ফেইরিটেল পর্ব-২৭

0
1318

#ফেইরিটেল
#Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
Part–27

টেক্সাস, মার্কিন মুলুকের একটি অন্যতম বিখ্যাত রাজ্য। আলাস্কার পর নাকি টেক্সাসই বৃহত্তম অঙ্গরাজ্য৷ বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী নিয়ে এই শহর গড়ে উঠেছে। বিশাল, উচু বিল্ডিংয়ের মাঝে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রশংসনীয়। তবে ইমানের এই শহরটা ভালো লাগে কারণ এর তিনদিকে ঘেরাও করে আছে নদী৷ সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকা গুলো চোখ ধাধানো সৌন্দর্যের অন্যতম নিদর্শন। পূর্বের দিকে সাবিনে নদী টেক্সাসকে এবং লুইজিয়ানাকে বিভাজন করেছে। সাবিনে নদীর সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য এখন অব্দি ইমানের হয়নি। সে আপাতত ডালাসে যাবে। ডালাস নর্থ টেক্সাসে অবস্থিত। ব্যবসা বা কমার্শিয়াল কাজের জন্য ডালাস জনপ্রিয় এক নাম৷

ডালাসের ওয়েদার আজ ফুরফুরে। যেন বসন্ত লেগেছে ডালাসে। গাছে গাছে সবুজ-হলুদ পাতায় ভরপুর। আবহাওয়া না অতি গরম, না অতি শীতল। পারফেক্ট ওয়েদার যাকে বলে আজকের ডালাসের আবহাওয়াও সেইরকম। এটাও এক ধরনের সৌভাগ্য। গতবার ওয়েদার খারাপ হওয়ায় তাকে ভুগতে হয়েছিল বেশ। এজন্য ওয়েদার রিপোর্ট দেখে একদিন আগেই এসেছে। ক্লাইটের সঙ্গে আলাপ করে মিটিংয়ের ডেট এগিয়ে এনেছে সে। তার ক্লাইট রবার্ট হিউস্টনে থাকে।

হাইওয়ে রুট ধরে সে আর জুই এগিয়ে যাচ্ছে। ড্রাইভিং কন্ট্রোল করছে জুই। আমেরিকান মেয়েরা ড্রাইভিংকে খুব ইঞ্জয় করে। এক ধরনের গেম মনে করে৷

জুই হাইওয়েতে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিল৷ ইমানের সামান্য ভয় লাগলো। এতো স্পিডে গাড়ি চালানো ঠিক না। হুট করে নিয়ন্ত্রণ হারা হলে বিপদ। তাছাড়া এই রাস্তায় আশির উপরে উঠানোর নিয়ম নেই। পুলিশ দেখলেই হলো। সঙ্গে সঙ্গে ফাইনে মোটা অংক কষবে৷ কিংবা কে জানে ইতিমধ্যে তাদের গাড়ির নাম্বার টুকে নেওয়াও শেষ তাদের৷ জুই গাড়ির কাঁচ খুলে দিয়ে গাড়ির স্পিড আরো বাড়ায়। বাতাসে তার চুল উড়ছে৷

ইমানের শার্টটাও টলছে, এতো বাতাস আজ। সে সর্তক বার্তা দিয়ে বলে, ” গাড়ির স্পিড কমাও। ট্রাফিক রুলস ব্রেক করছো।”

জুই হাসি দিয়ে বলে, “লেটস ব্রেক ওল দ্যা রুলস টুডে।”

–” ভেরি ফানি। গাড়ির স্পিড কমাও প্লিজ।”

এবারে কাজ হলো। সে স্পিড বেশ কমিয়ে দিয়ে বলে, “তুমি কিছু অনুরোধ করলে, আমি সেটা না করে থাকতে পারব না।”

ইমান ভ্রু কুচকে বলে, সর‍্যি?

ঠিক সেই মুহুর্তে হর্ণ বাজিয়ে দুটো পুলিশের জীপ তাদের সামনে থামল। ক্ষণেই দুইজন পোশাকধারী পুলিশ জীপ থেকে বের হয়ে তাদের পথ আটকালো৷

ইমান চোখ পাকিয়ে জুইয়ের পানে তাকালো। জুই জিভে কামড় দিয়ে বলে, “ওহ শিট!”

পুলিশ এসে তাদের দুইজনকেই বের হতে বলে একগাদা লেকচার দিল সঙ্গে জরিমানা ফ্রি!

