#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
==========================
❝ ফিরে_আসা ❞
———————-
লেখিকাঃ Umma Hurayra Jahan
পর্ব ০৫
- খাদিজা বেগম: কিরে মা আসবো? ??
ফাতেমা : আরে মা এসো এসো
খাদিজা বেগম: কিরে মা তোর নামায শেষ??
ফাতেমা : হে মা শেষ। তুমি নামায পড়েছো???
খাদিজা বেগম : না রে মা এখনো পড়ি নি
ফাতেমা : কেন মা?
মা তুমি কি জানো না বিনা কারনে নামাযে দেরি করা আল্লাহ পছন্দ করেন নাখাদিজা বেগম: জানি রে মা । কিন্তু কি করবো বল আলসি লাগে রে মা ।
ফাতেমা : এটা কিন্তু ঠিক না মা
খাদিজা বেগম: আচ্ছা রে মা আর দেরি হবে না
ফাতেমা: আচ্ছা মা তুমি কি কিছু বলবে???
খাদিজা বেগম: না মানে .. একটা কথা ছিল তোর সাথে
ফাতেমা : হুম বলো না কি বলবে
খাদিজা বেগম: – আগে তুই আমাকে কথা দে মা যে তুই আমার কথা রাখবি
[ফাতেমার হাত ধরে ]ফাতেমা – মা এভাবে বলছো কেন???
তুমি চাইলে তো আমি আমার জীবনটাও দিয়ে দিবো।বলো কি বলবে??খাদিজা বেগম- মা রে তোর বাবা তোর বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে রে মা
ফাতেমা – কি…..?? বি. ..বি..বিয়ে???মানে… কি বলছো এসব
খাদিজা বেগম- আমি জানি রে মা কথা শুনে হয়তো তোর খুব অদ্ভুত লাগছে ।
তুই তো তোর বাবা কে চিনিস । ও এক কথার মানুষ
ও সব কথা দিয়ে দিয়েছেফাতেমা – কিন্তু মা…। বাবা এটা কিভাবে করলো [কান্নার স্বরে ]
আমাকে না জানিয়ে
আর বাবা কাকেই বা কথা দিয়েছে ???খাদিজা বেগম- মা তোর বাবা আরমান সাহেবের ছেলের সাথে তোর বিয়ে ঠিক করেছে ।
আরমান ভাইয়ের ছেলে মাহিনফাতেমা – মা কিন্তু বাবা তো একবার আমার মতামতটা জানতে পারতো । [কান্নার স্বরে]
খাদিজা বেগম- মা রে তোর বাবা বলেছে ওর কথাই নাকি শেষ কথা। তোকে রাজি হতেই হবে রে মা
নয়তো তোর বাবার মান সম্মান থাকবে না।
ফাতেমা – কিন্তু মা……খাদিজা বেগম- কোন কিন্তু না রে মা
এতেই তোর ভালো হবেদেখ তোর বাবা তো আর তোর খারাপ চায় না
ও বুঝেশুনেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেফাতেমা – মা ছেলে কি করে ???উনি কি ধার্মিক??উনার ইনকাম কি হালাল ???উনার কি দাড়ি আছে? ??উনি কি ৫ ওয়াক্ত নামায পড়েন???উনি কি সুন্নতি পোষাক পড়েন????
খাদিজা বেগম- মা রে এতো কিছু আমি জানি না ।
শুধু এটাই বলতে পারবো তুই যে রকম পাত্র পছন্দ করিস পাত্র একদম তার উল্টো
ফাতেমা – কি বলছো এ…এ সব মা? ??
বাবা তো আমার পছন্দ জানে তার পরও কেন বাবা এ রকম একজন কে আমার জন্য পছন্দ করলেন???খাদিজা বেগম- মা রে তুই তো জানিস তোর বাবার কথার উপর আমরা কেউ কোন কথা বলতে পারি না ।
ও তো তুই যেরকম নামাযি ,দাড়িওয়ালা ,মুন্সি একদম সহ্য করতে পারে না ।ফাতেমা – তাই বলে, আমার জীবনের এতো বড় সিদ্ধান্ত ,আমি কিছু বলতে পারবো না???
আমার কি পছন্দ অপছন্দ নেই???
খাদিজা বেগম- আমি এতে কিছুই করতে পারবো না রে মা । তোর বাবা শুধু তোকে খবরটা দিতে বলেছে ।
তোর মত বা অমত জানতে চায় নি রে মা
আমি যাচ্ছি রে । নামাযের দেরি হয়ে গেলো .ফাতেমা – প্লিজ মা প্লিজ তোমার দুটো পায়ে পড়ি তুমি বাবাকে বুঝাও …
[.কান্না করতে করতে বলছে ফাতেমা]
মা রে এখানে আমার কিছুই করার নেই .
ফাতেমা – মা ভাইয়া কে বলো বাবা কে বুঝাতে [ কান্না করতে করতে ]
খাদিজা- তোর বাবা ওর কথাও শুনবে না ।
ও হে, আগামী সপ্তাহে ওরা তোকে দেখতে আসবে ।
ফাতেমা চুপ করে শুধু মায়ের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আর অঝরে চোখ থেকে পানি পড়ছে
ফাতেমা – [জায়নামাযে বসে ] হে আল্লাহ তুমি আমাকে এ কোন পরীক্ষায় ফেললে ।
আমি তো এরকম কাউকে জীবন সাথি হিসেবে চাই নিআমি তো আমার জিবনে বড়লোক কাওকে চাই নি । এতো আধুনিক কাউকে চাই নি
তুমি তো আল্লাহ সব জানো আমি কি রকম জিবন সাথি চেয়েছি
হে আল্লাহ আমি জানি তুমি যা করো তাতেই মঙ্গল নিহিত থাকে
তুমি আমাকে শক্তি দাও আল্লাহ শক্তি দাও
ধৈর্য ধারন করার শক্তি দাওএসব বলে ফাতেমা জায়নামাযে বসে কাঁদছে
পরদিন সকালে
নাস্তার টেবিলেআরমান সাহেব- Good morning all. .
মহিমা – Good morning বাবা
মিসেস মেহেঘ- morning
আরমান- কি গো মেহেঘ তোমার নবাব পুত্তুর কইমিসেস মেহেঘ- নবাব পুত্তুর কি একা আমার নাকি তোমারও । হাহাহাহা
সবাই হাসাহাসি করছে
আরমান- হু সে তো বটেই
এর মধ্যেই মাহিন এসে হাজির
মাহিন – Good morning বাবা ,মা
Good morning রে ছুটিমনে হচ্ছে আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছে ??
মিসেস মেহেঘ – হে রে নবাব পুত্তুর । এতো দেরি করে তো নবাব পুত্তুরাই উঠে।
মাহিন – কি যে বলো না মা
মহিমা – ভাইয়া তুই তো নবাব পুত্তুর .হাহাহা
আরমান – আচ্ছা হয়েছে হয়েছে এবার থাম।
আচ্ছা সবাই যেহেতু এখানে আছ একটা কথা জানানোর আছে সবাই কেমিসেস মেহেঘ- কি কথা? ??
আরমান- তুমি তো জানোই আমি কালকে আমার ছোট বেলার বন্ধু রফিকের বাসায় গিয়েছিলাম
মেহেঘ- হুম তো??
আরমান- আমি ওকে একটা কথা দিয়ে এসেছি
সবাই একসাথে বলে ওঠলো
কি কথা
আরমান – কথাটা হলো. ………..
চলবে ইনশাআল্লাহ……..