#ফেইরিটেল
#Arishan_Nur(ছদ্মনাম)
Part–52
অম্বরে ধূসর বর্ণের মেঘ জমেছে৷ বাতাবরণে তখন স্নিগ্ধতা ,শীতলতা বিরাজ করছে। পূর্বদিক থেকে ধেয়ে আসছে শরীরে কাঁটা তোলা হাওয়া। ইরা মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। বসুন্ধরা মার্কেটের সামনে দাঁড়ানো সে।৷ বৃষ্টির জন্য আটকা পড়েছে সে। ভার্সিটির ক্লাস শেষ করে এক ফ্রেন্ডের সঙ্গে শপিংয়ে এসেছিল। বিরক্তিতে সারা শরীর দুলছে৷ আজকে মেহেদীর সঙ্গে দেখা করার কথা। ব্যাটা বড় ঝামেলা করছে। ইরা এবার ফাইনাল ইয়ারে। এজন্য আসাদ চাচ্ছে তার বাসায় প্রস্তাব পাঠাবে। কথাটা শোনামাত্র ইরা আকাশ থেকে পড়েছে৷ প্রেম করছে সবে দ’মাস ধরে এরমধ্যে এই ব্যাটা বিয়ে অব্দি ভেবে বসে আছে!
বৃষ্টি ঝুমঝুম শব্দ তুলে একাধারে পড়ছে৷ বৃষ্টির প্রকোপ বাড়লে, ইরার নাকে বৃষ্টির পানিতে ভেজা সোঁদা মাটির গন্ধ আসতে লাগে৷ এ’গন্ধ নাকে আসতেই সে নাক চেপে ধরে। বৃষ্টির ঘ্রাণে তার বমি পায়। কি বিশ্রী গন্ধ! মোবাইলের রিংটোন এ তার ঘোর কাটে। সে কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ইমাদের কণ্ঠ ভেসে আসছে, ” মিমো তুমি কোথায়?তোমাকে আনতে আসব? ড্রাইভার আংকেল বাসায় আসছে৷”
ইরা সাত-পাঁচ না ভেবে বলে,” আয়।”
যেহেতু গাড়ি মিরপুর থেকে বসুন্ধরায় ছুটে আসবে কাজেই তাকে মিনিমাম আধ-ঘন্টা তো অপেক্ষা করতেই হবে৷ সে আবারো ভেতরে গেল এবং লিফটের টপে গিয়ে ফুড কোর্টে বসে। এরপর ফোন হাতে নিতেই ম্যাসেঞ্জারে ছয়টা ছেলের ম্যাসেজ পেল। সব ম্যাসেজই তাকে ইমপ্রেস করার জন্য দেওয়া। এই যেমন একটা ম্যাসেজ এমন, তোমার চোখের দিকে তাকালাম রাত দশটায়, চোখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর দেখি ঘড়িতে একটা বাজে দশ মিনিট। ইরার হাসি পায় এ’সব দেখলে। সে মনে মনে ভাবে এই যুগের পোলাও এতো ষ্টুপিড আছে এখনো! এরা কী আজীবন এমনই গাধা থাকবে নাকি কোনদিকে এক পার্সেন্ট হলেও বুদ্ধিমান হবে৷ ম্যাসেঞ্জারে আরো একটা আইডির নামের উপর তার চোখ গেল এবং সঙ্গে সঙ্গে মুখ উজ্জ্বল হলো। সে ম্যাসেজটা ওপেন করতেই দেখল, ” ইউ লুক সো হ/ট। ইরা হাসল। এই একটা মানুষ যার সব ধরনের কমেন্ট পাস সে নিতে পারে। ইরা লিখলো, ইউ মোর। সিন হলো না। সম্ভবত সে এখন ঘুমাচ্ছে৷ গাড়ি আসতে আরো সময় লাগবে৷ এই সময়ে সে অন্যজনের ম্যাসেজের রিপ্লে দিল। সঙ্গে সঙ্গে সিন হলো। ম্যাসেজ আসল৷
–” তুমি রিপ্লে দিবে আমি ভাবিও নি।”
ইরা লিখলো, ” এইতো দিলাম।”
— ” তুমি জানো আমি তোমাকে দেখার পর থেকে ফিদা৷”
ইরা দ্রুত রনক নামের ছেলের আইডিটা দেখল। ছেলে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়ে৷ কিন্তু কথা হলো, তাকে কোথায় দেখল? এর উত্তর অবশ্য পাওয়া গেল। রনক নাকি তার ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে এসেছিল৷ তখন ইরাকে স্টেজে দেখে ফিদা হয়ে যায়। তখনই মেহেদীর ম্যাসেজ আসে। ” তুমি কোথায়? অনলাইনে থেকেও আমার ম্যাসেজের রিপ্লে দিচ্ছো না কেন?”