ট্রাফিক পুলিশের জীপ যেতেই ইমান বলে, ” এখন আমি ড্রাইভ করব৷”

জুই “ওকে” বলে তার দিকে চাবিটা থ্রো করলে ইমান বাম হাত দিয়ে তা অনায়াসে ধরে ফেলে। জুই হাততালি দিয়ে বলে, “নাইস ক্যাচ।”

সে শুধু হাসে। এরপর গাড়ির ড্রাইভিং সীটে গিয়ে গুগল ম্যাপ অন করে। তারা ডালাসের দিকে যাত্রা করছে৷ কিন্তু এখনো ডালাস শহরে ঢুকেনি। আরো পনের মিনিট পর ডালাসে ঢুকবে। সে চাবি ঘুরিয়ে গাড়ি চালু করল। জুই এবার তার পাশে বসে গুনগুন করে গেয়ে উঠে,

Oh, baby, I wish you were here
But the only way I can see you, darlin’, is in my dreams
It’s a highway song
You sing it on and on
On and on

গানের শ্রুতিমধুর শব্দ কানে আসতেই ইমান ফিরে তার দিকে তাকালো। ও খুব সুন্দর করে গায়। এতো মিষ্টি ভয়েজ! হাইওয়েতে এমন মিষ্টি গান শুনতে কার না ভালো লাগে৷

নদীর পাশ ঘেঁষে হাইওয়ে দিয়ে তারা ডালাসের ভেতরে প্রবেশ করে। গাড়িতে গ্যাস লাগবে। এক বাতি গ্যাস সো করছে। এইজন্য ইমান নিকটতম গ্যাস স্টেশনে এসে গাড়ি থামায়। ডালাসের গ্যাস স্টেশন সবসময়ই ছিমছাম ফাঁকা থাকবে। প্রতিটি স্টেশনে একজন করে কর্মীকে পাওয়া যাবে। এই স্টেশনের পাশেই ছোট একটা বেভারেজ স্টল। অনেকক্ষণ ধরে না খাওয়া তারা। গ্যাস নেওয়ার ফাকে ইমান জুস কিনল। সঙ্গে খাবার কেনার ইচ্ছা জাগলো তার। সে জুইকে প্রশ্ন করে, ” কী খাবে?”

জুই বলে উঠে,” বিস্কুট আছে?”

— “আছে৷”

— “পাইনাপেল ফ্লেভারের আনো।”

ইমা৷ জুস তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিস্কুট কিনতে যায়। গ্যাস কাউন্টারের লোকটি তাদের আগ্রহ নিয়ে দেখছিল। ইমান যেতেই সে জুইকে স্প্যানিশ ভাষায় প্রশ্ন করে, “ছেলেটা তোমার কে হয়?”

টেক্সাসে ম্যাক্সিমাম মানুষ ইংলিশেই কথা বলে। তবে গুটিকয়েকজন মানুষ আছে যারা স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে। জুই হাল্কা-পাতলা স্প্যানিশ জানে। কিন্তু পটু না। সে লোকটার কথা বুঝে যায়। এবং উত্তরে বলে, ” বয়ফ্রেন্ড হয়।”

লোকটা হাসল এবং বলল, “বেস্ট উইশের ফর বোথ অফ ইউ৷”

ইমান ফিরে আসলে তারা রওনা হলো। জুইকে মিটমিট করে হাসতে দেখে ইমান প্রশ্ন করে, “ব্যাপার কী? হুট করে এতো হাসছো কেন?”

জুই জানালার দিকে তাকিয়ে বলে, “হুট করেই মন এতো ভালো হয়ে গেল!”

নিদিষ্ট স্থানে এসে পৌঁছাতে তাদের দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো। ইমান হোটেল বুক করে রেখেছে অনলাইনের মাধ্যমে। দুইটা রুম বুক করাই আছে। হোটেলে এসে ফ্রেশ হলো তারা। সন্ধ্যায় ক্লাইটদের সঙ্গে মিটিং আছে৷ দেরি করতে চায় না সে। আজকে এই মিটিং শেষ হলে সকালে একটা ছোটো কাজ সেরে দুপুরেই বাসায় ফিরে যাওয়ার প্লান আছে তার৷

বিকেলে জুই তাকে কল দিয়ে পুল সাইডে আসতে বলে। তার এই মূহুর্তে পুলে ঘুরাঘুরি করার ইচ্ছা নেই। একদম সন্ধ্যায় রুম থেকে বের হবে সে। ফাইলপত্র গুছিয়ে নিয়ে সে কিছুক্ষণ রেস্ট নিল। সন্ধ্যায় নিচে নেমে এসে সে ক্লাইটকে কল দিল। ক্লাইট তথা মিষ্টার রবার্ট জানালো, সে ওলরেডি পুল সাইডে জুইয়ের সঙ্গে গল্প করছে৷

