চলবে
আজ তার ইচ্ছে পুরন হতে যাচ্ছে
খাদিজা বেগম: ওগো শুনছো ।
রফিক: কি বলো
খাদিজা : কথা তো দিয়ে দিলে । কিন্তু……..
রফিক: কিন্তু কি???
খাদিজা : কিন্তু আগে তো মেয়েটার মতামতটা জেনে নিতে পারতে
ও রাজি হবে কি না । তুমি তো জানোই তুমার মেয়েকে ,ও কি রকম ছেলে পছন্দ করে
তোমার বন্ধুর কথায় তো মনে হচ্ছে ওনাদেন বাড়ির কেউই দ্বীন পালন করে না । নামায কালাম পড়ে না ।
খুব মর্ডান ওরা মনে হচ্ছে
রফিক: তুমি কি বলতে চাইছো । আমি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি ???{কিছুটা রেগে গিয়ে}
[রফিক সাহেব খুব রাগি লোক ]
খাদিজা: না মানে ,আমি তো এটা বলি নি. ..মেয়েরও তো একটা মতামত আছে তাই না? ???
রফিক : আমি যা ঠিক করেছি তাই হবে. .
আমি তো আর ওর খারাপ চাই না
আমার কথাই শেষ কথা ।
আমি আরমানকে কথা দিয়ে দিয়েছি
এখানে আর কোন কথা হবে না
ওরা সামনের সপ্তাহে আসবে মেয়েকে জানিয়ে দিয়ো
খাদিজা: আ..আচ্ছা .. ঠিক আছে
খাদিজা বেগম জানেন তার মেয়ের কি রকম ছেলে পছন্দ ।
ফাতেমা ছোট থেকেই দ্বীন পালন করে
আর তাই সে ছোট থেকেই তার মতো আল্লাহ পাগল মানুষকে নিজের জীবন সঙ্গি হিসেবে চেয়েছে
তার সপ্নের রাজকুমার এই রকম একজন, যে হবে আল্লাহ ভীরু ,সহজ সরল „সুন্নত লেবাসি ,হালাল ইনকামকারি ইমানদার।
এ রকম একজন জীবন সাথি চায় সে
খাদিজা বেগম চিন্তায় পরে গেলেন মেয়েকে কিভাবে মানাবে সে.
এশার নামায শেষে ফাতেমা জায়নামাযে বসে তসবি পাঠ করছিলো .
এ সময়
খাদিজা বেগম: আসবো রে মা? ?
ফাতেমা: আরে মা, এসো এসো
[চলবে ইনশাআল্লাহ]………