ইরার মেজাজ গরম হলো। সে সিন করে রেখে দিল৷ সেকেন্ড ম্যাসেজ আসলো, ” তোমার সাহস তো কম না৷ আমার ম্যাসেজ সিন করে রাখো।”
ব্যাস এই একটা ম্যাসেজের জন্য ইরা রিপ্লে দিল, “ব্রেক আপ।”
মেহেদী যেন চমকে গেল। কিছুক্ষণ সিন করে রাখে, রিপ্লে দিল না৷ এরপর বলে, ” ব্রেক আপ কেন করবা তুমি? আমার মতো বুয়েটে পড়া ছেলে তুমি পাবা কোথাও?”
ইরা রিপ্লে দেয়, ” তোর মতো দশটা ছেলে আমি আমার পকেটে রাখি।”
এরপর মেহেদীকে সবখান থেকে ব্লক করে দিল। ইরার মনে অবশ্য মেহেদী কোনদিন জায়গা পায়নি। তার মনের ফ্রেন্ড লিস্টে সে ছিলই না। কাজেই মন থেকে ব্লক করা লাগলো না। গাড়ি ততোক্ষণে বসুন্ধরার সামনে এসে দাড়ানো। ইরা ষষ্ঠতম বার ব্রেক আপ করল আজ৷ এতে তার কোন আক্ষেপ নেই। বরং ফুরফুরে মেজাজে আছে সে। নিচে নেমে গাড়ির সামনে আসতেই ইরার মন ভালো হয়ে গেল। ড্রাইভার একা আসেনি। সঙ্গে ইমাদও এসেছে৷ তার হাতে চিপসের প্যাকেট। ইমাদ আবার গাড়িতে চড়ে বেড়াতে দারুণ পছন্দ করে। এখনই সে ড্রাইভিং শিখতে চায়৷ ইরা গাড়িতে উঠেই ইমাদের গালে চুমু দিয়ে বলে, ” একা একা চিপস খাও? মিমো কে দিবে না?”