ইমান জানে রবার্ট জুইয়ের প্রতি উইক। গতবারই ইমান ধারণা করতে পেরেছিল। যাইহোক সে পুলের দিকে আগালো। পুল সাইডে বেশিরভাগই কাপলরা একসঙ্গে টাইম স্পেন্ড করে৷ খোলামেলা ভাবে অনেককিছুই ঘটায় তারা। ইমান এসবে অভ্যস্ত হলেও বেশ অস্বস্তি লাগে যদি সঙ্গে কেউ থাকে৷

জুই আর রবার্ট কী নিয়ে যেন হাসাহাসি করছে। সে আসতেই রবার্ট হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করল।

ইমান বলে উঠে, “মিটিং শুরু করি তাহলে? ”

জুই তখনই বলে উঠে, ” বলেছিলাম না মিষ্টার খান এসেই বলবে লেটস স্টার্স্ট।

রর্বাট সায় দিয়ে বলে, ” তোমার ওয়ার্কোহলিক অভ্যাস নিয়েই আমরা হাসাহাসি করছিলাম।আজকে ভাবছি লেট নাইট পার্টি করব। এন্ড ইউ হ্যাভ টু কাম।”

ইমান বলে, ” সেটা পরে দেখা যাবে।”

ইমানের জোরাজোরিতে তারা কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠে। সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা অব্দি কাজ করে সকলেই ক্ষুধার্ত হয়ে গেছে। রবার্ট ইমানের কাজে বেশ সন্তুষ্ট। তাই সে অফার দিল আজকে ডিনার তার তরফ থেকে। উনি ইমানকে প্রশ্ন করে,” কী খেতে মন চাচ্ছে? ”

সে বলে উঠে, “ভাত আর আলুভর্তা৷”

রবার্ট অবাক হয়ে বলে,” বুঝিনি।”

ইমান হেসে ফেলে বলে, ” আপনি যা অর্ডার দিবেন তাই খাব।”

রবার্ট খাবার অর্ডার দিতে গেল। জুই আর সে একা বসে আছে। পাশের টেবিলেই একটা খুব সুন্দরী ইরানী মেয়ে তার ব*য়ফ্রে*ন্ডকে নিয়ে এসেছে। দুইজনের মধ্যে দূরত্ব অনেক কম। ঘ*নি*ষ্ঠ অবস্থায় যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত! ইমান একবার সেদিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিল। জুইয়ের সামনে এমন দৃশ্যপটের কবলে পড়ায় সে বেশ বিব্রত করছে৷

জুই বলে উঠে, ” রবার্ট আমাকে একটা ড্রেস গিফট করল।”

–” আজকে পার্টিতে পরার জন্য করেছে । ”

–“ইয়েস।”

–“বাহ”।

— “বাট আচমকা আমাকে কেন সে গিফট দিবে?”

ইমান ফোন হাতে নিয়ে বলে, ” উনি তোমার জন্য কিছু ফিল করে।”

জুই ভড়কে গিয়ে বলে, ” তুমি কীভাবে জানলে?”

–” বোঝা যায়।”

সে সামান্য হেসে বলে, ” তুমি এইসবও বুঝো? আমি তো ভেবেছি প্রোগ্রামিং ছাড়া তুমি কিছু বুঝো না।”

ইমান বলে উঠে, ” মাঝে মাঝে বুঝি।”

জুই বিড়বিড় করে বলে, ” সবসময় বুঝলে ভালো হত।”

ইমান নিজ থেকে বলে উঠে, “রবার্ট অনেক ভালো একজন মানুষ। তুমিও সিঙ্গেল। তোমাদের একসাথে মানাবে বেশ। ”

জুই তার চোখে চোখ রেখে বলে, “আমি মনে মনে ওলরেডি টেকেন।”

ইমান অবাক হয়ে বলে, ” সিরিয়াসলি! হু ইজ হি?আই মিন হু ইজ দ্যা লাকি গাই? কোনদিন জানাওনি তো!”