ইমাদ পুরা চিপসের প্যাকেট এগিয়ে দিলেও ইরা নিল না বরং তাকে আরো আদর করে দিল৷
______________________
আজকে অফিসে কোন কাজই ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে না। সবার মধ্যে চাপা উত্তেজনা। গসিপিং চলছে। মিরা ভীষণ বিরক্ত হলো। তার কাজ শেষ। শুধু শুধু বসে থাকার মানে হয় না। তার চেয়ে বাসায় গেলে ভালো হয়। কিন্তু ন্যান্সি ম্যাডাম সবাইকে থাকতে বলেছেন। কীসব জানি লেকচার দিবে৷ সেটার অপেক্ষায় আছে সবাই। অবশেষে আরো আধ-ঘন্টা পর উনি আসলেন। নিজে এতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ওনার হলে কী হবে? তার ড্রেসিং সেন্স যেন হাঁটুতে। উদ্ভট সব রঙের কাপড় পড়েন উনি। শুধু তাই না রিসেন্টলি উনি আবার চুল কালার করিয়েছে৷ ক্যাটক্যাটা পিংক কালার তাও আবার! দেখলেই মাথা ধরে যায়৷
ন্যান্সি ম্যাডাম সবার উদ্দেশ্য বললেন, ” আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ ইতিমধ্যেই সবাই জেনে গেছেন, আমাদের “মাই ফ্যাশন” কোম্পানির সিইও পদত্যাগ করেছেন। সুতরাং সবার মধ্যে একটা উত্তেজনা কাজ করছে। সামনে কী হতে চলেছে জানার জন্য। এমপ্লয়িদের বলব আপনারা চিন্তিত হবেন না। একটা কোম্পানির উন্নয়নের পেছনে একজন বেস্ট লিডার দরকার। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আপনাদেরকে নতুন একজন বেস্ট লিডার দেওয়ার। আমার উপর বিশ্বাস রাখুন সবাই।”
এরপর আরো কিছু বললেন তিনি। মিরা শুনেও শুনল না। সে অনলাইনে কাজ করছে৷ অবশ্য তার আসল বিজনেস-ই অনলাইন প্লাটফর্মে। তার নিজের ডিজাইন করা ড্রেসের ব্যবসা করে সে অনলাইনে। বেশ ভালো নামডাক কামিয়েছে। প্রথমের দিকে অবশ্য ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের ড্রেস হোলসেলে এনে বিক্রি করত৷ পরবর্তীতে নিজের ডিজাইন করা মসলিন ড্রেস সেল করা শুরু করল৷ জমজমাট ব্যবসা তার এখন। অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করে আর্ণ করার সুযোগ তার জন্য আর্শীবাদ হিসেবে এসেছে যেন৷ তাদের ফেসবুক পেজ থেকে প্রতিদিন বেশ ভালো সেল হয়৷ যেদিন করে নতুন কালেকশন আসে তারা জনপ্রিয় মডেলদের হায়ার করে লাইভে আনে। ফলে ভিউ-রেসপন্স বাড়ে সঙ্গে সেল দ্বিগুণ থেকে চারগুণ হয়। মার্কেটিং পলিসি বেশ ভালোই রপ্ত করেছে সে৷ কোন যেন এক বিজ্ঞ মানুষ বলেছেন, মার্কেটিং ইজ ফান৷
লেকচার শেষ হলে তারা সবাই বেরিয়ে পড়ে। বাসায় ফিরে আসতে তার সময় ষোল মিনিট লাগলো। বাসায় এসেই তার মন ভরে গেল। ইমাদ গেইট খুলেছে। তারমানে ও নিশ্চয়ই আম্মুর জন্য ওয়েট করছিল৷ পৃথিবীর সমস্ত আক্ষেপ, দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা, ক্লান্তি এই ছোট্ট নিষ্পাপ চেহারাটা দেখলে কোথায় যেন গায়েব হয়ে যায়৷
মিরা বাসায় প্রবেশ করতেই ইমাদ গাল ফুলিয়ে বলে, ” দেরি কেন হলো আম্মু?”
মিরা বলে, ” সর্যি বাবু। আজকে লেইট হয়ে গেল। তুমি বিকেলে খেয়েছো কিছু? ”
ইমাদ এর জবাব দিল না। সে ফিরে গেল সোফার দিকে। সুপ্তি বেগম ড্রয়িংরুমে এসে বললো, ” ইমাদ কিন্তু দুধ খাচ্ছে না। নাস্তাও খায়নি।”
মিরা বলে, ” আচ্ছা আমি খাইয়ে দিব৷ সমস্যা নেই৷
সে নিজে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ফ্রেস হয়ে ইমাদের জন্য নাস্তা বানালো নতুন করে৷ ও চাওমিন পছন্দ করে। চাওমিন বানিয়ে সোফায় এসে বসল সে। ইমাদ টিভিতে টম এন্ড জেরি দেখছে৷ ওকে খাইয়ে দিতে লাগে৷
টিভির পর্দা চোখ না সরিয়ে সে বলে উঠে, ” আম্মু জানো আজকেও সৃজা আমার গায়ে পেন্সিল দিয়ে গুতা মারছে। আমি কিছু বলিনি।”
–” গুড।”
এরপর ইমাদ দুষ্ট হাসি দিয়ে বলে, ” ও যখন ওয়াশরুমে গেল, আমি ওর টিফিনে পানি ঢেলে দিয়েছি। আজকে আমরা এক বেঞ্চে বসেছিলাম।”
মিরা তৎক্ষনাৎ বলে উঠে, ” এটা ঠিক না বাবা। ওর টিফিন নষ্ট করে খুব খারাপ করেছো। ও না খেয়ে ছিল না?”
— ও আগে আমাকে গুতা দিয়েছে। সবসময় আমার পেছনে লেগে থাকে। এটা কী ঠিক আম্মু?”
মিরা উত্তর দিল না। ইমাদই বলে, ” আমি ওকে আমার টিফিন শেয়ার করতে বলেছিলাম৷ তখন ও আমাকে জিভ দেখাইছে৷”
মিরা না চাইতেও হেসে ফেলে। বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বললে এম্নিতেই মন ভালো হয়ে যায়৷ তখনই সুপ্তি বেগম আসল ফোন হাতে নিয়ে৷ উনি ফোন ইমাদের কানে লাগিয়ে দিয়ে বলে, বাবা কলে আছে৷
ইমাদ সঙ্গে সঙ্গে টম এন্ড জেরি দেখা বাদ দিয়ে লাফাতে লাফাতে বাবার সঙ্গে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে গেল। কিছু সিক্রেট কথা আছে যেগুলো আম্মুর সামনে বলা যাবে না সেজন্য সে রুমে চলে গেল৷ মিরা চাওমিন হাতে টম এন্ড জেরি কার্টুনের দিকে তাকিয়ে থাকল। জেরির টমকে ধাওয়া করার ধান্দা গুলো দেখতে মজাই লাগে। সুপ্তি বেগম মেয়ের কাছে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। মিরা বলে, ” রাতের রান্না করেছো মা?”
–” হ্যাঁ। মুরগীর মাংস৷ ইমাদের জন্য আলাদা করে ঝাল-মশলা কম করে রান্না করলাম।”
কথা শেষ করার পরও মা যখন মাথায় হাত বুলাচ্ছিল মিরা বুঝে গেল মা তাকে কিছু বলতে চান। সে বলে উঠে, ” কিছু বলবে মা?”
সুপ্তি বেগম বলে উঠে, ” শুন মা আমার, ইমান…….. ”
মিরা টিভি দেখায় মনোযোগ দিল। জেরির দুষ্ট বুদ্ধিতে টমের লেজে আগুন জ্বলে গেছে। এজন্য টম এখন লাফাচ্ছে৷ সে মাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ” তোমার জামাই অনেক ভালো। সোনা ছেলে। এসবই তো বলবে তাই না?”
–” হ্যাঁ। ”
–” নতুন কিছু বল তো। আচ্ছা তোমার জামাই কী জাদু করলো তোমাকে বল তো শুনি!”
সুপ্তি বেগম ফোঁস কর শ্বাস ফেললেন। মেয়েটার অগোছালো জীবন নিয়ে তার আফসোসের শেষ নেই৷ অথচ তার মেয়ে কার্টুন দেখে হাসে৷
মিরা উঠে দাড়ালো এবং বিড়বিড় করে বলে, ” তোমার আদরের জামাইয়ের লেজে আমি জেরির মতো আগুন লাগাতে চাই।”
সে রুমে গিয়ে চিৎকার করে বলে, ” এতো কিসের সিক্রেট কথা?”