জুই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, যেই হোক না কেন, রবার্ট সাহেবকে আমি সুযোগ দিব না।”

তখনই রবার্ট আসলেন। তিনজন একসঙ্গে ডিনার করে, কিছুক্ষণ পার্টির আমেজে থেকে জুই বলে উঠে মাথা ব্যথা করছে তার। সে রেস্ট নিতে চায়৷ জুই গেলেও ইমান যায় না।

সে রাত অব্দি রবার্টের সাথে ড্রিংক করলো।

_________________

নিউইয়র্কে এসে সময় এতো জলদি অতিবাহিত হতে লাগলো ইমানের যে ঠিকঠাক মতো খাওয়ার সময় পায়না। কীভাবে কীভাবে যেন চারটা মাস কেটে গেল সে টের পর্যন্ত পেল না। বাংলাদেশে কারো সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার৷ বিল্ডার্সের সঙ্গে অবশ্য কথা হয়। তবে শুধু কাজের কথা৷

ইমান নিউইয়র্ক আসলে ওখানকার কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না৷ এটা নতুন কিছু না। এর আগেও করত। তবে বড় মামা কিছু দিন আগে ফোন দিয়ে বলেছে, সে মিরার ওখানে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কীনা৷ মুখে চেষ্টা করছি বললেও ইমান আসলে তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি। খালি একটা ভার্সিটির খোজ নিয়েছিল এই যা! মামা ওপাশ থেকে বলেছিল, আমিও চেষ্টা করছি৷ ব্যাস এরপর এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।মিরার সঙ্গে কোন এক কারণে তার কথা হয় না৷ মেয়েটা তার ফোন ধরেনা। ইমান দু’বার কল দিয়েছিল কিন্তু ধরেনি। অন্য নাম্বার থেকেও দিয়েছিল৷ সীম আমেরিকান হওয়ায় মিরা সেই নাম্বার রিসিভ করেনি। এজন্য রাগে-দুঃখে, ক্ষোভে সে আর কল দেয় না।

আজ অফিসে প্রচুর প্রেশার ছিল। কাজ শেষ করে মাত্র সে লাঞ্চ করতে যাবে, ওমনি তার নাম্বারে হাসনাহেনার কল আসে। সে অবাক না হয়ে পারল না। এই মহিলার সঙ্গে এক ঘরে থেকেও তার কথা হয়না। আজকে ফোন দিচ্ছে কেন? সে ফোন রিসিভ করামাত্রই উনি বিরক্তভরা কণ্ঠে বলে উঠে, “ইমান, বাংলাদেশ থেকে তোমার মেহমান এসেছে। এভাবে বাসায় কাউকে না বলে অপরিচিত মানুষকে কীভাবে তুমি আসতে বল? আক্কেল-জ্ঞান নেই তোমার? ”

ইমান যেন সাত আসমান থেকে পড়ল। বাংলাদেশ থেকে তার কোন আত্নীয় আসলো? সে নিজেই তো কিছু জানে না।

হাসনাহেনা বলে উঠে, “তুমি বাসায় ফেরো জলদি। এখনই আসো। এসব উটকো ঝামেলা কেন কর তুমি? তোমার মেহমান দুইটা বড় ল্যাগেজ নিয়ে এসেছে। কতদিন থাকবে ও? অসহ্য! ”

ইমান থমথমে খেয়ে যায়। কী বলবে সে? কে এসেছে? তার দমবন্ধ হয়ে আসছে। বাংলাদেশ থেকে কেউ তার বাসায় বুঝি এই প্রথম বার আসল!

আসছি বলেই সে অফিস থেকে বের হলো। এবং অফিস থেকে বের হয়ে সে দেখল বাইরে প্রচন্ড বেগে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি হচ্ছে এটা অফিসে থাকায় সে বুঝেনি। অফিসের গাড়ি নিয়েই সে বাসার উদ্দেশ্য ফিরে যায়৷ কোন অতিথি এসেছে জানতে হবে তাকে।

বাসায় সে বিশ মিনিটের মধ্যে ফিরে এলো।পুরোটা সময় জুড়ে তার মন ও মস্তিষ্কে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। গাড়ি থেকে নেমে বাসায় গেইট অব্দি যেতেই সে কাকভেজা। বেল বাজাতেই হাসনাহেনা বিরক্ত মুখে দরজা খুলে দিয়ে ইশারায় ড্রয়িংরুম দেখালো। অর্থাৎ গেস্ট সেখানেই আছে।

ইমান দেখল, বাসার মেইন ডোরের সামনে দুটো বড় ল্যাগেজ। সে ভেজা গায়ে ডাইনিং রুমের সামনে এলো।

সোফায় ওমুখ হয়ে একজন বসে আছে। সেও তার মতো সম্পূর্ণ ভেজা। ঠাণ্ডায় সে ঠকঠক করে কাঁপছে৷

ইমান তাকে দেখেই ভূত দেখার মতো চমকে দু কদম পিছিয়ে যায়। তার হাতে থাকা ফোন ধপ করে নিচে পরে যায়। সেই আওয়াজে সদ্য আগমনী মেহমান তার দিকে ফিরে তাকায়৷ সঙ্গে সঙ্গে ইমানের মনে বজ্রপাত ঘটে৷

চলবে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here