ইমাদ সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে আম্মুর কাছে আসল। মিরা কঠিন চোখে তাকিয়ে আছে রুমের সামনে। সে চেয়ার টেনে এনে আম্মুর সামনে রেখে, ওখানে উঠে দাড়ালো এবং মায়ের কানের কাছে ফোন এনে বলে, ” বাবা কথা বলবে৷”
সঙ্গে সঙ্গে মিরা বিব্রতবোধ করল। এটা অবশ্য ডেইলি রুটিন হয়ে গেছে৷ ইমাদ প্রতিদিন বাবার কথামতো তার কানের কাছে ফোন এনে ধরে এবং রুটিন মাফিক প্রতিদিনই ইমান একই কথা বলে। আজও সেই একই কথা৷ প্রতিদিন ফোনের অপর প্রান্তের ঐ কণ্ঠস্বর শুনলেই তার বুক কাঁপে। এখনো!
–” কেমন আছো মিরা?”
মিরা উত্তর দিল, ” ভালো।”
এরপর খানিকক্ষণ নীরবতা তারপর সে বলে উঠে, ” আই এম সর্যি। আরো কিছু পল নীরবতা। তারপর আবারো বলে, ” আই লাভ ইউ।”
মিরা ফোন ইমাদকে দিয়ে বলে, ” দ্রুত কথা বলা শেষ করে আসো৷ দুধ খাও নি তুমি। দুধ খেতে হবে৷”
–” আম্মু আর পাঁচ মিনিট। ”
মিরা চলে আসল। বাবা কল দিলে তার আর হুশ থাকে না কোনদিকে। টম এন্ড জেরির কথাও মনে থাকে না। সে রুম থেকে বের হতেই শুনল ইমাদ নিজে নিজে বলছে, ” ইয়াহু বাবা আসবে৷”
মিরা থমকালো। চমকে উঠে। পরমুহূর্তেই মনে পড়ে, ভিডিও কলে আসবে নিশ্চয়ই।
রাত নয়টার মধ্যে মিরা ডিনার করতে আসল। তখন ইরাও ডাইনিং টেবিলে ইমাদের সঙ্গে গল্প করছে। সুপ্তি বেগম টেবিলে বসে ছিলেন। তাকে দেখে বলে, ” তোর দাদীর শরীর ভালো না। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজকে বাসায় আনল। তোরা দুজন গিয়ে দেখা করে আয়৷”
মিরা বলে, ” তুমি ঐ বাড়ির খোঁজ জানলে কিভাবে? ”
–” সোনালী বলেছে৷ তোর দাদী নাকী তোকে দেখতে চাইছে খুব করে৷ তোদের কথা বলে কাঁদছে। ”
মিরা তাচ্ছিল্যময় হাসি হাসল। বাবার সঙ্গে যখন মায়ের বিচ্ছেদ ঘটলো, তখন সবাই মাকে দোষারোপ করছিল। সবাই সব সত্য জানে, তাও একতরফা দোষ কেবল তার মায়ের। ঐ সময় মিরা তার মায়ের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল জন্য দাদী তাকে খুব জঘন্য একটা কথা বলেছিল৷ সেদিনের পর মিরা তেমন একটা যোগাযোগ রাখেনি। ইমাদ হওয়ার সময় দাদী আসেওনি একটাবার দেখতে। তাদের আর্থিক সমস্যা গেছে কেউ ফিরেও তাকায়নি। অবশ্য মিরা চায়ও না কারো সাহায্য। তবুও আপনজনদের এমন রুপ সে মেনে নিতে পারে নাহ৷
চলবে।
[ গতকাল থেকে কেন যেন স্ক্রিনের দিকে পাঁচ মিনিট তাকিয়ে থাকলেই মাথাব্যথা শুরু হচ্ছে। যাইহোক সবাইকে অপেক্ষা করানোর জন্য দুঃখিত৷ রোজার জন্য রাতে গল্প দিতাম। আমার মনে হয় রাতে গল্প পড়া সবার অভ্যাস হয়ে গেছে। এজন্য যে ক’টা পর্ব বাকী আছে সেগুলো রাতেই দেওয়া হবে। আর হ্যাঁ আগামী পর্বে চমক আছে কিন্তু! ]